নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনূস - একজন তাত্ত্বিক এবং স্বপ্নদ্রষ্টা যখন কুটিল রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮


বাংলাদেশের সমাজে ড. ইউনূসের পরিচয় একজন সুদখোর ব্যবসায়ী হিসেবে। আমাদের সদ্য পলাতক গবু-স্বৈরাচারী রাণীমা তার গুণ্ডামি দ্বারা সমাজের যে ক্ষতি করেছেন, তার একটি হলো মানুষের ধর্মানুভূতি কাজে লাগিয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো। এই কাজে খুব সফল তিনি। কিন্তু তিনি এখানেই থামেননি। গবুচন্দ্রের আদালতে তার বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা মামলা করেছেন, তার সংখ্যা মোট ১৭৪টি। বাংলাদেশের তথাকথিত প্রগতিশীল পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে তার আরেকটি যে পরিচয় পাই, সেটা হলো আওয়ামী অত্যাচারে জর্জরিত ইউনূস।

এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তাকে নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরের শিরোনামগুলো দেখলেই বিষয়টি বোঝা যাবে:

১৫ জুলাই ২০২৪: আদালত থেকে লোহার খাঁচা তুলে নেওয়া উচিত: ড. ইউনূস
১২ জুন ২০২৪: আজকে আমরা অনেকক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম, এটা অত্যন্ত অপমানজনক: মুহাম্মদ ইউনূস
০৩ জুন ২০২৪: ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি ব্রিফিং
০২ মে ২০২৪: মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস, অভিযোগ গঠনের শুনানি ২ জুন
০২ এপ্রিল ২০২৪: দেশে বালা-মুসিবত হচ্ছে, মানুষ যেভাবে চায়, সেভাবে থাকতে পারছে না: ড. ইউনূস
০৩ মার্চ ২০২৪: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন পেলেন ড. ইউনূস
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: জীবনে এমন দুর্যোগ কখনো দেখিনি: ড. ইউনূস
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: আমাদের প্রতিষ্ঠান জবরদখল হয়েছে, আমরা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি: ড. ইউনূস
২৮ জানুয়ারি ২০২৪: নোবেলজয়ী ড. ইউনূস সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলেন
০২ জানুয়ারি ২০২৪: ড. ইউনূস কি আইনের ঊর্ধ্বে, শাস্তি কি সরকার দিয়েছে: প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
০১ জানুয়ারি ২০২৪: যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম, রায়ের পর ড. ইউনূস
০১ জানুয়ারি ২০২৪: ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূস

ড. ইউনূস সম্পর্কে কিছু পড়ালেখা করতে গিয়ে অনুভব করলাম তার সম্পর্কে সামান্যই জানি। তার ভাবনা-চিন্তা, প্রকাশিত বইগুলি আর বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তৃতাগুলো অন্তর্জালে খুঁজলেই পাওয়া যায়। বাড়ির কাছের লাইব্রেরির ক্যাটালগ ঘেঁটে দেখলাম ইউনূসের বিখ্যাত আত্মজীবনী "দরিদ্র মানুষের ব্যাংকার: ক্ষুদ্র ঋণ ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"এবং অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ বই এখানে আছে। তার প্রকাশিত সাম্প্রতিক বইটি, যার নাম "তিন জিরোর বিশ্ব: শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমনের নতুন অর্থনীতি," আমার বিশেষ কৌতূহলের বিষয়। বইটি এখনও পড়িনি, তবে এর উপর তার একটি লেকচার শুনেছি।

সারা বিশ্বের মানুষ ইউনূসকে ক্ষুদ্র ঋণের জনক বা উদোক্তা হিসেবে চেনেন। মাইক্রো-ক্রেডিট বা মাইক্রো-লেন্ডিং আর ড. ইউনূস নাম পাশাপাশিই উচ্চারিত হয়। বাংলাদেশে মহাজনের হাত থেকে গ্রামের কজন দরিদ্র নারীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ঘটনাক্রমে গ্রামীণ ব্যাংকের যাত্রা শুরু। উন্নত বিশ্বেও দরিদ্র মানুষেরা যে ঋণ নেয়, সেখানে মহাজনের মতোই কয়েকগুণ সুদ দিতে হয়। কানাডায় গরিবের ঋণ হিসেবে প্রচলিত পেডে লোনের (Payday loan) সুদের হার ৪০০ থেকে ৭৮০ শতাংশ। অতএব প্রচলিত ব্যাংক যেহেতু দরিদ্র মানুষের প্রয়োজনে ঋণ দেয় না, এই সমস্যার একটা সমাধান হিসেবে মাইক্রো-লেন্ডিং পাশ্চাত্যের দেশগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

দারিদ্র্য দূরীকরণে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা কতটুকু, এটি অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার বিষয়। ক্ষুদ্র ঋণের চেয়েও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় "সামাজিক ব্যবসার" ধারণাটি। ইউনূস বলেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মানুষকে দেখা হয় ক্ষুদ্রভাবে। মনে করা হয়, মানুষ শুধু তার নিজ স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত। আর বেশি বেশি অর্থ উপার্জনকে মনে করা হয় সফলতা। তাই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা মানুষের চোখে যে টিনের চশমা লাগিয়ে দেয়, সেখানে লাভ আর টাকা ছাড়া কিছু দেখা যায় না। কিন্তু মানুষ যে আরও বড়। ইউনূস মনে করেন মানুষ একই সাথে নিজের স্বার্থ এবং পরার্থপরতা দ্বারা চালিত এক সামাজিক প্রাণী। অতএব তিনি যে চশমার নকশা করতে চান, সেটাতে অর্থ থাকলেও পাশাপাশি মানুষও থাকে। ব্যবসাকে তিনি টাকা কামানোর রাস্তা নয়, মানব জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধানের হাতিয়ার হিসেবে দেখেন।

তিনি ঘোষণা করেন যে পুঁজিবাদী ইঞ্জিনটি ভেঙে গেছে। এখন স্বীকার করার সময় হয়েছে যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা অনিবার্যভাবে ব্যাপক বৈষম্য, বেকারত্ব এবং পরিবেশ ধ্বংসের দিকে মানুষকে পরিচালিত করে। আমাদের একটি নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দরকার যা আত্মস্বার্থের মতোই শক্তিশালী সৃজনশীল শক্তি হিসেবে পরার্থপরতাকে প্রকাশ করে।

আমি মনে করি আমাদের নতুন প্রজন্ম পরিবেশগত ধ্বংসের বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হতে শুরু করেছে। তেমনি ভাবে একটা সময় তারা মহাজনি বা কর্পোরেট দাসত্ব এবং সম্পদের কেন্দ্রীকরণ নিয়ে সচেতন হবে। আজ পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৮ জন মানুষের সম্পদ পৃথিবীর ৪০০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের চেয়ে বেশি। ধনী ১% মানুষের পৃথিবীর ৯৯% সম্পদের মালিক। আর এই সমস্যাকে সামাজিক ব্যবসা দিয়ে মোকাবেলা করা যেতে পারে। ইউনূস বলেন বনসাই হয়ে থাকার জন্য আর অন্যের অর্থকে বাড়ানোর জন্য তো মানুষের জন্ম হয়নি। এ যেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ের "ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি" নভেলায় বুড়ো সান্তিয়াগোর সেই কথারই পুনরাবৃত্তি, "মানুষতো হেরে যাওয়ার জন্য জন্মায়নি"।

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে যখন গ্রামীণ ব্যাংক প্রথম চালু হল তখন নারীদের ঋণ দেওয়ার আগে তাঁদের দিয়ে পাঁচজনের একটা গ্রুপ করতেন তিনি। সেই দলের একটি কাজ ছিল নারীরা একত্র হয়ে প্রথমে শরীরচর্চা করতেন। ইউনূস মনে করতেন, নারীদের পরিবর্তনের নিয়ন্তা হতে হলে প্রথমে জড়তার প্রাচীর ভাঙতে হবে। তাঁদের মানসিক, সামাজিক ও শারীরিক জড়তা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি।

এই যে অসামান্য তাত্ত্বিক এবং স্বপ্নদ্রষ্টা, তিনি কি পারবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে সফল হতে? ফাঁকা মাঠে ক্ষমতা দখলের মোহে উন্মাদ হয়ে ওঠা বিএনপির নেতা-নেত্রীদের তিনি কি কয়েক বছরের জন্য শরীরচর্চার মত করে রাজনীতির মাঠে সুস্থধারার রাজনীতি করাকে নিশ্চিত করতে পারবেন? অথবা ধর্মান্ধদের অপ-রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে? রাজনীতির ময়দানের দানব এবং সাম্প্রতিক নিষ্কৃতি পাওয়া দুষ্ট জিনগুলোর আছর থেকে কি তিনি গণমানুষের রাজনীতিকে মুক্ত রাখতে পারবেন?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যা লিখেছেন তা তে আমার মনের গহীনের কথা।


কোয়ালিটি পোস্ট। আমি ব্লগে আগের মত না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক কাজ পড়ে আছে। আমাকে কি ফেবুতে এড করা যায়?

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি ব্লগে আগের মত না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।অনেক কাজ পড়ে আছে। আমাকে কি ফেবুতে এড করা যায়?

ব্লগে আসুন। আপনার সাম্প্রতিক সময়ের পোস্টগুলো বেশ ভালো ছিলো। শিক্ষিত ভালো মানুষেরা সাধারনত চিন্তা চেতনায় নমনীয় হয়। ছাত্র আন্দোলনের সময়টায় আপনার মধ্যে এটা দেখেছি।
আর, ফেসবুকে আপনাকে যুক্ত করে নেব।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ড. ইউনূস স্যার ৯০'র দশকে জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পড়াতেন সম্ভবত গেস্ট প্রফেসর হিসেবে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের কোন একটা কোর্সে আমার ছোটা চাচা তার ছাত্র ছিলেন। একমাত্র বাঙালী ছাত্র হওয়াতে স্যারের সাথে চাচার একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। এরপর চাচা যখন বাংলাদেশে বেড়াতে এলেন, কোন একদিন দেখি স্যারের ব্যক্তিগত গাড়ি আমাদের বাড়ির সামনে হাজির। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই, তখনই প্রথম আমার চাচার মুখে স্যারের ব্যাপারে জানতে পারি।

এরপর খুব সম্ভবত ২০১১ সালের দিকে স্যারের সাথে আমার দেখা হয়েছিলো নিউ ইয়র্কে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিচয় দেয়ার পর স্যার চাচাকে স্মরণ করলেন, নিউ ইয়র্কে আমাকে দেখেও বেশ অবাক হলেন। জানতে চাইলেন কি নিয়ে পড়াশোনা করছি, কোথায় আছি ইত্যাদি ইত্যাদি। সেদিন স্যারের সাথে দেখা করার আগে তার কিছু বই কিনে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য। ব্যাংকার টু দ্যা পোর, সামাজিক ব্যবসায় ও স্যারের লিখা আরেকটি বই পড়া হলো। বইগুলো পড়ার পরই স্যারের ব্যাপারে শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেল। সেই থেকেই মনে হয়েছে, এমন একজন মানুষ দেশের নেতৃত্ব দিতে পারলে বেশ কাজে দিত, বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু হতে পারে। গতকাল তার শপথ অনুষ্ঠান দেখে আমি বেশ খুশি হয়েছি, সন্দেহ নেই। তিনি বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা দায়িত্ব নিয়েছেন, তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্যার কিছু ভালো কাজ করতে পারবেন। আপাতত সে প্রত্যাশাই থাকছে। ধন্যবাদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুন্দর এই ঘটনাটি উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ।

তার সামাজিক ব্যবসার ধারনাটি আমার কাছে খুবই কৌতুহলোদ্দীপক মনে হয়েছে। কিছুকাল আগে ইউহাল হারারির "21 lessons for the 21st century" গ্রন্থে এ,আই আমাদের জীবনকে কিভাবে পাল্টে দেবে এটা পড়ে খুব প্রভাবিত হয়েছিলাম। যদিও হারারি এ,আই এর খারাপ দিকটি নিয়েই কথা বলেছেন। তবু মনে হয়েছিলো প্রযুক্তিকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে ধনী-গরিবের যে প্রায় অবিনশ্বর ধারনা তা হয়তো একদিন পাল্টে যাবে। পৃথিবীর কেউ আর সেদিন গরিব থাকবে না।

সামাজিক ব্যবসার ধারনাটিও আমার কাছে তেমনি শক্তিশালী মনে হয়েছে। যদিও আমাদের অনেক লোভ, অনেক কামনা-বাসনা মেটানোর পড়েই এ ধরনের ব্যবসা সমাজে তৈরি হবে, তার আগে হয়তো নয়।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

নতুন বলেছেন: উনার ভিশন অনুযায়ী উনাকে কাজ করতে বেগ পেতে হবে।

বিএনপির গোদি দরকার, জামাতী/মামুনুলদের আধুনিক কিছুতেই সমস্যা।

তাই সামনে ব্যাবসায়ীদের দ্রবমুল্য বৃদ্ধির, সংখ্যালুঘুদের সমালোচনা, নারীর পর্দায় থাকা, প্রচন্ড গুজব ছড়াবে।

২ জন ছাত্র যারা অন্তর্বতীকালীন সরকারে আছেন তারা যদি ক্ষমতার অপব্যাবহার না করেন তবে ছাত্ররা তাদের সাথে থাকলে বিএনপি জামাত সুবিধা করতে পারবো।

এই ২জন ছাত্র এই সরকার অন্যতম পাওয়ার হাউজ হিসেবে কাজ করবে বলেই আশা করি।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: দুজন ছাত্র প্রতিনিধি সম্পর্কে আমার আশাও আপনার মতই।

বিএনপি, জামাত, হেফাজত এরা সকলেই নিজের স্বার্থে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার জন্য সুযোগ খুঁজছে। তাই এদের অসৎ উদ্দেশ্যকে রহিত করার ভীতরেই এই সরকারের সাফল্য নিহিত।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:







ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান হবার পরে বাংলাদেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি।

যেহেতু বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর আছে সেই বিবেচনায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সম্মত নয়।

এখন কেউ যদি হাইকোর্টে রিট মামলা করে এবং হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক রায় দেয় তাহলে সরকার কি পদত্যাগ করবে?

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার প্রশ্নটি যুক্তিযুক্ত। যদিও একই প্রশ্ন আপনি সব জায়গায় করে প্রশ্নটি অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছেন।
এ বিযয়ে হয়তো আইন বিশেষজ্ঞরা ভালো উত্তর দিতে পারবেন।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কথামৃত বলেছেন: পৃথিবীর অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে সুদের উপরে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা তা দাড়িয়ে আছে সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সুদের ধারনা, সহনীয় মাত্রা এবং এর বিকল্প নিয়ে বাদ-প্রতিবাদের অবকাশ আছে বলে মনে করি। পেডে লোনের সুদের হার ৪০০ থেকে ৭৮০% কোন ধরনের অর্থই ব হন করে না আমার কাছে, যদিও জানি এই রেটটিও বাজার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম আপনার সৌজন্যে - ধন্যবাদ

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার ধারনাটি আসলে খুবই ইন্টারেস্টিং। এটি আরো ১০০ বছর পরের একটি ধারনা বলে মনে হয়। আর এর সাথে গভীরভাবে পরিবাশবাদী তত্ত্বের যোগ আছে।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৫

করুণাধারা বলেছেন: ড. ইউনূস সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। অনেক ধন্যবাদ সুলিখিত রচনাটির জন্য।

পত্রিকার যেসব খবরের উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে পুরনো হচ্ছে শ্রম আদালতে ড. মোহাম্মদ ইউনুসের খবর। আপনি কি এই খবর জানেন, যেদিন উনার শুনানি থাকতো শ্রম আদালতে, সেই দিনগুলোতে লিফট বন্ধ করে রাখা হতো। ৮২ বছরের মানুষটি সিঁড়ি দিয়ে আট তলায় উঠতেন।view this link

ভালো লাগছে দেখে, এই গুনী মানুষটির অপমান আর দেখতে হবে না!

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা আপু।

শ্রম আদালতের এই খবরটি কেউ একজন ফেসবুকে শেয়ার করেছিল। তখন দেখেছিলাম। হাসিনার প্রতিহিংসার অনেক নজির জানা থাকলেও লিফট বন্ধ করে রাখার ঘটনাটি আমার ঠিক বিশ্বাস হয়নি বা বলবো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। বিচার কার্য পরিচালনার জন্য আরো অনেক লোককে নিশ্চয়ই লিফট ব্যবহার করতে হয়? শুধুমাত্র ড. ইউনূসকে এভাবে শাস্তি দেওয়াটা সম্পূর্ণ অসম্ভব না হলেও প্রায় অসম্ভব মনে হয়।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৯

নিমো বলেছেন: আপনার কি মনে হয় নেতৃত্ব কি সহজাত বিষয় নাকি সুনির্দিষ্ট কোন কিছু নিয়ে পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে অর্জিত হয়? সমন্বয়ক নাহিদ পড়েছেন সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে, তাকে দেয়া মন্ত্রনালয় চালানোর জন্য সেটা কি আূদৌ কাজে আসবে বলে মনে করেন?

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: যে বিষয় গুলোকে আমরা সহজাত মনে করি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেগুলোও আসলে সহজাত নয়। পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে অর্জিত না হলেও সেগুলো learned বা অধিকৃত।

সমন্বয়ক নাহিদের নেতৃত্ব গুণ সম্পর্কে আমার জানা নেই, তবে আমি এই প্রজন্মের অনেকটাই গুণমুদ্ধ বলতে পারেন। জানিনা আপনার আগে চোখে পড়েছিল কি না এই ব্লগে তরুন প্রজন্ম নিয়ে কু কথা লিখলেই আমি প্রতিবাদ করতাম। আর মনে মনে ভাবতাম গ্রেটা থনবার্গের নখের যোগ্যও এরা কেউ নয় (এই কথাটা দু একবার বলেও ফেলেছিলাম বোধ হয়)।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ নিমো , বাদ দ্যন এই সব কোমলমতি নাহিদের কথা। সব অপদার্থ, প্রশ্নফাশ। আপনি বরং সুপার ট্যলেন্টেড বিগত তথ্য মন্ত্রী পলক সম্পর্কে কিছু যদি বলতেন। বিশেষ করে সারা দেশব্যপী ইনটারনেট কিভাবে এমনি এমবি বন্ধ হইয়া যায় , এই রহস্যতো ব্ল্যকহোল রহস্যের চাইতেও জটিল লাগতেসে। আপনেরা যদি এই বিষয়ে একটু আলোকপাত করতেন, জাতি উপকৃত হইত।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: তথ্যমন্ত্রী পলক এই তরুনদের প্রজন্ম নয়! সে আমাদের বুড়ো প্রজন্মই!

এই তরুনদের সাথে বরং কিছু বিষয়ে বরং ড. ইউনূসের অনেক মিল আছে। আর আমার ধারনা এই প্রজন্মই তার সামাজিক ব্যবসার ধারনা গুলো নিয়ে সত্যিকারের অনুসন্ধান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২২

নিমো বলেছেন: মেঠোপথ২৩, আপনার মত আলোকিতকে আলোকিত কী করে করবো। বরং নয়াপল্টনে আসেন কিংবা মগবাজারে, অনেকে আপনার দ্বারা আলোকিত হবার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমিও থাকবো, আসুন।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: বহুকাল আগে একসময় মগবাজারে কিছু কাল ছিলাম। একে বারে সেই জায়গাটার কাছাকাছি যেখান থেকে ধর্মান্ধদের আবর্জনা গুলো প্রকাশিত হত।

মগবাজারের গ্রাণ্ড সুইটস মিস্টির দোকানটা কি এখনো আছে? থাকলে ওখান থেকে মেঠোপথ২৩ কে চিকেন প্যাটিস খাওয়াতে পারেন। আশা করি তিনি পছন্দ করবেন!বহুকাল আগে একসময় মগবাজারে কিছু কাল ছিলাম। একে বারে সেই জায়গাটার কাছাকাছি যেখান থেকে ধর্মান্ধদের আবর্জনা গুলো প্রকাশিত হত।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনি নয়াপল্টনে কিংবা মগবাজারে কেন থাকবেন? আপনেও কি পল্টি নিলেন ? B:-)

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: উনি দেশেই থাকেন বলে আমার জানা।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩১

নিমো বলেছেন: জ্বি না, পল্টিবাজি আপনার কাজ। আমীর খসরু ও শফিক সবাইকে নিয়েই নূতন বাংলাদেশ গড়বেন। বিরোধী শূন্য হলে কী হয়, তাতো দেখলেন। হাসিনার পতনের শিক্ষায় উনারা শিক্ষিত হয়েছেন। আপনিও হোন।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: নিমো বলেছেন: বিরোধী শূন্য হলে কী হয়, তাতো দেখলেন

দামী একটা কথা বললেন। শক্তিশালী বিরোধীদল গণতন্ত্রের লাইফলাইন। আর এটা বানানো যায় না, আওয়ামী লীগ ডামি বিরোধীদল বানিয়ে একটা উদ্ভট কাজ করেছিলো।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি ফোর্থ ইয়ার টার্মিনাল ডিগ্রী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ১/ ১১ এর পর ২৭ তম বিসিএস আন্দোলনের রাজপথে সিপাহসালার । আমার কখনো এসব করে অর্থ কিংবা মন্ত্রী হওয়ার বিষয় মাথায় আসে নি অতোটাই নির্মোহ। এখনকার মানুষ মনে হয় এসব ভাবতে পারে না।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার কখনো এসব করে অর্থ কিংবা মন্ত্রী হওয়ার বিষয় মাথায় আসে নি অতোটাই নির্মোহ। এখনকার মানুষ মনে হয় এসব ভাবতে পারে না।

কেন ভাবতে পারবে না। এই প্রজন্মের তরুনেরা আমার বা আপনার প্রজন্মের তরুনদের চেয়েও অনেক বেশি নির্মোহ। আপনি কবি মানুষ, কিছু distraction বা বিক্ষেপ সরিয়ে ভালো করে খেয়াল করলেই বিষয়টি আপনার চোখে পড়বে বলে মনে হয়।

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



@শ্রাবণধারা,
আপনি বলেছেন, "সোনাগাজী নামের বর্বর এবং অশিক্ষিত লোকটির এই কথায় আপনি আহত এটি খুব স্বাভাবিক। তারপরও আমি বলব কোন এই নির্বোধের কথাকে আপনি ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না এবং একে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করুন। "

-আপনি দ্বান্দ্বিক তত্বের মাঝে বেদুইনদের "কাফের" তত্বকে কিভাবে যেন মিলায়েছিলেন? আইএস তত্বকে কাজে লাগিয়ে?

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



লিখতে ও মন্তব্য করতে গিয়ে নিজকে প্রকাশ করে ফেলেছেন, আপনি বেশ বড় ধরণের কোমলমতি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.