নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোম চমস্কি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫



নোম চমস্কির বাকরোধ হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি কথা বলার এবং লেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা যারা চমস্কির আমেরিকার আধিপত্যবাদী নীতি, পুঁজিবাদ, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের ওপর বহুজাতিক কোম্পানির প্রভাবের লেখা পড়ে এবং বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক করে বড় হয়েছি, তাদের জন্য চমস্কির বাকরোধের ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত না হলেও বেদনার।

অপ্রত্যাশিত নয় এ কারণে যে চমস্কির বয়স এখন ৯৬। ২০১৫ সালের পর থেকে তিনি পাকাপাকি ভাবে ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে থাকেন। গত বছর গ্রীষ্মে ব্রাজিলের হাসপাতালে যখন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন একবার তার মৃত্যু নিয়ে গুজব উঠেছিল। কিন্তু সে যাত্রায় তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।

সংখ্যায় কম হলেও চমস্কি বাংলাদেশের অল্প কিছুসংখ্যক তরুণ তরুণীকে প্রভাবিত করেছিলেন, যারা "তৌহিদি" না হয়েও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিম এবং হাসিনা গংয়ের কঠোর সমালোচক। ইসরাইল-প্যালেস্টাইনের ইস্যুতে যারা ইহুদি বিদ্বেষী না হয়েও অথবা হামাস বা ইসলামিক জিহাদের মতো দলের আদর্শবাহী না হয়েও ইসরাইলি গণহত্যা, শিশু-হত্যা, অপহরণ-নির্যাতন, গাজার ধ্বংস সাধন, নাগরিকদের বাস্তুচ্যুতি এবং ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নির্মূলের বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ।

আমেরিকার ইসরাইলি অংশীদারত্ব, আধিপত্যবাদ ও মোড়লিপনার স্বরূপটিকে বুঝতে আমরা বহুবার চমস্কির প্রজ্ঞার খোলা জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছি - বৌদ্ধিক কারণে শুধু নয়, অনেক ক্ষেত্রে হৃদয়ের অনুভবকেই বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচারের জন্যে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে, ইসরাইল যখন গাজায় গণহত্যা শুরু করল, তখন একদিন হঠাৎ লক্ষ করলাম যে প্রচারমাধ্যমগুলো সম্পূর্ণ নির্লজ্জভাবে ইসরাইলের গণহত্যাকে সমর্থন করছে। কাজে যাওয়ার সময় আমি যে রেডিও চ্যানেলে খবর শুনতাম এবং যেখানে প্রায়শই যুক্তি-বুদ্ধিপূর্ণ আলাপ-আলোচনাগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনতাম, একদিন দেখি সেখানে তারা প্যালেস্টাইনের সমর্থনকারী শান্তিপূর্ণ একটি জনসমাবেশকে "অ্যান্টিসেমিটিক" এবং "ঘৃণার মিছিল" নাম দিয়েছে। পরে দেখলাম, শুধু একটি নয়, প্রায় সব মিডিয়াই ইসরাইলের গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে এবং মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে "হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলছো" - এইভাবে মানুষের "সম্মতি" কেনার চেষ্টা করছে।

চমস্কির "ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট" বা "সম্মতির উৎপাদন" যে কতখানি সত্য এবং প্রাসঙ্গিক হতে পারে, সেটি তখন গভীরভাবে অনুভব করেছিলাম। এডওয়ার্ড হারম্যান নামের আরেকজন লেখকের সঙ্গে লেখা এই বইয়ে চমস্কি যুক্তি দেন যে গণমাধ্যম রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ক্ষমতাবানদের জন্য প্রচারণার একটি হাতিয়ার মাত্র। প্রচারযন্ত্র কেবল তথ্য দেয় না, বরং এটি একটি মগজধোলাইয়ের মতাদর্শিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। প্রোপাগান্ডা মডেল নামক একটি ধারণা তারা প্রবর্তন করেন, যেটি ব্যাখ্যা করে কীভাবে মিডিয়া ক্ষমতাবানদের স্বার্থে তথ্য ফিল্টার করে এবং ভিন্নমত পোষণকারীদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করে।

চমস্কি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে দিনের পর দিন একটি মতাদর্শ মানুষের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরে সেই আদর্শে আজ্ঞাবাহী একজনকে উচ্চপদের চাকরির জন্য নির্বাচন করা হয়। যারা ক্ষমতার প্রতি সবচেয়ে বেশি আনুগত্য করে, তারাই কেবল শীর্ষে পৌঁছাতে পারে, যাতে করে সমাজের উচুতলার লোকদের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ অক্ষুণ্ণ থাকে।

কিন্তু কদাচিৎ এমনটা ঘটে যায় যে, চিরকালের এই আজ্ঞাবাহীরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদ্রোহ করে ফেলে। ক্ষমতাশীলদের খুশি করার চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো মনুষ্যত্ব বা বিবেকবোধ সেই শীর্ষ পদের লোকটিকে তাড়িত করে। ঠিক এমনটি ঘটেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম আহমদ খানের ক্ষেত্রে। খান যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তখন খানের মতো লাইনচ্যুত শীর্ষ পদধারীদের জন্যও এলিটদের বিকল্প একটি ব্যবস্থা থাকে। সেটি হলো, তাদের খ্যাতিকে ধূলায় মিশিয়ে দেওয়া এবং জীবনের জন্য একটি শিক্ষা দেওয়া। খানের ক্ষেত্রে "জীবনের শিক্ষা" এবং অপবাদ সুদূরপ্রসারী হয়েছিল। এই অপবাদ এবং প্রচারণার শিকার শুধু তিনি ছিলেন না, তার স্ত্রী এবং সন্তানদেরকেও ইসরায়েলি অপবাদ প্রচারণার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আরোহনের পরপরই যেসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তার একটি ছিল করিম খানকে আমেরিকায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। শীর্ষ পদে থাকা অন্যদের জন্য এটা একটা সতর্কীকরণ বার্তাও বটে, যেন তারা খানের মতো বিবেকবান হয়ে না ওঠেন।

চমস্কি বলেছিলেন যে, যে মানুষেরা তাদের বিপুল অর্থবিত্ত সত্ত্বেও আরও ধনলিপ্সার জন্য মানবজাতির অস্তিত্ব পর্যন্ত বিসর্জন দিতে পারে, তাদেরকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় এমন কোনো ইংরেজি শব্দই তিনি খুঁজে পাননি। অশুভ (evil) শব্দটিও সেইসব মানুষের দুরভিসন্ধির গভীরতাকে প্রকাশ করতে পারে না। মাস্ক-ট্রাম্পের বিশ্ব এখন এমন এক গভীর সংকটময় সময়ে দাঁড়িয়ে, যেখানে চমস্কির প্রজ্ঞা আগের চেয়েও আমাদের বেশি প্রয়োজন ছিল। অন্যায়ের নির্ভীক সমালোচক হিসেবে তাকে আমাদের বহুবার, বহুভাবে প্রয়োজন হবে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শুভকামনা রইলো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:০৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। তিনি আমাদের সময়ের নির্ভিক সত্যবাদীদের একজন।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুনে খারাপ লাগলো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। তার লেখা অজস্র বইপুস্তক এবং লেকচারের ভিতর দিয়ে তিনি বেচেঁ থাকবেন।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: চমস্কির "ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট" বইটির বাংলা অনুবাদ আছে কি?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি দুঃখিত, এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।

যতদিন আজিজ সুপার মার্কেটের বইপত্রের দোকানগুলোতে ঘুরেছি, ততদিন পর্যন্ত এই বইয়ের অনুবাদ প্রকাশিত হয়নি। তবে সেটি অনেক আগের কথা। এতদিনে এর একটি অনুবাদ প্রকাশিত হওয়ার খুব সম্ভাবনা আছে। যদিও বইটি বেশ বড়।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১৯

নতুন বলেছেন: বর্তমান বিশ্ব একজন দার্শনিক হারাতে যাচ্ছে। :|

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: সম্ভবত তাইই হতে চলেছে। খবরটি অপ্রত্যাশিত ছিল না, কিন্তু মাস্ক-ট্রাম্পের বদমাইশি-ভরা নীতিগুলো নিয়ে কঠোর যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা আর শুনতে না পারবো না, এটা ভাবতেই খারাপ লাগছিল।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪২

সেজুতি_শিপু বলেছেন: নো্য়াম চমস্কির জন্যে শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে মনে হল বহু বহু দিন পর দেখলাম। আশা করি, ভালো আছেন।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বর্তমান বিশ্ব একজন দার্শনিক হারাতে যাচ্ছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, সত্যিই তাই। আমাদের সময়ের প্রখর বুদ্ধিমান, নির্ভীক একজন দার্শনিক।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

কামালপাশা২য় বলেছেন:



চমস্কি চলমান ক্যাপিটেলিজম ও সভ্যতার উপর ইহার ভয়ংকর থাবাকে ব্যাখ্যা করতে সমর্থ হয়েছেন; আপনি কি উনার ব্যাখ্যাগুলোকে অনুধাবন করেছেন, নাকি উনার উপর গরুর রচনা লিখতে শিখেছেন?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: দুঃখিত! এই লেখার বিষয়বস্তু কিছুটা দূরূহ, আর আমার লেখার স্টাইল, লম্বা সব বাক্য মিলিয়ে, কিছুটা কঠিন বটে। মোটের উপর, লেখাটি আপনার পাঠের জন্য উপযোগী নয় বলেই আমার ধারণা।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক বয়স হল- এখনো যে বেঁচে আছেন এই জীবন্ত কিংবদন্তি সেটাই বা কম কিসে।
উনি যেমন দীর্ঘায়ু হয়েছেন তেমন জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত মানব কল্যাণে নিজেকে উতসর্গ করেছেন। এমন জীবন পাওয়া মানব জীবনের সর্বোচ্চ সৌভাগ্যের।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, তা সঠিক। তার লেখালেখির শুরু ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকে, যখন আমাদের ব্লগের খুব কম মানুষেরই জন্ম হয়েছিল।
সে হিসেবে, তিনি লিখেছেন অনেক আর আমরাও ভাগ্যবান যে তার বহু লেখা, লেকচার এবং সাক্ষাৎকারগুলো পেয়েছি, যা আরও বহু দিন প্রাসঙ্গিক থাকবে।

শেরজা তপন বলেছেন: "এমন জীবন পাওয়া মানবজীবনের সর্বোচ্চ সৌভাগ্য।"
সত্যিই তাই, কী অনন্য এক জীবনের অধিকারী তিনি!

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: খারাপ লাগছে শুনে কিন্তু এটাই বাস্তব ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, শাহ আজিজ ভাই। খবরটা জেনে আমার মনও বিষণ্ন হয়েছিল।

মনে হলো, ছোট করে হলেও তাকে নিয়ে আমার একটি লেখা লেখা উচিত। তার বিপুল মনীষার প্রতি এটুকুই আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি সে খবর নাই বা জানলেন। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা সবাই মনুষ্যত্বের সূক্ষ্ম জালে যুক্ত। আমার ক্ষুদ্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নাহয় সেখানেই অর্পিত হলো!

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩৫

কামালপাশা২য় বলেছেন:




আপনার লেখা অবশ্যই কঠিন, আপনি বাংলার চামচাস্কি!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ, অতএব আপনাকে অসম্মান করতে পারি না। তবে এখন থেকে আপনাকে সম্মানপূর্বক উপেক্ষা করা হবে।

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাদের সমস্যা কি জানেন?
আপনারা নিরপেক্ষ ভাবে লিখতে পারেন না।
মনের ক্ষোভ সব লেখায় উৎরে দেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই লেখায় আমি একজন প্রিয় লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি, যিনি তার লেখার মাধ্যমে আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছেন। তার কয়েকটি চিন্তা বা ধারণার কথা এখানে উল্লেখ করেছি মাত্র।

"ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিম এবং হাসিনা গংয়ের কঠোর সমালোচক" এই লাইনটি এই লেখার মূল প্রসংগ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.