নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি, লেখক, চিত্রকর

ব্রাত্য রাইসু

কবি, লেখক, চিত্রকর

ব্রাত্য রাইসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাসে গভীরতা

০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০

১.
আমার ধারণা গভীর উপন্যাসগুলির উপরে ইউরোপ তথা ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্ব বিদ্যার চাপ খুব বেশি, সারা বিশ্বের সিরিয়াস উপন্যাসের উপরেই।

এই রকম চাপ থিকা সিরিয়াস উপন্যাসগুলি ক্লান্তিকর ভাবে এক রকমের হওয়ার কথা।

এবং এর চাপও পড়ার কথা গভীর সিনেমাগুলিতেও।

বাস্তবতার বিপরীতে মনস্তত্ত্বকেই একমাত্র স্বাধীনতা বা মুক্তি সাব্যস্ত করার কারণেই কি এই রকম হইতেছে?

যেন গভীরতা মানেই মনস্তত্ত্ব। ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উপলব্ধিকেও মনস্তত্ত্বই ধরতে চাই আমি।

২.
সাহিত্যে মনস্তাত্ত্বিক আড়ম্বর দুই প্রকারে থাকে।

এক, চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বর্ণনা, আর হইতেছে লেখকের মনস্তত্ত্ব উপজাত চিন্তার বর্ণনা, যে চিন্তা বাস্তব বা কল্পনা থেকে আসে না, যতটা বুদ্ধিবৃত্তি থেকে ভাবনা মাধ্যমে পাম্প করা হয়।

৩.
ইনটেন্স অবজারভেশন মনস্তত্ত্বের বিরোধী কিছু না। মানে ইনটেন্স অবজারভেশন থাকলে মনস্তত্ত্ব নাই তা বলা যায় না।

কাফকা ফ্রয়েড দিয়া গভীর ভাবে প্রভাবিত। কাফকায়েস্ক জিনিসটারে মনস্তত্ত্ব বাদ দিয়া আদৌ বোঝাই যাবে না। এক ভদ্রলেখক বলছিলেন, kafka without a psychological approach is not Kafka.

কাফকায় মনস্তত্ত্ব নাই এইটা অতি হাস্যকর বক্তব্য। আমি খুব কাফকা পড়ি নাই, 'মেফামরফসিস' এর অনুবাদ পড়ছিলাম। এইটা তো মনস্তত্ত্বের ডিপো।

আরেক মনস্তাত্ত্বিক আড়ম্বর হইলেন কাফকা প্রভাবিত বোর্হেস।

এই দুই দিকপাল বর্তমান গল্প-উপন্যাস ইত্যাদিরে স্রেফ ভাবনা সাহিত্যে পর্যবসিত করছেন।

২২-২৩/১০/২০১৭

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: বিস্তারিত লিখলে কিছু শিখতে পারতাম।কি যেন একটা বুঝতে গিয়েও বুঝলাম না।একটা টাইপো চোখে পড়ছে 'মেটামরফোসিস'।

২| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১:০১

স্বাক্ষর শতাব্দ বলেছেন: চাপ না নিলেই তো হয়। জোরাজুরি করে চাপতে চাইলে পাঠক এমনি ভাগবে।

৩| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১:২০

নতুন বলেছেন: লেখক যদি তার সময়ের ভাবনার প্রভাবে ডুবে যায় তবে তো তিনি নতুন কিছু লিখতে পারবেননা।

৪| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১:২০

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: আপনি কি কোন উপন্যাস লিখেছেন।

৫| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১:৫৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মনোবিজ্ঞানীরা তো বলে ফ্রয়েড নাকি অনেক আগেই বাসী হইয়া গেছে

৬| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ২:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যে কোন উপন্যাসেই একটি গল্প থাকে মনস্তত্ত্ব এবং দর্শন থাকে।ভালো উপন্যাসে অবস্য একটা সময়ের বাস্তবতা থাকে।সাধারন পাঠক গল্পটাকেই হাইলাইটকরে।কিছু পাঠক মনস্তত্ত্ব ও দর্শনের সাথে লজিক এবং সেই সময়ের বাস্তবতা দেখে।সবগুলোর মিলিলিত রূপই হলো গভীরতা।

৭| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: উপন্যাসে গভীরতা আছে এমন কয়েকটা উপন্যাসের নাম দেন।

৮| ০২ রা জুন, ২০২০ ভোর ৪:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার পছন্দের কয়েকটি উপন্যাসের নাম দিলে ভালো হতো

৯| ০২ রা জুন, ২০২০ ভোর ৫:১৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল উপন্যাসে আমার মতে বেশ কিছু উপাধান থাকা জরুরী।

চরিত্রগুলো ব্যাহিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি তাদের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন দেখানোও জরুরী, চরিত্রের মনস্তাতিক বর্ননা তাতো থাকতে হবেই। মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন না দেখালো সেখানে পাঠক উপন্যাসের সাথে ভালভাবে কানেক্ট নাও হতে পারে, উপন্যাসের গভীরতাও লোপ পায় তাতে!

আবার অনেক উপন্যাস দেখি শুধু প্লট নির্ভর হয়, তবে শুধু প্লটের সাথে গল্প থাকাও জরুরী। আমি কিছুদিন আগে এটা নিয়ে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম, যেখানে খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছে প্লট এবং গল্প এর মাঝে সূক্ষন পার্থক্য আছে। উপন্যাসে
ব্যাহিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশী মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার, প্লটের সাথে গল্প, এই সব বিষয় আনলে উপন্যাসের গভিরতা বৃদ্ধি পায় তবে এতে অনেক সময় উপন্যাস স্লো হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে, তাই এই জিনিষগুলোর মাঝে ভারসাম্য থাকাটাও জরুরী!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.