নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের গুরুতর জটিল কোন পরিবর্তন বা পরিবর্তিত পরিস্থিতি মানুষকে পরিবর্তিত হতে কখনো বাধ্য করে।

রাইয়ান৪৯

নিজের জন্য লিখি আমি,নিজের জন্য বাঁচি,নিজের জন্য ভূবন আমার,হৃদয় দুয়ার মাঝি।হতাশার কাছে মাথা নত করে জীবনের শুরুশেষে, হতাশাকে ফেলে বাস্তবতাকে মানিয়া নিয়েছি মনে।আমার পথ চলা অভ্রনীল কোন পথিকের পথে,আমার পথ চলা কোন বিষাদময় গতির পথে,আমার পথ চলা অর্ন্তহীন পথে,পথে পথে ঘুরি শুধু পথের সন্ধানে।বসে আছি শুধু তোমার পথ চেয়ে কবে আসবে তুমি ধরবে এই হাত,কুয়াশাতে ভিজবো দুজন মনেতে রবে না কোন ক্ষাত।নীলখামে মোড়া পত্র তোমায় দিবো প্রতিমাসে,বুঝ বে তখন হৃদয়ে আমার কত ভালবাসা লুকিয়ে আছে।:-D:-D:-Dহয়ত জীবনের অর্থ একদিন বুঝতে পারবো কিন্তু সেদিন জীবনে উপলব্ধি বলতে কিছু থাকবে না।চোখে থাকবে হয়ত মোটা ফ্রেমের চশমা,ঠিকভাবে দাড়িয়ে থাকার জন্য হয়ত হাতে থাকবে লাঠি

রাইয়ান৪৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু সম্পর্ক

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩০

ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ দিকটা । তখন ও হাল্কা শীতের আমেজ চারিদিকে ।পাতাঝরা গাছের পাতাবিহীন ডালপালায় নিঃসঙ্গতার প্রতিছবি । প্রকৃতি যেন ঘুম থেকে জাগার এক প্রচেষ্টা করছে । স্পষ্ট চোখে ভাসে সেই দিনগুলো।

উনার সাথে আমার পরিচয় এক চায়ের দোকানে । আধাপাকা চুল, খোঁচাখোঁচা দাড়ি,হাতে কাসিনো ঘড়ি, বছর পঞ্চাশ বয়সের একজন সুস্থ সবল মানুষ । ধবধবে সাদা মাফলারে সবার দৃষ্টিকে কিছুক্ষণ স্থির করে। তবে সব থেকে চোখে পরার বিষয় টা উনার চোখ । নিল আইরিশ এর চোখ খুব কম দেখতে পাওয়া যায় তাই হইতো প্রথম দেখাতেই তাকে সবার থেকে আলাদা করে চেনা সম্ভব ।



কয়টা বাজে ??? এই প্রশ্নের থেকে কথা বলা শুরু করে উনার কাছ থেকে আমি জেনেছি -আরব রিভোল্ট ইন প্যালেস্টাইন এর দাঙ্গা । ১৯৩৬ এর এপ্রিল থেকে আরব বাসী ও অভিবাসী ইহুদিদের মধ্যে দাঙ্গা যাতে মারা যায় ৫৬০০ জন।সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হল বর্বর ইহুদীরা ফিলিস্তিনি পুরুষদের প্রায় ১০% কে এই দাঙ্গার সময় মেরে ফেলেছিল।

জেনেছি ব্লাডি সানডে এর মর্মাহত কাহিনী ।ভিড়ের মধ্যে পালাতে গিয়ে পায়ের চাপে পড়ে প্রায় ১০০০ জন মারা যায়।

জেনেছি সুয়েটো আপরাইজিং নামের সেই দাঙ্গার কথা ।

উনার সাথে গল্প করাটা একটা নেশায় পরিণত হয়েছিল আমার । উনি ———শেখ ফজলল করিম এর একটা কথা বার বার বলতেন—

সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন

হউক দূর অকল্যাণ সফল অশোভন।

উনার সাথে চায়ের দোকানে কাটানো সেই সব সকাল আমাকে বারবার আশ্চর্য করতো ।

কিন্তু হঠাৎ তিনি হারিয়ে গেলেন, সেই চায়ের দোকানে তাকে আর দেখা গেল না । উনার নিজের সম্পর্কে আমাকে উনি কিছুই বলেন নি কোনদিন। আমি অচেনা তাই হয়তো বলেন নি । কিন্তু তিনি আমার অনেক চেনা । চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে তার বলা সেই গল্পগুলো আমাকে মোহিত করতো।

আমাদের পরিবার ছাড়া চারপাশের কত মানুষ এর সাথে আমাদের জীবনের অনেক টা সময় কেটে যায় । কিন্তু আমরা সেই সব মানুষগুলো কে ভুলে যাই আমাদের বাস্তবতার এই জীবনে । তাতে কিছু আসে যাই না কারণ কিছু সম্পর্ক হইত এমন ই হয় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.