নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাক, কালো কাক

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২১

"কলিকাতার কানাই কর্মকারের কনিষ্ঠা কন্যা কাকলী কর্মকার, কপাল কুঞ্চিত করিয়া, কাকা কেদার কর্মকারকে কানে কানে কহিলো, কাকা কুঞ্জে কৃষ্ণ-কালো কোকিল কাকুতি করিতে করিতে কুহু কুহু করিলেও কলিকাতার কালো কাক, কোকাইতে-কোকাইতে কোন কারণে কা-কা করে? কোন কালহইতে কাকেরা কা কা করিয়া কাকে কাকা কহিতেছে? কাকেদের কাকা কে? কেদার কাকা কহিলেন- কন্যা, কপাল কুঞ্চিত করিতেছো কেনো? কোকিল কুহু কুহু করিলেও কাক কা-কা করিবেই, কেনোনা কা-কা করাই কাকের কাজ, কাজেই কাক কা-কা করে। কাকের কপালে কা-কা করাই কঠিন কর্তব্য। কাকেদের কাকা কোনো কালেই কেহনা।"



কাক কর্ভাস গোত্রের অন্তর্গত এক ধরনের মাঝারি আকৃতির পাখি।কর্ভাস গোত্রের মধ্যে প্রায় ৪০টি ভিন্ন প্রজাতির কাক দেখা যায়।কাকের উদ্ভব ঘটেছে মধ্য এশিয়ায়। সেখান থেকে এটি উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কাককে পাখিজগতের সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান পাখি বলে মনে করা হয়। মাঝারি আকারের সর্বভূক পাখি। দাঁড়কাকের ঠোঁট মোটা। পুরো দেহ কুচকুচে কালো। আমাদের শরীরের মতোই পাখিদের শরীরের ভেতর আছে বিশেষ তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। আমরা অনেক পাখির মাংস খাই। কিন্তু কাকের মাংস খাই না। যদি খেতাম, তবে কাককে আমাদের চার পাশে এত সংখ্যায় দেখতে পেতাম বলে মনে হয় না।



আমাদের রাজধাণী ঢাকাতে এর দেখা মেলে হরহামেসাই। অনেকে ঢাকাকে কাকের শহরো বলে থাকেন, কারণ ভোরে অন্যকোনো পাখির ডাক শোনা না গেলেও কাকের কা-কা রব ঠিকই শোনা যায়।আমাদের দেশে সাধারণত দুই প্রকারের কাক বেশী দেখা যায়-

১। দাঁড় কাক : ঘোর কৃষ্ণ বর্ণে আচ্ছাদিত কাক, এরা আকারে বেশ বড় হয়। ২। পাতী কাক : এদের ঘাড়, গলা, পিঠ ও বুক ছাই রংএ আচ্ছাদিত আর লেজ, ডানা, মাথা কলো কুচকুচে। এরা আকারে দাঁড় কাকের তুলনায় বেশ ছোটো হয়। এক কাক মরলে সব কাক উড়ে এসে জুড়ে বুসে চেচায় ।বেশুমার কাকের রাজ্যে কাকের মরণে কী আসে যায়? ভাবনার দরকার কী?কাকেদের ভাষা আছে। ভাষার ব্যাকরণ আছে। ব্যাকরণের বই আছে।



অনেকে এদেরকে কুৎসিত পাখি বলে থাকে।কাকের বুদ্ধির একটি গল্প “কলসের মধ্যে পাথর ফেলে পানি ঠোঁটের নাগালে আনার সেই গল্প” ছোটো বেলায় সকলেই পড়েছি।কাকেদের কাছ থেকে আমরা অনেক উপকার পাই। এরা মরা ইদুর, বিড়াল, পঁচা-বাসী খাবার নিয়মিত ভাবে পরিস্কার করে, কারণ এগুলোই তাদের খাবার। আর এসব খেয়ে হজম করতে কোন বেগ পেতে হয়না। তবে শরীর থেকে সব সময় বিশ্রী গন্ধ বের হয়। কাকেরা একটু নির্জন কোন গাছ ঠিক করে রাখে রাত কাটানোর জন্য আর সন্ধ্যা হলেই ঐ গাছের ডালে গিয়ে বসে। এরা শীতের রাতে এবং প্রবল বৃষ্টিতেও গাছের ডালে বসে থাকে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই এরা কা কা রব লোকালয় মুখর করে।



কাক সাবান চুরিতে ওস্তাদ। সুযোগ পেলেই তারা সাবান চুরি করে। বলা হয় এই সাবান তারা লুকিয়ে রাখে। সাবান লুকিয়ে রাখার সময় তারা নাকি চোখবুজে থাকে, যাতে কেউ দেখেনা ফেলে সাবান কোথায় লুকানো হচ্ছে।পুকুর অথবা নদীর ঘাটে গোছল করতে গেলে কাক গুলো সাবান নিয়ে যায় । "হে কাক, কালো কাল। তুমি বসে আছো কালো তারের উপর । কত খবর যায়-আসে, তাতে তোমার কি ? জানি তোমার কিছু না । তাতে আমার কি ?"



সব সময়ই আমি কাকেদের ভালোবাসাবোধ

দেখে মুগ্ধ হই। বন্ধুর তরে জীবন বোধ করি

এই একবিংশ শতাব্দীতে আমার প্রিয় কাক

ছাড়া আর কেউই দিতে পারবে না। কেননা

বিজ্ঞানমনষ্ক যান্ত্রিক সভ্যতা আমাদের

সুযোগ সন্ধানী হতে শেখায় । মন্দের ভালো,

কাকেরা বিজ্ঞান্মনষ্ক নয়। তাহলে মানব জাতির

মত তাদেরও বন্ধুবৎসল্য বিলীন হত, আর

দুঃখজনক ভাবে আমার প্রিয় এই পাখিটি

আমার পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়ত।

বস্তুত আমি ভিষন দুঃখ পেতাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

সমীর চন্দ্র হালদার বলেছেন: কাকের কথা কহিয়া কি কাজ?কাকতো কাকা করিয়াই কালাতিপাত করিতেছে।কারন কাকা করাই কাকের কাজ।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫২

রাফাত নুর বলেছেন: কাজিব কুর ।


=p~ =p~ =p~ মজা লিলাম । গুড পুস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.