নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রেম কিংবা ভালোবাসা জীবন আর সাহিত্যের বড় একটা অংশ দখল করে আছে।প্রেমিক জুটি হিসেবে রোমিও জুলিয়েট শুধুমাত্র একজন সাহিত্যিকের কল্পনাতেই শুধুমাত্র আবদ্ধ থাকে নি। মানুষের মনের মাঝে এ দুটি চরিত্র রক্ত মাংসের মানুষ হিসেবে স্থান গেড়ে নিয়েছে।প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার চেয়ে আত্মহত্যাকেই শ্রেয় বলে মেনে নেয়।জাহানারা ইমাম শেক্সপিয়ারের অনেক ট্র্যাজেডি ও কমেডি কাহিনীকে কিশোরদের উপযোগী গল্পে রূপান্তর করে বাংলায় প্রকাশ করেছেন।
রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট প্রখ্যাত সাহিত্যিক উলিয়াম শেকসপিয় উইলর রচিত একটি বিয়োগান্তক নাটক, যা গড়ে উঠেছে দুজন প্রেমিক-প্রেমিকাকে কেন্দ্র করে ।পরবর্তীতে তাঁদের মৃত্যু বিবাদমান দুই পরিবারকে একত্রিত করে। এটি শেকসপিয়রের জীবদ্দশায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত নাটক। একই সাথে হ্যামলেট, এবং ম্যাকবেথও ছিলো পাঠক নন্দিত ও সমান জনপ্রিয়।উপন্যাস বা গল্পের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে যারা সিনেমা বানিয়েছেন তারাই বাহবা পেয়েছেন।
ভেরোনা শহরে শেক্সপিয়ার কোনদিনই যাননি। কিন্তু এই শহরকে উপজীব্য করে তিনি তিন তিনটি নাটক লিখেছিলেন যার ভেতর সবচাইতে জনপ্রিয় হল রোমিও এন্ড জুলিয়েট।গত শতাব্দীর মধ্যযুগে ইতালির রাজ্যগুলি ছিল স্বাধীন এবং শহরগুলি পরিচালিত হত প্রভাবশালী ও বিত্তশালী পরিবার দ্বারা,একইসাথে পরিবারে পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ;হানাহানি-খুনোখুনি তখনকার যুগে একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল।এমনই একটি আবহকে কেন্দ্র করে এবং ভেরোনা শহরকে ভিত্তি করে শেক্সপিয়ার নির্মান করেন অমর প্রেমকাহিনী রোমিও এন্ড জুলিয়েট।
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার জন্মেছিলেন ইংল্যান্ডের ওয়্যারউইকশ্যায়ারের অ্যাভন-এ। নাটক লিখেছেন মোটমাট ৩৮টি। শুধু নাট্যকারই নন, তিনিও কবিও ছিলেন। পৃথিবীর নানা ভাষায় তার লেখা নাটক অনূদিত হয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষাতেও তার নাটক অনূদিত হয়েছে। প্রথম তার নাটক অনুবাদ করেন কে জানো? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনিও কিন্তু অনেক বড়ো মাপের মানুষ ছিলেন। তিনি শেক্সপিয়ারের নাটক ‘দ্য কমেডি অফ এরর্স’ নাটকের অনুবাদ করে নাম দেন- ‘ভ্রান্তিবিলাস’। শেক্সপিয়ার বিয়ে করেন ১৫৮২ সালে, মোটে ১৯ বছর বয়সে।শেক্সপিয়ারের লেখা ৩৬টি নাটক নিয়ে ১৬২৩ সালে একটি বই প্রকাশিত হয়।মহামতি উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের মৃত্যুর পর প্রায় চারশত বৎসর অতিক্রান্ত হলো। কিন্তু প্রবাদতুল্য এই মহান কবি ও নাট্যকারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আজো মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। যদিও তাঁর নাটকের প্রতিটি সংলাপ আজো সমগ্র বিশ্বের মানবজাতিকে আলোড়িত করে, সত্যানুসন্ধানে পাঠকের অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করে; কিন্তু তাঁর ব্যক্তিজীবন এবং বিস্ময়কর প্রতিভার উৎস এখনো অন্ধকারাচ্ছন্নই রয়ে গেছে।
ইতালি দেশের অন্তর্গত “ভেরোনা” নামক নগরে ধনাঢ্য ও মহাপ্রতাপশালী দুই সম্ভ্রান্ত বংশ বাস করিত। এক গোষ্ঠীর নাম “ক্যাপিউলেত” আর এক গোষ্ঠীর নাম “মন্ত্যাগিউ”। ইহাদের মধ্যে পুরুষপরম্পরা বৈরীভাব চলিয়া আসিতেছিল। এমন কি, উভয় পরিবারের কোনও ব্যক্তি বা ভৃত্যের পরস্পরের সহিত পথেঘাটে দেখা-সাক্ষাৎ হইলেও একটা দাঙ্গাহাঙ্গামা উপস্থিত হইত। উহাদের দৌরাত্ম্যে সহরশুদ্ধ লোক ত্যক্ত-বিরক্ত হইয়াছিল। যে সময়ের কথা নাটকে উল্লিখিত হইয়াছে, সেই সময়ে “ক্যাপিউলেত” গোষ্ঠীর কর্তা ক্যাপিউলেতের জুলিয়েট নামে এক কন্যা ও “মন্ত্যাগিউ” গোষ্ঠীর কর্তা বৃদ্ধ মন্ত্যাগিউয়ের রোমিও নামে এক পুত্র ছিল।
রোমিও ও জুলিয়েতের মধ্যে প্রগাঢ় প্রণয় জন্মে। তাঁহাদের পিতামাতা ও প্রণয়ে কখনও অনুমোদন করিবেন না জানিয়া তাঁহারা গোপনে বিবাহ স্থির করেন এবং ফ্রাইয়ার লরেন্সের দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন করিয়া লয়েন। ঐ সময়ে তৈবলত রোমিওর সহিত কিসে বিবাদ বাধে, তাহারই অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতেছিল এবং ঐ গোপন বিবাহের অনতিবিলম্বেও তাহার উদ্দেশ্য-সাধনে বিশেষ যত্নবান হয়।
প্রেম-পাথারে যে সাতারে
তার মরণের ভয় কি আছে
নিষ্ঠা-মনে প্রেম করিয়ে
এক মনে বসে রয়েছে॥
শুদ্ধ-প্রেম রসিকের ধর্ম
মানে না বেদ-বিধির কর্ম
রসরাজ রসিকের ধর্ম
রসিক বই আর কে জেনেছে॥
শব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধ
পঞ্চতে হয় নিত্যানন্দ
যার অন্তরে সদানন্দ
নিরানন্দ জানে না সে॥
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
সাদা রং- বলেছেন: মুভিটা দেখছিলাম অনেক আগে হলে গিয়ে কিন্তু গল্প পড়া হয় নি।