নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীর ও মনের সৌন্দর্যেঃ যোগব্যায়াম

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মন বা শরীর যেটির সৌন্দর্যের কথাই বলি না কেন, দুটোই নির্ভর করে ব্যায়ামের ওপর। বিশেষ করে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে দেহ ও মনের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য সহজেই ধরে রাখা যায়।ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের মন সজীব হয়। যখন আমাদের মন সতেজ থাকে, তখন এমনি এমনিই আমাদের শরীরও ভালো হয়ে যায়। তাই নিরোগ দেহের জন্য সব বয়সী মানুষই যোগব্যায়াম করতে পারে।বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য জোরে হাঁটাই হচ্ছে সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। সাঁতার কাটা নিশ্চল সাইকেল চালানো ইত্যাদিও করা যেতে পারে। এ ধরনের ব্যায়াম একটানা ৩০ মিনিট ধরে সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ দিন করতে হবে।



প্রাচীন ভারত থেকে উদ্ভুত যোগব্যায়ামকে শয়তানের কীর্তি বলে অ্যাখ্যা দিলেন ভ্যাটিকান সিটির প্রবীণ ধর্মগুরু গ্যাবরিয়াল অ্যামোর্থ।৮৫ বছর বয়সী ভ্যাটিকান সিটির এই প্রধান ধর্মযাজক যোগব্যায়ামকে হ্যারি পটার গল্পের পাপাত্মার প্রভাবের সঙ্গে তুলনা করেছেন।তিনি বলেন, শয়তান মন ও মস্তিষ্কে ওপর ভর করে, পুনর্জন্মের দোহাই দিয়ে বাধ্য করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করতে।” মুখমন্ডলের কিছু ব্যায়াম আপনার চেহারায় বয়সী ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটা সুনিশ্চিত একটি প্রক্রিয়া এবং যুগ যুগ ধরে সবচেয়ে কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ঘরে বসে যেকেউ সহজেই এটা করতে পারে। এই ব্যায়াম ত্বকের নিচের পেশিগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে যার ফলে চামড়া কুচকে যায় না বা ঝুলে পড়ে না।



আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে দ্রাবিড় সভ্যতায় এ ব্যায়ামের উদ্ভব ঘটে। দ্রাবিড় সাধকরা যোগব্যায়ামকে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাস ও সংস্কৃতির অঙ্গে পরিণত করেন। বর্বর আর্যদের আক্রমণে মহেঞ্জোদারো, হরপ্পাসহ দ্রাবিড় সভ্যতার কেন্দ্রসমূহ সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এখানে একটা কথা বলতে চাই- হাঁটা হচ্ছে সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি উত্তম ব্যায়াম।হঠাৎ করে ব্যায়াম শুরু করবেন না বা হঠাৎ করে ব্যায়াম ছাড়বেন না। ব্যায়ামের আগে ও পরে ১০ মিনিট ধীরে হাঁটুন বা হালকা খালি হাতের ব্যায়াম করুন। শরীরের মেদ এবং সেই সাথে ক্যালরি ক্ষয় করতে ব্যায়াম ও ডায়েটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।



যোগব্যায়াম শুরু করলে প্রথমেই শরীরটাকে উজ্জীবিত করা বা ওয়ার্ম-আপ করে নেয়া ভালো। দেহকে একটু উজ্জীবিত করে নিলে দেহ নমনীয় হবে এবং পরবর্তী যোগাসনগুলো করা সহজ হবে। ১৫টি ধাপে বিভক্ত এই অনুশীলনীর মাধ্যমে আপনার পেশী ও হাড়ের জয়েন্টের জড়তা কেটে যাবে এবং আপনার শরীর ব্যায়াম ও যোগাসনের জন্যে প্রস্তুত অবস্থায় চলে আসবে। যে কোনো ব্যায়ামের আগেই একটু ওয়ার্ম-আপ (Warm-up) প্রয়োজন। এই ১৫ ধাপের অনুশীলন শরীরকে চমৎকার ভাবে ওয়ার্ম-আপ করে বলেই একে 'উজ্জীবন' বলা হয়। এই অনুশীলনকালে দম স্বাভাবিক থাকবে।



যোগব্যায়াম করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে ভোরবেলা। তবে সন্ধ্যার দিকেও করা যেতে পারে। যোগব্যায়াম করার সময় অন্য সব চিন্তা থেকে নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখুন। কেবল ব্যায়ামের দিকেই মনোযোগ দিন। যোগব্যায়ামটা শুরু করুন খুব সহজ কোনো আসন থেকে। তারপর ধীরে ধীরে কঠিন আসলগুলো চর্চা করে ফেলুন।যেটি করতে বেশি কষ্ট হচ্ছে, সেটি বাদ দিন। ব্যায়ামের ফলে কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কি না, সেটি খেয়াল রাখুন।দেহের শিথিলতার সাথে সাথে মনের শিথিলতা আনয়নের জন্যে এবার সুন্দর দৃশ্যের কল্পনা করুন। এ দৃশ্য হতে পারে সমুদ্রসৈকত, লেক বা নদীর পাড় বা এমন কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য যা আপনাকে আনন্দে আপ্লুত করে তোলে।



দুইপায়ের মাঝখানে ৪ আঙুল ফাঁক রেখে দুহহাত শরীরের দুহপাশে রেখে বুক টান করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। বুক টান করে সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় দুহহাত সোজা উপরে তুলুন। খেয়াল রাখুন আপনার শরীরের ওজন যেন দুহপায়ের ওপর সমানভাবে পড়ে। কোনদিকে কাত হবেন না বা কোন পায়ে ভর বেশি দেবেন না।হাঁটু ভেঙে কোমর ও মাথা মাটির সমান্তরালে নিয়ে আসুন। হাতের আঙুল ও করতল এবার সুন্দরভাবে মেঝে স্পর্শ করবে।পা ও ঊরু মাটির সাথে লেগে থাকবে। কোমর থেকে মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে হাতে ভর দিয়ে মাথা যতদূর সম্ভব পেছনের দিকে নিয়ে যান।



ব্যায়ামের শেষে ব্যায়ামের বিছানার উপর সটান চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুহহাত শরীরের দুহপাশে রাখুন। হাতের তালু উপরের দিকে থাকবে। দুহপায়ের মাঝে চার আঙুল পরিমাণ ফাঁক থাকবে। মাথাটা ডানদিকে একটুখানি কাত হয়ে থাকবে।যেকোনো ব্যায়ামের ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একদিনে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে এরপর ছেড়ে দিলে তাতে বরং ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। অল্প করে হলেও নিয়মিত চর্চা রাখুন।আপনি কেন ব্যায়াম করবেন সেটা আগে জানুন, প্রয়োজনে ডাক্তার অথবা জিম ট্রেইনারের কাছ থেকে জানুন কিভাবে, কত টুকু করবেন।



প্রতেক মানুষেরই ব্যায়াম করা উচিত। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, শরীরের ওজন কমানো, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, ঘুমের অসুবিধা দূর, মানসিক চাপ কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাসহ অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় নিয়মিত ব্যায়াম থেকে। এ ছাড়া ত্বক ভালো হয়। ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো রোগ থেকেও আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখতে সহায়তা করবে ব্যায়াম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.