নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

আমাদের চারপাশে প্রকৃতিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গাছ-গাছালি লতাপাতা ফলমূলে রয়েছে অনন্য ভেষজগুণ। যা আধুনিক যুগের অনেক রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি ওষুধের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কার্যকর। তেমনিভাবে রয়েছে ঝুলে যাওয়া ত্বক। চোখের তলায় বলিরেখা, নেতিয়ে পড়া বিবর্ণ চুলকে পুরনো লাবণ্য ফিরিয়ে দেয়ার জাদুকরী প্রাকৃতিক শক্তিও লুকিয়ে আছে গাছগাছালি, শিকড়-বাকড়ে।



আমাদের আগের প্রজন্মের নারীরা রূপচর্চা করতেন এসব প্রাকৃতিক ভেষজগুণসম্পন্ন গাছ, লতা-পাতা, ফুল-ফল দিয়ে।এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী আমাদের সবারই সুপরিচিত একটি ভেষজ উপাদান।ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে এলোভেরার ব্যবহার পাওয়া যায় সেই খৃীষ্টপূর্ব যুগ থেকেই। alovera তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এলোভেরার অনেক গুণের কথা আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অনন্য।মুখ এবং ত্বকের দাগ দূর করতে এলোভেরা বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরিন দুইভাবেই কাজ করে।



এলাভেরার টনিক বানাতে হলে আপনাকে এলোভেরার কচিপাতা যোগার করতে হবে। এজন্য আপনি স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন, অথবা বাড়িতেই টবে লাগাতে পারেন এলোভেরার চারা।প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পান করলে, প্রাকৃতিক ভাবেই পেতে পারেন দাগহীন ত্বক। ব্রণ এবং সানবার্ণ থেকেও এটি আপনাকে মুক্তি দেবে।



প্রাচীন কালেও রানী ক্লিওপেট্রা, সম্রাট আলেকজান্ডার, বাদশাহ সোলায়মান, নেপোলিয়ন এবং ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মত বিখ্যাত মানুষেরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতেন এবং মহাত্মা গান্ধী।ঘৃতকুমারী গাছটা দেখতে অনেকটাই কাঁটাওয়ালা ফণীমনসা বা ক্যাকটাসের মতো। অ্যালোভেরা ক্যাক্টাসের মত দেখতে হলেও, ক্যাক্টাস নয়। এটা একটা লিলি পরিবারের উদ্ভিদ যেমন পেঁয়াজ ও রসুন। এটা পেঁয়াজ বা শাপলা-পদ্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতাগুলো বর্শা আকৃতির লম্বা, পুরু ও মাংসল। পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ রকমের অ্যালোভেরা জন্মে, তবে মাত্র দু’রকমের অ্যালো বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়।ঘৃতকুমারী কোষ্ঠকাঠিন্য ও খুশকির ভালো ওষুধ।গোটা বিশ্ব জুড়ে এই গাছের জুস বা রস ক্যাপসুল বা জেলের আকারে বিক্রি হচ্ছে। এই জেলের ভেতরে আছে বিশটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা থেকে বিজ্ঞানীরা বলেন প্রাণের সৃষ্টি। মেছতা দূর করার আরেকটি উপাদান হলো এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী পাতার জেল। এই জেলের রয়েছে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষমতা। ডায়েরিয়া সারাতেও ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজরে।



ঘৃতকুমারীতে রয়ছে ২০ রকমের খনিজ। মানবদেহের জন্য যে ২২টা এমিনো এসিড প্রয়োজন তার ৮ টি এতে বিদ্যমান। এছাড়াও ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E রয়েছে। ঘৃতকুমারী পাতার রস, ২-৪ চামচ করে দিনে একবার খেলে যকৃতের ক্রিয়া বৃদ্ধি করে৷ একজিমা ঘৃতকুমারী শাঁস প্রতিদিন নিময়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে চুলকানি খেকে আরাম পাওয়া যায়৷কোমরে ব্যথা হলে শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায় ৷ মিসরীয় লোককাহিনী থেকে জানা যায়, সৌন্দর্যবর্ধন করে যে প্রকৃতিকন্যা তার লাতিন নাম এলোভেরা ওরফে ঘৃতকুমারী। ঘৃতকুমারী পাতার রস যকৃতের জন্য উপকারী।বাংলায় নাম তরুণী ঔষধি গাছ হিসারে এর অনেক কদর। তবে বাংলার মানুষ একে ঘৃতকুমারী নামেই বেশী চিনে। এর আর একটি নাম আছে তা হলো কুমারী ।



দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংশপেশির জোড়াগুলোকে শক্তিশালী করে।



এক চামচ ইসবগুলের ভুসি ও দুই চামচ অ্যালোভেরার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েই দেখুন। বাড়তি মেদ পালানোর পথ পাবে না। দূর হবে বাতের ব্যথাও। অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল গজাবে। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর করে ত্বক করে তুলবে আরও উজ্জ্বল।ঘৃতকুমারীর শরবতঃ উপকরণ: ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা ১টি, পানি ১ গ্লাস, মধু ১ চা-চামচ। প্রণালি: ঘৃতকুমারীর ভেতর থেকে শাঁস নিয়ে পানি ও মধু দিয়ে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে পরিবেশন। এই শরবত খেলে ত্বক ভালো হবে। পেট পরিষ্কার থাকবে।শীতকালে খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: দরকারি তথ্য।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৯

পড়শী বলেছেন: +++

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

সৌমিক জামান বলেছেন: ভাল লাগলো। ধন্যবাদ :)

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

পাপাই বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৮

মিষ্টি মেয়ে বলেছেন: এলোভেরা ড্রিংকস খুবই সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যসম্মত। :)

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

+++++++

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

আমি রেদওয়ান বলেছেন: +++++++

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

সাফায়াত কাদির বলেছেন: আউল ফাউল পোষ্ট ষ্টিকি না করে এসব পোষ্ট ষ্টিকি করা হোক

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

বোকামানুষ বলেছেন: ++++++++

কাজের পোস্ট

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫১

ফৈরা রাজ বলেছেন: একজনের কাছ থেকে শুনে মাত্র ১ দিন মাথায় দিছিলাম চুলপড়া আর খুশকির জন্যে ।তারপর যেটা হইছে সেটা রীতিমত miracle!++++++

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

নাম জেনে কি হবে? বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট +++

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:

দরকারী পোষ্ট +++

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩১

শান্তা273 বলেছেন: +++ সহ প্রিয়তে।

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪১

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ভাল লাগল।

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.