নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১/ মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে যে জিনিসটার অভাব অনুভব করেছি তা হলো একটা ভালো ক্যামেরা।ছবি তোলার মতো অপূর্ব সব সাবজেক্ট পেয়েছি। সমস্যা হচ্ছে, সৈ্নিকের হাতে রাইফেল মানায়। ক্যামেরা মানায় না। এখন অবশ্যি আমার সঙ্গে ক্যামেরা আছে। লাইকা নাম। জার্মানির ক্যামেরা। কিন্তু ছবি তোলার সাবজেক্ট পাচ্ছি না।
দেয়াল, পৃঃ ৫৬, হুমায়ূন আহমেদ।
২/ বঙ্গবন্ধু মন খারাপ করে ৩২ নম্বর বাড়ির উঠানে এসে দাড়ালেন। সঙ্গে সঙ্গে তার মন ভালো হয়ে গেল। উঠান ভরতি মানুষ। ভুখা মিসিলের মানুষ না। সাধারণ মানুষ, যারা বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখতে এসেছে।
স্লোগান শুরু হলো, 'জয় বাংলা- জয় বঙ্গবন্ধু'। বঙ্গবন্ধু হাসি মুখে তাদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লেন।
ধব ধবেসাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা অতি সুপুরুষ এক যুবক দামি ক্যামেরায় মিছিলের ছবি তুলছে। যুবক একপর্যায়ে ইশারায় বঙ্গবন্ধুর ছবি তোলার অনুমতি প্রার্থনা করল।বঙ্গবন্ধু উচ্চ স্বরে বললেন, ছবি তুলতে চাইলে তুলবি। অনুমতির ধার ধারবি না।
যুবককে বঙ্গবন্ধুর পরিচিত মনে হচ্ছে। তবে তিনি তারনাম মনে করতে পারছেন না।হঠাৎ হঠাৎ তার এ রকম হয়, নাম মনে আসে না।
যুবক এসে বঙ্গবন্ধুকে কদমবুসি করল।বঙ্গবন্ধু বললেন, কই মাছ খেয়ে যাবি।কই মাছ ভাজা হচ্ছে।
দেয়াল, পৃঃ ৯০,৯১, হুমায়ূন আহমেদ।
#### #### #### ####
সাভার ট্যাডেজিঃ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা, এইটা কি কইলো !!!! হরতালকারীরা ভবনটির ফাটল অংশে ও ফাটলকৃত পিলারে ঝাকানাকা করার কারনে ভবন ধ্বস।
মাইরালা আমারে মাইরালা...
"তদন্ত কমিটি" কথাটা শুনলেই এখন রাগ লাগে।
সাভার হত্যা ঘটনার কোন বিচার হবে না।আগেও কোন সরকার এরকম ঘটনার বিচার করে নি। এবারও বিচার হবে না।মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আমি আপনার কথা বিশ্বাস করি-ঠ্যালা দিলে অবশ্যই ভবন ধসে পড়তে পারে!রানা প্লাজা থেকে শত লাশ উদ্ধারের পরেও প্রধানমন্ত্রী সেই দুর্ঘটনার পূর্বেই বিল্ডিং থেকে মানুষদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়ছে বলে দাবী করেন।ভবনটি ধ্বসে যাওয়ার পর উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার সরঞ্জামের খুবই অভাববোধ করছেন। প্রয়োজনীয় অনেক সরঞ্জামই সেখানেই নেই। সাধারন মানুষের কাছ থেকে চাদা তোলে এগুলো ব্যবস্থা করা হচ্ছে।রাষ্ট্রীয় কোষাগার কি শুন্য?
শ্রদ্ধা জানাই আপনাদের সবাইকে যারা যেভাবে পেরেছেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই হৃদয় বিদারক ট্রাজ্যেডিতে।
আটকে থাকা ছেলে তার মাকে ফোন করে বলছে, "মা আমি ভিতরে আটকে আছি, নি:শ্বাস নিতে পারছিনা। মা, আমার সামনে একটা মেশিন, মেশিনটা যেকোন সময় সরে এসে আমার উপর পরতে পারে। মা আমার গলা প্রচন্ড
শুকিয়ে গেছে আমি পানি খাবো। মা আমাকে বাঁচাও।"
ফোন পেয়ে উদ্ধারের জন্য প্রাণপনে ছোটাছুটি করছে মা।
#ফেসবুক এবং ব্লগে অসংখ্য মানুষ নানান ঢঙ্গে রঙ্গে কবিতা লিখেন।কারো কারো কবিতার সংখ্যা চার শো, পাঁচ শো কেউ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অনেকে তো বেশ কয়েকটা বই বের করে ফেলেছেন।কিন্তু তাদের কবিতা পড়লে শরীর টা মরিচের মতো জ্বলে।তাদের কবিতা পড়া মানেই সময় নষ্ট করা। বেশির ভাগ কবি'ই বুঝেই না যে ছন্দ বলে একটা ব্যাপার আছে।একশো জন কবির মধ্যে নব্বই জন কবি'ই জানেন না- ছন্দ কি জিনিস।এই সব কবিদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা ছন্দ বিষয়টা পুরোপুরি জেনে তারপর কবিতা লিখবেন।
অবশ্য কবি'রা খুব আবেগ প্রবণ হন- কাজেই তারা সব লিখতে পারেন-কাকের ঠ্যাং, বকের ঠ্যাং...আপনাদের কবিতা অত্যাচারের পর্যায়ে পড়ে যায়।অত্যাচার বন্ধ করুন।
©somewhere in net ltd.