নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধুর গুনাগুন

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

মধু হল এক প্রকারের মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ, যা মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস হতে তৈরি করেএবং মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বাংলাদেশের সুন্দরবনের মধু স্বাদ, রং, হালকা সুগন্ধ এবং ঔষধিগুণাবলীর জন্য প্রসিদ্ধ। সুন্দরবনের বেশীরভাগ মধু কেওড়া গাছের ফুল থেকে উৎপন্ন। সুন্দরবনের মাওয়ালী সম্প্রদায়ের লোকেরা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং তা বিক্রয় করে জীবন নির্বাহ করে।মধু চিনির চাইতে অনেক গুণ মিষ্টি। তরল মধু নষ্ট হয় না, কারণ এতে চিনির উচ্চ ঘনত্বের কারণে প্লাজমোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া মারা যায়।



প্রাচীন গ্রিসের খেলোয়াড়েরা মধু খেযে মাঠে নামতো ; কারণ মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের ক্রিয়াক্ষমতা ভালো থাকে। নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই হ্রাস পায় কেননা মধু মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মধু একটি ভালো বলকারক ও উত্তেজক খাদ্য। অনেকে দীর্ঘসূত্রী সর্দি-কাশিতে বা যাদের ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগে তাদের জন্য উপকারী বলে দাবি করে আসছেন।



মহান আল্লাহ চৌদ্দশত বছর আগে তাঁর এক ‘উম্মী’ নবীর কাছে নাজিলকৃত কালামে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। সূরা নাহলের ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন- “আপনার পালনকর্তা মৌমাছিকে আদেশ দিলেন, পর্বতগাত্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু ডালে গৃহ তৈরি কর, এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে চোষণ করে নাও এবং চল স্বীয় রবের সহজ-সরল পথে। তার পেট থেকে বের হয় নানা রঙের পানীয় যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে রয়েছে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নির্দশন।” পবিত্র কোরআনের আটভাগের একভাগ অর্থাৎ আটশ’রও বেশি আয়াত প্রাকৃতিক ঘটনার কার্যকারণ সম্পর্কিত তথা বিজ্ঞান সম্পর্কিত।



মধুতে যথেষ্ট পরিমাণে শর্করা আছে। মধুতে ২৫-৩৭% গ্লুকোজ, ৩৪-৪৩% ফ্রুকটোজ, ০.৫-৩% সুক্রোজ এবং ৫-১২% ম্যাটোজ থাকে। গ্লুকোজ তো আছেই, বাকি শর্করাটুকুও রেচন প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ গৃহীত মধুর প্রায় ৭৫ থেকে ৮০% গ্লুকোজে পরিণত হচ্ছে। প্রতি গ্রাম মধু থেকে ২.৮৮ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এতে সমান পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। মধু একটি ঘন শর্করাজাতীয় খাদ্য। মধু শরীরকে রিলাক্স করে, মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে এবং সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে।

মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টি বায়োটিক, যা শরীরের সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ইনফেকশন দূর করে। ফলে শরীরের কাজ করার প্রণালী উন্নত হয় এবং হেলদি থাকে।



এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানি, আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু। গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন লেবু-মধু পানীয়। আপনি চাইলে এর সঙ্গে সবুজ চা মেশাতে পারেন।সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসেবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন।যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না। কারণ লেবু এসিডিক।গ্যাস্ট্রিক-আলসার থেকে মুক্তি পেতে একজন ব্যক্তি দিনে তিনবেলা দুই চামচ করে মধু খেতে পারে।



মধু চাষীরা বিভিন্ন সিজনে তাদের মৌ বক্স নিয়ে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, রাজশাহী, সাভার, শেরপুর, ময়মনসিংহ, বরগুনা ও সুন্দরবনের সাতক্ষীরায় চলে যান। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে ফিরে আসেন। আবার কেউ কেউ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে উৎপাদিত মধু বিক্রি করে দেয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মধুর গুন নিয়ে চমৎকার পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.