নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাই নেম ইজ রেড

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

'মাই নেম ইজ রেড' ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত অরহান পামুকের লেখা তুর্কি উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৫৯১ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অনুচিত্রশিল্পীদের নিয়ে লেখা। ভাষায় ও গল্প বলায় পামুক সতর্ক, তুখোড় ও বিশদ। মনে হবে পড়ছেন তুর্কি-পারস্য প্রেমলীলার মহাকাব্যগুলো, জানছেন প্রাচ্যের লুপ্ত চিত্রকলার দর্শন ও তার কিংবদন্তীর শিল্পগুরুদের কথা। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। এই উপন্যাসের জন্য পামুক সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন।

ওরহান পামুকের এই মহাকাব্যিক উপন্যাস একজন পাঠক খুনের রহস্য জানার জন্য পড়বে না, বরং পড়বে লেখকের সাহায্যে দার্শনিক ধাঁধা সমাধানের জন্য। উত্তম পুরুষে লেখা বইটিতে সে সময়কালের বিখ্যাত শিল্পী ও অন্যান্য চরিত্রের জবানের সাথে সাথে কথা বলেছে মুদ্রা, চিত্রে আঁকা কুকুর বা লাল রঙের মতো বিভিন্ন বস্তু।
কাহিনীর সময়কালটি রাজনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাতে খেলাফতের একটি ক্রান্তিকালও বলা যায়। এই সাম্রাজ্য ইউরোপের অংশ হওয়ায় ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ অনেকদিনের। তাদের কুটনৈতিক বোঝাপড়ার সাথে আছে শিল্প-সংস্কৃতির দ্বন্ধ, আছে সভ্যতার গরিমা। ফলে রাজনৈতিক দ্বন্ধের সাথে যুক্ত পারষ্পরিক শিল্পকলার দ্বন্ধ। যেখানে প্রতিদ্বন্ধী গোষ্ঠীগুলো একে অপরকে প্রভাবিত করতে চায়। এটা ইসলামী বয়ান আশ্রিত শিল্পরীতির ক্ষয়ের কালও বটে।

পামুকের জন্ম ইস্তাম্বুলে ১৯৫২ সালের ৭ জুন। ১৯৯৭৪ থেকে পামুক নিয়মিত লেখা শুরু করেন। তার প্রথম উপন্যাস আলো ও আঁধার। ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পাশ করেন ১৯৭৬ সালে। তাঁর সম্বন্ধে বলা হয়েছে-He is a Muslim, but he describes himself as a cultural one who associates the historical and cultural identification with the religion. ছেলেবেলা থেকেই ইতিহাস পড়তে বড় ভালোবাসতেন পামুক ।
ইতিহাস পড়তে পড়তে চিনেছিলেন ইতিহাসের অন্ধকার দিক। জেনেছিলেন কী ভাবে হত্যা করা হয়েছিল নিরীহ আর্মেনিয়দের।

অরহান পামুক বলেনঃ 'মাই নেম ইজ রেড' উপন্যাসটি আমার মা’কে হতবুদ্ধি করে দিয়েছিল : তিনি আমায় এখনও বলেন যে তিনি এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি আমি উপন্যাসটি কীভাবে লিখেছি...আমার অন্য কোন উপন্যাস পড়ে তাঁর এমন অবাক লাগেনি; তিনি জানতেন আমি সেগুলো আমার জীবন থেকেই টেনে নিয়েছি। কিন্তু মাই নেম ইজ রেড পড়ে তাঁর মনে হয়েছিলো এটার কোন এক অংশে তিনি আমার সাথে আর কানেক্টেড নন, তিনি যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, সেই আমি, তাঁর সন্তান, যাকে তিনি চেনেন, তাঁর সেই সন্তান যার সম্পর্কে মা’র ধারনা, তিনি সব জানেন। সর্বোচ্চ প্রশংসাসূচক একটা ব্যাপার এটা, আমার মতে, যদি কেউ তার মা’র কাছ থেকে শুনতে পায় যে তার লেখা বইটি আসলে তার চেয়ে জ্ঞানী।

অন্য এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেনঃ আমার জীবনের কিছুই পালটে যায়নি,কারন আমি সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকি। আমি আমার জীবনের ৩০ বছর সাহিত্য সাধনায় ব্যয় করেছি। এর প্রথম ১০ বছরে আমি টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম এবং কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করতো না আমি কত উপার্যন করি। দ্বিতীয় দশকে আমি টাকা ব্যয় করেছি এবং কেউ এ সম্পর্কে জানতে চায়নি। শেষ দশকটাতে সকলে জানতে চাইছে আমি কীভাবে টাকা খরচ করি যা আমি কখনই বলব না।

আশা করি বইটি পাঠকদের কাছে ভালো লাগবে।

নামঃ মাই নেম ইস রেড (টার্কিশঃ Benim Adım Kırmızı)
লেখকঃ ওরহান পামুক
প্রকাশকালঃ ১৯৯৮
ইংরেজি অনুবাদঃ ২০০১
মুল্যঃ টাকা ১৩০-১৫০ (লোকাল প্রিন্ট)
টাকা ৭৯০/৮৯০ (ইন্ডিয়ান প্রিন্ট- প্রথমা/ পাঠক সমাবেশ)
বাংলা অনুবাদঃ আমার নাম লাল (অমর মুদি, সন্দেশ প্রকাশনী)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫২

আলম দীপ্র বলেছেন: বেশ ভালো রিভিউ । ছবি দিলে ভালো হত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.