নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ভবিষ্যবক্তা লেখক ফ্রানৎস কাফকা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

কাফকার লেখাগুলো অসংখ্য আত্মজীবনীর উপাদানে ভরপুর (কিন্তু তার মানে এমন না যে কাফকার সাহিত্যকর্ম তাঁর কোনো লুকানো-সাজানো আত্মজীবনী)। কাফকা নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা ভালোবাসতেন, ভালো সাইকেল চালাতেন, সাঁতার পছন্দ করতেন, নৌকার দাঁড় টানায় দক্ষ ছিলেন। কাফকার মতো চালাক সম্ভবত আর কেউ ছিলেন না; তাঁর মতো স্বচ্ছতা নিয়ে বিশ্বব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থার ফাঁকগুলোও আর কেউ বোধ হয় ধরতে পারেননি। কাফকার রসবোধ (সেন্স অব হিউমার) নিয়ে চিন্তা করলেই মনে হয়, কীরকম গুরুতর সব পরিস্থিতিকে কীরকম কমিক বানিয়ে ছেড়েছেন তিনি।

জার্মান ভাষার উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক ফ্রানৎস কাফকা। জার্মান-ইহুদী জার্মানভাষী মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। নোবেল বিজয়ী ১০৯ জন লেখকের মধ্যে ৩২ জনই তাঁদের লেখায় কাফকার সরাসরি প্রভাব আছে বলে স্বীকার করেছেন। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পরে আর কোনো লেখককে নিয়ে এতটা লেখালেখি বা গবেষণা হয়নি, যা হয়েছে কাফকাকে নিয়ে। শারীরিক এবং মানসিক নিষ্ঠুরতা, বিচ্ছিন্নতাবোধের আদিরূপ, পিতা-মাতা-সন্তানের দ্বন্দ্ব, আতঙ্ক, আমলাতন্ত্রের গোলকধাঁধা আর রহস্যময় রূপান্তরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে কাফকার অধিকাংশ রচনা৷ সমাজের বিভিন্ন দিক, বিভিন্ন সময় উদ্ভট রূপ পেয়েছে তাঁর উপন্যাসে, ছোট গল্পে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের অধ্যয়নের শেষের দিকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাক্স বোর্ড নামে একজন ছাত্রের সাথে পরিচিত হন যার সাথে কাফকার আজীবন বন্ধুত্ব ছিল। কাফকা একজন আইনজীবী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সফল সার্থক লেখার অনুভূতি কাফকার জন্য শুধু ওরকম চূড়ান্ত আনন্দের কিছু ছিল, কেবল তা-ই নয়; সার্থক কোনোকিছু লেখার মধ্যে দিয়ে তিনি তার জীবনের দুঃখ-কষ্ট থেকেও দূরে সরতে চাইতেন।

কাফকা চারজন লেখককে তাঁর ‘সত্যিকারের রক্তের ভাই’ বলে ভাবতেন: দস্তয়ইয়েফ্স্কি, ফ্লবেয়ার, ফ্রানৎস গ্রিলপারসার ও হাইনরিখ ফন ক্লাইস্ট । এর পাশাপাশি চেক সাহিত্য ভালোবাসতেন কাফকা আর গ্যেয়টেকে খুব পছন্দ করতেন। যৌন বিষয়ে কাফকার ঘৃণা, অপরাধবোধ এবং একই সঙ্গে তার অনেকবার পতিতালয়ে যাওয়া, পর্নোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ– এসব নিয়েও কম গবেষণা হয়নি।

১৯১৭ সালের আগস্টে কাফকার স্বরযন্ত্রের ক্ষয়রোগ (যক্ষ্মা) ধরা পড়ে। ১৯১৮-এর অক্টোবরে তিনি স্প্যানিশ ফ্লুুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর একদম কাছাকাছি চলে যান। বলা যায়, তাঁর প্রায় সারাটি জীবনই কেটেছে অসুস্থতাজনিত বিষণ্ণতা এবং সামাজিক উদ্বেগের মধ্য দিয়ে৷ মারা যান ৪১ বছর বয়সে৷ মৃত্যুর কিছুকাল আগে নিজের যাবতীয় পাণ্ডুলিপি এবং না পাঠানো চিঠি ও স্মৃতিচারণামূলক বই দিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দীর্ঘকালের বন্ধু, সাহিত্যিক ও প্রকাশক মাক্স ব্রোডকে৷ দেয়ার সময় একটা অনুরোধও করেছিলেন – সব কিছুই যেন তাঁর মৃত্যুর পর ধ্বংস করে ফেলা হয়৷ ব্রোড তা করেননি৷ কাফকা বেঁচে থাকতে তাঁর খুব কম রচনাই প্রকাশিত হয়েছিল৷ মৃত্যুর পরই সিংহভাগ প্রকাশিত হয়৷

The Street Window(রাস্তার জানালা) ভাষান্তর: বাসুদেব

নির্জন জীবন যাপন করেও কেউ যদি যখন তখনই চায় নিজেকে
কোথাও জড়াতে, কেউ যদি দিনের পথ পরিবর্তনের সঙ্গে, আবহাওয়া
বা কাজকর্মের বা এই ধরনের বদলের সঙ্গে তাল রেখে হঠাৎ ইচ্ছে করে
কোনো বাহুলগ্ন হতে-- সে কিছুতেই বেশিক্ষণ রাস্তার মুখোমুখি জানালাটাকে এড়িয়ে চলতে পারে না এবং তার যদি অন্য কিছু চাওয়ার মতো মেজাজও না থাকে এবং ক্লান্তভাবে তার জানালার কাছে
গিয়ে দাঁড়ায়, তার প্রকাশ্য জগৎ থেকে দৃষ্টি আকাশের দিকে তুলে এবং
নামিয়ে এবং বাহিরের দিকে তাকাতে যদি সে না চায়, মাথাটা ঈষৎ ওপরের দিকে ঝাঁকিয়ে--- তবুও নিচের ঘোড়াগুলো তাকে টেনে আনবে
সারিবদ্ধ গাড়ি এবং প্রবল হট্টগোলের মধ্যে-- এবং অবশেষে এক মাননীয় ঐকতানের মাঝখানে।

পুরো নাম: ফ্রানৎস কাফকা
জন্ম: ৩রা জুলাই, ১৮৮৩, প্রাগ, চেক প্রজাতন্ত্র৷ (তখন নাম ছিল বোহেমিয়া৷ অঞ্চলটি তখন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির অন্তর্ভুক্ত ছিল৷)
মৃত্যু: ৩রা জুন, ১৯২৪, কিয়ারলিং,অস্ট্রিয়া
পেশা: লেখক
বাবা: হ্যারমান কাফকা
মা: জুলি
উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্ম: দি ফ্যারভান্ডলুং (দ্য মেটামরফোসিস), ডাস উয়রটাইল (দ্য জাজমেন্ট), ডেয়ার প্রোৎসেস (দ্য ট্রায়াল), ডি বেত্রাখটুং (কন্টেমপ্লেশন)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮

খেলাঘর বলেছেন:

ভালো কিছু লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.