নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যে যৌনতা এবং অন্যান্য

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪

১। মানবসভ্যতা বা পৃথিবীর প্রাণী জগতে যৌনতা একটা মৌলিক বিষয়। যৌন শব্দটির অর্থ কী ? আভিধানিক অর্থ যোনিসম্বন্ধী । ‘যোনি’ স্ত্রী জননাঙ্গ । মনু তাঁর সংহিতায় বিবাহ বলতে ‘যৌনসম্বন্ধকে’ বুঝিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একসময় যেন হঠাৎ করে ‘হৈমন্তী’ গল্পে শরীরের কথা নিয়ে আসেন, ‘কবে যে তাহার সাদা মনটির উপর একটু রং ধরিল, চোখে একটু ঘোর লাগিল, কবে যে তাহার সমস্ত শরীর ও মন যেন উৎসুক হইয়া উঠিল...’ ব্যস, এই পর্যন্তই। হৈমন্তীর শরীর উৎসুকের অন্য কোনো বিবরণ তিনি দেননি।

যৌনতা আমাদের জন্যে একটা সাংঘাতিক সমস্যা হয়ে গেছে, কারণ দেহের এই মূল জৈবিক ক্রিয়াটাকে আমরা একটা ভোগকর্ম বানিয়ে নিয়েছি।

তুমি একটা সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকালে, যখনই তুমি বলছো যে এটা একটা সুন্দরী মেয়ে, ইতিমধ্যেই তুমি একটা সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেছো─ ‘‘একটা সুন্দরী মেয়ে!’’ তখন শুধু চোখে দেখার চাইতে তার হাত ধরাটা বেশি সুখকর, আরো বেশি সুখকর হলো তাকে আলিঙ্গন করাটা, এমনকি আরো বেশি সুখকর হলো তাকে চুম্বন করাটা, এইরকম।

২। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝিলের ধারে বাড়ি’। সেই চিরন্তন শীর্ষেন্দু, অনাবিল হাসি, মজা আর তার মধ্যেই আবার গা-ছমছম করা জমজমাট রহস্য। এই উপন্যাসে ভূত নেই কিন্তু আছে অনু আর বিলুর মত ভাই-বোনের জুড়ি, আর নবীনের মত একজন সাধারণ কিন্তু দারুণ বুদ্ধিমান নায়ক। আর অবশ্যই গুপ্তধন, যা শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল ঝিলের নিচের মন্দির থেকে।
সুনীল-শীর্ষেন্দু-সঞ্জীব-সমরেশ বসু-বিমল কর-সমরেশ মজুমদার-পরবর্তী সময়ে মুগ্ধ হয়েছি বাণী বসু, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, হর্ষ দত্ত, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, তিলোত্তমা মজুমদারের লেখনীতে।

৩। জিম হকিন্স নামে এক রোমাঞ্চপ্রিয় কিশোর বাস করে সমূদ্র তীরের এক শহরে।সে ও তার মা সেখানে একটি সরাইখানা পরিচালনা করে।একদিন সেই সরাই খানায় এসে উপস্থিত হয় এক বদরাগী মেজাজের ঝগড়াটে ক্যাপ্টেন।লোকটি হঠাৎ মারা গেলে তার একটি সিন্দুক থেকে একটি মানচিত্র পাওয়া যায় যা জিম এবং শহরের কিছু লোককে নিয়ে যায় এক দুঃসাহসিক অভিযানে।যেখানে তারা মোকাবেলা করে জলদস্যু ও বিশ্বাস ঘাতকদের।
বলুন আমি কোন উপন্যাসের কথা বলছি এবং লেখক কে?

৪। “মানুষ যে সময়টুকু যাপন করে সেটি জীবন নয়, জীবন হল সেটুকুই যা মানুষ মনে রাখে”- গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের এই কথাগুলো আমার ভেতর এলার্ম ঘড়ির মত বেজে ওঠে প্রতিনিয়তই। জীবনকে একটা গন্ডির ভেতর আটকে রেখে গড়পড়তাভাবে জীবনটাকে পার করে দেয়াটা কোন কাজের কথা নয়। এই বিশ্ব-ভ্রম্মান্ডে দেখার, জানার এবং বোঝার মত এত বিষয় রয়েছে সেগুলোর জন্য আমাদেরকে যে সময়টুকু বেধে দেয়া হয়েছে তা নিতান্তই তুচ্ছ। তাই এই ক্ষুদ্র সময়টাকে কাজে লাগানোটা বাধ্যতামূলক। যারা এই সময়টা কাজে লাগাতে পারেন তারাই আসলে সত্যিকার অর্থে জীবন যাপন করেন। যাপিত জীবন আর জীবন যাপন দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।

৫। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিবারাত্রির কাব্য অনেকেরই পড়া। তারই বিশেষ একটা লাইন পড়ে মনে হয়েছিল - প্রচণ্ড বৃষ্টির এ রকম তুলনা কি করে কেউ ভাবতে পারে? চিন্তাই করতে পারি না!
মালতির খুব সরল মনের মেয়ে আনন্দ! আনন্দ সমুদ্রে প্রবল বৃষ্টি দেখে বলেছিল 'কি বৃষ্টি নেমেছে! সমুদ্রটা পর্যন্ত ভিজে যাবে' । যে সমুদ্র সীমাহীন জলের আধার - সেটা ভিজে যাবে !!!

৬। এক হতভাগার জীবনের ঘটনা-দূর্ঘটনার কাহিনী। জা ভালজা চরিত্রটি এক অমর সৃষ্টি লেখকের। এক টুকরো রুটির জন্য তাকে খাটতে হয়েছে ২০ বছরের জেল। বারবার জেল আর পালানোর মধ্যে কেটেছিল তার জীবন।
বলুন আমি কোন উপন্যাসের কথা বলছি এবং লেখক কে?


প্রতিদিন চায়ের কাপের পাশে বই থাকুক, মনিটরের পাশে থাকুক বই, বিছানায় বালিশের পাশে থাকুক বই, বই থাকুক বাথরুমে, জ্যামের বাসে, কিবা যাত্রা পথে। ইলেকট্রিক বিল অথবা ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আপনার হাতে একটা বই থাকতেই পারে। সময়কে উপভোগ করতে চান বা সময় থেকে পালিয়ে থাকতে চান বই হোক শ্রেষ্ঠ সঙ্গী।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.