নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

'Bird By Bird' লিখেছেন অ্যান লেমট

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০১

১। সৈয়দ শামসুল হকের ‘মার্জিনে মন্তব্য’, তালেয়া রেহমানের ‘লেখালেখি’- হাতে গোনা এমন দু-তিনটি বই ছাড়া লেখালেখির কৌশল নিয়ে তেমন কোনো বই নেই বাংলাভাষায়। এদেশে লেখকরা ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মধ্য দিয়েই লেখা শেখেন। লিখতে লিখতে লেখক হয়ে ওঠার এ প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে ভাল। আগে আড্ডা-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক ইত্যাদির মধ্য দিয়েই নতুন লেখকরা লেখালেখির প্রাথমিক পাঠটুকু পেয়ে যেতেন সিনিয়রদের কাছ থেকে। লেখালেখি নিয়ে প্রচুর বই আছে ইংরেজি ভাষায়। তেমন এক বই ‘বার্ড বাই বার্ড’। বইটির বেশ পসার আছে বাজারে, লেখকরা উপকার পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। অবশ্যই সবাই ভাল লিখতে চাইবে, কিন্তু হয়তো সেটা তারা পারবে না। কিন্তু কেউ যদি ধৈর্য আর বিশ্বাস নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় তবে একদিন অবশ্যই ভাল লিখতে পারবে।

“Bird By Bird” লিখেছেন অ্যান লেমট। ১৯৫৪ সালে জন্ম নেয়া মার্কিন লেখক অ্যান লেমটকে বলা হয়ে থাকে ‘জনতার লেখক’। গল্প এবং প্রবন্ধ দুই-ই তিনি সমান ভাবে লিখেছেন। তিনি একই সাথে একজন রাজনৈতিক কর্মী, বক্তা এবং শিক্ষক। মূলত সান ফ্রান্সিসকোতেই তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তার রচিত প্রবন্ধগুলো মূলত আত্মজৈবনিক। নিজের রচনা সম্পর্কে এই লেখকের বক্তব্য হলো – আমি তা-ই লিখি যা লিখতে আমার ভাল লাগে; যাতে সত্য কথন থাকে, থাকে মানুষের জীবন ঘনিষ্ট হৃদয়ের অনুভূতি, আধ্যাত্মিক রূপান্তর, পরিবার, গোপনীয়তা, পাগলামী আর সর্বোপরি হাস্যরস। অ্যান লেমট রচিত “বার্ড বাই বার্ড” প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। এটি এমন একটি বই যাকে লেখালেখি সংক্রন্ত বিষয়ে কোর্স বলা চলে।

২। জিম হকিন্স নামে এক রোমাঞ্চপ্রিয় কিশোর বাস করে সমূদ্র তীরের এক শহরে। সে ও তার মা সেখানে একটি সরাইখানা পরিচালনা করে। একদিন সেই সরাই খানায় এসে উপস্থিত হয় এক বদরাগী মেজাজের ঝগড়াটে ক্যাপ্টেন। লোকটি হঠাৎ মারা গেলে তার একটি সিন্দুক থেকে একটি মানচিত্র পাওয়া যায় যা জিম এবং শহরের কিছু লোককে নিয়ে যায় এক দুঃসাহসিক অভিযানে। যেখানে তারা মোকাবেলা করে জলদস্যু ও বিশ্বাস ঘাতকদের।

বলুন আমি কোন উপন্যাসের কথা বলছি এবং লেখক কে?

৩। বহুদিন আগে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা চিঠিপত্রের সংকলন প্রকাশ করেছিলেন প্রিয়নাথ শাস্ত্রী মশাই। নাম ছিল ‘পত্রাবলী’। সেখানে শাস্ত্রী মশাই মোট ১৪৬খানা চিঠি সংকলিত করেছিলেন। তার মধ্যে ছিল রাজনারায়ণ বসুকে লেখা, বেচারাম চট্টোপাধ্যায়কে লেখা, কেশবচন্দ্র সেন, নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, রবীন্দ্রনাথ, সৌদামিনী দেবী ও আরও কয়েকজনকে লেখা দেবেন্দ্রনাথের চিঠি। দেবেন্দ্রনাথকে লেখা চিঠিও ছিল কয়েকটা। বইয়ের ভূমিকা তথা ‘বিজ্ঞাপন’-এ শাস্ত্রীমশাই জানিয়েছিলেন-
“ইহাকে তাঁহার স্বরচিত জীবনচরিতেরই আর এক পৃষ্ঠা বলা যাইতে পারে।” এমন একটা বই আর ছাপা হল না। বিশ্বভারতী প্রকাশনাও কেন যে গা করলেন না, জানিনা!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.