নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে... ( পর্ব- এক)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে সবারই সব কিছু জানা। বস্ নিজেই নিজের সম্পর্কে সব বলে গেছেন। তারপরও আমি নতুন কিছু খুঁজে বের করেছি- যা হুমায়ূন ভক্তরা জানেন না। আশা করি, হুমায়ূন ভক্তরা অনেক আনন্দ পাবেন।

ফরিদপুরে হুমায়ূন জন্মোৎসব পালন করার জন্য জাফর স্যার এবং আহসান হাবীব রওনা দেন। এই খবর জানতে পেরে স্থানীয় রাস্তার পাশের চায়ের দোকানদার ঢাকা থেকে আগত অতিথিদের জন্য উপহার হিসেবে এক কেজি আপেল এবং এক ডজন কমলা পাঠিয়ে দেন। এই চা-বিক্রেতা হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল বা আহসান হাবীবকে চিনেন না। শুধু টিভিতে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে বাংলার মানুষের আহাজারি দেখেই তাঁর হৃদয়ে গভীর অনুভূতি ও মায়া জেগেছে।

সম্ভবত ১৯৮৭ সালে এক প্রফেসর (আলতাফ হোসেন) হুমায়ূন আহমেদের মাতৃভক্তির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার চাইল। হুমায়ূন আহমেদ হাসি মুখে ৫০ হাজার টাকা প্রফেসরকে দেন। হুমায়ূন আহমেদের মা হুমায়ূন আহমেদকে বলেছেন- কেউ তোমার কাছে টাকা ধার চাইলে, পারলে দিও। হুমায়ূন আহমেদ আমৃত্যু মায়ের কথাটা মেনে চলেছেন। প্রফেসর আলতাফ হোসেন ছয় মাসের কথা বলে টাকা ধার নিলেন কিন্তু এক বছর পরও টাকাটা ফেরত দেননি। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ প্রফেসর আলতাফ হোসেনের কাছে টাকা ফেরত চাননি। তাদের মাঝে-মাঝে দেখা হতো, কথা হতো, হুমায়ূন ভুলেও টাকাটা চাইতেন না। প্রফেসর মনে মনে বলতেন হুমায়ূন আহমেদ আপনি দয়া করে টাকাটা ফেরত চান। মাতৃভক্তি পরীক্ষায় হুমায়ূন আহমেদ পাশ করেন।

হুমায়ূন আহমেদ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার তখন তিনি বিয়ে করেন। তখন হুমায়ূন আহমেদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। বাসায় নতুন বউ আসবে কিন্তু ঘরে তেমন কোনো ফার্নিচার ছিল না। হুমায়ূন আহমেদ কিভাবে যেন কিছু টাকার ব্যবস্থা করে জাফর স্যারকে নিয়ে বের হলেন ফার্নিচার কিনতে। নিউ মার্কেটে গিয়ে ফার্নিচারের দাম শুনে দুই ভাই প্রচন্ড অবাক। দুই ভাই মন খারাপ করে রাস্তায় কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করে বাসায় ফিরে আসেন।
হুমায়ূন আহমেদ একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাইকে বললেন, কিছু ফার্নিচার আমরাই বানিয়ে ফেললে কেমন হয়? হাতে কিল মেরে জাফর স্যার বললেন, দারুন আইডিয়া। যেই ভাবনা সেই কাজ। দুই ভাই মিলে দোকান থেকে কিছু কাঠ, একটা করাত, হাতুরী এবং কিছু পেরেক কিনলেন। হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সবাই বেপারটা স্বাভাবিক ভাবেই নিলেন। তারা পরিবারেই সবাই মিলে আলোচনায় বসলেন কিভাবে ফার্নিচার বানানো যায় এবং কি কি ফার্নিচার। সবাই মিলে একটা তালিকা তৈরি করলেন। তালিকাতে প্রায় সবই ছিল- খাট, আলমারী, ড্রেসিং টেবিল, সোফা সেট, বুক শেলফ এবং হারমোনিয়াম রাখার বাক্স। ছাদের উপর ফার্নিচার বানানোর কাজ শুরু হলো। করাত দিয়ে কাঠ কাটতে গিয়ে তারা আবিস্কার করলেন ফার্নিচার তৈরি করা অনেক কঠিন কর্ম। তারপরও নানান ঝামেলা করে তারা একটা বুক শেলফ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

একদিন সকালে হুমায়ূন আহমেদ ছোট ভাই আহসান হাবীবকে ফোন করে বললেন, একজন ডাক্তার নিয়ে আমার বাসায় আয়। আহসান হাবীব পড়লেন বিপদে- এত সকালে ডাক্তার কোথায় পাবেন! অনেক খোঁজাখুজি করে এক তরুন ডাক্তার নিয়ে হাজির হলেন বড় ভাই হুমায়ূন আহমেদের ধানমন্ডির বাসায়।
হুমায়ূন আহমেদ তখন খালি গায় বসে লিখছিলেন, আহসান হাবীব বললেন, দাদা ভাই এই যে ডাক্তার। হুমায়ূন আহমেদ ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি ডাক্তার? কয়টা রুগী মেরেছো? তরুন ডাক্তার প্রশ্ন শুনে হতভম্ব।

হুমায়ূন আহমেদ একবার ঠিক করলেন তাঁর বাবার কবর পিরোজপুর থেকে উঠিয়ে নুহাশ পল্লীতে নিয়ে আসবেন। সবার সাথে আলোচনা করে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন। তখন ঘনিষ্ঠ একজন প্রশ্ন করলেন, স্যার তাহলে পিরোজপুরে আপনার বাবার খালি কবরটা কি হবে? হুমায়ূন আহমেদ একটু ভাবলেন, তারপর গম্ভীর গলায় বলেন- 'টু-লেট জুলিয়ে দিলেই হবে'। (যদিও পরে তাঁর বাবার কবর নুহাশ পল্লীতে আনা হয়নি বড় বোনের প্রবল আপত্তির কারনে।
হুমায়ূন আহমেদ সব সময় মৃত্যু নিয়ে ঠাট্রা-তামাশা করে গেছেন। শেষ-মেষ মৃত্যুই তাঁর সাথে ঠাট্রা করে গেল।

( এরকম অনেক তথ্য আমি দিতে পারি। যা আপনাদের বিস্মিত করবে। যদি আপনারা আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে আমি আরও লিখতে রাজী আছি। আমার মত হুমায়ূন ভক্ত বাংলাদেশে অনেক আছে। বলতে লজ্জা নেই- যখন হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু সংবাদ পাই, তখন আমি মাটিতে গড়াগড়ি করে অনেক কেঁদেছিলাম। আমার জীবনেও আমি এত কাঁদিনি, এত কষ্ট পাইনি। দুইদিন না খেয়ে ছিলাম।
হুমায়ূন আহমেদের এমন কোনো বই নেই যা আমি পড়িনি। বরং প্রতিটা বই এক'শো বার-দুই'শো বার করে পড়া। এখনও প্রতিটা দিন হুমায়ূন আহমেদের কোনো না কোনো বই পড়ি। বারবার পড়ি, প্রতিদিন পড়ি। একটুও বিরক্ত লাগে না। যে কোনো বইয়ের কাহিনী আমি নিমেষেই বলে দিতে পারি। যে কোনো চরিত্রের নাম বলতেও আমার এক মুহূর্ত সময় লাগে না। এজন্য আমি অনেক গর্বিত।)

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

নিলু বলেছেন: লিখে যান

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০০

মাহমুদ তূর্য বলেছেন: চলুক সাথে আছি...

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে। তাহলে আগামীকাল আরেক পর্ব লিখব।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনাকে অনুসরণ এ নিলাম।

হুমায়ূন স্যারের কোন তথ্যঈ মিস করতে চাই না।

ভালো থাকবেন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আজ রাতেই আরেক পর্ব লিখব।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুমায়ুনের ঠিক ভক্ত নই, তবে আপনার লেখা ভাল লাগল|

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৫

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: লিখে যান ভাইয়া....নতুন কিছু জানলাম।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আরও নতুন কিছু জানতে অপেক্ষা করুন।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ সম্বন্ধে যেকোনো অজানা তথ্য জানতে আমি ভীষণ আগ্রহী। আপনি এগিয়ে যান। আপনার এই ধারাবাহিকে অবশ্যই দৃষ্টি থাকবে রাজীব। হুমায়ূন আহমেদের চাইতে পৃথিবীতে অনেক বড় বড় সাহিত্যিক আছেন জানি। কিন্তু তারপরও হুমায়ূন আহমেদ পড়ে যে তৃপ্তি পাই, সেটা অন্য কারো লেখায় পাই না। যদি কেই এর জন্য আমাকে অন্ধ পাঠকও বলেন, মাথা পেতে নিতে আমার কোন সমস্যা নাই। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো রাজীব।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম সুন্দর লেখা। লিখে যান। ফার্নিচারের গল্পটা আমি ওনার একটা বইয়ে পড়েছিলাম ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: এই লোকটা এতো তারাতারি চলে গেল কেন । বাসে বসে চোখে পানি নিয়ে মন্তবটা লিখলাম ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে...
আজ রাতে ২য় পর্ব লিখব। আশা করি পড়বেন।

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি টাকা ধার দিই না । টাকা ধার দেয়া মানে শত্রু সৃষ্টি করা। অবশ্য অনেক টাকা মালিক হলে ধার দেয়া যায় । ধার দেয়ার জন্য ধর্মেও উৎসাহিত করা হয়েছে ।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: এটা ভাল ছিল । হিটের আসায় না লিখে, লিখে যান

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চলুক.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.