নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সুবোধ ঘোষ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

সুবোধ ঘোষের বহুবন্দিত উপন্যাস ‘সুজাতা’-তো গোটা ভারতবর্ষে অমরত্ব লাভ করেছে বিমল রায়ের ১৯৫৯ সালের হিন্দি ছবি ‘সুজাতা’-র কল্যাণে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এযুগের ছেলেমেয়েরা বাংলা সুবোধ ঘোষ তেমন পড়ে না। সুবোধ ঘোষের কর্মজীবন ছিল বৈচিত্র্যময়। কলেজ ছেড়ে ট্যুইশনি, বাস কন্ডাক্টরি, ট্রাক ড্রাইভা্রি – সবকিছুই করেছেন। সার্কাস পার্টিতেও নাকি কিছুদিন ছিলেন। এমন কি কর্পোরেশনে ঝাড়ুদারের কাজও করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার ফসল তাঁর লেখায় স্পষ্ট।

ভাবতে অবাক লাগে যে 'অযান্ত্রিক' এবং 'ফসিল'-এর মত বাংলা সাহিত্যের যুগান্তকারী গল্প অত দ্রুত তিনি কি করে লিখেছিলেন! এই দুটি গল্পের পেছনে যে কাহিনী - সেটি হল, দুটো গল্প একই দিনে লেখা হয়েছিল তরুণ সাহিত্যিকদের ‘অনামী সঙ্ঘ’-র সদস্যদের অনুরোধে। সুবোধ ঘোষের বয়ানে – ‘- সন্ধ্যা বেলাতে বৈঠক, আমি দুপুর বেলাতে অর্থাৎ বিকেল হবার আগেই মরিয়া হয়ে সাত তাড়াতাড়ি গল্প দুটি লিখে ফেলেছিলাম।

সুবোধ ঘোষ জন্মেছিলেন ১৯০৯ সালে ঢাকার বিক্রমপুরে জেলায়, মৃত্যু ১৯৮০ সালে। সুবোধ ঘোষের লেখা প্রথম ছোট গল্প অযান্ত্রিক, যা আনন্দবাজারের বার্ষিক দোল সংখ্যায় (১৯৪০) ছাপা হয়। প্রথমে শ্রী গৌরাঙ্গ প্রেসে প্রুফ দেখার কাজ পান। এক সময় ওখানে ম্যানেজারের দায়িত্বও পান। সুবোধ ঘোষ কলকাতায় এসে এটা ওটা কাজের মাঝে গল্প লিখতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় দফতরে কাজ পেলেন। আর এখান থেকেই তার সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা লাভ।

একসময় সুবোধ ঘোষের 'ভারত প্রেমকথা' বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল, সেই বেস্ট সেলার বইটির বিক্রির সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারের মতো।

'শুন বরনারী' সহজ সরল একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসকে সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন- অতি সাধারণ উপন্যাসও মুগ্ধ হয়ে বারবার পড়েছি। উদাহরণ, সুবোধ ঘোষের শুন বরনারী। উপন্যাসের কাহিনী এই রকম- হিমাদ্রিশেখর দত্ত ওরফে হোমিও হিমু। পেশায় হোমিও চিকিৎসক। যদিও কেউ তাকে ডাক্তারি করতে দেখেনা। লোকের ছেলেপেলে পড়িয়ে রোজগার চলে। আর,আসল কাজ হচ্ছে পরোপকার, মানে, অমুকের সাথে অমুক জায়গায় যেতে হবে,অমুকের মেয়েকে ট্রেনে করে হোস্টেলে দিয়ে আসা, নিয়ে আসা, অমুক কে তীর্ত্থে নিয়ে যাওয়া, এইসব। না করতে পারেনা হিমু। এমন কাজেই ডাক পড়ে তার।
এবার ডাক পড়ল চারুবাবুর বাড়িতে। তার মেয়ে যূথিকা ঘোষ কে দিয়ে আসতে হবে পাটনায়। যূথিকার মামী পাটনা থেকে চিঠি পাঠিয়েছেন, নরেন আসছে, যার সাথে যূথিকার বিয়ে হবার কথা। তাই, যূথিকা ঘোষকে নিয়ে ট্রেনে চাপল হিমু…

লিংক Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.