নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে (নয়)

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:১৬

৮১। রকি (Rocky) সিলভেস্টার স্ট্যালনের লেখা এবং অভিনীত Rocky মুভিটি মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। মুভিটি একজন বক্সার যিনি দেনার দায়ে প্রায় ডুবে আছেন। কিভাবে হাল না ছেড়ে শুধু মাত্র প্রচন্ড ইচ্চাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যেমে পরিণত হন একজন সফল বক্সারে। মুভিটি আপনাকে এই মেসেজটি দিবে, যদিও সারা দুনিয়া আপনাকে বুঝায়, যে আপনি সফল হতে পারবেন না, আপনার কোন আশাই নেই, তবু হাল ছাড়বেন না। আপনাকে লড়াই করতে হবে একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ।

৮২। আরগো (Argo) এই চলচিত্র মুক্তি পাবার পরে সি,এন,এন জিমি কার্টারের সাক্ষাতকার নিয়েছিল। এই মুভির বেস্ট পার্ট হলো ডিরেকশন আর সিনেমাটোগ্রাফি। প্রত্যেকটা দৃশ্যই অত্যন্ত যত্ন নিয়ে বানানো। কাহিনী সেই আশির দশকের জিম্মি সংকট কে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খায়। শাহ পাহলাভি ক্ষমতাচুত্য হওয়ার পর তাকে যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দেয়। সেটা নিয়ে ইরানে বিশাল বিক্ষোভ চলতে থাকে। একদল বিক্ষোভকারী ইরানের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে এবং ভিতরে আক্রমন চালায়। তারা ৫০ জনকে জিম্মি করে। কিন্তু ঘটনা চক্রে ৬ জন দূতাবাস কর্মী সেখান থেকে পালিয়ে কানাডিয়ান এক কুটনৈতিক কমকর্তার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তাকে উদ্ধারের লক্ষ্যে সিআইএ এর গোপন মিশন ই এই মুভির মূল উপজীব্য বিষয়।

৮৩। দি আর্টিস্ট (The Artist) পুরোদস্তুর নির্বাক মুভি এবং প্লটেও সেই নির্বাক চলচ্চিত্রের সময়কালকেই দেখানো হয়েছে। কোনো নির্বাক মুভিকে ব্রিলিয়ান্ট করতে দুইটা জিনিস লাগে আর তাহলো স্টোরিটেলিং আর অভিনেতাদের পারফরম্যান্স। আর এই দুই দিয়ে শতভাগ সফল The Artist মুভিটি। এক নির্বাক মুভি তারকার সাথে দেখা হয় এক উঠতি নর্তকীর। সবাক সিনেমার আবির্ভাব তাদের দুজনের ক্যারিয়ারকে দুদিকে ঠেলে দেয়। মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৫ এবং আমার পার্সোনাল রেটিং ৯/১০।

৮৪। ডক্টর জিভাগো (Doctor Zhivago) একজন রুশ ডাক্তার ও কবির কাহিনী। বিবাহিত লোকটি এক রাজনৈতিক কর্মীর স্ত্রীর প্রেমে পড়ে যায়। শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং তারপরে অক্টোবর বিপ্লব। এটি একটি রাশিয়ান মুভি।

৮৫। রিয়েল স্টীল (Real Steel) রোবট লড়াই এর নিখুঁত মিশ্রন, আবেগ, কিছু কমিক দৃশ্য, পিতা পুত্রের ভালোবাসা, সুন্দর স্টোরিলাইন আর কি চাই বলুন! মুভির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রবোফাইট সেটাও যথেষ্ট উপভোগ্য।

৮৬। ডগ ডে আফটারনুন (Dog day afternoon) এই মুভিতে দেখা যায় দুই জন লোক একটা ব্যাংক ডাকাতি করতে যায়। কিন্তু পুলিশ খবর পায় এবং ব্যাংক ঘিরে ফেলে। তারপর ব্যাংকের ভেতরের লোকদের জিম্মি করে দুই ব্যাং ডাকাতের চলে পুলিশের সাথে দর কষাকষি। অনেকে বলেছেন- এই মুভির গল্প দূর্বল। শুধুমাত্র অভিনয়ের জন্য ভালো লাগে দেখতে।

৮৭। দি টার্মিনাল (The Terminal) ভিক্তর নভরস্কি পূর্ব ইউরোপ থেকে নিউ ইয়র্ক শহরে এসেছে একজন জ্যাজ মিউজিশিয়ানের অটোগ্রাফ সংগ্রহ করতে। ভিক্তরের প্রয়াত পিতা ছিলেন জ্যাজ মিউজিকের ভক্ত। তিনি হাঙ্গেরিয়ান একটি পত্রিকায় এক দল জ্যাজ মিউজিশিয়ানের একটি ফটোগ্রাফ পেয়েছিলেন। সেই ছবির সব তারকার অটোগ্রাফ জোগাড় করতে চেয়েছিলেন ভিক্তরের পিতা। একজন ছড়া বাকি সবার অটোগ্রাফ তিনি জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই বাকি একজন হলেন টেনর সেক্সোফোনিস্ট বেনি গোলসন যিনি এখন নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করছেন। তাঁরই অটোগ্রাফের জন্য এতদূর ছুটে এসেছেন ভিক্তর। কিন্তু বিমান বন্দরে এক অদ্ভুত সমস্যায় পড়েন ভিক্তর।
সে তার দেশ ত্যাগ করার পর পরই সেখানে শুরু হয়েছে এক রাজনৈতিক গোলযোগ। সেই গোলযোগের কারণে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ভিক্তরের দেশের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখছে না। ফলে ভিক্তর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অধিকার পায় না। আবার তাকে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ৯ মাস তাকে বিমান বন্দরে কাটিয়ে দিতে হয়। সেখানেই গড়ে ওঠে তার এক নিজস্ব জগৎ, পরিচিত পরিমন্ডল। বিমান বন্দর টার্মিনালে ভিক্তরের অভিজ্ঞতা নিয়েই নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘দি টার্মিনাল’।

৮৮। দ্য রিং (The Ring) সাইকোলজিক্যাল হরর। এটি মূলত ১৯৯৮ সালে নির্মিত জাপানী হরর সিনেমা ‘রিং’-এর পূনঃনির্মাণ। সিনেমায় দেখা যায় র‌্যাচেল কেলার নামের এক নারী-সাংবাদিক একটি রহস্যময় ভিডিও টেপ সম্পর্কে অনুসন্ধান করছে। ভিডিওটেপটি সম্পর্কে স্থানীয়দের মধ্যে একটি গুজব প্রচলিত আছে। গুজবটি হল—যে এই ভিডিওটেপটি দেখে কিছুদিনের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। র‌্যাচেলের ভাগ্নীসহ চার জন কিশোর বয়সী বালক-বালিকার এটার প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকের ধারনা।

৮৯। হোম এলোন (Home Alone) হাস্যরসের সিনেমা ‘হোম এলোন’ ১৯৯০ সালে নির্মিত হয়। আট বছর বয়সী ক্যাভিন এক বিশাল পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। ক্যাভিনের পরিবার ক্রিসমাসের ছুটিতে প্যারিসে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। যাওয়ার দিন ক্যাভিনের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। অনেক ছেলে-মেয়ের মধ্যে ক্যাভিনের মা খেয়াল করতে পারে না যে ক্যাভিন তাদের সাথে নেই। পরিবারের সবাই ক্যাভিনকে একা রেখেই বেড়াতে চলে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্যাভিন আবিষ্কার করে যে সে বাসায় একা। এতে প্রথমে সে খুশি হয়ে উঠে। সে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে থাকে। এদিকে পথে ক্যাভিনের পরিবার আবিষ্কার করে যে ক্যাভিন তাদের সাথে নেই। কিন্তু তখন আর তাদের পক্ষে ফিরে যাওয়া সম্ভব হয় না। ক্যাভিন তার একাকী জীবন উপভোগ করছিল। কিন্তু তার আনন্দের দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এক দল চোর তাদের বাড়িতে চুরি করতে আসলে ক্যাভিনকে নিজ বাড়ি রক্ষা করতে স্বচেষ্ট হতে হয়।

৯০। এমিলি (Amélie) এমিলি প্যারিসের এক ইন্ট্রোভার্ট ওয়েট্রেস।একদিন নিজের ফ্লাটে লুকিয়ে রাখা ছোট্ট এক খেলনার বাক্স খুঁজে পায় সে।আর তারপরই পাল্টে যায় এমিলির জীবন।নিজের আর চারপাশের মাণুষগুলোর জীবনে পরিবর্তন আনতে শুরু করে সে।আর এভাবেই এক দিন প্রেমে পড়ে গেলো এমিলি।

এই মুভিগুলো দেখতে বলার পেছনে আরেকটা কারণ আছে, সেটা হল জীবনে চলার পথে কোন না কোন সময় এগুলো আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। তবে, এমন কোন কথা নেই যে, আমার যে মুভিটি ভাল লাগবে- তা আপনাকেও মুগ্ধ করবে । আর আমি আমার পছন্দের মুভিগুলাকে রেটিং করতে কার্পণ্য করি না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২৭

এন জে শাওন বলেছেন: ধন্যবাদ ছবিগুলো সাজেস্ট করার জন্য।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৫২

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: দ্য রিং সুন্দর মুভি। জাপানী রিংগু টাও ভালো। তবে হলিউডেরটা আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে। রিং২ টাও সুন্দর। আমি তো বলেইছি আমি হরর মুভি প্রেমী :-B

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.