নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
Vincent van Gogh (ভিনসেন্ট ভ্যান গগ) এর বাবা ছিলেন প্রোটেস্ট্যান্ট যাজক। যে কারণে ভ্যান গগ-এর শৈশবে কট্টর ধর্মীয় আবহ ছিল। কিশোর বয়েস থেকেই ভ্যান গগ অতিরিক্ত আবেগপ্রবন ছিলেন। আর ছিলেন অস্থির। উনিশ শতকে শিল্পের তীর্থভূমি ছিল প্যারিস। প্যারিসে গিয়েছিলেন ভ্যান গগ। জীবনে ৮০০ চিঠি লিখেছেন ভ্যান গগ। প্রায় ৯০০ ছবি আঁকেন। অবশ্য জীবদ্দশায় মাত্র একখানি ছবি বিক্রি করতে পেরেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে যখন তিনি মৃত। মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে বসেও ২০০ ক্যানভাস ছবি আঁকেন।
ভ্যান গগ এর পড়াশুনার ব্যাপারে তেমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় নি আর তার চেয়ে মজার ব্যাপার হল সব মনীষী থেকে যা ভ্যান গগ কে আলাদা করেছে তা হল তার কোন শৈশব এর বন্ধুর কথা ও ইতিহাস এ পাওয়া যায় না । ১৮৭৪ সালে যখন তিনি লন্ডন এ ফিরে আসেন লন্ডনের বাড়িতে থাকাকালেই বাড়িঅলার মেয়ের প্রেমে পড়েন ভ্যান গগ। চিত্রকলার প্রথাগত শিক্ষা কখনোই পাননি ভ্যান গগ। জন্মের সময়ই মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি, সেই সঙ্গে ছিলো মৃগী রোগের প্রকোপ এবং সর্বোপরি এই দুই উপসর্গের সঙ্গে যুক্ত হয় তীব্র মানসিক অস্থিরুা। সব মিলিয়ে সত্যিকার অর্থেই পূর্ণ পাগল হয়ে যান তিনি। কিন্তু কোন চিকিৎসাই গ্রহণ করতে রাজী হননি তিনি। সপ্তাহে দুইবার গোসল করা - ব্যাস, চিকিৎসকের এইটুকু পরামর্শই গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৮৯০ সালের ২৭ জুলাই রাতে নিজের বুকে গুলি করে শুয়ে থাকলেন আর ঐ অবস্থাতেও খালি পাইপ টেনে গেলেন। ধীরে ধীরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন পৃথিবীর দুঃখীতম এই চিত্রকর।
১৭।
পটেটো ইটারস (আলু খেকো) । এটি ভ্যান গগ এর আঁকা একটি বিখ্যাত ছবি। ছবিটা বলে দেয় শ্রমজীবির জীবনের কতটা গভীরে পৌঁছেছিলেন এই ডাচ ওস্তাদ।
১৮।
এটি ভ্যান গগ-এর আঁকা ৯০০ ছবির মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয়। আসলে এই দয়ালু ডাক্তারের সহৃদয়তা পৃথিবীর মানুষ আজও মনে রেখেছে। শিল্পপ্রেমিক মহৎ হৃদয়ের অধিকারী ডা: Dr. Gachet নিঃসঙ্গ একজন চিত্রকরের শেষ জীবনে সেবা করেছিলেন। ১৯৯০ সালে ছবিটি ৮২.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয় ! (লক্ষণীয় নিজস্ব দুঃখবোধ ডাক্তারের মুখেচোখে সঞ্চারিত করেছেন ভ্যান গগ!)
১৯।
অদ্ভুত সুন্দর একটা ছবি।
২০।
ছবিটা দেখুন। খুব মন দিয়ে দেখুন। বুঝতে চেষ্টা করুন।
জয়নুল আবেদিন- মাত্র ষোল বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে বন্ধুদের সাথে সেই দূরের শহর কলকাতায় গিয়েছিলেন কলকাতা গভর্নমেন্ট স্কুল অফ আর্টস দেখার জন্য। ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতার সরকারি আর্ট স্কুলের ছাত্র ছিলেন। ১৯৪৩-এর বাংলার দুর্ভিক্ষ জয়নুল আবেদিনকে একেবারে বদলে দেয়। গ্রাম-বাংলার রোমান্টিক নিসর্গ শিল্পীকে রূপান্তরিত করে ফেলে এক দুর্দান্ত বিদ্রোহী ব্যক্তিত্বে। ১৯৫১-৫২তে জয়নুল আবেদিন সরকারি বৃত্তি নিয়ে এক বছরের জন্যে ইংল্যান্ডে যান। আবেদিন ছিলেন মুক্তিকামী মানুষ। স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্যে যাঁরা সংগ্রাম করেন তাঁদের সবার সাথেই একাত্মতা জানাতে উত্সাহী ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ছ'মাস ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে ১৯৭৬ সালের ২৮ মে তিনি মাত্র ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
তুলির আঁচড়ে তিনি লিখে গেছেন একের পর এক মানবতার গান। প্রকৃতি ও মানবতাদরদী এই মানুষটি ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। রঙ আর ক্যানভাসে তিনি সারা জীবন বলেছেন মানুষের কথা, কৃষি ও কৃষকের কথা, সাম্যের কথা, সত্য আর শুদ্ধের কথা। ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষ চিত্রমালার জন্য সারা বিশ্বের কাছে খ্যাত হয়েছেন। তার কিছু স্মরণীয় কাজ হলো ‘নৌকোর গুণটানা’, ‘পল্লী-রমণী’, ‘আয়না নিয়ে বধূ’, ‘একাকী বনে’, ‘পাইন্যার মা’, ‘মা ও শিশু’, ‘তিন পল্লী রমণী’, ‘মুখ চতুষ্টয়’ ইত্যাদি।
২১।
২২।
২৩।
ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট থেকে খাদ্যান্বেষণে তীব্র প্রতিযোগিতা চলেছে মানুষ আর কুকুরের মধ্যে।
২৪।
মৃত্যুর মাত্র ক’দিন আগে হাসপাতালে শুয়ে তিনি তাঁর নিজস্ব ঢঙে শেষ ছবিটি আঁকেন- দুটো মুখ। বলিষ্ঠ মোটা রেখায়, কালো কালি আর মোম ব্যবহার করে।
Jackson Pollock (জ্যাকসন পোলক) আধুনিক চিত্রকলার ইতিহাসে খুবই পরিচিত একটি নাম। জ্যাকসন পোলক বরাবর চেয়েছেন ছবি কীভাবে নিজেকে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করে, দর্শক তা দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। সেজন্যই তাঁর ছবি নিয়ে অনেক বিতর্কের পর সবাই বলতে বাধ্য হন, তিনি ছবি দেখার ধারাটি পালটে দিয়েছেন। জ্যাকসন পোলক চার বছর বয়সে খেলতে খেলতে চাপাতি দিয়ে নিজের আঙুল কেটে ফেলেন, ক্ষত শুকাতে অনেকটা সময় কেটে যায়। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছে জ্যাকসন একটি ছোট্ট শয়তান : অস্থির, পাগলাটে, ঝুঁকিপূর্ণ, সমস্যাগ্রস্ত, বিকারপ্রবণ আবার তাঁর মাতলামি ও উদ্ভট আচরণ উপভোগ করার জন্য উৎসাহী বন্ধুরা তাঁর হাতে বোতলের পর বোতল অ্যালকোহল তুলে দিয়েছেন। ১৯৩০-এর দশকে দারিদ্র্য তাঁকে এতটাই প্রান্তবর্তী করে ফেলেছিল যে, কখনো কখনো তাঁকে খাবারও চুরি করতে হয়েছে।
তুলিতে রং নিয়ে ইজেলে রাখা ক্যানভাসে আঁচড় দেওয়ার শিল্পী তিনি নন। জ্যাকসন পোলক আবিষ্কার করলেন নিজের ধারা। ফ্লোরে বিছিয়ে নিলেন ক্যানভাস। ক্যানভাসের ওপর ফোঁটায় ফোঁটায় ফেললেন তরল রং। ক্যানভাসে তখন ছোট-বড় অনেক বহুবর্ণ রঙের ডিবি। ছবি আঁকার জন্য পোলক কোন ব্রাশ কিংবা তুলি ব্যবহার করতেন না, শক্ত কাঠের টুকরো কিংবা ছুরি। এসব দিয়ে ক্যানভাসের চারদিকে হেঁটে হেঁটে এনামেল পেইন্ট ছড়িয়ে রঙের ছন্দময় বুনট তৈরি করতেন তিনি। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় জ্যাকসন পোলক মারা যান।
২৫।
২৬।
২৭।
২৮।
০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২২ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
মমিনুল হক মমিন বলেছেন: কিছু চিত্র শিল্পের সাথে পরিচয় করাবার জন্য ধন্যবাদ
০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।
০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: ভ্যান গগের নাকি শুঁড়ি বাড়ি যাওয়ার রোগ ছিল।
জনাব জয়নুল আবেদিন এর আঁকা সুন্দর।