নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কী অদ্ভুত, 'মৃত্যু' খেলাকে কেন্দ্র করে! অসম্ভব রকমের ভয়ংকর এক খেলা, একপক্ষের মৃত্যুতেই কেবল যার ইতি! স্পেনের জাতীয় খেলা বুল ফাইট। গ্রীকরা বুল ফাইটিং এর উদ্ভাবক। স্প্যানিশ'রা বুল ফাইটিং খেলাকে পরিনত করেছে শিল্পে। পশু প্রেমীদের হাজারো আপত্তি উপেক্ষা করেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বুলফাইট। খুনের উৎসব । সাধারনত শেষ বিকেলেই আয়োজন করা হয়ে থাকে ফাইটের। খেলা শুরুর আগে প্রতিটা পশুকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রাগিয়ে দেয়া হয় এবং কোনো খাবার খেতে দেয়া হয় না। খেলা শেষে পশুটিকে হত্যা করা হয়। হত্যার মধ্যে দিয়ে খেলা শেষ হয়।
মানুষ সেই প্রাচীনকাল থেকে মারামারি দেখতে বড্ড পছন্দ করে। কেন, কে জানে? গত বছর এক জরিপে বলা হয়েছে- ৬৫ শতাংশ জনতা এই নির্দয় খেলাটি আজকাল পছন্দ করে না। বুল ফাইট ওদের জাতীয় খেলা বলা যেতে পারে। যেমন ওরা ফুটবল-পাগল তেমনি ওরা ষাঁড়ের লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত। গত একমাস ধরে আমি ইউটেবে বার বার ফুল ফাইট দেখছি। আমার মনে হচ্ছে, খেলার নামে ‘বোকা’ পশুকে নিষ্ঠুরতম পন্থায় নিধন করার এই আনন্দোল্লাসকে ‘সভ্যতার অসভ্যতা’ বলা যেতে পারে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ ধরনের কোন নির্মম খেলা পছন্দ করি না। বহু স্পেনীয়র মতে, বুল ফাইটিং কেবলমাত্র খেলা নয় এটি একটি প্রাচীন ‘শিল্প’।
অতীতে বাংলাদেশে ষাঁড়ের লড়াই একটি প্রসিদ্ধ খেলারূপে প্রচলন ছিল। লড়াই করার জন্য ষাঁড় গরু আলাদাভাবে লালন পালন করা হতো। এর দ্বারা হাল চাষ বা অন্য কোন ধরণের কাজ করা হতো না। ষাঁড়টিকে মোটাতাজা করা হতো শুধু লড়াই করার জন্য। শুকনো মৌসুমে গ্রামের বাজারে ঢোল পিটিয়ে ষাঁড়ের লড়াই দেখার আমন্ত্রন জানানো হতো। বুলফাইটিং কি, তা কাউকে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে বুলফাইটিং স্পোর্ট কিনা, তা নিয়ে বহুকাল যাবৎ বিতর্ক চলছে।
স্পেনের ক্যাটালোনিয়া প্রদেশে বুলফাইটিং নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ পর্তুগালে বুলফাইটিং চলে, তবে রক্ত না ঝরিয়ে। একটা ঘটনা বলি- সুদূর আমেরিকা থেকে ২০ বছরের তরুণ বেঞ্জামিন ঘুরতে গিয়েছিল স্পেনে। সেখানে গিয়ে সে যায় ষাঁড়ের সঙ্গে দৌড় বা 'বুল রানিং' দেখতে। তারপর সে ঠিক করে বুল ফাইটিংয়ে অংশ নেবে। সেইমত সে ঢুকে পড়ে ষাঁড়দের উত্ত্যক্ত করে ছুটতে থাকে। দৌড়নোর নিয়মকানুন সেভাবে জানা ছিল না তার, হঠাত্ই একটা ষাঁড় তাঁর দিকে ছুটে আসে, পালাতে গিয়ে পড়ে যায় সে।
নিজের বাগে পেয়ে উন্মক্ত ষাঁড় বারবার তাকে মাটিতে ফেলে সিং দিয়ে গুঁতোতে থাকে। সেখানে অচৈত্য হয়ে পড়ে সে। কোনওরকম একজন তাঁকে উদ্ধার করে আনে। অনেকেই ভেবেছিলেন এই মার্কিন পর্যটক হয়তো মারা গিয়েছেন। কিন্তু পরে দেখা যায় সে তখনও বেঁচে। ততক্ষণাত্ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁকে এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সবাই হাল ছেড়ে দিলেও ডাক্তররা শেষ চেষ্টা করেন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জটিল অপারেশেনর পর তার অবস্থা বিপদমুক্ত হয়। সেই তরুণের সঙ্গে আরও তিন বিদেশী পর্যটক আহত হয়েছিলেন। তাঁরাও সুস্থ আছেন।
স্পেন ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানী মাদ্রিদ। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ৫১তম দেশ। প্রধান আয় হয় পর্যটন তারপর কৃষিকাজ।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দিনিয়ার সবচেয়ে নৃশংস প্রানী মানুষ, যারা আন্দনের জন্য অন্যকে কস্ট দিতে জানে।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট।