নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফোটোগ্রাফী- ২৩

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

পৃথিবীকে সুন্দর করে সাজাবার দায়িত্ব আমাদের। হাজার হাজার বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিলো এই পৃথিবী। অথচ কয়েক শতাব্দি আগে পর্যন্ত অর্থাত ক্যামেরা আবিস্কারের আগে এই পৃথিবী ডুবে ছিলো গভীর অন্ধকারে বলা যায়। ক্যামেরা এমন একটি যন্ত্র- যা বাস্তবকে হুবুহু স্থায়ীভাবে ধরে রাখে। যা অন্যকোন মাধ্যমে সম্ভব নয়। প্রাগ-ঐতিহাসিক যুগে মানুষ অঙ্কন করে স্মৃতি ধরে রাখতো। মানুষের মনের প্রেক্ষাপটে জেগে ওঠা নানান চিন্তাধারা ফুটে উঠেছিলো সেই অঙ্কন বা খোদাই করা গুহা চিত্রের মধ্য দিয়ে। সভ্যতার সাথে সাথে এগিয়ে চললো শিল্পী মনের পরিবর্তন। তুলি চিত্র থেকে শুরু আলোক চিত্রের প্রবাহ। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহা বিজ্ঞানী এবং মনিষীদের মহৎ কর্মকান্ডের অনুশীলনে পৃথিবী আজ গর্বিত এবং ধন্য।

কোডাক কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ইস্টম্যান ক্যামেরা এবং ফিল্মের সহজতর উৎপাদনে পৃথিবীময় বিস্ময়কর খ্যাতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলো। বর্তমান বিশ্বে নানা ধরনের ক্যামেরা আজ প্রগতিশীল পৃথিবীকে দারুনভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্বে আজ বহু রকম ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু সকল ক্যামেরা কোম্পানির লক্ষ্য একই।

আলোকচিত্র বিভাগটি অতিসুক্ষ্ম কর্মশৈলী এবং অতি অনুভূতি সম্পুর্ন কর্মকান্ড। আমরা জানি যে, সুইচ ক্লিক করলেই ছবি উঠবে বা যেমন তেমন আলোর ব্যাবহার থাকলেই ছবি ঊঠবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এই আলোকচিত্রের কোন সঠিক মুল্যায়ন ব্যাক্ত হবে না। যেমন বলা বা ধরা যেতে পারে- একটি হারমোনিয়ামে অনেকগুলো 'রিড' থাকে। 'রিড' এ চাপ দিলে অবশ্যই শব্দবা সুর বা ধনি বের হবে কিংবা শোনা যাবে। কিন্তু তাতেই কি বিমুগ্ধ সুরের সৃষ্টি হবে? ঠিক সেইভাবে সাদা কাগজে কতগুলি রং দিয়ে তুলির আঁচর টানলেই কি সুন্দর ছবি হবে? তাই ভালো সুর সৃষ্টি করতে হলে যেমন ভালো বা দক্ষ যন্ত্রীর আবশ্যক তেমনি ভালো বা সুন্দর ছবি আঁকতে হলে বিজ্ঞ শিল্পীর প্রয়োজন। অনুরুপ ও সুন্দর নিখুঁত আলোকচিত্র গ্রহন করতে হলে ফটো্গ্রাফারের বিচক্ষনতা ও দক্ষতার গুরুত্ব অপরিসীম।

লেন্স অর্থ দৃষ্টি সহায়ক কাঁচ। লেন্সকে ক্যামের চোখ বলা যেতে পারে। অনেকেই ক্যামরাকে মানুষের চোখের সাথে তুলনা করেছে। ক্যামেরার সামনে কি ধরনের লেন্স ব্যাবহার করলে কি হতে পারে বা কোনধরনের ছবির জন্য কি ধরনের লেন্স ব্যাবহার করা উচিত- তা পরিপূর্ন ভাবে জানতে হবে এবং সঠিক লেন্স নির্বাচন করতে হবে। লেন্সের সামনে যা থাকে তাই সে তুলে ধরে।ফলে এ বিষয় প্রমানিত হয় যে,ক্যামেরা মিথ্যা বলে না বা দেখায় না। প্রতিটি লেন্স তিনটি উপাদান নিয়ন্ত্রন করে থাকে। অথবা বলা যেতে পারে যে, তিনটি উপাদানে গঠিত প্রতিটি লেন্স। যেমন, 'ফোকাল লেংথ', 'ফোকাস' এবং 'এক্সপোজার' তিনটি উপাদান

ফোকাল লেংথ বিষয় বস্তুকে মুল্যায়ন করে, আপেক্ষিক বক্তব্যকে প্রকাশ করে এবং দৃষ্টিকোনকে সচেতন করে। সর্বোপরি সীমাবদ্ধতার মাপকাঠিতে নির্নয় করে বিষয় বস্তুকে। ফোকাস বিষয় বস্তুর পরিস্কারভাব দৃষ্ট করে অর্থাত স্বচ্ছ জ্যোতি প্রকাশে সুন্দর ভাব ব্যাক্ত করে। আবার অস্বচ্ছ জ্যোতি প্রকাশে সচ্ছতার বিঘ্ন ঘটায়। এক্সপোজার মান বিষয় বস্তুর উপরে পতিত আলোক নিয়ন্ত্রন করে এবং স্বাভাবিক দৃষ্টি (সময়) প্রতিষ্ঠিত করে।

সূর্যের আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল। সূর্যের আলোকে সাধারনত সাদা বলে ধরা হয়। বিশেষ করে মধ্যবর্তী সময়ের পরিস্কার আকাশ যখন থাকে। সূর্যের আলোর ভিতর দিয়ে প্রচুর 'লাল উজানী আলো', 'অতি বেগুনী আলো', এবং 'নীল বেগুনী আলো'- নামক তিন প্রকার অদৃশ্য রশ্মি নির্গত হয়। এই তিন প্রকারের রশ্মি খালো চোখে দেখা যায় না। তবে ছবিতে ধরা পরে স্পষ্টভাবে। একজন আলোচিত্রির বিভিন্ন রং সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানা দরকার। কোন রং কেমন? কি কাজ করে? বা কি ভাব প্রাকশ করে? ফটপর্গ্রাির মধ্যে লাল রঙ কে অন্যতম সুন্দর রং হিসেবে গন্য বা নির্বাচন করা হয়। লাল রঙকে চিহ্নিত করা হয়েছে 'গরম রঙ' হিসেবে। আগুন যেমন গরম এবং আকর্ষনীয় তেমনি লাল রঙ অতি গরম ও আকর্ষনীয় যা সহজেই প্রলুব্ধ করে। লাল রঙের পাশাপাশি কমলা রঙ বিমুগ্ধ সৃষ্টির আনুভূতি প্রকাশে সক্রিয় কাজ করে। হলুদ রঙ লাল বা কমলা রঙের মত উত্তেজক নয়। তবে শীতল পরশেরো ধার ধারেনা। সবুজ ও নীল অথবা মেজেন্টা না গরম না শীতল, আলোকচিত্র গ্রহন ক্ষেত্রে সবচেয়ে মাঝারি নিয়ন্ত্রনে উল্লেখযোগ্য রঙ হিসেবে ভায়োলেট তথা মেজেন্টা রঙকে স্বীকার করা হয়েছে সর্বক্ষেত্রে। সকল রঙের ধ্বংশকারী হিসেবে কালো রং স্থিরভাবে সিহ্নিত। উদাহরন হিসেবে বলা যেতে পারে যে, একটি সুন্দর মুখের (মেয়ে) আলোকচিত্র গ্রহন করতে হবে। মুখের রঙ সাধারনত হালকা গোলাপি/হলুদ বর্ণ ধরা যায়। এবং মেয়েটির পিছনের দিকে থাকছে সবুজ গাছ-পালা বা সবুজ ঘাস অথবা সবুজ ঝোপঝাড়। মুখমন্ডলের উপরে পিছনের সবুজ রঙের যথেষ্ট প্রভাব থাকবে। অবশ্যই এই প্রভাব খালি চোখে দেখা যায় না কিন্তু রঙিন ছবিতে ধরা পড়বে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.