নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি- কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩




১। ঢাকা শহরে বিশাল এক হাতি ভিক্ষা করে বেড়ায়।
একদম নাদুস নুদুস। হাতির পিঠে বাদশা'র মতো বসে থাকে হাতির মালিক।

প্রথমে হাতিটি কোনো দোকানের সামনে গিয়ে খুব ভদ্র ভাবে দাঁড়ায়। তারপর শূড় তুলে লম্বা একটা সালাম দেয়। যে পর্যন্ত টাকা দেওয়া না হবে সে একটুও নড়বে না। লম্বা শূড়টি দোকানের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে থাকে।

অনেক নির্দয় লোকও হাসিমুখে দশ টাকা বের করে দেয়। কি সুন্দর করে যে দশটি টাকা শূড় দিয়ে প্যাচিয়ে নেয়, তারপর উপরে বসে থাকা মাহুত এর কাছে পৌঁছে দেয়।

হাতি আমার খুব'ই প্রিয় প্রানী। আজ অফিস থেকে ফেরার পথে মগবাজার মোড়ে হাতিটিকে দেখতে পাই। আমি হাতির সামনে যেতেই হাতিটি আমাকে সালাম দিল। এত বিশাল এই প্রানীটির সালাম পেয়ে আমি মুগ্ধ!

হাতিটিকে আমি বললাম, আমি ভিক্ষা দেব না। তবে তুমি যদি কলা খেতে চাও আমি তোমাকে একটি কলা কিনে দিতে পারি। মনে হলো, আমার প্রস্তাবে হাতিটি খুব খুশি হলো।
আমি একটি কলা কিনে হাতির মুখে ধরতেই সে তার শূড় দিয়ে কলাটি মুখে পুড়ে দিল। বিশাল এক হাতি, তার একটি কলাতে কি হয়? পকেটের শেষ সম্বল দিয়ে আরও তিনটি কলা কিনে দিলাম। সে খুব আগ্রহ নিয়ে খেলো।


২। সন্তান হয়ে যাওয়ার পর মায়েদের আর চাকরি করা ঠিক না। বাবা তো চাকরি করছেন'ই। বাসায় যতই দাদী, চাচী, নানী অথবা কাজের লোক থাকুক। মায়ের আদর-ভালোবাসা অন্য কেউ দিতে পারে না। হুম, সন্তান হওয়ার আগ পর্যন্ত চাকরি করা যেতে পারে।

যে মা সারা দিন চাকরি করে বেড়ায়, সেই সন্তানের কষ্টের শেষ নেই। সেই সন্তানের খাওয়া-দাওয়া, গোছল, ঘুম এবং লেখা-পড়া কিছুই ঠিক ভাবে হয় না। মানসিক বিকাশ সুন্দরভাবে হয় না। চাকরিজীবি মায়ের সন্তানদের কষ্ট দেখে- আমার খুব কষ্ট হয়।

আবার অনেক মা আছেন, সন্তান হওয়ার পর যত ভালোই চাকরি হোক না কেন, সন্তাননের মুখের দিকে তাকিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। তার কাছে সন্তান আগে।
আমি মনে করি, যে সমস্ত মেয়েরা মনে করে- চাকরিটাই সব তাদের বিয়ে করার দরকার নেই। সন্তান দরকার নেই- তারা চাকরি করে বেরাক।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লিখেছেন ।
আপনাকে একটি সত্য গল্প বলি ।
সময়টা ১৯৭৩ এর পরের দিককার কথা
অনেকদিন ধরে বরিশাল শহরের বড়
বাজার এলাকায় চষে বেরিয়েছে একটি
বিশাল বড় কালো ষাড়, নামটি ছিল তার
কালো পাহাড় ।বড় বাজারের রাস্তার মধ্য
দিয়ে এটা চলত । যে খাবার তার পছন্দ হত
পথের পাশের দোকান থেকে তা তুলে নিত
ডাল তরিতরকারী ও শাক ছিল তার পছন্দের
তালিকায় । যার দোকান থেকে তুলে নিত
সে নিজেকে খুব ভাগ্যমান মনে করত ।
এক দিন হলো কি জানেন, রাস্তার মাঝখানে
যখন ষাড়টি দাঁড়িয়ে ছিল পিছন থেকে
একটি ট্রাক বার বার কড়া হর্ন দিচ্ছিল
হঠাত করে কি জানি হল ষাড়টি ঘুরে দাড়ালো
এবং ট্রাকটিকে মাথা দিয়ে পিছনে ঠেলে নিচ্ছিল ।
অবস্থা বেগতিক দেখে ড্রাইভার ট্রাক থেকে নেমে
এসে ষাড়ের কাছে মাফ চাইল তার পরে
ষাড়টি শান্ত হলো ।

ঐ ষাড়টির অার একটি ছিল গুণ, সে
এলাকার সকল গাভিকে দিত সেই সেবাটি
যাতে তারা করতে পারে গর্ভধারণ ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে
এখনো থাকতে পারে এর ইতিহাস
সংরক্ষন । সে সময়কার বরিশালবাসীদের
স্বরনেও থাকতে পারে এর বিবরণ ।
ধন্যবাদ আপনার গল্প পড়ে করলাম
এই স্মৃতিচারণ ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!! জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বুদ্ধি বাড়ছে, টাকা না দিয়ে কলা দিলেন, হাতীকে ভালোবাসলেন, মালিককে নয়; আপনার বুদ্ধি বাড়ছে, আবারো ফরিদপুরে যান ( ফরিদপুরে না, কোথায় আপনাকে পেয়েছিলো )!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: গরীবের বুদ্ধির কোনো দাম নেই ওস্তাদ।

গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী- পোনা গ্রাম। ( সেদিনের ঘটনা এখনও মনে পড়লে- ভয়ে সারা শরীর কেঁপে উঠে।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: এটা আপনার নিজস্ব মতামত। কিন্তু আপনি এটা এভাবে বলতে পারতেন যে "আমি মেয়েদের চাকরি করাটা একদম পছন্দ করি না, এই এই কারণে...এবং ওরকম মেয়ের আমার মত ভালো মানুষদের বিয়ে করার দরকার নেই, ওরা চাকরি করেই বেড়াক"। কিন্তু আরেকজনের জায়গায় যেহেতু আপনি নেই তাই আরেকজনের দিক নিয়ে সরাসরি এটা বলা "যে সমস্ত মেয়েরা মনে করে চাকরিটাই সব তাদের বিয়ে করার দরকার নেই। সন্তান দরকার নেই- তারা চাকরি করে বেরাক।" এটা মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং অনধিকার চর্চা করে ফেলেছেন। প্রথমেই প্রশ্ন, মেয়েরা চাকরি করে কেন? নিছক ঝোঁকের বসে? এখন যদি বলি, মেয়েদের জন্যে সংসার সামলিয়ে চাকরি করাটা এবং নিজের সন্তানদের ঠিকমত যত্ন নিতে না পারাটা এবং তথাকথিত ভালো মানুষদের বাক্যবাণে জর্জরিত হতে থাকাটা তার জীবনকে সব দিক থেকেই কোনো একটা পুরুষের জীবনের চাইতে অনেক অনেক বেশি দুর্বিসহ করে তোলে। তারপরও সে কোন আনন্দে হাওয়ায় উড়তে উড়তে চাকরি করতে যায় বস? কারণ বিয়ের পর সেই মিষ্টি কথার ভালো মানুষটাই তার জন্যে যমদূত হয়ে যেতে বেশিদিন সময় নেয় না! সেই ভালো মানুষরা যখন কথায় কথায় বিয়ে ভাঙার হুমকি দিয়ে যৌতুক দাবি করে, অথবা সেই ভালো মানুষ এবং তার পরিবার যখন নিজ বাড়ির গৃহিনী বউকে অন্য বাড়ির চাকরিজীবী বউয়ের সাথে তুলনা করে বারবার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে সে কেমন অপদার্থের মত কেবল ঘরের অন্ন ধ্বংসই করে যাচ্ছে, সংসারের আয় বাড়াচ্ছে না তখন, অথবা, সে যখন নিজের ছোটোখাটো সখ আহ্লাদ পূরণে স্বামী ভালো মানুষটির কাছে কিছু পয়সা চেয়ে হাত পাততে বাধ্য হয় এবং তাকে বারবার কৌশলে বা সরাসরি খুব ভালোমত বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে "ভিক্ষাবৃত্তি ভালো গুণ নহে বাছা" তখন মেয়েটির কি করা উচিৎ বস? এর সমাধান আপনারা ভালো মানুষরাই ঠিক করে নিয়েন। অক্কে? কিন্তু বস, আপনার কাছে সমাধান কেবলমাত্র এটি নয়তো যে, মেয়েটি সন্তানের দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত কেবল কোরবানীই করে যাওয়া শ্রেয়, ঠিক অই মাকড়সা মায়ের মত যে ডিম পাড়ার পর বাচ্চারা মাকে খেয়ে ফেলে তবুও মা বাচ্চাদের ছেড়ে যায়না? :D নাকি কথা ঘুড়িয়ে পাল্টা যুক্তি দিবেন সমাজে এখন আর ওসব ভালো মানুষ নেই। সবাই আমার মত উদারমনা হয়ে গেছে। যে লোক হাতিকে তিনটি কলা কিনে খাওয়াতে পারে সে নিঃসন্দেহে তার বউ বাচ্চার প্রতি তার সব দায়িত্ব পালনে যোগ্য! তার বউয়ের জন্য সে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম যেখানে বউ সকল প্রতিবন্ধকতার উর্ধ্বে থেকে সারাদিন তার বাচ্চাকে আহ্লাদ করতে সক্ষম হবে। আমিও হলফ করে বলতে পারি, এরকম ভালো মানুষরা থাকলে দেশের আর একটা মেয়েও চাকরির মত বিভীষিকায় পা বাড়াতে যাবে না, ঠিক সেই মায়েদের মত, যারা সন্তানের জন্য চাকরি ছেড়ে দেয়। কিন্তু বস তাদের কি হবে, যারা অন্নধ্বংস করার অপরাধে স্বামীর বাড়িতে ঠাই না পেয়ে নিঃসন্তান অথবা সন্তান সহ আশ্রয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে বেড়ায়? যখন সন্তানের বাবার দায়িত্বটাও তাকেই নিতে হয়(কারণ সে সন্তানকে ভালোবাসে না, কারণ সন্তানকে তো কেবল এবং কেবলমাত্র ভালো মানুষ বাবারাই ভালোবাসে)। তাই না বস? আচ্ছা বস, ভালো মানুষ কি কারো চেহারায় লিখা থাকে? আম্রা যে দেখি না? কোথায় পাবো এত এত হাতি আর কোথায় পাবো সেসকল কলা খাওয়ানো বীরদের!?? যারা হাতিকে তিনটি কলা খাইয়ে তাদের সর্বোচ্চ ভালো মানসিকতার প্রমাণ দিতে পারবে হাতেনাতে? সমাধান আছে তো আপনার কাছে???
পরিশেষে এটুকুই বলব, আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। পড়াশুনা করে দুই ভাই বোন বেশ উচ্চশিক্ষিত হয়েছি, বাবা সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি। মা গৃহিনী। কি সুখের পরিবার তাই না? নিঃসন্দেহে আপনার মত মানুষদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু বাইরেটা আপনার জন্যে, আর ভিতরটা আমার জন্যে উদাহরণ। কারণ আমার মা টা একজন মাকড়সা মা। আমি তাঁকে ততটাই ভালোবাসি যতটা বাসলে কারো জন্যে নির্দ্বিধায় নিশ্চিন্তে জীবন দিয়ে দেওয়া যায়। আবার তাঁকে সমপরিমাণ ঘৃণাও করি তাঁর এই মাকড়সাসুলভ আচরণের জন্য। অসুখ হলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়না কখনো, বছরের পর বছর অত্যাচারে তার শরীরে বাসা বেঁধে উঠা রোগগুলো ওষুধের দেখা পায়না, বাসায় কাজের লোক নেই, কারণ আমার মা আছেন না? বিনা বেতনে এতটা আর কোন বান্দি খাটতে চাইবে বলেন? মা কোনো দরকারে বাবার কাছে হাত পেতে সেই হাতে দুই বা পাঁচ টাকার কয়েনটা পর্যন্ত পেয়েছে কিনা সেটা আমার নজিরে নেই, আর এমন নিশ্চুপ থেকে ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ভালো স্বামীর অশ্লিল গালমন্দ আর মারধর সহ্য করার আশ্চর্য ক্ষমতা এই মায়ের। এমনই হওয়া উচিৎ না সব মেয়েদের? এখন তো মনে হয় আসলেই তার স্বামীটি অনেক ভালো, সে যদি অকর্মা বউকে তাড়িয়ে দিত তাইলে মা তার ছেলেমেয়ে নিয়ে কই যাইত? তাইলে আর এই মা আপ্নার উদাহরণ কেম্নে হইত? কিন্তু এই মায়ের জন্যে আমার একটা চাকরি খুব দরকার। তার ওষুধ, চিকিৎসার যোগান কোনো ভালো মানুষরা দিতে আসবে না তাই।
ফলাফলঃ প্রমাণিত হল আমার মানসিকতায় সমস্যা আছে। এবং আমি চাইব, সমাজে যতদিন বাস্তবতা থেকে শত কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থানরত, মুখরোচক গল্পে মশগুল ভালো মানুষরা রয়েছেন, ততদিন মেয়েরা এরকম হীন মানসিকতা নিয়েই বেড়ে ওঠুক। :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আপনার সাথে তর্কে যাব না। তাহলে ঝগড়া হয়ে যাবে। কিছু মেয়ে আছে তারা আবেগ দিয়ে চিন্তা ভাবনা করে। লজিক তাদের ডিকশনারীতে নেই।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু কাউকে ঝগড়ায় যেতে কেউ বলেনি কিন্তু। আমার পুরোটা লিখা আবেগে ভরপুর হওয়ায় এবং আপনারটা লজিকে টইটুম্বুর হওয়ায় আমি মন্তব্যটাই শেষ করলাম আপনার লিখার শিরোনামটা দিয়ে। সো নিজের অপরাধ মেনেই নিয়েছি বস। :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন হোক আনন্দময়।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

ভীতু সিংহ বলেছেন: "আমি মেয়েদের চাকরি করাটা একদম পছন্দ করি না" এই ধরণের কথা আশে পাশে অনেক পরিচিত জনকে বলতে শুনি, আবার মাঝে মাঝে তারাই বাসায় এসে মিস্টি দিয়ে যায় নিজের মেয়ে বিসিএস কিংবা সোনালি ব্যাঙ্কে নিয়োগ পেলে। কয়েক মাস আগে বিসিএস লিখিত হল। অনেক আপুকে দেখেছি নিজের হাজব্যান্ডের সাথে পরীক্ষা দিতে এসেছেন।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৪

কালীদাস বলেছেন:




সন্তান হয়ে যাওয়ার পর মায়েদের আর চাকরি করা ঠিক না। বাবা তো চাকরি করছেন'ই। বাসায় যতই দাদী, চাচী, নানী অথবা কাজের লোক থাকুক। মায়ের আদর-ভালোবাসা অন্য কেউ দিতে পারে না। হুম, সন্তান হওয়ার আগ পর্যন্ত চাকরি করা যেতে পারে।

যে মা সারা দিন চাকরি করে বেড়ায়, সেই সন্তানের কষ্টের শেষ নেই। সেই সন্তানের খাওয়া-দাওয়া, গোছল, ঘুম এবং লেখা-পড়া কিছুই ঠিক ভাবে হয় না। মানসিক বিকাশ সুন্দরভাবে হয় না। চাকরিজীবি মায়ের সন্তানদের কষ্ট দেখে- আমার খুব কষ্ট হয়।

আবার অনেক মা আছেন, সন্তান হওয়ার পর যত ভালোই চাকরি হোক না কেন, সন্তাননের মুখের দিকে তাকিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। তার কাছে সন্তান আগে।
আমি মনে করি, যে সমস্ত মেয়েরা মনে করে- চাকরিটাই সব তাদের বিয়ে করার দরকার নেই। সন্তান দরকার নেই- তারা চাকরি করে বেরাক।



আপনি একজন সাংবাদিক সম্ভবত এবং আমি খুবই অবাক হলাম আপনার চিন্তার ধরণ দেখে; হ্যাঁ, আমি আপনাকে ভালই জানতাম। আমার মা একজন সফল ব্যাংকার ছিলেন, রিটায়ার করার আগে পর্যন্ত বাসায় ফিরতে প্রায়ই সন্ধ্যা হত তার, কখনও কখনও রাত দশটাও বাজত কাজের জন্য। তাই বলে আমাদের কারও প্রতি কোনদিন কোন কিছুতে বিন্দুমাত্র অবহেলা দেখিনি আমার মায়ের। এরকম হাজার হাজার উদাহরণ দেখাতে পারব খোদ বাংলাদেশেই, মা চাকরিজীবি হওয়ার পরও পরিবারের কোন কিছু থমকে থাকেনি। আপনি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ না করলে সেটা অবশ্য একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত অভিমত।

দেশকে আগাতে চান আসলেই? নারীদের উচ্চশিক্ষিত করুন, জবে সমান সুযোগ দিন। মধ্যযুগীয় বন্দিশিবিরে আর কত?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খুব দুঃখিত। আমার লেখার দোষে আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি একটা পত্রিকা অফিসে কাজ করি। ফোটোসাংবাদিক হিসেবে। আমারও ভুল হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.