নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রাজনীতিবিদিদের কি কোনো অবসর বা রিটায়ার্ড এর নিয়ম নেই? যেমন যারা চাকরি করে- একসময় তাদের অবসর নিতে হয়। বয়সের ভাড়ে তারা নুয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতিবিদিরা কখনও অবসর নেয় না কেন? মৃত্যু ছাড়া কি তাদের কোনো অবসর নেই? যেমন আমাদের দেশের অনেক মন্ত্রী অনেক বয়স হয়ে গেছে ঠিকভাবে কথা বলতে। ঠিকভাবে হাঁটতে পারে না। তারা কেন অবসর নিচ্ছে না?
ঢাকা শহরে দশ বা বিশ বছর আগেও রাস্তায় পানি জমতো। আজও জমে। তাহলে গত বিশ বছরে দেশের কি উন্নয়ন হলো? ক্ষমতাসীনরা কি কাজ করলো? প্রতি বছর হজের সময় হজযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এ বছরও সমস্যা হলো। আগামী বছরও সমস্যা হবে। তাহলে ধর্ম মন্ত্রী, বিমান মন্ত্রী এরা সারা বছর কি কাজ করে? প্রতি বছর ঈদের আগে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। যদিও মন্ত্রীরা কঠিন হুশিয়ারি দেন। তাদের হুশিয়ারিতে কখনও কোনো কাজ হয় না। জিনিসপত্রের দাম ঠিকই বাড়ে। তাহলে প্রতি বছর একই রকম নাটক কেন? আবার প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হয়। আগামী বছরও হবে। কত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সরকার কেন একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা নেয় না? এত বছর ক্ষমতায় থেকে সরকারের মন্ত্রীরা করে কি?
'দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে'। কেউ একজন আমাকে বুঝিয়ে বলুন কিভাবে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে? লক্ষ লক্ষ যুবক বেকার। এখনও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। ঢাকা শহরের ওভার ব্রিজ গুলোতে অসংখ্য মানুষ সংসার পেতেছে। এক পাশে রাস্তার কুকুর আর পাশে ছোট ছোট শিশুরা ঘুমায়। তিনবেলা ঠিকভাবে খেতে পায় না। দেশে চুরী ডাকাতি এবং ছিনতাই ব্যাপক হাড়ে বেড়েই চলেছে। এই আধুনিক যুগেও বাসে উঠতে হলে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়। চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, এমপি, সচিব এবং বড় বড় সরকারি আমলারা মালোশিয়া বা সিঙ্গাপুর যাচ্ছে। আর সাধারন মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে নানান দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। দেখার কেউ নেই। বলার কেউ নেই। একটা সরকারি হাসপাতালে দালালের কথায় আপনাকে উঠতে-বসতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আপনি শুধু সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালদের বের করুন। শুধু এই কাজ টা করলে দেশের মানুষ আপনাকে সারা জীবন মনে রাখবে।
আপনি কি জানেন এই ঢাকা শহরে অনেক ৫/৬ তলা বাড়ির মালিক কে? সরকারি অফিসের লোকজন। অনেক সরকারি অফিসের পিয়ন এর ৬ তলা বাড়ি আছে। যারা বাসা বাড়িতে গিয়ে পানির মিটার, বিদ্যুৎ এর মিটার অথবা গ্যাস সংযোগ দেয় তাদের প্রত্যেকের নিজের বাড়ি গাড়ি আছে। আর আমি সারা দিন পরিশ্রম করেও ছোট একটা সংসার ঠিকভাবে চালাতে পারি না। মাস শেষে আত্মীয় স্বজনদের কাছে হাত পাততে হয়। বছরে একবারও দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে পারি না।
১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮
এম আর তালুকদার বলেছেন: এক কথায় অসাধারন লিখেছেন।ধন৽বাদ।
১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ১০ বছর আগেও জ্যাম ছিল। লাগতো ৭/৮ ঘন্টা। ৪ লেইন করার পরও জ্যাম। লাগে ৭/৮ ঘন্টা। ঢাকা-টাঙ্গাইল এ আগেও জ্যাম ছিল। ৪ লেইন হওয়ার পরও জ্যাম! ঢাকা শহরে ২০ বছর আগেও জ্যাম ছিল। এর মধ্যে ৬/৭ টা ফ্লাইওভার, হাতির ঝিল, rangs টাওয়ার ভাঙার পরও জ্যাম। এদের বিচার আল্লাহ করবে...
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৬
প্রামানিক বলেছেন: আপনি কি জানেন এই ঢাকা শহরে অনেক ৫/৬ তলা বাড়ির মালিক কে? সরকারি অফিসের লোকজন। অনেক সরকারি অফিসের পিয়ন এর ৬ তলা বাড়ি আছে। যারা বাসা বাড়িতে গিয়ে পানির মিটার, বিদ্যুৎ এর মিটার অথবা গ্যাস সংযোগ দেয় তাদের প্রত্যেকের নিজের বাড়ি গাড়ি আছে। আর আমি সারা দিন পরিশ্রম করেও ছোট একটা সংসার ঠিকভাবে চালাতে পারি না। মাস শেষে আত্মীয় স্বজনদের কাছে হাত পাততে হয়।
সহমত
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
চাকরী সৃস্টি, সবার পড়ালেখার প্ল্যান করা, দেশের মানুষের জন্য চিকিৎসা ও ঘরের ব্যবস্হা করার জন্য কোন সঠিক সরকারী পদক্ষেপ আজও নেয়া হয়নি; শেখ হাসিনা এগুলো নিয়ে ভাবলে, গত ৯ বছরে এগুলো শুরু করা সম্ভব ছিলো।
বাংলাদেশের শুরু থেকে আজ অবধি, সরকারগুলো সঠিক কোন প্ল্যান নিয়ে কাজ করছে না; তারা জানে না, এ বছর ঢাকা শহরের কোথায় কত বাড়ী উঠবে, কোনদিকে শহর বাড়ছে; ফলে বন্যা সমস্যা থেকে যাবে।
হাজীদের সমস্যা হলো, বাংলাদেশ থেকে এক সংগে এত লোককে বাহিরে পাঠানোর মত দক্ষ লোকজন নেই। এত লোককে হজে যেতে দেয়ার কোন কারণ নেই। এত পরিমাণ বিদেশী মুদ্রা খরচ সত্যই বেকুবী
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮
তপোবণ বলেছেন: আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা জোকের চেয়েও খারাপ। জোঁক তো রক্ত চোষা শেষ হলে খসে পড়ে। আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা মরার আগ পর্যন্ত রক্ত চোষে। তাদের অবসর ওনলি মরণে।