নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা- ৪০

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে উপন্যাসটা শুরু করেছি তার শুরুটা এই রকম-

গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ একটা ছেলে প্রথম ক্লাশ করতে এসেছে। ছেলেটির বয়স ছয় বছর। তাকে নিয়ে এসেছে- তার বড় বোন ফাতেমা বেগম। ছেলেটি হাসি মুখে ক্লাশে রুমে ঢুকে প্রথম বেঞ্চে বসল। অন্য ছেলেদের মতন সে কোনো কান্নাকাটি করল না। বরং তার চোখে মুখে এক আকাশ আনন্দ খেলা করছে।

এই সাহসী বালকের মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। স্কুল ছুটির পর বালক একা একা হেঁটে বাসায় ফিরল। তার মেজ বোন আছিয়া বেগম ভাইকে আনতে স্কুলে যেতে চেয়েছিল- কিন্তু বালক চিৎকার করে বলেছে- আমি একাই আসতে পারব- এতটুকু পথ।

এই বালক ১৯৩৮ সনে আঠারো বছর বয়সে ফজিলাতুন্নেসা নামক এক তরুনীকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।

--------------------------- --------------------------------- ------------------------------ --------------------------

ছোট্র একটা স্বপ্নের কথা বলি।
প্রতিদিন আমরা কত স্বপ্ন দেখি- কিন্তু কিছুই মনে থাকে না। তবে আজকের স্বপ্নটার কথা খুব মনে আছে।
আমি একটা নদীতে নামছি একটু একটু করে। প্রথমে হাঁটু পর্যন্ত। তারপর কোমর পর্যন্ত। পরে একেবারে বুক পর্যন্ত। পানি কি ঠান্ডা! গভীর রাত। চারিদিকে ফকফকা জোছনা। তীব্র জোছনায় নদীর পানি ঝকমক করছে। নদীর পাড় ঘেঁষে বিশাল বিশাল পাহাড়। সাঁতার কাটার বদলে আমি একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছি।

------------------------ ---------------------------------- --------------------------- -----------------------------------


ঢাকা মসজিদের শহর। সব মসজিদেই ফজরের আজান হয়। শহরের দিন শুরু হয় মধুর আজানের ধ্বনিতে। আজানের ধ্বনির সঙ্গে নিতান্তই বেমানান কিছু কথা বঙ্গবন্ধুকে বলছে এক মেজর, তার নাম মহিউদ্দিন। এই মেজরের হাতে স্টেনগান। শেখ মুজিবের হাতে পাইপ। তার পরনে সাদা পাঞ্জাবি এবং ধূসর চেক লুঙ্গি।

শেখ মুজিব বললেন, তোমরা কী চাও? মেজর বিব্রত ভঙ্গিতে আমতা-আমতা করতে লাগল। শেখ মুজিবের কঠিন ব্যক্তিত্বের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। শেখ মুজিব আবার বললেন, তোমরা চাও কী?
মেজর মহিউদ্দিন বলল, স্যার একটু আসুন।
কোথায় আসব?
মেজর আবারও আমতা-আমতা করে বলল, স্যার একটু আসুন।

শেখ মুজিব বললেন, তোমরা কি আমাকে খুন করতে চাও? পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে কাজ করতে পারেনি, সে কাজ তোমরা করবে?

এই সময় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ছুটে এলো মেজর নূর। শেখ মুজিব তার দিকে ফিরে তাকানোর আগেই সে ব্রাশফায়ার করল। সময় ভোর পাঁচটা চল্লিশ। বঙ্গপিতা মহামনব শেখ মুজিব সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়লেন। তখনো বঙ্গবন্ধুর হাতে তার প্রিয় পাইপ।

বত্রিশ নম্বর বাড়িতে কিছুক্ষনের জন্য নরকের দরজা খুলে গেল। একের পর এক রক্তভেজা মানুষ মেঝেতে লুটিয়ে পড়তে লাগল।

পৃঃ ১০২, দেয়াল- হুমায়ূন আহমেদ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী অফিসারগুলোকে ১৯৭২ সালের পর, রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দেশের কাজে লাগানোর দরকার ছিলো; শেখ সাহেব সেটা না করে, তাদেরকে পুষেছিল নিজের মৃত্যর জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.