নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ভেবে দেখুন, বেশ কয়েকজন মিলে আপনাকে লোহা দিয়ে পিটিয়ে মারছে। অথবা হুট করে আপনার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল। দা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে মারছে। অনেকে দাঁড়িয়ে দেখছে, কিন্তু কেউ আপনাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো না। রাত্রে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন। গভীর ঘুম। হঠাত দেখলেন কারা যেন আপনার বাড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আপনি ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের হতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাইরে থেকে দরজা লাগানো। আপনার চোখের সামনে আপনার সন্তান সহ আপনি নিজে আগুনে পুড়ে মরলেন। কিছু মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় কেন? কিভাবে সম্ভব?
এবার আসুন একটু অন্য দিকে যাই। রাত্রে বাসায় ফিরছেন- হঠাত কয়েকজন এসে আপনার সব কিছু ছিনতাই করে নিয়ে গেল। অথবা চোর বা ডাকাত আপনার বাসার সব মূল্যবান জিনিস নিয়ে গেল। আরও একটু অন্যভাবে চিন্তা করুন- আপনি রিকশা করে কোথাও যাচ্ছেন- পেছনে থেকে আপনার রিকশাকে একটা ট্রাক বা গাড়ি ধাক্কা দিল। আপনার হাত-পা ভেঙ্গে গেল অথবা আপনি মরেই গেলেন। আরও চিন্তা করুন। আরও ভাবুন। গভীর ভাবে ভাবুন। সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে এই বিষয় গুলো নিয়েই ভাবুন। নিজের প্রিয় মানুষের মুখ চোখের সামনে নিয়ে ভাবুন। সময় খুব কম। পৃথিবীটা কেন এত খারাপ? কেন এত নিষ্ঠুর? কেন চারদিকে সবসময়েই এত বিপদ আপদ? এত সব ঝামেলা আর গন্ডগোলের মধ্যে কী করে বেঁচে থাকবে ভবিষ্যত প্রজন্ম?
এইবার একটু সহজ করে ভাবুন- আপনি চাকরি করছেন। হঠাত আপনার চাকরি চলে গেল। এদিকে পরিবারের সবাই আপনার উপর ভরসা করে আছে। নির্ভর করে আছে। আপনি বাজার করতে না পারলে খাওয়া বন্ধ। বাচ্চাদের লেখা পড়া বন্ধ। অথবা ধরুন, কোনো ক্ষমতাবান লোক আপনাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে ঢুকিয়ে দিল। তখন আপনার পরিবারকে কে দেখবে? দুষ্টলোক মুক্ত পৃথিবী কি আমরা কখনও পাবো না? আমরা জানি, কিছু লোকের প্রচুর টাকা নেই বলে তারা খারাপ কাজ করে। আর কিছু মানূষের প্রচুর টাকা আছে বলেই তারা খারাপ কাজ করায়। কিন্তু তারা যদি বদলে যায়। খারাপ কাজ আর না করে। বরং ভালো ভালো কাজ করে। যেমন- যার ঘর নেই তাকে ঘর করে দিল। যে গ্রামে স্কুল ঘর ভাঙ্গা সেই স্কুল ঘর পাকা করে দিল। যে গ্রামে কাঁচা রাস্তা, সেই রাস্তা পাকা করে দিল। ইত্যাদি ইত্যাদি।
কেন প্রতি বছর খরা বা বন্যা হয়?
বাংলাদেশের মানুষ জানেই না কিভাবে নদীকে ব্যবহার করতে হয়। পানি তো আমাদের সম্পদ। কিন্তু আমরা এই সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি নাই। আগামী শতাব্দীর মাঝামাঝি মানুষের অস্তিত্বে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। মানুষের হাতে খুব বেশি সময় নেই। তবু মানুষ গাছ লাগাচ্ছে না। বরং বন জঙ্গল উজার করছে। পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের এক নিবিড় সম্পর্ক। কিন্তু লোভী মানুষ পৃথিবীর কাছ থেকে শুধু লুটপাট আর তছনছ করেছে। তৈরি করেছে শুধু জটিলতা। পৃথিবীর সব দেশের মানুষ সবাই এক হয়ে যদি পৃথিবীর কথা ভাবতো- পৃথিবী ছোট্র একটা গ্রহ, তার অফুরন্ত সম্পদ নেই। যা আছে, যতটুকু আছে তার যত্ন নেওয়া দরকার।
এক দেশের প্রতি আরেক দেশের যেন উদাসীনতা না থাকে। আমেরিকায় ভূমিকম্প হলে চীন যেন চুপ করে না থাকে। ইথিওপিয়ায় দুর্ভিক্ষ হলে তার ক্ষুধা যেন স্পর্শ করে অস্টেলিয়াকে। মধ্যপ্রাচ্যে মহামারী হলে তা যেন উদ্বিগ্ন করে সুইজারল্যান্ডকে। পৃথিবীর ক্ষমতায় থাকা মানুষ গুলো যদি এক টেবিলে বসে সিদ্বান্ত নিতো আমরা আর যুদ্ধ করবও না। পারমানবিক বোমা বানাবো না। নতুন নতুন অস্ত্র বানাবো না। যেসব অস্ত্র আছে, সেগুলো আটলান্টিক মহাসাগরে ফেলে দিব।
গ্রামে গেলে গাছপালা গুলোকে আমার বন্ধু বলে মনে হয়। আমি পৃথিবীর প্রতিটা গাছপালার বন্ধু হতে চাই। নদী, কীটপতঙ্গ আর পশু পাখির বন্ধু হতে চাই। শহরের পাট চুকিয়ে খুব শ্রীঘ'ই গ্রামে চলে যাব। প্রকৃতির সাথে তখন আমার খুব ভাব হবে।
এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী মানুষ। আবার এই গ্রহের সবচেয়ে দুষ্টলোকও মানুষ। একবার অন্ততপক্ষে ভাবুন- সে(মানুষ) কেন পৃথিবীতে এসেছে? সে কেন আরেকজনের শান্তি নষ্ট করবে? এই পৃথিবীতে একজন মানুষ কেন আসে? শুধু লেখা পড়া করে চাকরি করার জন্য? বিয়ে করে বাচ্চা উৎপাদন করার জন্য? যে রিকশা চালায়, সে কি সারা জীবন শুধু রিকশা'ই চালাবে? তারপর মরে যাবে? যে সরকারি অফিসে দশটা পাঁচটা কাজ করে, সারা জীবন এই কাজ করেই মরে যাবে? অথবা যে ব্যবসা করে, সারা জীবন ব্যবসা করেই, অনেক টাকা কামিয়ে মরে যাবে? এ জন্যই তারা পৃথিবীতে এসেছে? কোথায় যেন পড়েছিলাম- যারা শুধু মাত্র চাকরির জন্য লেখা পড়া করে তারা দেশের মেরুদন্ড টাই নড়বড়ে করে দেয়। আমরা এই পৃথিবীতে এসেছে- আমাদের অনেক দায়-দায়িত্ব আছে। আমরা পৃথিবীর কাছে ঋণী। এই ঋণ শোধ করার জন্য আমাদের সবার কিছু না কিছু করা উচিত। সবাই যদি একটু একটু করে কিছু করি- তাহলে এই পৃথিবী ঝকমক করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক আকাশ আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। আপনার যদি টাকা পয়সা না থাকে, অন্ততপক্ষে একটা গাছ লাগান রাস্তার পাশে। যত্ন দিয়ে গাছটা বড় করতে সহায়তা করুন। একসময় এই গাছ আপনাকে অনাবিল আনন্দ দিবে-শান্তি দিবে।
আমি জানি আমাদের সমাজে 'বদ' লোক দিয়ে ভরা। একজন আরেকজনের যে বেশি 'বদ'। বিরাট বদ। এই বদ লোক গুলোকে ভালো করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের'ই। তারা কেন এবং কিভাবে বদ হলো একবার ভেবে দেখুন। সবচেয়ে বড় আশার কথা হলো- আমাদের দেশের বেশীর ভাগ লোকই ভালো। বিশ্বাস করুন একজন সহজ সরল ভালো মানুষ। তারা একে অন্যের বিপদে এগিয়ে যায়। এই যে কিছু দিন আগে পানি বন্ধি মানূষের জন্য তারা যে যা পেরেছে ত্রান নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। তাদের সাধ্যমত করতে চেষ্টা করেছে। কারো রক্তের প্রয়োজন হলে- গভীর রাতে ছুটে যায় হাসপাতালে। তবে বেশ কিছু বদ লোকের কাজ কর্মে আমি প্রচন্ড হতাশ। খবরের কাগজ থেকে কিছু বিষয় আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। পড়ুন। এবং মানূষের মানসিকতা বুঝুন। এবং এর থগেকে পরিত্রানের উপায় বের করুন।
১। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে ১৫০ শতাংশ জমিতে লাগানো আমন ধান কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
২। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দৌলরদী গ্রামে গভীর রাতে জমির ৫০০ লাউগাছ কেটে নষ্ট করেছে।
৩। বরগুনার তালতলী উপজেলার ছাতনপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তরা মাছের খামারে ছয়টি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। ২৮ লাখ বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা মারা গেছে।
৪। লক্ষ্মীপুরে চাচার ওপর হামলা করতে ব্যর্থ হয়ে বাগানের অর্ধশতাধিক বিভিন্ন ফলজ ও বনজ চারা গাছ কাটলো ভাতিজা।
৫। সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে রহমান পোল্ট্রি ফার্মের ভিতরে কৌশলে প্রবেশ করে প্রায় তিনশ মুরগী পা দিয়ে চেপে চেপে মেরে ফেলে।
৬। রাতের অন্ধকারে মধুখালী উপজেলার হাটঘাটা গ্রামে কলাবাগানের ১০০টি কলাগাছের কাঁধি কেটে ফেলা হয়েছে।
৭। টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য বাদুড়তলী বাঁধসংলগ্ন এলাকায় অর্ধলাখ টাকার খিরাই ও কুমড়া ক্ষেত শত্রুতা করে নষ্ট করা হয়েছে।
৮। খাগড়াছড়িতে ব্যক্তি মালিকানাধীন তিনটি সেগুন ও ফলজ বাগান প্রায় ১০ হাজারের অধিক সেগুন ও ফলজ গাছ কেটে ফেলেছে।
৯। রাজশাহীর তানোরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বন বিভাগের রাস্তার আম ধরে থাকা ১৫টি গাছ কেটে ফেলেছে।
১০। নারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামে বেগুন ক্ষেতে বিষ প্রয়োগে করে তিন থেকে সাড়ে তিনশত বেগুন গাছ নিধন করা হয়েছে।
১১। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ছোট নারায়ণপুর গ্রামে একটি নার্সারীর বিভিন্ন জাতের প্রায় তিন শাতাধিক আম গাছের চারা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
আমি অনেকদিন আগে বেশ কিছু দিন পুরান ঢাকায় ছিলাম ( কলতাবাজার )। তখন দেখতাম-গলির মাথায় ল্যাম্প পোষ্টের সামনে দাঁড়িয়ে- মধ্যেরাত্রে একলোক মদ খেয়ে অকথ্য ভাষায় আকাশের দিকে তাকিয়ে গালা-গালি করত। তারপর বউটা এসে কাঁদতে কাঁদতে তার স্বামীকে নিয়ে যেত। আমি সারারাত জেগে বই পড়তাম। ওই লোকের গালা-গালি শুনে ব্যলকনিতে এসে দাঁড়াতাম। একদিন ওই মাতালটার সাথে খুব সাহস করে আলাপ করে ফেললাম। প্রথমে লোকটা ভাব করতে চায়নি। পরে একটু একটু করে ভাব হয়েই গেল। আমি লোকটার কাছে অনেকবার জানতে চেয়েছি- সে মদ খেয়ে মধ্যরাত্রে কেন গালাগালি করে। লোকটা জবাব দিতে পারেনি। তখন বুঝতে পারলাম, ওর রাগটা বিশেষ কারো ওপর নয়। ওর মনটাই বিগড়ে গেছে। মদ খেলেই ভিতরের নানা রকম জমে- থাকা বিষ গালাগাল হয়ে বেরিয়ে আসে। তখন আরাম লাগে। এখন সে আমার বন্ধু।
প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা আলাদা গল্প। যত পড়বেন তত মজা। রুপসী বাংলা হোটের সামনে দেখবেন- যখন ট্র্যাফিকে গাড়ি থামে তখন, ভিক্ষুক ভিক্ষা চায়, কেউ নকল বই বিক্রি করে আবার কেউ ফুল বিক্রি করে। আমাদের দেশে যার যা আছে বা নেই সবাই সেই আছে বা নেইকে একটা ব্যাপারেই পুঁজি করতে চায়। সেটা হলো- ভিক্ষা। যার একটা হাত নেই- সে সেই নেইটাকে ভিক্ষের কাজে লাগায়। ভিক্ষে করতে শেখায়- আমাদের সরকার। সরকার নিজেই পৃথিবীতে সবচেয়ে নির্লজ্জ ভিখিরি। এ দেশে কত সম্পদ আছে, কোথায় কী পাওয়া যায়, আমাদের সত্যিকারের অভাব কতখানি তা কেউ খুঁজে দেখেনি আজ পর্যন্ত। খুঁজলে দেখা যবে, আমাদের দেশে রিসোর্সের অভাব নেই। শুধু খুঁজে দেখা হয়নি এই যা। সমাজে নানান রকম দুষণ বাড়ছে তো বাড়ছেই। দেশ নিয়ে ভাবলে আমার জীবনে একটুও শান্তি থাকে না। মাথা এত গরম হয়ে যায় যে, রাতে ঘুম আসতে চায় না। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আছে।
লেখাটা হয়তো বড্ড অগোছালো হয়ে গেল। এবং আমি আমার মুল ব্যক্তব্য বুঝাতে পারছি না। এটা আমার ব্যর্থতা। আসলে আমি বলতে চাই- মানুষের উচিত ( পৃথিবীতে যেহেতু সে এসেছে) তাই পৃথিবীর জন্য কিছু করা। শুধু চাকরি বা ব্যবসা করে একটা জীবন পার করে দিলে হবে না। পৃথিবীকে ভালোবাসতে হবে। ভেবে দেখুন মার্কিনীরা পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে। বরফ গলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষের লোভের জন্য পৃথিবীর ওজন বাড়ছে। বন জঙ্গল উজাড় হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। কাজেই পৃথিবীর যত্ন না নিলে, পৃথিবী কঠিন প্রতিশোধ নিবে আমাদের ওপর। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোথায় রেখে যাবেন? আপনার আদরের ছেলে মেয়েকে কোন পৃথিবীকে রেখে যাবেন? তারা কিভাবে বাঁচবে? কাজেই আমাদের অনেক দায়-দায়িত্ব আছে। আর দায়িত্ব অবহেলা করা মানে নিজের ভবিষ্যৎ প্রন্মের ক্ষতি করা।
গ্রামের নাম রসুলপুর। একেবারে সুন্দরবনের কাছে। অন্যসব গ্রামের মতোই একটি গ্রাম। এই রসুলপুর'ই আমাকে শিখিয়েছে কি করে পৃথিবীকে ভালোবাসতে হয়। এই গ্রামের লোকজন দিন-রাত ঝগড়া করে, দলাদলি করে, হাঙ্গামা করে, কুটকচালি করে, একটা ভাঙ্গা স্কুল ঘর আছে- সেই স্কুলের প্রতি কারো নজর নেই।
সারাদিন চাকরি আর ব্যবসা। টাকা-টাকা করলে হবে? যদি পৃথিবীই না টিকে থাকে তাহলে টাকা দিয়ে কি হবে? আপনার একর-একর জায়গা জমি দিয়ে কি হবে? ভেবে ভেবে বের করুন কারা পৃথিবীর ক্ষতি করছে। পৃথিবী ক্ষয় করছে। তাদেরকে বাঁধা দিতে হবে। বুঝাতে হবে। আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এমন এক পর্যায়ে আছি যা আরেকটু বেশি হলে সেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিপদ। এই নিয়ে কাউকে কোনোদিন ভাবতে দেখলাম না। অথচ তার জ্ঞান বুদ্ধি আছে। যদি মানুষ সাবধান না হয়- তাহলে ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস সব শেষ করে দিবে একদিন। সেই সময় খুব কাছেই। মনে রাখতে হবে- মানুষের কোনো গন্তব্য নেই, শুধু গতি আছে। সে কোথায় চলেছে তা সে নিজেই জানে না। এক সময় ঢাকা শহরের আকাশে অনেক চিল দেখা যেত। দোকান থেকে খাবার আনার সময় প্রায়'ই ছোঁ মেরে নিয়ে যেত। আজকাল আর দেখা যায় না। তার মানে চিল বসতে পারে এমন সব গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে। পাখি কমেছে। জীবজন্তু কমেছে। বাড়ছে শুধু বড় বড় দালান। সামনে আমাদের ভয়াবহ দুঃসময়।
যদি এমন হতো, ভেবে দেখুন- পৃথিবীতে কোনো দুষ্টলোক নেই। কোনো অস্ত্র নেই। সবাই সবাইকে ভালোবাসে। হিংসা নেই, বিদ্বেষ নেই, লোভ নেই। একজনের সমস্যায় অন্যজন ঝাঁপিয়ে পড়ছে তাকে সাহায্য করার জন্য। দেশে কোনো খাদ্যাভাব নেই। কৃষক ফসল ফলাচ্ছে। মানুষ গাছ লাগিয়ে লাগিয়ে পুরো পৃথিবীটা সবুজ বানিয়ে ফেলেছে। নদী ভর্তি মাছ। জেলেরা ঝাল ফেললেই মাছ আর মাছ। দেশে কোনো চোর নেই, ছিনতাইকারী নেই। কেউ ঘুষ খায় না। দুর্নীতিবাজ লোকরা সবাই সৎ হয়ে গেছে।
এই দেশে কিছু লোকের এত পরিমান টাকা আছে যে, তারা ইচ্ছা করলে দশটা গ্রামের রাস্তা পাকা করে দিতে পারে। প্রাইমারী স্কুল গুলো বিল্ডিং করে দিতে পারে। কাল্ভাট করে দিতে পারে। আর্সেনিক মুক্ত পানির ব্যবস্থা করে দিতে পারে। তাদের টাকা আছে কিন্তু তারা কেন এই কাজ গুলো করে না? মৃত্যুর পর তো তারা টাকা কবরে নিয়ে যাবে না। এই জন্য'ই বলেছি সবার আগে পৃথিবীকে ভালোবাসতে হবে। পৃথিবীর মানুষকে ভালোবাসতে হবে। একটা বিশ্ব সম্মেলন করে সারা পৃথিবীর সব মানুষ মিলে এই পৃথিবী নামক গ্রহটাকে সুন্দর করে সাজানো সম্ভব।
পৃথিবী আপনাকে ততটুকুই দিবে, আপনি পৃথিবীকে যতটুকু দিবেন। ভেরি সিম্পল ইকুয়েশন। কাজেই, ডু সামথিং ব্যাটার, ডু সামথিং ডিফারেন্ট।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমি আমরা সবাই মিলে। আপনি শুরু করুন। আপনার দেখাদেখি আর একজন শুরু করবে।
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
পৃথিবী অনেক বড়, আমরা হ্য়তো তেমন কিছু করতে পারবো না; তবে, বাংলাদেশকে আমরা ঠিক পথে আনবো।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে এটাও আমাদের অনেক বড় পাওয়া হবে।
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভাল লিখেছেন ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু ভালো লিখেছেন বললে হবে না।
দেশের জন্য কিছু করতে হবে।
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাল চিন্তা ভাবনা। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ তাদের সীমাবদ্ধতার কারণে দুনিয়াতে পরিবর্তন করতে পারছেনা। দুনিয়াটা কিছু মানুষের হাতে বন্ধী হয়ে রয়েছে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: সেই কিছু মানুষ যদি ভালো না হয়, তাদেরকে ভালো না করা যায় তাহলে তাদের বন্ধী করে রাখতে হবে।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি সবার মন্তব্যের উত্তর দেন না। সেজন্য কিছু ব্লগার ছাড়া অন্যরা আপনার পোষ্টে মন্তব্য করতে চায়না।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আরে ভাই--- কেউ যদি মন্তব্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়- তাহলে আমি উত্তর দেই।
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২০
জাহিদ অনিক বলেছেন: পৃথিবীটা কেন এত খারাপ? কেন এত নিষ্ঠুর? - কারণ সবাই স্বার্থপর
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে আমাদের স্বার্থপরতা নিঃশেষ করে দিতে হবে।
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭
প্রতিভাবান অলস বলেছেন: আপনার শিরোনাম দেখে পুরোটা পড়লাম।
বেশ্রি চিন্তা করতে গেলে মাথা ভোতা হয়ে যায়। -_-
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: মাথা শান্ত করে চিন্তা করুন। এতে আমাদের ভালো হবে উন্নতি হবে।
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনি বেশ নরম দিলের মানুষ....
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। আমি প্রচন্ড ভীতু। সাহস একেবারেই নেই।
আজ পর্যন্ত কোনো দিন একটা মুরগীও জবো করতে পারিনি।
মারামারি দেখলে হাত পয়া কাঁপে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ভাল লিখেছেন। কিন্তু কাজটা করবে কে? সবাই পকেট ভরছে....