নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানেই যাও তুমি, আকাশ কিন্তু একই রঙের...

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩



১। বলুন এই ছবিটি কার ? আমি একটু সহজ করে দিচ্ছি- তিনি গল্প লিখেছেন, উপন্যাস লিখেছেন আর লিখেছেন ভ্রমণ কাহিনী। কিন্তু তার সব রচনাতেই ভ্রমণের স্বাদ পাওয়া যায়।জন্মেছিলেন ১৩ সেপ্টেম্বর, সালটা ছিলো ১৯০৪।
১৯৪৭ সালের ৩০শে নভেম্বর এক সাহিত্য সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন- ‘পৃথিবীর কোন শিক্ষিত সভ্য দেশ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য মাধ্যমে শিক্ষা দিচ্ছে? এমন কোন দেশ আছে সেখানকার লোক আপন মাতৃভাষাকে অবমাননা করে আপন দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে?’

২। একজন নবীর গায়ে মোট ৪০ জন পুরুষের সমান শক্তি থাকে। অনেক নবীর আশ্চর্যজনক শারিরীক শক্তির কথা কোরআন হাদীসে পাওয়া যায়।যেমন দাউদ আলাইহিস সাল্লাম উনার সময়ের কাফের বাদশাহ জালুতকে জিহাদের ময়দানে মাত্র ৩ টা পাথরের টুকরার আঘাতে হত্যা করে ফেলেছিলেন। যদিও বাদশাহ জালুতের পুরা শরীর লোহার বর্ম দ্বারা ঢাকা ছিল। হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম বনী ইসরাইল বংশের এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে ফেরাউনের গোত্রের একব্যক্তিকে সামান্য একটা চড় মেরেছিলেন। আর মুসা আলাইহিস সাল্লামের সামান্য একটি চড়ের আঘাতেই ঐ ব্যক্তিটি মারা যায়।
খন্দকের যুদ্ধে পরিখা খননের সময় যেই পাথর সকল সাহাবীরা সম্মিলিত ভাবেও ভাঙতে পারছিল না সেই পাথর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাত্র ৩ টা হাতুড়ির আঘাতে চূর্ন বিচূর্ন হয়ে যায়। মক্কার রুকানা নামক একজন বড় কুস্তিগীর ছিল। যাকে হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুরু করে কেউ কুস্তিতে হারাতে পারেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রুকানা কুস্তীগীরকে পরপর ৩ বার কুস্তিতে হারিয়েছিলেন যা দেখে মক্কার সকল কাফেররাও অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শারিরীক শক্তি আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি ছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। একজন পুরুষ যদি তার শারিরীক শক্তির তুলনায় একটি বিয়ে করেন তাইলে তো সেই হিসাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আরো অনেক গুলি বিয়ে করার কথা।

৩। ঢাকা চিড়িয়াখানা এত নোংরা কেন ? খুব অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন। সব গুলো পশু-পাখি মরা মরা অবস্থা। দর্শনার্থীদের আনন্দের বদলে মন খারাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসে। সরকারকে বলল- পশু পাখির প্রতি যত্নবান হন। চিড়িয়াখানা উন্নতির জন্য খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিন।

৪। প্রত্যেকটা মানূষের মধ্যেই লুকানো, অব্যবহৃত কিছু গুন আছে । সে হয়তো সারা জীবন নিজের সেই গুনটার কথা জানতেই পারে না । লোকে কত ভালোবাসার কথা বলে, কিন্তু ভালোবাসা কাকে বলে তা তাদের জানা নেই । প্রেমিক প্রেমিকারা কত ভালোবাসার কথা-টথা বলে বিয়ে করে- তারপর তাদের ঝগড়ার জ্বালায় বাড়ীতে কাকও বসতে পারে না ।
আপনি কি আরণ্যক উপন্যাসটা পড়েছেন ?
যে লোকটা জঙ্গলে নতুন নতুন গাছ লাগিয়ে বেড়াত । জঙ্গলটা তার নিজের নয়, গাছ লাগালে তা থেকে কোও লাভও হতো না । শুধু জঙ্গলটাকে সুন্দর দেখাবে বলে। এটাই হলো- ভালোবাসা । কেউ কি পারবে এই ভাবে ভালোবাসতে ?
আজকাল ইউনিভার্সিটি'র ভালো ভালো ছেলে-মেয়েরা চাকরির পরিধির বাইরে আর কিছু বুঝতে চায় না ।চাকরি ছাড়াও যে সাকসেস বলে আর একটা ব্যাপার আছে, তা তারা বুঝতেই পারে না ।

৫। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিকে ইলেক্ট্রিক্যাল চেয়ারে বসানোর পর সে পুলিশকে জিঞ্জাসা করলঃ স্যার, খুব বেশী কষ্ট হইব?
পুলিশঃ আরে না !! অল্প একটু।
কিছুক্ষণ পর আসামি মাগো বাবাগো বইলা চিল্লাইয়া উইঠা বললঃ স্যার এত গরম লাগে কেন, জ্বলতাছে, মনে হয় পুইড়া যাইতাছে...!
পুলিশঃ চুপ কইরা বইসা থাকেন, কারেন্ট নাই, চেয়ারের নীচে মোমবাতি দিয়া মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হইতাছে...!!!

৬। মেয়েদের ঘর সংসার ছাড়া আর কিছু করার নেই ? ছেলেদের বিয়ে করা আর মেয়েদের বিয়ে করা কিন্তু এক ব্যাপার নয় । ছেলেদের বিয়ে করা অনেকটা আনন্দের ব্যাপার, একটু ভারমুক্ত হওয়ার ব্যাপার । কারণ তাকে দেখাশোনা করার একজন আসছে । কিন্তু মেয়েদের বিয়ে করার মানেই হচ্ছে ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা । নিজের পরিবার ছাড়তে হবে, সন্তান ধারণ থেকে আরও অনেক কিছুর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। এবং তার পরে সংসার ছাড়া তার আর কিছু করার থাকবে না ।
কোনো পুরুষই কখনও মেয়েদের সত্যিকারের কষ্ট বুঝতে পারে না । সিপপ্যাথাইজার হতে পারে, বন্ধু হতে পারে, কিন্তু মেয়েদের আসল মস্যাটা শুধু মেয়েরাই টের পায় ।
ছেলেদের প্রবলেম গুলো কি মেয়েরা বুঝতে পারেব ?
ধারালো মেয়েরা আজকাল ইচ্ছা করেই ব্যক্তিত্বহীন আবুল টাইপ, জো-হুজুর মার্কা পুরুষদের পছন্দ করে । তাতে তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বজায় থাকে, যা খুশি করতে পারে, স্বামীকে ইচ্ছে মতো চালাতে পারে ।
আসলে মানূষের মন স্বভাবতই এলোমেলো । চিন্তাগুলোকে পর্যায়ক্রমে সাজাতে পারে না বলে তার সিদ্দান্তে আসতে দেরী হয় বা কখনই আসতে পারে না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: Good

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী। খুব সুদর্শন ছিলেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন রসিক মানুষ ছিলেন।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ১ এর উত্তর হচ্ছে সৈয়দ মুজতবা আলী।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শারীরিক সক্ষমতার ব্যাপারটি মাথায় রাখা দরকার। /:) সবাই কি আর সমান পারে??

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: দারুণ রসিক ছিলেন সেটা তো জানিই। উনি তো এজন্যই বিখ্যাত। কথা হচ্ছে, মুজতবা আলী বলতে সবাই টাক পড়া মোটা মুজতবা আলীকেই জানে। কিন্তু উনি তো খুব সুদর্শন ছিলেন। আমি উনার সিগারেট হাতে একটা ছবি দেখেছিলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: উনার আরেকটা ছবি দেখেছিলাম- উনি হাজাজে করে বিদেশ যাচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.