নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। কুড়ি বছর আগের ঘটনা।
পদ্মা নদীর পাশে ছোট্র একটা গ্রাম আমাদের। পাশের গ্রামে ফুটবল ম্যাচ খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। খেলা শেষ হতে দেরী হয়ে গেল। তখন শীত কাল। মাঘ মাসই হবে। পদ্মা নদীর পাড়ের গ্রাম গুলোতে প্রচন্ড শীত পড়তো। এখকার মতো এত ঘনবসতি ছিল না তখন। খেলা দেখে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা প্রায় শেষের দিকে কিন্তু মনে হচ্ছে গভীর রাত। একা একা বাড়ি ফিরছি। চারপাশে প্রচন্ড কুয়াশা আর অন্ধকার যেন হুট করে নামলো। আলামিন বাজার বায়ে রেখে 'কামার গাও' এর দিকে যাচ্ছি। দুই পাশে জঙ্গল, মাঝখানে সরু পথ। একেবারে নিশুত রাতের মতো নিঃঝুম। শুধু ঝি ঝি ডাকছে।
মাঝ রাস্তায় আসতেই হঠাৎ শুনতে পেলাম খুব কাছ থেকে কে যেন বলে উঠল, 'রাজীব একটু তাড়াতাড়ি যা বাবা।' আমি থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। গলাটা খুব চেনা। আমার বড় মামার গলা। কিন্তু মামা এখানে এই জঙ্গলে আসবে কি করে? তার তো বিছানা থেকে ওঠার'ই সামর্থ্য নেই। আমি চারদিকে চেয়ে দেখলাম, কোথাও কেউ নেই। কঠিন অন্ধকার আর কুয়াশায় ঢাকা। বললাম, কে? কে আপনি? কেউ জবাব দিল না। শুধু একটা পেঁচা ডেকে উঠলো। আর দুইটা বাদূর এক ডাল থেকে আরেক ডালে গিয়ে বসলো। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো আমার। কথাটা স্পষ্ট শুনেছি। ভুল নেই। কিছুক্ষন হাত পা সব কাঠ হয়ে রইল। তারপর হঠাৎ মনে হলো, গলাটা বড় মামার'ই। হয়তো মামা আর বেঁচে নেই। মনে হতেই প্রায় ছুটতে শুরু করলাম।
মাইল খানেক পথ দৌড়ে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই কান্নার রোল শুনতে পেলাম। এসে দেখি মামা বেঁচে নেই।
২। বহু বছর আগের কথা। জীবনের প্রথম সিলেট গিয়েছি। সারা সিলেট ঘুরে বেড়াচ্ছি। ঢাকা ফিরে আসার আগের দিন গেলাম মাজারে। সবাই ই যায়- মাজার জিয়ারত করে। দান খয়রাত করে। আমি মাজার টাজার বিশ্বাস করি না। বন্ধুদের সাথে গিয়েছি। চারপাশ মনোযোগ দিয়ে দেখছি। জুতো অন্য জাগায় রেখে- মাজারে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। আমি চুপচাপ এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছি। ২৫/৩০ বছরের এক যুবক আমার পাশে নামাজ পড়ছিল। দেখলাম ছেলেটি নামাজ শেষে মোনাজাত ধরলো। সে বেশ জোরে জোরেই বলল, 'হে আল্লাহ আমার মতো বাপ মা দুনিয়াতে আর কাউকে দিও না। আমি সহ্য করে গেলাম, অন্য কোনো ছেলে মেয়ে যেন এমন বাপ মা না পায়''।
আমরা সবাই আমাদের বাবা মায়ের জন্য সব দোয়া করি। সারাক্ষন তাদের জন্য কিছু করার চিন্তা করি। আর এই ছেলে এমন কথা কেন বলল?
৩। এটা কয়েকদিন আগের কথা। মগবাজার মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। খিলক্ষেত যাবো। হঠাত দেখি, এক ছেলে এক মেয়েকে থাপ্পড় দিচ্ছে। পরপর বেশ কয়েকটা চড় দিয়ে দিল কয়েক মুহূর্তের মধ্যে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছে। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেল না। আমি দৌড়ে গেলাম মেয়েটাকে সাহায্য করার জন্য। মেয়েটা আমার উপর রেগে উঠলো। গরম চোখে আমার দিকে তাকালো। আমি বেশ অপমানিত বোধ করলাম। মেয়েটা আমার উপর এত রাগ দেখালো কেন? আমি তো তাকে সাহায্যের জন্যই দৌড়ে গেলাম। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ঠিক করেছি সাহায্যের জন্য আর নিজ থেকে এগিয়ে যাব না।
৪। স্বামী বাইক চালাচ্ছে। স্ত্রী পেছনে বসে আছে। পান্থপথ মোড়ের সিগনালে ট্রাফিকের ইশারায় সকল বাস গাড়ি, সিএনজি বাইক থেমে আছে। হঠাত শুনি খুব হই চই। বাসের হেল্পারের সাথে বাইকওয়ালার খুব লেগে গেছে। স্বামী বাইকওয়ালা বাসের হেল্পারকে খুব মারলো। একসময় দেখা গেল পাচ সাতজন মারামারি অংশ গ্রহন করেছে। কে কাকে মারছে কিছুই বুঝতে পারছি না। কে কার সাপোর্ট ক্রছে তাও বুঝা যাচ্ছে না। একসময় আশে পাশের জনতা ক্ষেপে উঠলো। জনতা বলছে বাইকওয়ালা হেল্পারকে বিনা অপরাধে মেরেছে। তখন বাইকওয়ালা তার স্ত্রীকে রেখেই বাইক নিয়ে পালিয়ে গেল। আমি বুঝতে পারলাম না সে তার স্ত্রীকে রেখেই কেন পালিয়ে গেল? এরপর জনতা রেগে মেগে স্ত্রীকে ধরলো। স্ত্রী সমানে কেঁদেই যাচ্ছে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
কিশোর মাইনু বলেছেন: ১/ভৌতিক নাকি দূঃখের কাহিনী হিসেবে নেব বুঝতে পারছিনা।
২/ছেলেটার জন্য খুব মায়া লাগছে।
৩/আমি মাঝে মাঝে কিছু কারণে রেগে মেগে আমার মেয়ে বন্ধুদের থাপড়াই। ওদের দোষ থাকলে চুপচাপ খেয়ে যায়। না হলে আমাকে একটার বদলে ২টো থাপ্পড় খেতে হয়। সেখানে আপনি গেলে স্বাভাবিক ই মেয়েটা পছন্দ করবেনা।
১টা মেয়ে আরেকটা ছেলেকে থাপড়াইলে ও সবাই এগিয়ে যাবে মেয়েটাকে সাহায্য করার জন্য, আবার ১টা ছেলে কোন মেয়েকে থাপড়াইলে ও মেয়েকে সাহায্য করার জন্যই এগোতে হবে!!!
৪/এটা অমীমাংসিত-ই থাক।কিছু কিছু জিনিস নিয়ে ঘাটাঘাটি না করাই ভাল।
অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: না ঘাটাঘাটি করি নাই।
চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
সাদাফ কামরুল হাসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রীশু।
অমীমাংসিত ঘটনা গুলো মধ্যে ১ ও ২ খুবই সাধারণ ঘটনা।
১/ এটা একটা প্রাকৃতিক ভাবে সংঘটিত, আমিও অনেকবার এই অবস্থায় সম্মুখীন হইয়াছিলাম।
২/ ছেলেটার মাবাবা দুজনেই ঝগড়াঝাঁটিতে লিপ্ত থাকে, বাবা মদ খায় আর মা বাপের বাড়ি থেইকা আর কত টাকাকড়ি আনব। ছেলেটারে পিইঠা পিইঠা দোকানের চাকরি ধইরা দিছে। এই জন্যে তার এত খোদার কাছে ফরিয়াদ।
৩ আর ৪ এগুলো বুইঝানা যেহেতু আমি এইসব নিয়া মাথাঘামাই না।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ভাল লাগল......
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
সামিয়া বলেছেন: শেষের দুইটা বেশ ভালো লাগলো, এই হচ্ছে চারপাশে।।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমটা আমাদের জীবনে আসাটা স্বাভাবিক। বাকিগুলি বেশ লাগলো।
শুভকামনা প্রিয় ছোটোভাইকে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমরা বাংলাদেশীরা খুবই অদ্ভুত প্রাণী।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: না।
আমরা অন্যান্য দেশের মানুষের মতোই।
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪০
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: শেষের ঘটনাটা দুঃখজনক। স্বামী লোকটা তো একটা আস্ত কাপুরুষ। এভাবে বৌকে একা রেখে পালিয়ে গিয়ে সে তার মেরুদন্ডহীনতার পরিচয় দিলো। এরপরে সে কিভাবে তার ফেলে রেখে আসা বৌয়ের সাথে সংসার করবে কে জানে!
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
রক বেনন বলেছেন: রাজীব ভাই, শেষের জনের ঘটনার ক্ষেত্রে মনে হয় মহিলাটি বাইকওয়ালার স্ত্রী ছিল না। হয় প্রেমিকা কিংবা------ নয়ত এভাবে পালিয়ে যেতে পারত না।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: না স্ত্রী ছিল।
জানা গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: লেখাগুলো পড়তে ভালই লাগে