নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
যে যত ঝুকেছে ধর্মের দিকে তার চিন্তাশক্তি , যুক্তি তত বেশীলোপ পেয়েছে।সমস্ত সমস্যার সমাধান খুজেছে পবিত্র গ্রন্থে ।ফলে মানসিক বিকাশের পরিবর্তে জন্ম নিয়েছে অন্ধত্বের।তাদের কাছে বিশ্বাসই মুখ্য এবং বিচার বুদ্ধি যুক্তি তর্ক গৌন।
আরজ আলী মাতব্বরের কথা হয়ত আপনারা সবাই শুনেছেন। নাস্তিকদের খুব প্রিয় ব্যক্তি হচ্ছেন উনি। উনি উনার বইয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন। উনি প্রশ্ন করেছেন যে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা যদি একজনই হন, তাহলে পৃথিবীতে এত ধর্ম কেন? চারিদিকে এত ধর্মের ছড়াছড়ি কেন ?
ধর্ম নিয়ে খোলা আলোচনা কিংবা বিশ্লেষণ বাংলাদেশের সমাজ-ক্ষমতা অনুমোদন করে না। কিন্তু আবার সমাজ, মানুষ, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র, বন্ধন-নিপীড়ন-শৃঙ্খল এবং সেগুলো থেকে মুক্তি পাবার লড়াইয়ের বিষয় আলোচনা করতে গেলে ধর্মের প্রসঙ্গ এসেই যায়। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, একটা পথ পেতে গেলে ধর্মের প্রসঙ্গ নীরবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া চলে না। এর কারণ কী? কারণ ধর্ম একটা বিশ্বাস হিসেবে যেরূপই ধারণ করুক না কেন এই ধর্মের মধ্যে আসলে বসবাস করে সমাজ। বসবাস করে সমাজের নানা বিধি, নিয়মনীতি, নৈতিকতা, অনুশাসন। সমাজের, রাষ্ট্রের বিধিই উপস্থিত হয় ঐশ্বরিক বিধান হিসেবে, ধর্মরূপে। এই ধর্মের মধ্যেই আবার থাকে, যেভাবে মার্কস বলেছিলেন, ‘‘হৃদয়হীনের হৃদয়, নিপীড়িতের দীর্ঘশ্বাস”।
ঈশ্বর যদি তাঁহার সৃষ্ট পদার্থ হইতে ভিন্ন হন, তাহা হইলে তাঁহার সর্বব্যাপিত্ব থাকিতে পারে না এবং ঈশ্বরের সর্বব্যাপিত্ব অক্ষুণ্ন থাকিলে কোন সৃষ্ট পদার্থ এমনকি পদার্থের অণু-পরমাণুও ঈশ্বর শূন্য হইতে পারে না । অর্থাৎ বিশ্বের যাবতীয় পদার্থই ঈশ্বরময় । মূল কথা - বিশ্ব ঈশ্বরময় ।
ধর্ম যদিও ঈশ্বরের সর্বব্যাপিত্বে সন্দেহ করে না, কিন্তু একথাও নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করে না যে, জগতের যাবতীয় জৈব-অজৈব, পাক এবং নাপাক সকল বস্তুই ঈশ্বরে ভরপুর । বিশ্বাস যদি করিত, তবে নাপাক বস্তুকে ঘৃণা করিবার কারণ কি ?
এখন এই উভয়সঙ্কট হইতে ধর্মে বিশ্বাস বাঁচাইয়া রাখার উপায় কি ?
(সত্যের সন্ধান, পৃঃ ৬৪)
আমি আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারি না, কেউই পারে না। বহু চেস্টা করেও কোনো নবী-আম্বিয়া, দরবেশকে আমি দোজখবাসী করতে পারিনি। কেননা তাঁরা দোজখবাসী হোন, তা আল্লাহর ইচ্ছা নয়। পক্ষান্তরে হজরত ইব্রাহীম নমরুদকে, মুসা ফেরাউনকে, শেষ নবী(দ.) আবু জেহেলকে হেদায়েত করে বেহেস্তের তালিকায় নাম লেখতে পারেননি আপ্রাণ চেস্টা সত্বেও। কেননা তা আল্লাহর ইচ্ছা নয়।
ধর্মকে একেবারে নির্মূল করতে না পারলে এই পৃথিবীর মানুষের মুক্তি নেই।
স্বার্থপর কিংবা মতলববাজরা অন্যভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে।
কোটি কোটি মানুষ এখনো যে ধর্মের কাছে আস্থা ও সান্ত্বনা পায়, সেটা তো মিথ্যে নয়।
আমার নিজের জাহাজের ক্যাপ্টেন আমি নিজেই। আমার ভালো কিছু করা উচিত, কারণ আমি শয়তান নই। এটা শুধু এ কারণে নয় যে মৃত্যুর পরে আমি ভাল সময় কাটাবো।
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: যা পড়েছি তার থেকে কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
রাকু হাসান বলেছেন: শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । আরজ আলী কিছূ প্রশ্ন তুলেছেন তার বইয়ে যা সত্যিই হাস্যকর এবং একই সাথে দুঃখজনক । তিনি স্রষ্টা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন কিন্তু মোক্ষম যুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন,যদি দিতে পারতো তাহলে কিছূ হয়তো তার আদর্শ ঠিকে থাকতো । আপনার শেষ লাইন টি অামার খুব ভাল লেগেছে। প্রত্যেকের এমন টা ভাবা উচিত । ++
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: শেষ প্যারাটাই হল মুল কথা।
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম মানব সভ্যতার এক বিরাট অংশ
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম ছাড়া মানব জীবনের কোনো মানে হয়।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
যবড়জং বলেছেন: প্রশ্নতোলা আর উত্তর খোঁজা দুটোই ইতিবাচক । অন্ধবিশ্বাস কখনই সত্যের মাপ কাঠি নয় ।
তবে সত্য চিরমঙ্গলময় । । তবে একটা ব্যাপর আমি সবসময় কমন পাই সেটা হলো একটা নিদৃষ্ট ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ( বেশির ভাগ উদহরণ সেখান থেকে দেওয়া হয় )
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
লায়নহার্ট বলেছেন: {আপনি ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, অথচ এটা জানেন না যে, চাঁদ তারা ইসলামের Symbol না, অটোমান সাম্রাজ্যের Symbol ? আপনার এই লেখাটি বয়কট করলাম, ছবি ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন।}
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমি মনে রাখব। সর্তক থাকবো।
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধর্ম জানতে আরজ আলি পড়তে হবে এটা নতুন শুনলাম। আমি নিজেও এই বইটি পড়ি নাই। ধর্ম বিষয়ে জানতে হলে প্রথমেই তাফসীর সহ কোরানটা পড়তে হবে। জানতে হবে পেছনের ইতিহাস। ইসলাম সম্পর্কে খুব বেশী বই পড়তে হয় না কিন্তু এর বিশালতা আছে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: ধর্ম শব্দের উৎপত্তি ধৃ ধাতু হতে।
ধৃ শব্দের অর্থ ধারণ করা । অর্থাৎ নিজ নিন বৈশিষ্ট ধারণ করা। যেমন, পানির ধর্ম ভিজিয়ে দেয়া, আগুনের ধর্ম পুড়িয়ে দেয়া।
মানুষের ধর্ম তাই মানবতা।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধর্মে মানুষের ইমোশন কাজ করে তাই এটি নিয়ে তর্ক বিতর্কে না জড়ানো ভালো