নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গত কয়েকদিন

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭



আমি মাঝে মাঝে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই। বর্তমান সময়ে চলাকালীন আন্দোলন নিয়ে আমি দুই একটা কথা লিখেছি। যা লিখেছি নিরপেক্ষ থেকেই লিখেছি। নিজের মনে যে কথা আসছে- সেই কথাই লিখেছি। আমার স্ট্যাটাস পড়ে বেশ কিছু মানুষ আমাকে দালাল, রাজাকার, চাটুকার ইত্যাদি বলছেন। কেউ কেউ বাপ মা তুলে খারাপ গালাগাল দিচ্ছেন। কেউ আনফ্রেন্ড বা ব্লক করছেন। ধরে নিলাম আমি স্ট্যাটাস কোনো পক্ষের হয়ে লিখেছি- তা-ও আপনারা খারাপ ভাষায় আমাকে যা-তা বলতে পারেন না। অনেকের স্ট্যাটাস পড়লে আমার মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হয়- কিন্তু আমি তো কখনও কাউকে খারাপ ভাষায় কিছু বলিনি। সরকারের ভালো দিকগুলো তুলে ধরলে হয় দালাল আর সরকারের বিপক্ষে কথা বললে প্রতিবাদী! কি অদ্ভুত!

আমি কাজ করে ভাত খাই। কোনো দল করি না। কোনো দল আমার সংসার চালায় না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা ইনকাম করি। সৎ ভাবে জীবন যাপন করি। কাউকে কোনোদিন কটু কথা বলেছি কিনা মনে পড়ে না। কারোর ক্ষতি করিনি কোনো দিন। সারা জীবন দেশ এবং দশের মানূষের মঙ্গল কামনা করি। এই সামু ব্লগেই তো আমি কত বছর ধরে আছি। কোনো দিন কাউকে একটা বাজে কথা বলি নাই। আমার কোনো পোষ্টের মধ্যে খারাপ শব্দ ব্যবহার করি নাই। আমি কোনো দল করি না। কাজ করি ভাত খাই। যে ভালো কাজ করে তাদের ভালো বলি, যে মন্দ কাজ করে তাদের দুষ্টলোক বলি।

গত কয়েকদিন আমার রাস্তায় চলাচল করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কোনো বাস নেই। রিকশা বা সিএনজি'তে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাসের ভাড়ার চেয়ে পনের-বিশ গুন বেশি খরচ হচ্ছে। আমার তো অফুরন্ত টাকা না। মাস শেষে অল্প কিছু টাকা পাই। তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়েপড়ে বেঁচে আছি। এই যে এখন আমার হিসাবের বাইরে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে এই টাকাটা আমাকে দিবে? ছাত্ররা আন্দোলন করছে করুক, তার জন্য আমি সহ আমার মতো অসংখ্য মানূষের বেগ পেতে হচ্ছে- তার খবর কে রাখে? গতকাল মিরপুর গিয়েছি। অন্য সময় খরচ হয় যেতে আসতে ষাট টাকা। এই আন্দোলনের জন্য আমার খরচ হয়েছে-সাত শ' টাকা। আর ভোগান্তি তো আছেই। পরিবহনের লোকেরা বাস রাস্তায় বের করতে ভয় পাচ্ছে, যদি ভেঙ্গে দেয়। কিছু হলেই তো লোকজন সবার আগে বাস ভাঙ্গে। আমাদের দেশে তো অফুরন্ত বাস নেই। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তা-ও যদি আমরা ভেঙ্গে ফেলি। তাহলে তো আমাদেরই ভূগতে হবে। কোনো মানুষই ইচ্ছা করে একসিডেন্ট করে না। তবে রাস্তায় চলাচলরত মানুষ সচেতন হলে এবং ড্রাইভাররা সাবধানতা অবলম্বন করলে দুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।

স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা রাস্তায় নেমে লাইসেন্স চেক করছে। গাড়ি, মটরসাইকেল আর রিকশাওয়ালাকে বলছে নিয়ম মেনে চলতে, লেন ঠিক রাখতে। তারা ভালো কথা বলছে। আবার কোথাও কোথাও ছেলে মেয়েরা রাস্তা আটকে মিটিং মিসিল করছে। চিৎকার চেচামেচি করে যেন কি কি বলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে যে পথ দিয়ে, সে পথ তোমরা আটকে রেখেছো- এটা তো ঠিক না বাবারা। তোমরা ছাত্র মানুষ তোমরা মানূষের উপকার করবে- কিন্তু সমস্যা তৈরি করবে কেন? কারো কারো হাতে আবার হ্যান্ড মাইক। পুরো রাস্তা আটকে চিৎকার করে বলছে 'ইউ ওয়ান্ট জাস্টিস'। সাধারন মানূষ অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে, তারা তাদের গন্তব্যে যেতে পারছে। তাদের চোখে মুখে অনেক ক্ষোভ দেখা যায়। তারা হয়তো মনে মনে অকথ্য ভাষায় এই সমস্ত ছেলে মেয়েদের আর তাদের বাবা মাদের গালি দিচ্ছে।

এই সব ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে নানান পেশারা মানুষ যোগ দিচ্ছে। যারা যোগ দিচ্ছে বা যারা তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছে অবশ্যই তাদের কোনো উদেশ্য আছে। উদেশ্যটা হয়তো ভালো নয়। যার যা কাজ তাকে তাই করতে হয়। একজনের কাজ আরেকজন সঠিকভাবে- সুন্দরভাবে করতে পারে না। তুমি আমার লাইসেন্স দেখতে চাইতে পারো না। সরকার তোমাকে এই দায়িত্ব দেয়নি। আচ্ছা, রাস্তায় যদি একজন মানুষ না খেয়ে থাকে- তোমরা কি তাকে খাবার কিনে দাও? অথবা কেউ যদি টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পারে তাকে কি তোমরা চিকিৎসা করার টাকা দাও? যারা রাস্তায় ঘুমায় তাদেরকে কি তোমরা ডেকে নিয়ে তোমার ঘরে জায়গা দাও? যার চাকরি নেই, তাকে কি তোমরা চাকরি দাও? এসব তো করো না। এসব করতে পারলে আমি তোমাকে বলতাম সাবাশ বাপের ব্যাটা। লাইসেন্স চেক করার চেয়ে বেশি দরকার- দরিদ্র মানূষের থাকা, খাওয়া আর চাকরির ব্যবস্থা করার। পারলে এসব করে দেখাও। তবেই দেশ বদলাবে দ্রুত।

ইদানিং মনে হচ্ছে এই দেশে জন্মগ্রহন করে পাপ করেছি। আমি কারো সাথে পাচে নাই। কাজ করি ভাত খাই। সহজ সরল জীবন যাপন করি। মনের খোরাকের জন্য মাঝে মাঝে বই পড়ি আর ব্লগে লিখি। এই লেখা পড়া করাটাই আমার সারাদিনের বিনোদন আর শান্তি। নাটক সিনেমা দেখা বাদ দিয়েছি। আজ রাস্তায় বের হয়ে শুনলাম, এক রিকশাওয়ালা বলছে, এই দেশে কোনো শালাই ভালো না। সব গুলা বদ। রাজা, মন্ত্রী, উজির, নাজির কেউ ভালা না। এই ছাত্ররাও ভালো না। দেশের কোটি মানুষ তিন বেলা ঠিকমত খেতে পায় না, চিকিৎসা পায় না, চাকরি পায় না- সেদিকে তাদের নজর নাই, আইছে লাইসেন্স চেক করতে। গিয়ে দ্যাখ তোদের বাপ দাদারও লাইসেন্স নাই। আমি রিকশাওয়ালাকে বুঝালাম, এই ছাত্ররা যতটুকু করছে সেটাও অনেক বড় ব্যাপার।

অনেকে বলছেন এই আন্দোলন যারা করছে তারা একটা মহৎ কাজ করেছে। যা এত বছর কেউ করেনি ছাত্ররা করে দেখিয়েছে। এটা আমি মানি। তারা একটা ভালো ধাক্কা দিয়েছে দেশের সমস্ত মানুষ আর সরকারকে। আর এই সমস্ত ছাত্রদের প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন যারা এডিট করে বাজে সব্দ বসিয়েছে ওদের জুতা পিটা করা উচিত। ওদের কঠিন বিচার করা উচিত। ওরা বাস ড্রাইভারের চেয়ে হাজার গুন বেশি খারাপ। এই সমস্ত এডিট যারা করে তারা অমানূষের বাচ্চা। এডিট করে তিলকে তাল বানিয়ে ফেলে। আমি কখনও গালি দেই না তবে ওদেরকে শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দিতে আমার কোনো সমস্যা হবে না।


বিঃ দ্রঃ ছবিটা আজ তুলেছি। সময় তখন দুপুর ২ টা কুড়ি মিনিট। মগবাজার ওয়াললেস থেকে। রাস্তা বন্ধ করে সকাল থেকেই চুরু হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের হ্যান্ড মাইক নিয়ে আহাজারি।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


এই বাচ্চারা পাবলিসিটি ফেইম এসব পেতে চায়। লাইসেন্স চেক করার মতো স্টুডেন্টরা যদি নিজেদের বাবা -মা র ইনকাম (হালাল /হারাম) চেক করতো, তাহলে দূনী'তিমুক্ত দেশ হতে সময় লাগতো না!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: দামী কথা বলেছেন।
সহমত।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

গরল বলেছেন: সরকার সঠিক লোককে সঠিক দায়িত্ব দিতে ব্যার্থ হয়েছে সেটাই ওরা প্রমাণ করে দিয়েছে। তাই সরকারের উপর আর আমরা ভরসা করতে পারছি না বিধায় নিজেদের দায়িত্ব নিজেরাই ভাগ করে নিচ্ছি। এটাই আন্দলোনের মূল কথা এমনকি আমরা সরকারের দায়িত্বও ঠিক করে দিতে চাই কারণ আমরাই দেশের মালিক।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ৮০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা দিয়ে আসলাম।
এখন বামপন্থী দলগুলো কার পাশে থাকবে।
শ্রমিক না ছাত্রদের?

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: দীর্ঘ অনিয়ম, দূর্নীতি, শোষণ ও বঞ্চনার কালচার যখন গেড়ে বসেছে সেখানে আর ছাত্ররা নিজের জীবনের ঝুঁকি নেয় পথে নেমেছে, অবশ্যই অনেকের ক্ষতি হবে, অপিষ যেতে পারবেনা, আয় রোজগারে সমস্যা হবে কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে এই ঝুঁকিটা নিতেই হবে, ওরা নিজের জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করছে আমরা কেন এক মাসের একটু আর্থিক কষ্ট সহ্য করতে পারবনা, একমাস বলছি কারন এক সপ্তাহ অপিষ যেতে চারগুণ খরচ বেশী হলে মাস শেষে টানাটানি হবে তায়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, জামাত ইসলাম স্বাধীনতা যুদ্ধে সুবিধাবাদী পথ বেছে নিয়ে যুদ্ধ করেনায় কেউ, কেউ কেই রাজাকারের পথ বেছে নিয়েছে, কেউ কেউ ধরি মাছ না ছুঁই পানি হয়ে বসেছিল, এমন দুই নৌকায় পা দেবার ফরে তারা আজ রাজাকার উপাধীতা ছাড়তে পারছেনা, নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলতে হচ্ছে, তাদের প্রজন্ম তখন জন্মগ্রহণ না করেও আজকে রাজাকার উপাধী পাচ্ছে, তায় ভাবতে হবে কোন বৃহত্তর মঙ্গল এবং একটা জাতির মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বিষয়। এটা ব্যাক্তিগত বিষয় হলে এড়িয়ে যাওয়া যায়।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন:

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনি রাজধানীতে আছেন। আপনি নিশ্চয়ই আমার চাইতে পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালো জানেন।
তবে মিডিয়ায় কল্যাণে যা দেখতে তাতে মনে হচ্ছে না ছাত্ররা ইচ্ছে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বরং গতকাল এবং আজ পরিবহণ শ্রমিকদের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে দেখা গেছে। বাই দা ওয়ে, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। ৫২,৭১,২০১৩ ই তার প্রমাণ।

ধৈয্য ধরুন, কষ্ট করুন। এমন আচরণ বা কথা না বলুন যেটা পরোক্ষভাবে মাফিয়াদের অসৎ উদ্দেশ্য রক্ষার্থে ভূমিকা রাখে। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্র ছাত্রীরা,
তোমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাও
তোমরা তোমাদের শক্তি দেখিয়েছো এখন সরকারকে তার কাজ দেখানোর সুযোগ দাও।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফেসবুকে গালি দেয়ার পর, আপনার হিসেব মতো, এই দেশে ফেসবুকে ভালো ও খারাপ লোকদের অনুপাত কি রকম?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ফেসবুকে খারাপ লোকের সংখ্যা বেশি।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতিবাদ হয়ে গেছে; বাচ্চাদের সরে যাওয়া দরকার; যাতায়তের অসুবিধা হওয়ার কারণে, ছাত্রদের উপর মানুষ ক্ষেপবে শীঘ্রই

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: দ্যা ওয়ান্ট কোন ধরনের জাস্টিস? মাই ব্রেইন ক্যাননট ক্যাচ আউট ইট এট অল।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: তাদের এবার ঘরে ফিরা দরকার।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: অাগেই বলেছিলাম, 'অাওয়ামীলীগ অামাদের জন্য মন্দের ভাল'। জামাত- বিএনপি ইস্যু করবে, সুযোগ নেবে তা অন্তত হতে দেওয়া যায় না।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

দরজার ওপাশে আমি বলেছেন: খুব বিরক্ত লাগছে এখন, এর থেকে বাসায় বসে ভারত ইংল্যান্ডের টেস্ট দেখা অনেক ভালো। নীলক্ষেত যাওয়ার দরকার ছিল আর ভালও লাগছে না এসব দেখে

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষার্থী রা!!
তোমরা এখন কি চাউ?
বিনা পরীক্ষায় পাশ?
যানবাহন ছাড়া সড়ক?

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এবার সব কিছু আবার স্বাভাবিক হওয়াটা দ্রুত কাম্য।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাচ্চাগুলোকে ঘরে ফেরান। আপনিই পারেন। বাচ্চাদের কাছে এসে ওদের বুঝিয়ে ওদেরকে ঘরে ফেরান। আমরা রক্ত চাই না, চাই না বাচ্চাদের কিছু হোক। আপনি এবার সরাসরি কিছু করুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

.
আর বাচ্চারা, ঘরে ফেরো এবার। তোমরা দেখিয়েছ, তোমরা কী করতে পার। ঘরে ফেরো এবার... প্লিজ...

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

জগতারন বলেছেন:

শাজাহান খান এখন দুর্গন্ধময় ডাইপার (diapers) ছাড়া আর কিছুই না।
সে শুধুই দুর্গন্ধ আর দুর্গন্ধ।
এই হারামী কে সরানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আচমত খাঁ মোক্তারের ছাওয়াল 
দানব শাজাহান খাঁ এবার লও ঠেলা।
ধমক আর অপমান কত প্রকার ও কি কি ?

খালুর বসত বাড়ী জবর দখল করেছো !
খালাতো ভাই বোনেরা আজ বাস্তুহারা !!
১৯৭৯ সালে তরুন মেধাবী ছাত্র নেতা 
হেলালুল ইসলাম (রাংগু)-কে 
সর্বহারার গুন্ডা দিয়া গুলি করে মেরে
পথের কাঁটা সরাইয়ে নেতা হয়েছিলে !!!

খালুর দখল করা বাড়ীর সামনে নিজের এক দৈত্তাকৃতি
ছবি টাংগাইয়াছে এই শাজাহান খান
যেন বলতে চান;
"অত্র এলাকায় আমিই বড় দানম,
আমার সামনে আসবিতো এক্কেবারে চাঁবাইয়া খামু"


ওর বাপে মোক্তারি করতো মাদারীপুর কোর্টে,
ওর বাবার নুন আনতে পানতা ফুরাতো।
এখন এই কু**র বাচ্ছার হাজার কুটী টাকা সুইস ব্যাঙ্কে জমা।
এ সব টাকাই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগনের টাকা।

এবার সেই সব স্বেচ্ছাচারির মুখে চপেটাঘাত !!!!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: শাজাহান খানের বদলে কি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ভালো হবে?

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: কঠিন সময়ে মানুষের আসল পরিচয় মেলে। আপনি কতটুকু সত্যর পক্ষে, দেশের জন্য কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত তা যাচাই এর পরীক্ষা চলছে। নিজের সামান্য কষ্টকে ভুলে গিয়ে দেখুন যে এই বাচ্চা ছেলেগুলো নিজের জীবন পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত।এদের দিকে তাকিয়ে নিজেকে একটা ক্ষুদ্র কীট বলে মনে হচ্ছে।

একটা কথা মনে রাখবেন যে এই পরীক্ষায় ফেল করলে সারাজীবনের জন্য দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: "তোমাদের কাছে অনুরোধ তোমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাও। তোমাদের দাবির সাথে আমিও একমত। নিরাপদ সড়ক চাই।"
--মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দেশে আন্দোলোনরত ছাত্রচাত্রীদের শুভবুদ্ধি উদয় হবে না, কারণ একবার ছাত্রছাত্রী যখন আন্দোলোনে আসক্ত হয় তারা আন্দোলোন ছেড়ে যেতে পারে না, এটা না হলে অন্যটা - কোনো না কোনো আন্দোলোনে তারা জড়াবে - মাদকের নেশার চেয়ে বড় নেশা আন্দোলোনের নেশা !!!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: মাননীয় নৌ মন্ত্রী। আপনার একটি হাসির জন্যই রাষ্ট্রের এই অস্থিতিশীল অবস্থা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে এর মাশুল দিতে হয়েছে। এই অস্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় উস্কানিদাতা আপনি।দায়টা আপনাকেই নিতে হবে।

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

বিষাদ সময় বলেছেন: ছাত্ররা সরকারকে যে ঝাকি দেয়ার তা দিয়ে দিয়েছে। ছাত্ররা আপাতত পুরোপুরি বিজয়ী।

কিন্তু যারা ছাত্রদের দীর্ঘ আন্দোলনের পক্ষে, হয় তারা সুযোগ সন্ধানি, নয়তো বোকা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: তুমি জানো তোমার কী কী প্রতিভা আছে এবং সেটা দিয়ে একদিন পৃথিবী জয় করে ফেলা সম্ভব।
আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদাটুকু ধরে রাখতে পারলে জীবনে আর কিছু লাগে না।

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: শুরুটা যেমন জানতে হয়, শেষটাও জানতে হয়। অনেকের লাগলেও বলতেই হবে বৃহষ্পতিবারই শেষ হবার দরকার ছিলো অভুতপুর্ব এই আন্দোলনের। বাচ্চারা রাস্ট্রের কালো গর্তটা দেখিয়ে দিয়েছে, এখন যা করার নীতিনির্ধারকরাই করবে।

কিন্তু সমস্যা হলো, কিছু বু্ইড়া ভাম নিজেদের অক্ষমতা বাচ্চাদেরকে রাস্তায় রেখে আদায় করার স্বপ্ন দেখছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে বড় সত্য হলো- মানুষ এই কারণে অসুখী নয় যে, তারা মৃত্যকে জয় করতে পারে না। মানুষ অসুখী কারণ তাদের চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই।

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যেই দেশে ২ কোটি মানুষ থাকলেই্ অতিরিক্ত মনে হওয়ার কথা সেই দেশে ১৮/১৯ কোটি মানুষ।
এর খারাপ প্রভাব জাতি পেতে শুরু করেছে।
এতো বেশী মানুষও কোন দেশে নাই।
এতো বেশী সমস্যাও কোন দেশে নাই।
এতো বেশী নেতা আর কেতাও কোন দেশে নাই।
এতো বেশী আন্দোলনও কোন দেশে নাই।
এই বার বুঝুন মজা।
এবার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্দোলন করেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর খুব সুন্দর একটি ব্যাপার হচ্ছে- জীবনের কোন দুঃখ'ই চিরস্থায়ী না।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

লায়নহার্ট বলেছেন: {ফেসবুকের মতো ব্লগেও আপনাকে পছন্দ করতো এমন মানুষ একজন হলেও কমে গেছে। আপনি কোথাও লিখলেন না, ছাত্ররা কিভাবে ইমারজেন্সি লেন তৈরি করেছে যেখান দিয়ে রোগীরা দ্রুত হাসপাতালে যেতে পারছে, প্রাণ বাচাতে পারছে। কেন? আপনি কি চান একজন লাইসেন্সবিহীন চালকের হাতে আপনার কোন আপনজন খুন হোক? বাস থেকে বাম পা বাম পা করে নামতে খুব ভালো লাগে? ছাত্ররা কি লাইসেন্সওয়ালা কাউকে হয়রানি করছে? রাস্তার উল্টোপথে বাইক চালিয়ে কেউ আপনার গায়ে তুলে দিলে আপনার খুব ভালো লাগবে? হেলমেট ছাড়া রাস্তায় কাউকে সতর্ক করলে কার লাভ কার লস? ভাড়ার জন্য শরীর জ্বলে আর বেপোরয়া গতিতে গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে হয়রানি হয়? এ আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী ছাড়া কার ক্ষতি হয়েছে? আপনি একটা কথা মনে রাখবেন, কথা বলা, লেখা এসব লেদানো না}

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে বলছিঃ দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার পাশাপাশি মধ্যযুগীয় বর্বরতার দিকেও এগুচ্ছে, বিষয়টি দয়া করে খেয়াল রাখবেন !!

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের নির্মোহ দৃষ্টিতে যে কোন জিনিস দেখার জ্ঞান লোপ পেয়েছে। ক্ষণিকের উত্তেজনা, অন্যদের উস্কানিতে এই ঘটনা কোথায় গিয়ে শেষ হবে জানি না...

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: যে লোক রোদ উঠলে ছাতা ধার দেয় আর বৃষ্টি শূরু হলেই ছাতা নিয়ে নেয় সে কখনো বন্ধু প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না।

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে ঘরে

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!

১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা ....

২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস্ , তুই- ই দৌড়ে পালা !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.