নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ তুমি কেমন আছো?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১২



আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে লেখাপড়ার মান একেবারে নিচে নেমে গেছে। নিচে নামতে নামতে শুয়ে পড়েছে- এমন অবস্থা। এখন, বলবেন পাশের হার তো বেশি। সব নকল করে পাশ করেছে। চাঁদগাজী ঠিকই বলেন প্রশ্নপত্র ফাঁস জেনারেশন। আমার ধারনা শিক্ষকরা মনে হয় খাতাও দেখেন নি। কারো ইশারায় হয়তো গনপাশ করিয়ে দিয়েছেন সকলকে। বিভিন্ন অফিস আদালতে আমি দেখেছি- একপাতা দরখাস্ত লিখতে কমপক্ষে ত্রিশটা বানান ভুল করে। বহু মাস্টার্স পাশ করা পোলাপান দেখেছি- ইংরেজীতে পাঁচ লাইন লিখতে পারে না। একেবারে অদক্ষ। অযোগ্য। কিন্তু এই জেনারেশনের বহু পুলাপান ক্ষমতাবান মামা চাচার জোরে চাকরী পেয়ে গেছে। কেউ কেউ ব্যাংকে চাকরী করছে। লেখাপড়ার এই দশার কারনে দক্ষ এবং যোগ্য লোক আমাদের নেই। দক্ষ ও যোগ্য লোক না থাকার কারনে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। সুষ্ঠু জাতি গঠনে লেখাপড়ার মান উন্নত করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

বিএনপির আমলে লেখপড়ার মান খুব ভালো ছিলো।
নকল করে পাশ করার কোনো উপায় ছিলো না। সেই আমলে যারা পাশ করে বের হয়েছে তারা আসলেই দক্ষ ও যোগ্য। আসলে সব সরকার সব কাজে দক্ষ হয় না। আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ খাতে সফল, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করনে সফল। বিএনপির আমলে দেশ পরপর বেশ কয়েকবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে দেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। তার মানে এই না যে দেশে দূর্নীতি হচ্ছে না। প্রচুর দূর্নীতি হয়। বরং বিএনপির আমলের চেয়ে বেশি হয়। তবে আল্লাহর রহমত আছে বলেই, অন্ততপক্ষে চ্যাম্পিয়ন হয় না। বিএনপির আমলে কিছু লোক হুট করে ধনী হয়ে গেছে। তারা টিভি চ্যানেল করেছে, দৈনিক পত্রিকা বের করেছে, নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। আওয়ামী লীগের আমলেও একই অবস্থা। সরকার কখনও জানতে চায় না- নব্য ধনীদের কাছে তারা কিভাবে এত স্বল্প সময়ে ধনী হলো! একজন ছিনতাইকারী বা চোর ধরা কঠিন কিন্তু দূর্নীতিবাজ ধরা সবচেয়ে সহজ। দুদক করে কি? তারা কি চোখে দেখে না?

দূর্নীতিবাজদের ধরা কি বন্ধ হয়ে গেলো নাকি?
নব্য ধনীদের ব্যাপারেও তো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। এই নব্য ধনী কারা? আমি বলি নব্য ধনী কারা। রাজনীবিদিদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনই নব্য ধনী। এবং খোজ নিলে জানা যাবে এরা সবাই'ই আওয়ামীলীগে কোনো না কোনো পদে আছেন। তবে আমি দূর্নীতিবাজদের সাপোর্ট করি। দূর্নীতিবাজরা কোটি কোটি টাকা দূর্নীতি করে, সেই টাকা দিয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে। তাতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়। দূর্নীতিবাজদের সাথে থেকে থেকে চাটুকারিতা করে অনেক লোক গাড়ি, বাড়ি এমনকি দেশ বিদেশ ভ্রমন করছে। দূর্নীতি করা টাকা লোকজন পানির মতো খরচ করে। কোনো মায়া দয়া নেই। কষ্টের, পরিশ্রমের টাকা হলে এভাবে উড়াতে পারতো না। দূর্নীতি হয় কিন্তু আপনার বা আমার ব্যাক্তিগত টাকা না। দূর্নীতি হয় সরকারের টাকা। অবশ্য সরকারের টাকা আমাদেরই টাকা। এক যুগ যদি আমাদের দেশে দূর্নীতি না হয় তাহলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। সরকারী আমলারা দেশটারে শেষ করে দিচ্ছে। লোকজন যেমন ঘুষ খাওয়ার জন্য পুলিশে ঢুকে তেমনি সরকারী চাকরীও মানুষ পেতে চায় ঘুষ খাওয়ার জন্য।

আমাদের দেশের লোকজন অনেক ভালো।
বেশির ভাগ লোকজনই সহজ সরল। সহজ সরল বলেই তারা দুঃখী। ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী, প্রেম ভালোবাসায় দুঃখী। এই সমাজের ধনী লোকগুলো অনেক ভালো। তারা ধনী সৎ পথে হয়েছেন না দূর্নীতি করে হয়েছেন সেটা কোনো বিষয় না। প্রত্যেক ধনীলোক প্রতি বছর শীতের সময় দরিদ্র লোকদের কম্বল দেয়। মসজিদে টাকা দেয়। মাদ্রাসায় টাকা দেয়। বন্যা কবলিত অসহায় মানুষকে সাহায্য করে। ধনী লোকজন সাহায্য করার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা নিজের নামে অথবা বাপ মার নামের ফাউন্ডেশন করে। সেই ফাউন্ডেশন থেকে নিয়মিত দরিদ্র লোকদের সাহায্য সহযোগিতা করেই যাচ্ছে। কেউ কেউ গ্রাম থেকে অসুস্থ রোগী ঢাকায় এনে চিকিৎসা করাচ্ছেন। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা করছেন। কেউ কেউ গ্রামে পাকা রাস্তা করে দিচ্ছেন। তারা যদি দূর্নীতি না করতো তাহলে তারা এমন মহৎ কাজ করতে পারতো না। অনেক ভালো কাজ করার জন্য কিছু মন্দ কাজ করতেই হয়।

আমি এই দেশ নিয়ে আশাবাদী।
যদিও মাঝে মাঝে খুব হতাশ হয়ে যাই। একদিন এই দেশের কোথাও কেউ না খেয়ে থাকবে না। কেউ রাস্তায় ঘুমাবে না। সিগনালে এবং ফুটপাতে কোনো ভিক্ষুক থাকবে না। চুরী-ছিনতাই হবে না। কোনো বেকার থাকবে না। দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা করাতে পারবে। খাদ্যে ভেজাল থাকবে না। রাস্তায় বাচ্চা মেয়েরা ফুল বিক্রি করবে না। গ্রামের পর গ্রাম বন্যায় তলিয়ে যাবে না। যথা সময়ে বাঁধ দেওয়া হবে। সেদিন আমি চিৎকার করে বলল, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। বিশ্বাস করুন দেশ আজ সত্যি সত্যি উন্নয়নের মহাসড়কে। এখন যখন কেউ বলে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে তখন আমার হাসি পায়। না, আমরা এখনও উন্নয়নের মহাসড়কে যেতে পারি নি। তবে আমরা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। দেরী হোক, যায়নি সময়। জয় বাংলা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক ভাল লেখেছেন রাজীব দা
হাজারও শুভেচ্ছা নিবেন--------------

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট ভাই।

পড়লাম। চিন্তাভাবনার ভিন্নতা থাকতেই পারে। সমালোচনা বা আত্মসমালোচনা একজন বিজ্ঞ মানুষের বৈশিষ্ট্য।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।
অনেকদিন আপনার পোষ্ট পাই না। বলেছিলাম একটা নতুন ধারাভিক শুরু করতে।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি কল্পে সরকারের সাফল্য আছে তবে দূর্নীতি ও অনিয়মের কাছে সব সাফল্যই ম্লান হয়ে গেছে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপির মতো তো দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় নি।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হতাশ হবার কিছু নাই
যখন যা তা মেনে নিতে
পারলেই হতাশা কমে যাবে।

এখন পর্যন্ত পরিচিত যত মানুষ জয়ী হয়েছেন,
তার অধিকাংশ মানুষই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।
হতাশাগ্রস্ত থেকে উত্তরণের চেষ্টাই আজ তারা জয়ী।
বিশ্বাস না হলে আশপাশের বিজয়ী মানুষদের ইতিহাস জেনে দেখুন।
এই পৃথিবীতে যেমন দিনের পর রাত আসে তেমনি হতাশার পর আশার আলো উঁকি দেয়।
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখবেন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বাস করার মতো মানুষ নাই।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২

বাকপ্রবাস বলেছেন: স্কুল পাঠ্য রচনা হয়েছে ভাল মানের।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আশায় বসত করা ছাড়া উপায় নেই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস আশাবাদী হতে হবে।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাকপ্রবাস বলেছেন: স্কুল পাঠ্য রচনা হয়েছে ভাল মানের।
দুই প্যারা পড়ার পর আমারও তাই মনে হয়েছিলো।

একটা তথ্যে বোধ হয় ভুল আছে। টিআইবি'র সুচকে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত শীর্ষে উঠেছিলো ২০০১ সালে, যেটা মূলত আওয়ামী লীগের প্রথম টার্মের ধারাবাহিতা ছিলো। আর বিএনপির দুর্নীতিবাজরা সেই শীর্ষস্থানকে সফলভাবে টেনে নিয়ে গিয়েছে।

তবে আপনার মত আমিও এই দেশ নিয়ে আশাবাদি। এই সব পচাঁ রাজনীতি একদিন বন্ধ হবেই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল হলে আপনারা বড় ভাই শুধরে নিবেন। এতটুকু আমি আশা করতেই পারি।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কনফুসিয়াস বলেছেন: ২০১২ সালের পর থেকে প্রশ্ন ফাঁস এইদেশের ছাএ-ছাএিদের কাছে চা-নাস্তার মত হয়ে গিয়েছে। পরিক্ষার আগে প্রশ্ন পাব এই ধারনায় অনেকেই ঠিকমত পড়ালেখা করেনা। আল্লাহ ভাল জানেন আমাদের ভবিষ্যত কি!!!!!!!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: দেশপ্রেম নিয়ে দুটি কবিতা
================
লেখকের নাম= ?
এই মেঘ এই রোদ্দুর
===============
সুদূরে মিলায় সবুজ ফসলের মাঠখানি
সবুজ আর সোনালী মিশে একাকার
মন যে সুদূরে নিল টানি;

পশ্চিমা সূর্যের কিরণে ঝিকমিক
সোনালী ফসলের মাঠ, সোনা রোদের ঝিলিক
স্নিগ্ধতায়, মুগ্ধতায় দুচোখ খুশিতে চিকমিক ।

পাখিরা করে কলরব, গাছের শাখে শাখে
ঝির ঝির হাওয়া বয়, পথিক ঝিরোয় ছায়ায়
ফেরিওয়ালা হাক পাড়ে ওই পথের বাঁকে ।

কুয়াশার চাদর বিছায়েছে দেখ কচি ঘাসের মাথায়
শিউলীরা ভালবেসে শিশিরের গায়ে দেয় চুম্বন
আহ! ফুলের আঘাতে গলে গেল শিশির ব্যথায় ।

টুপটাপ টুপটাপ শিশির ফোটা টিনের চালে
বহে হিমেল বায়; মনোরম আবেশ
যেন প্রকৃতি গান গায় তালে তালে ।

রাতের জোছনা ঝরা আকাশে
মিলি, তারা আর জোনাকীদের সাথে
প্রাণ ভরে নি:শ্বাস নেই উন্মুক্ত বাতাসে ।

আমার প্রিয় বাংলাদেশ
হাজার স্বপ্ন দিয়ে সাজাই তারে
স্বপ্নের তো আর নেইকো শেষ ।

ঋতু বৈচিত্রের সুন্দর জন্মভূমি আমার
বিচিত্র রূপ তার; শস্য শ্যামল ক্ষেত খামার
প্রিয় জন্মভূমি মা তোমায় ভালবাসি বেশুমার ।


(২)
দেশ প্রেম মানে হরতাল অবরোধ
দেশ প্রেম মানে ভাংচুরে মেটানো ক্রোধ
দেশ প্রেম মানে ক্ষমতার অপব্যবহার
দেশ প্রেম মানে মাঝ রাস্তায় আয়োজন সভার ।
দেশ প্রেম মানে কাঁদানে গ্যাস, ককটেল
দেশ প্রেম মানে তেলা মাথায় ঢালো তেল ।
দেশ প্রেম মানে অসহায়ের বুকের চাপা বেদনা
দেশ প্রেম মানে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার সাধনা ।
দেশ প্রেম মানে লুটে পুটে খাওয়া
দেশ প্রেম মানে গরীবের পেটে পা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া
দেশ প্রেম মানে অন্যায় আর শোষণ
দেশ প্রেম মানে রক্ত গলায় ঝাঁঝালো ভাষণ ।
দেশ প্রেম মানে নিত্য নতুন আশ্বাসের ঘোষণা
দেশ প্রেম মানে কথা দিয়ে কথা না রাখার প্রতারণা
দেশ প্রেম মানে দুর্বলের উপর অত্যাচার
দেশ প্রেম মানে অসময়ে স্বজন হারিয়ে শুধু হাহাকার ।
দেশ প্রেম মানে নেতার গরীবের সাথে থাকার গান
দেশ প্রেম মানে অসহায়ের অকালে ঝরলো বুঝি প্রাণ ।
দেশ প্রেম মানে ভুলে যাওয়া ইলিয়াস, বিশ্বজিৎ
দেশ প্রেম মানে অপঘাতে হারিয়ে যাওয়ার করুণ গীত ।
দেশ প্রেম মানে সাগর রুনীর বিচারের আশায় দিন গোনা
দেশ প্রেম মানে মা বাবা হারানো মেঘের কথা শুনা ।
দেশ প্রেম মানে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ
দেশ প্রেম মানে মেনে নেয়া অন্যায়; বেঁচে থাকা হাঁসফাঁস ।
দেশ প্রেম মানেই শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সংগ্রাম
দেশ প্রেম মানেই ইতিহাসের পাতায় উঠানো নিজের নাম ।
দেশ প্রেম মানে লেখালেখি শুধু কবিতার সাদা পাতায়
দেশ প্রেম মানে দেশের জন্য কিছু করতে না পেরে, কুঁকড়ে যাওয়া ব্যথায়

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন: দেশ প্রেম
--------------------
কাজী আনিসুল হক
================
দেশ প্রেম ,দেশ প্রেম ,দেশ প্রেম ।।
চিৎকার করে আজ মাইক লাগিয়ে বলি ।
কেননা, আমার ভিতরে অভাব আছে সে প্রেমের ।
আজ প্রমানের মাপকাঠিতে বিচার হয়,
কতটা ভালোবাসি এ দেশটাকে ।
ভাবনায় সাতচল্লিশ, মুখে বায়ান্ন,
বিপ্লবে উনসত্তুর, চেতনায় একাত্তুর ।।

উনিশ শতক পেড়িয়ে বিংশ শতাব্দির এ যুগে-
স্বাধীনতা খুঁজি পথে পথে , আমার ভাইয়ের লাশে
নয়ত, সম্ভ্রম হারানো কোন মা কিংবা বোনের আচলে ।
স্বাধীনতা সে স্বার্থান্বেষী রাজনীতিকের ঘরে রাজ বন্দি এখন।

কে হবে ভাসানী, কে হবে নজরুল , সোহরাওয়ার্দী কিংবা শেরে বাংলা ?
আর কি শোনা যাবে, লৌহার কপাট ভাঙ্গা বর্জ্র কন্ঠে গর্জে ওঠা সেই ভাষন ?

প্রতিদিন শোষণের চিত্র খবরের কাগজে , অনিয়ম আর দূর্নীতি ।
ওরা খাবলে খায় আমার মায়ের বুক, তাও নাকি বিশ্ব সম্প্রীতি!
ভাগ্যহত বেঁচে থাকা মুক্তিসেনাদের কপালে আজ মৃত্যু কালীন সেলুট
হায়রে ইতিহাস , হায়রে স্বাধীনতা , হায়রে আমার দেশ !
কবে বিষ্ফোরিত হবে গণজাগরণ , কবে হবে এর শেষ ?

নিরুত্তর বছরের কয়টি মাস।
না তাও নয় , মাত্র কয়েকটি দিন ।
একুশ-ছাব্বিশ-ষোল, বিশেষ ক্ষনে মনে পরে মায়ের ঋন।
আজো বাংলার আকাশে শকুন উরে, হয়নারা খুঁজে ফিরে শিকার।
এদেশে এখনো সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানাতে হয় ধ্বিকার।
আজব আমারা , আজব আমাদের দেশ, আজব দেশ প্রেম।
সেমিনার কিংবা সভা মঞ্চে লোক দেখানো অথবা মানচিত্র বন্দি ফ্রেম ।
না হয় কাগজে-কলমে বন্দি হওয়া ষোল কোটি মানুষের বিবেক।

সহ্য ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে , গন্ডারের চেও ভারী হয়েছে শরীরের চামড়া।
বলতে পারো চোখে সানি পড়েছে, হয়ে গেছি সবাই নিবোর্ধ বয়ড়া ।
তবুও জানতে ইচ্ছে হয় , চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়….
দেশ প্রেম ,দেশ প্রেম ,দেশ প্রেম ।।

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!

১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

সোহানী বলেছেন: আমরা হলাম গিয়ে আখ, যে যত খুশি চিপে চিপে রস বের করে.............

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.