নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
শাহেদ জামাল বেশ সমস্যায় পড়েছে।
রাত হলেই কেমন ভূতের ভয় করে তার। রাত যত বাড়ে, ভয়টাও বাড়ে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় তার। তখন সে টিকটিকির ডাক শুনে। মূরগীর ডাক শুনে। তার মনে হয় চারপাশে কেমন একটা বিরক্তিকর শব্দ হতেই থাকে। প্রতিদিন ঠিক রাত আড়াইটায় ঠাণ্ডা একটা বাতাস গায়ে লাগে। তখন অজানা ভয় গলা টিপে ধরে তার। মনে হয় সমস্ত মৃত মানুষেরা শাহেদের চারপাশে বসে আছে। তারা ফিসফিস করে কথা বলে। যেন কোনো একটা গোপন ষড়যন্ত করছে। তারা শাহেদকে নিতে এসেছে। হায় হায়! শাহেদ তার শিক্ষককে ফোন দিয়ে ভয়ের কথাটা বলে। মন দিয়ে শুনে স্যার বলেন, আয়তুলকুরছি আর চার কুল পড়ে ঘুমাতে যাবে। ইনশাআল্লাহ আর এমন হবে না। আমারও আগে এমন হতো।
বেচে থাকার অনেক কষ্ট আছে।
তবু কোনো মানুষের মরতে ইচ্ছা করে না। মরার কথা ভাবলেই নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসে শাহেদের। কেউ কেউ মরে গিয়েও বেচে থাকে। কারন তারা বেচে থাকা অবস্থায় অনেক ভালো ভালো কাজ করেছে। ভালো মানুষদের মরে গিয়েও কিছু থাকে। সবটা শেষ হয় না। কিছু একটা থেকে যায়। সারা বিশ্বে করোনায় পটাপট মানুষ মরছে। প্রতিটা মৃত্যু শাহেদকে কষ্ট দেয়। যদি শাহেদের কোনো দেবতা থাকতো। আর সেই দেবতা যদি শাহেদকে বলতো, তোমাকে একটা মাত্র বর দেওয়া হবে। যা খুশি চাইতে পারো। সমস্ত অন্তর দিয়ে শাহেদ বলতো, পৃথিবীর কোনো সম্পদ চাই না, চাই না টাকা, সাম্রাজ্য, খ্যাতি-সফলতা বা ক্ষমতা। শুধু চাই করোনামুক্ত বিশ্ব। ব্যস এইটুকু মাত্র। এমন দেবতা কি আছেন বিশ্বে?
এটা নাকি বিজ্ঞানের যুগ?
পৃথিবীর এত বড় বড় বাঘা বিজ্ঞানীরা সামান্য একটা ভাইরাসের ওষুধ বানাতে পারছে না! শুধু কেমিকেল, কসমেটিকস জিনিসপত্র দিয়ে লোকজনকে চমকে দেওয়ার জন্য ম্যাজিক আউটেম তৈরি করলে হবে? রকেট, ইন্টারনেট আর স্যাটালাইটই কি বিজ্ঞানের শেষ কথা? দুনিয়ার মানুষকে শিক্ষা, উপোস আর রোগেভোগে রেখে স্যাটালাইট কি দিচ্ছে আমাদের? শাহেদের ধারনা বিজ্ঞানীরা আসলে আমাদের হাতে খেলনা দিয়ে আমাদের ভুলিয়ে রেখেছে। এই যে করোনাতে আমরা মরতে বসেছি, সমস্ত বিজ্ঞানীরা করছেটা কি? যদি বেঁচেই না থাকি তাহলে এই বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির দাম রইলো কি? শাহেদ জামাল বিশ্বের সমস্ত বিজ্ঞানীরদের উপর খুব হতাশ।
শাহেদ পরিস্কার বুঝতে পারছে-
আগামী কয়েক দশকে প্রকৃতির নিয়মেই লাখ লাখ মানুষ মরবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, নাম না জানা রোগ, যুদ্ধ, খুন এভাবেই মানুষ মরতেই থাকবে। আর একের পর এক কঠিন ভাইরাসের আগমনে মহামারী আকার ধারন করবে সারা বিশ্বে। করোনার চেয়ে কঠিন সব ভাইরাস পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। শাহেদ চোখ বুজলেই দেখতে পায়- সমস্ত পৃথিবী জুড়ে লাখ লাখ মৃত দেহ পড়ে আছে। কবর দেওয়ার লোক নাই। সামনের দিন গুলোতে যে বিরাট সংকট আসছে পৃথিবীতে তা মানুষের চিন্তার বাইরে। সাধারন মানুষ অন্ন বস্ত্রের বাইরে কিছু ভাবতে চায় না। তাই ধনী রাস্ট্র গুলোর এখনই ভাবার সময়। মানুষ শুধু পৃথিবীর ক্ষতিই করেছে। পৃথিবী যেন ভালো থাকে তার চেষ্টা করেনি। তাই তো পৃথিবী করো্না দিয়ে প্রতিশোধ নিচ্চে। বোকা মানুষ বুঝে না- সম্মেলন আর কনফারেন্স করে পৃথিবীর ভালো করা যায় না।
শাহেদ জামাল বিশ্বাস করে না-
বিল গেটস যতই বলুক- কোভিড-১৯ এর পরে আর কোন জীবানু বিশ্ববাসীকে কাবু করতে পারবে না। কারণ বিজ্ঞানীরা এমন কিছু আবিষ্কার করবেন যার কাছে কোন ভাইরাসই টিকতে পারবে না। শাহেদের ধারনা বিশ্ব থেকে যে কোনো ক্ষতিকর ভাইরাস দূর করার একটাই পথ- তা হলো সারা বিশ্ব গাছ লাগিয়ে ভরে ফেলতে হবে। পৃথিবী হবে সবুজ। গাছ মানুষকে বাচাবে। গাছ মানুষকে সমস্ত রকম বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে। তাই উঠান, রাস্তা, ফুটপাত, মাঠঘাট, নদীর পাড়, সব গাছ লাগিয়ে ভরে ফেলতে হবে। যেন একটু জায়গায়ও খালি পড়ে না থাকে। পৃথিবী ভরতি গাছ থাকলে কোনো প্রকার ভাইরাস আসবে না। মানুষের জীবন হবে সহজ সরল সুন্দর। এবং অবশ্যই কলকারখানা কমাতে হবে। এবং নতুন কোনো কলকারখানা স্থাপন সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করতে হবে। পৃথিবীর ক্ষতি হয় এরকম কিছু করা যাবে না। তবেই আপনি ভালো থাকবেন। ভালো থাকবে সমস্ত বিশ্ব।
০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ''প্রকৃতি'' বলছেন কেন?
বলুন ঈশ্বর।
২| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ৩:৫৯
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মানুষ এই অণুজীব করোনা ভাইরাসের কাছে বড় অসহায় হয়ে উঠছে দিন দিন...
০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: শেষমেশ মানুষের সাথে পারবে না করোনা ভাইরাস।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৪:২১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: লেখক বলেছেন, শেষমেশ মানুষের সাথে পারবে না করোনা ভাইরাস।
মানুষ একা মানুষ নয়। সবাই মিলেই মানুষ। একা মানুষ গুণতে গেলে অনেকেই করোনার কাছে বধ হয়েছে। সামগ্রিক মানুষের কাছে করোনা হেরে যাবে। যদি আমরা সম্মিলিত মানুষ হতে পারি...
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলছেন।
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৪:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিজ্ঞান বসে নাই চেষ্টা করছে । একটু সময় লাগবে । কিন্তু মানুষ মরবে অনেক। ফেনী ট্রমা সেন্টারে দুইজন করোনা রোগী আছে কিন্ত ঠিকমত খাবারও পাচ্ছে না।
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: সাধারন মানুষ খাবার দিচ্ছে না কেন??
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৬:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক সময় পৃথিবী হবে আরো বেশি সুন্দর।
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সেই সম্ভবনা নাই।
৬| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ৯:২০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিজ্ঞানে শেষ কথা বলে কিছু নেই।আজকে পারে নাই কালকে পারবে।
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: পারলে ভালো।
৭| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: একটা মাত্র জীবন এবং একটা মাত্র পৃথিবী। তাই সময় নষ্ট না করে দু'টোকেই উপভোগ করতে হবে।
০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: উপভোগ করার জন্য আমি পোষ্টে যা বলেছি তা করতে হবে।
৮| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্টটি পড়েছি ভাইয়া।
০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে গাছ লাগান।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ২:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব প্রকুতির প্রতিশোধ বড়ই নির্মম
পাপের ভরা পূর্ণ হলেই শুরু হয় প্রকৃতির নির্মম প্রতিদান।
ক্ষতির পরিমান যত বড় প্রকৃতির প্রতিদানের পরিমাণও তত ভয়াবহ।
প্রতিটি কাজেই রয়েছে ‘প্রকৃতির প্রতিদান’ ভাল করলে ভাল পাবেন, মন্দ করলে মন্দ পাবেন।