নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বলা হয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৪৫ সালে ফরমোসার তাইহোকু (বর্তমান তাইওয়ান) বিমান বন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যবরণ করেন। তিনি বিমান দূর্ঘটনায় আহত হোন। আগুনে তার শরীর অনেকখানি পুড়ে যায়। কিন্তু মারা যান নাই। গোপনে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি অনেক বছর বেচে ছিলেন। বিশ বছরের মধ্যে সুভাষ চন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। অনেক সাহসী, পরিশ্রমী একজন মানুষ এবং আশাবাদী মানুষ সুভাষ। তার মহৎ কর্মের কারনে জীবনে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পেয়েছেন। দেশের প্রতি ছিলো তার সীমাহীন ভালোবাসা।
১৮৯৭ সালে ২৩ জানুয়ারি, বর্তমান ভারতের উড়িষ্যার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন আইনজীবী। তাঁর মায়ের নাম প্রভাবতী দেবী। সুভাষ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯১১ সালে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রেসিডেন্সি কজেও লেখাপড়া করেন। অবশ্য এ কলেজ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। ইংল্যান্ডে সুভাষ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার্থে ভর্তি হন। ইংল্যান্ডে থাকা অবস্থায়ই তিনি জানতে পারেন দেশের অবস্থা- রাউটাল বিল বাতিলের জন্য গান্ধীজী দরখাস্ত করেন। সত্যগ্রহ আন্দোলন শুরু হয় এবং হরতাল পালিত হয়। গান্ধীজী গ্রেফতার করা হয়। জালিয়ানওয়ালাবাগে হত্যাকান্ড। এরকম নানান ঘটনায় সুভাষ দিনকে দিন তীব্র বৃটিশ বিরোধী হয়ে উঠেন।
১৯২১ সালে ১৬ জুলাই জাহাজ থেকে নেমেই গান্ধীজী'র সাথে দেখা করেন সুভাষ। গান্ধীজী'র নির্দেশে তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে দেখা করেন। চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন সবার রাজনৈতিক গুরু। চিত্তরঞ্জন দাশের অনুপ্রেরণায় স্বরাজ নামক সংবাদ পত্রে লেখালেখি শুরু করেন। সুভাষচন্দ্র ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। তিনি ধ্যানে অনেক সময় অতিবাহিত করতেন। তার স্ত্রী এমিলি শেংকেল কখনো ভারতে আসেননি। ১৯১০ সালের ২৬ জানুয়ারী অস্ট্রিয়ার এক ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম হয়েছিল এমিলির। এমিলি অবশ্য সুভাষের স্মৃতি নিয়েই ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। তাদের একমাত্র মেয়ে অনিতা বসু পাফ তার পিতার দেশ ভারতে বহুবার এসেছেন। তিনি পেশায় অর্থনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৪২ সালের ২৯ নভেম্বর জন্ম নেয় অনিতা।
সুভাষ চন্দ্র বসুর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি হল, "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব" (হিন্দিতে, তুম মুঝে খুন দো, ম্যায় তুমহে আজাদি দুঙ্গা)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুভাষচন্দ্রকে 'দেশনায়ক' আখ্যা দিয়ে 'তাসের দেশ' নৃত্যনাট্যটি তাকে উৎসর্গ করেন। আজ কলকাতার একাধিক রাস্তা তার নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে।
স্ত্রী এমিলিকে লেখা চিঠি
১৯৩৭ সালে সুভাষ চন্দ্র এক চিঠিতে তার স্ত্রীকে লিখেছিলেন, "আমি জানি না ভবিষ্যতে কী হবে। হতে পারে, পুরো জীবনটাই হয়তো জেলে কাটাতে হবে, অথবা আমাকে গুলি করে দেওয়া হতে পারে, কিংবা ফাঁসীও হতে পারে। এও সম্ভব যে তুমি হয়তো আমাকে কখনও আর দেখতেই পাবে না, অথবা আমি হয়তো কখনও তোমাকে চিঠিও লিখতে পারব না। কিন্তু ভরসা রেখ, তুমি চিরকাল আমার হৃদয়ে থাকবে, আমার মনে, আমার স্বপ্নে থাকবে। যদি এই জীবনে সম্ভব না হয়, তাহলে পরের জীবনে তোমার সঙ্গেই থাকব আমি।"
"আমি তোমার অন্তরে থাকা নারীত্বকে ভালবাসি, তোমার আত্মার সঙ্গে আমার প্রেম। তুমিই আমার জীবনে প্রথম প্রেম,"।
একেবারে শেষে চিঠিটা নষ্ট করে ফেলতে বলেছিলেন সুভাষ। কিন্তু এমিলি সেটাকে সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন।
সুভাষের কন্যা অনিতা ও স্ত্রী এমিলি।
এক নজরে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
# ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি জন্ম সুভাষ চন্দ্র বসু।
# ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
# ১৯১৩ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।
# ১৯১৬ সালে একজন ব্রিটিশ অধ্যাপকের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
# ১৯১৭ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজের দর্শন অনার্সে যোগদান করেছিলেন।
# ১৯১৮ সালে বিএ পাশ করেন সুভাষ।
# ১৯১৯ সালে দর্শনে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন
# ১৯২০ সালে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
# ১৯২১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
# ১৯২২ সালের ১ আগস্ট তিনি জেল থেকে বের হয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে গয়া কংগ্রেস দলে যোগ দেন।
# ১৯২৩ সালে তিনি ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।
# ১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু তাকে অত্যন্ত শোকাহত করে।
# ১৯২৭ সালে জওহরলাল নেহেরুর সাথে নেতাজি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
# ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়।
# ১৯৩২-এর ফেব্রুয়ারী থেকে অসহযোগ আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার সময় থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
# ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ভিয়েনার উদ্দেশ্যে বোম্বে থেকে জাহাজযোগে রওনা দেন।
# ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে বর্মার (বর্তমান মায়ানমার) মান্দালয়ের জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় সুভাষচন্দ্র গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
# ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রেমিকা এমিলি-কে বিবাহ করেন।
# ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গান্ধীর বিরোধিতার মুখে ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।
# ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩ মে তারিখে সুভাষ অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক (All India Forword Block) নামক একটি দল গঠন করেন।
# ১৯৪০ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হলেও গৃহবন্দী করে রাখা হয় তাকে।
# ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ২৮ শে মার্চ জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এসে উপনীত হন ।
# ১৯৪২ এর ডিসেম্বরে ভিয়েনায় পৌঁছান সুভাষ চন্দ্র মেয়েকে দেখার জন্য।
# ১৯৪৩ সালে রাসবিহারি বসু এই সেনাবাহিনীর দ্বায়ীত্ব সুভাষ চন্দ্র বসুকে হস্তান্তর করেণ ।
# ১৯৪৫, ১৮ আগষ্ট রাত প্রায় ন'টার সময়ে সুভাষ চন্দ্র বসু শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এমনটা ধারনা করা হয়।
০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বড় মনের মানুষরা একটু পাগল পাগল হয়।
২| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
জাফরুল মবীন বলেছেন: মহামানবদের জীবনী পড়তে ও জানতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৩| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি ততকালীন ইংল্যান্ড'এর কলোনিয়েল রাজনীতি, কংগ্রসের রাজনীতি, যুদ্ধের পরিস্হিতি, বৃটিশের ভারত ছাড়ার প্ল্যান না বুঝে অকারণ এক স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: উনি উনার স্বাধ্য মতো চেষ্টা করেছেন।
৪| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
ঢাবিয়ান বলেছেন: আজকের দুনিয়ায় এই ধরনের দেশপ্রেমিক নেতাদের খুজে পাওয়া কঠিন
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক।
৫| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন কিন্ত ভূল পথে।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগে এসে হয়তো আপনার কাছে ভুল পথ মনে হচ্ছে। কিন্তু তখন ভুল পথ মন এহয় নি কারো।
৬| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সাহসী মানুষ ।
কিন্তু পরিকল্পনা সঠিক না থাকাতে সফল হতে পারেনি।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: উনি সফল।
উনার সফলতা বুঝতে হলে, উনাকে জানতে হবে।
৭| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
ঊণকৌটী বলেছেন: ভারতের জাতীয় রাজনীতি তথা সমাজবোধে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা কোনও দিনই ম্লান হবে না। তিনি একটা গোটা জাতিকে ঝুঁকি নিয়ে লড়বার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আর তাই তিনি সকলের 'নেতাজি'। 'নেতাজি' বলতে বাঙালি একজনকেই বোঝে তিনি সুভাষ চন্দ্র বসু। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি এই 'দেশনায়ক' -এর জন্ম লগ্ন । আর সেই জন্মদিবস আজও সসম্মানে পালিত হয় এদেশের বিভিন্ন জায়গায়। নেতাজির জীবনদর্শনই ছিল স্বাধীন দেশের সামাজিক উন্নতি। আর সেই পথে এগোবার জন্য তাঁর বিভিন্ন উক্তিগুলি রীতিমত অনুপ্রেরণা দেয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত উক্তি। স্বাধীনতা নিয়ে বার্তা
শুধুমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা জেতা যায়। তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। লড়াই নিয়ে বার্তা
ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!....যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।
চিন্তন ঘিরে অনুপ্রেরণা
কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।
এগিয়ে চলার বার্তা
মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেবে।
সংগ্রাম নিয়ে বার্তা
যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়.
সমস্যা কাটাবার উপায় নিয়ে বার্তা
আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উৎপাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।
কলকাতা বিমানবন্দরটি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নামানুসারে।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৮| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়া ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কোন সহিংস আন্দোলন বা যুদ্ধ করেনি। তারা স্বাধীন হয়ে গেছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে যেখানে কোন হানাহানি , ছিলনা কোন রক্তপাত। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন করাটা লহাত্মা গান্ধীর পরিকল্পনা । আর নেতাজীর তার উল্টোটা । তিনি যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে চাইতেন।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছাড়া কিছু কি পাওয়া যায়? আমাদের কথাই ধরে ৭১ কত রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি।
৯| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,
আপনি বলেছেন, "সাহসী মানুষ । কিন্তু পরিকল্পনা সঠিক না থাকাতে সফল হতে পারেনি। "
-২য় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার, মুসোলিনী ও জাপানের বিজয় হলে, উনার অধীনতে ভারত স্বাধীনতা পাবার সম্ভাবনা ছিলো যু্দ্ধের শেষে; কিন্তু হিটলার, মুসোলিনী ও জাপানের বিজয়ে সম্ভাবনা কি ছিলো? উনার পরিকল্পনা দিয়ে কি হবে?
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: একদম আসল জায়গায় হাত দিয়েছেন।
১০| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: খানসাব এত বছর পরেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর
অন্তর্ধান ঘিরে রহস্য রহস্যই থেকে গেছে।
জাপান সরকারের করা তদন্তের রিপোর্ট তৈরি হয়েছিল ১৯৫৬
সালের জানুয়ারি মাসে। সেটি তখনই টোকিওয় ভারতীয় দূতাবাসকে
দেওয়া হয়। কিন্তু নথিটি ‘গোপন’ বলে কোনও পক্ষই তা প্রকাশ করেনি।
নেতা সুভাষ চন্দ্র বসুর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত অন্তত ২০টি গোপন
ফাইল রয়েছে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে। কিছু বিদেশী রাষ্ট্রের
সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে – এই আশঙ্কায় ওই গোপন নথিগুলি
প্রকাশ করা যাবে না, এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন দেশের সংসদেও ওঠানো
যাবে না বলে ভারতের এক সংসদ সদস্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল
মনমোহন সিংয়ের সচিবালয়।
বিচারপতি মনোজ মুখার্জীর নেতৃত্বাধীন মুখার্জী কমিশন কমিশন বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছিল। তাইহোকু বিমানবন্দরের
সব নথি খতিয়ে দেখে তারা মতামত দেয় যে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট
সেখানে কোনও বিমান দুর্ঘটনাই ঘটে নি। তবে কোনও কারণ না দেখিয়েই
এই তদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে দেয় সরকার।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।
১১| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়া ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কোন সহিংস আন্দোলন বা যুদ্ধ করেনি। তারা স্বাধীন হয়ে গেছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে যেখানে কোন হানাহানি , ছিলনা কোন রক্তপাত। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন করাটা মহাত্মা গান্ধীর পরিকল্পনা - গান্ধী কোনোদিনও ভারতের স্বাধীরতা চায়নি। সে ছিলো ইংরেজদেরই সৃষ্ট কংগ্রেস দলের নেতা , যে ১৯২২ এ প্রচন্ড আন্দোলনে দেশ থেকে ইংরেজ শাসন প্রায় বিতাড়িত হলেও চৌরিচৌরায় ইরেজ পুলিশ মরায় ফাজলামির অহিংস নীতি ভঙ্গ হয়েছে - এই অজুহাতে আন্দোলন বন্ধ করে আরো ২৫ বছর দেশে ইংরেজদের অত্যাচারী শাসন চালানোর এবং আরো কয়েক কোটি লোককে হত্যার সুযোগ করে দেয়।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: কই সাজ্জাদ ভাই।
অনল ভাই কি বলছেন দেখুন।
১২| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মারামারি হানাহানি রক্তপাত করে যে সব কিছু হয় না মহাত্মা গান্ধী সেটা করে দেখিয়েছেন। সুতরাং নেতাজি যে ফল কতটা তা বোঝাই যায় । দেশ স্বাধীন করে নিয়ে এসেছেন মহাত্মা গান্ধী । নেতাজি নন।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অনেক অপবাদ আছে তা জানেন?
১৩| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি ততকালীন ইংল্যান্ড'এর কলোনিয়েল রাজনীতি, কংগ্রসের রাজনীতি, যুদ্ধের পরিস্হিতি, বৃটিশের ভারত ছাড়ার প্ল্যান না বুঝে অকারণ এক স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
ইহাই সঠিক বিশ্লেষণ।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
১৪| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৫২
ঊণকৌটী বলেছেন: গান্ধীজির সাথে মতের অমিল হোয়ার জন্যই নেতাজি কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হন।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: গান্ধীজী সুভাষ চন্দ্রকে খুবই পছন্দ করতেন।
১৫| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: দেশ স্বাধীন করে নিয়ে এসেছেন মহাত্মা গান্ধী । নেতাজি নন- এর চেয়ে মজা আর কি আনন্দ হতে পারে????
ইংরেজরা ভারতের লোকদের পশুর মতো হত্যা,ধর্ষণ করবে ,ট্রেনে,খাবার দোকানে কুকুর আর ভারতীয়দের প্রবেশ লিখে রাখবে আর গান্ধী নামে এক দালাল এসে বলবে,তোমার এসব আরো বেশী করে করো !!!!
ভারেতর স্বাধীনতা এসেছে হিটলারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের দূর্দশা আর কোনো যুদ্ধে জয়ী না হলেও সুভাষ বসুর বাহিনীর শস্ত্র আক্রমণের কারণে।
গান্ধী যে কি জিনিস ছিলো,সেটা দেখার জন্য রাজকুমার সন্তোসী পরিচালিত দ্য লিজেন্ড অফ ভগৎ সিং -২০০২'' ছবিটা দেখেন।
জাতির পিতৃত্ব ছুটিয়ে দিয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=A2F5jbjRCAk
১৬| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ভাইয়ের পোস্টে তো দেখেছি রীতিমত তোলপাড়। 2 বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী কালীন সময়কালটা ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যেখানে জাতীয় রাজনীতির স্টিয়ারিংটি ছিল গান্ধীজীর হাতে। সুভাষচন্দ্র নেহেরু সঙ্গে পরবর্তীতে সমাজতান্ত্রিক মনোভাবে পার্থক্য ঘটায় তারা গান্ধীকে ব্যতিরেকে কংগ্রেস সোস্যালিস্ট দল গঠনে উদ্যোগী হন। তবে গান্ধী এবং সুভাষের এই বিরোধ বিরাট অধ্যায়। দুজনের চিন্তা ধারা দর্শন ছিল ভিন্ন ধর্মী। কাজেই একটা জায়গায় বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী ছিল। অহিংস সত্যাগ্রহের পূজারী গান্ধীজীর আন্দোলনকে যেমন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে অস্বীকার করা যায় না। পরবর্তীকালে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেলসন ম্যান্ডেলা বা প্যালেস্টাইনে ইয়াসির আরাফাত গান্ধীজীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশ্বের হেন কোন নেতা ছিলেন না, যিনি দেশ স্বাধীন করে রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রপতি হননি। এখানেই গান্ধীজী সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।সদ্য স্বাধীন প্রাপ্ত দেশের সিংহাসন নিয়ে নেহেরু- জিন্দা যখন ব্যস্ত,গ্রিট ক্যালকাটা কিল্লিংস তরঙ্গায়িত হয়ে গোটা দেশেই যখন সম্প্রসারিত তখন এই মানুষটি খালি পায়ে কখনো বেলগাছিয়া কখনো নোয়াখালীতে গেলেন বিক্ষুব্ধ মানুষকে শান্ত করতে।
কংগ্রেস সিস্টেম বলে একটা টার্ম আছে।অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কংগ্রেসের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে গান্ধীজির সঙ্গে নেহেরুর মত অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্মের মতপার্থক্য প্রকট হয়। গান্ধীজীর লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসকে জনসেবায় নিয়োজিত রাখা।ক্ষমতায় গেলে কংগ্রেস তার মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাবে। কংগ্রেসের নবীন প্রজন্ম তার মতে সায় দিল না। গান্ধীজী ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিন হয়ে পড়লেন কংগ্রেসের অবসরপ্রাপ্ত নেতা। অথচ তখনো উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে হিন্দু ভারত না গড়তে পারার হতাশায় গান্ধীজিকে অভিযুক্ত করা হয়। আর তার ফলেই 48 নাথুরাম গডসে কর্তৃক গান্ধীজীর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া।
( উল্লেখ্য এই উগ্র সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা লালা হংসরাজ তিনি কিন্তু ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের আগে জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন।
সুতরাং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে মতপার্থক্য হয়েছে। একাধিকবার কংগ্রেস দল ভেঙেছে। মাঝে বামপন্থী সহ বিভিন্ন গোষ্ঠী ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর উৎপত্তি ঘটেছে। এভাবেই জাতীয় রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে।)
অন্যদিকে তৎকালীন সময়ে ইংরেজদের সবচেয়ে বেশি ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিলেন সুভাষচন্দ্র। শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে তিনি পূর্ব ভারতে ইংরেজদের বিদায় মৃত্যু ঘন্টা নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য বিরূপ ছিল। জাপানের পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণের পরিপেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে যোগদান যুদ্ধের ইতিহাসকে হঠাৎ খোলনলচে দিয়েছিল। যাইহোক এসব আলোচনা 2/1 টি বাক্যে সিদ্ধান্তে আসার মতো বিষয় নয়।
১৭| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: বর্ণবাদী হওয়ার অভিযোগ ২০১৮ সালে ঘানায় গান্ধীর মূর্তি অপসারণ করা হয়েছে।
https://www.theguardian.com/world/2018/dec/14/racist-gandhi-statue-removed-from-university-of-ghana
অবাঙ্গালী উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বাঙ্গালী সুভাষ বসুকে ছোটো করার উদ্দেশ্যে তাকে অবমূল্যায়ন করে গান্ধীকে বড় করে দেখিয়েছে।
১৮| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নেতাজি কোন বিপ্লবী নেতা ছিলনা যে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করবে।তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী নেতা।পৃথিবীর সকল জতীয়তাবাদী নেতারাই আপস করে দেশ স্বাধীন করেছেন।
১৯| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১০
অনল চৌধুরী বলেছেন: বিপ্লবী আর জাতীয়তাবাদীর মধ্যে পার্থক্য কি?
একটা জাতির যেকোন দেশপ্রেমিক নেতাকেই জাতীয়তাবাদী হতে হয়। হিটলার,মুসোলনি,লেনিন,মাও,হো চি মিন-মহাথির কে বি-জাতীয়তাবাদী ?
শুধু দেখতে হয় জাতীয়বাদটা নৈতিক না হিটলার-বিজেপি -বজরঙ্গীর মতো উগ্র সভ্যতাবিরোধী কি না।
২০| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ২:১২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: নেতাজি! দারুন সাহসী একজন ব্যক্তি---সেই সাথে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অসম্ভব ভালবাসা ধারন করতেন বুকে---
কিছুদিন আগে তার অন্তর্ধান নিয়ে একটি সিনেমা দেখলাম--
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সিনেমার নামটা কি? কোলকাতার মুভি নিশ্চয়ই? মুভির নাম কি গুমনাম।
২১| ০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:১১
কাছের-মানুষ বলেছেন: উনার জীবনী সম্প্রতি পড়েছিলাম আমি। নেতাজির সাথে গান্ধীর একটি আদর্শিক অমিল ছিল মনে হয়, গান্ধি সফট লাইনে বা আলোচনার মাধ্যমে ব্রিটিশদের সাথে সমাধানের পথ খুঁজছিলেন অন্যদিকে নেতাজির বিশ্বাস ছিল ব্রিটিশদের অনাচারের এবং শোষনের বিরুদ্ধে অস্র হাতে নিতে হবে, মোলায়েম সুরে কথা বলে ব্রিটিশদের তাড়ানো যাবে না। তার বিখ্যাত উক্তি যেটা আপনি লিখেছেন সেখানেও তার সেই আদর্শ পরিলক্ষিত হয়।
তিনি ভারতের বাহিরে গিয়ে সম্ভবত অস্থায়ী সরকার গঠন করেছিলেন!! তিনি সেনাবাহিনীও গঠন করেছিলেন বাহিরের এবং ব্রিটিশদের আক্রমণ করেছিলেন, কিছু সম্মুখ যুদ্ধও হয়েছিল তার নেতৃত্বে যদিও বেশী একটা সুবিধা করতে পারেনি । বাহিরে তিনি বিভিন্ন দেশের সরকারের সাথে কথা বলে তাদের ভারতের প্রতি সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। তবে তার মৃত্যুয় নিয়ে এখনও রহস্য রয়ে গেছে। কেউ কেউ বলে বিমান চরে ভারতে ফেরার সময় তিনি বিমান ক্রাশে মারা গেছে, কেউ বলে তিনি লুকিয়ে ছিলেন আমৃত্যু। তবে এটা এখনও রহস্য।
ভারতের কোন আস্রমে গুমনামি বাবা নামক এক সাধু মারা গেলে সেখানে সম্ভবত নেতাজীর কয়েক হাজার বই, হাজার জিনিস পত্র, নেতাজীর বামা মায়ের ছবি মিলে যার সঙ্গে নেতাজির সরাসরি যোগ মিলেছে। তাই অনেকে বলে সেই গুমনামিই নেতাজি। এই নামে সম্ববত কলকাতায় সিনেমা হয়েছিল, যেখানে প্রসঞ্জিত নায়ক ছিল তবে এই নাম নিয়ে নেতাজি পরিবার আপত্তি করে, তারা নেতাজী গুমনামী বাবা সেটা প্রত্যাখ্যান করে। ছবির পরিচালক এবং নায়ন প্রসঞ্জীতের সাথে নেতাজি পরিবারের একটি বাকবিতণ্ডা আমি ইউটিউবে দেখেছিলাম, নেতাজী পরিবারের দাবি নেতাজী পালিয়ে থাকার লোক নয়, গুমনামিতো হতেই পারেনা তাই নেতাজিকে নিয়ে সিনেমাতে সিনামার নাম গুমনামি দেয়ার তারা বেজার হয়। যাইহোক তার মৃত্য নিয়ে রহস্য আছে।
২২| ০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অনেক অপবাদ আছে তা জানেন?
অপবাদ শব্দটি কিন্তু অপ।
২৩| ১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
সোহানী বলেছেন: স্রোতের বিপরীতে দাড়িঁয়ে থাকা একজন ভিন্নধর্মী নেতা। যার স্বাধীনতার স্বপ্নে কোন খাঁদ ছিল না।
১০ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন বোন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
অহেতুক পাগলামীর বড় নেতা