নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬



দুর্বল চিত্রের লোকজন এই গল্পটি পড়বেন না। প্লীজ

রফিকুল সাহেবের তিন মেয়ে।
সবচেয়ে বড় মেয়েটার বয়স বারো বছর। শহরের শেষ মাথায় রফিক সাহেব একটা বাড়ি কিনেছেন। বেশ পুরোনো বাড়ি। বাড়ি কেনার মতো টাকা রফিক সাহেবের নেই। বাড়ির মালিক একদম নাম মাত্র দামে বাড়িটি বিক্রি করছিলো। তখন রফিক সাহেব নিজের জমানো টাকা আর কিছু অফিস থেকে লোন নিয়ে বাড়িটি কিনে ফেলেন। চমৎকার সুন্দর বাড়ি। দোতলা বাড়ি। পুরো বাড়িটাই কাঠের। বাড়ির সামনে পেছনে অনেকখানি খালি জায়গা আছে। বাড়ির চারপাশে নানান রকম গাছপালা দিয়ে ভরা। যদিও বহু পুরোনো বাড়ি, কিন্তু রফিক সাহেবের স্ত্রী কন্যারা বাড়িটি অনেক পছন্দ করলো। এক রবিবার সকালে রফিক সাহেব তার পরিবার নিয়ে বাড়িতে উঠে গেলেন। তার তিন কন্যা মুগ্ধ এবং স্ত্রী মুগ্ধ। তাদের নিজেদের একটা বাড়ি হয়েছে বলে।

রফিক সাহেবের একটা কুকুর আছে। লালি নাম।
লালিকে একদম ছোট বেলা কুড়িয়ে এনেছিলেন। লালি আজ অনেক বড় হয়েছে। লালি সারাক্ষন তার তিন কন্যার সাথে ঘুরে বেড়ায়। নতুন বাড়িতে উঠার পরে কে বা কারা লালিকে মেরে ফেলে। মানুষকে যেভাবে ফাসি দিয়ে মারা হয় লালিকে ঠিক সেভাবে হত্যা করা হয়েছে। লালির মৃত্যুতে রফিক সাহেবের পুরো পরিবার ভীষন কষ্ট পায়। কে এমন নির্মম কাজ করলো! করতে পারলো! যাই হোক, রফিক সাহেবের তিন মেয়ে এক রুমে ঘুমায়। বড় একটা রুমে ছোট ছোট তিনটা খাট পাতা। একদিন রাতে রফিক সাহেব তার মেয়েদের ঘরে কেমন একটা শব্দ শুনতে পান। তিনি তার রুম থেকে দৌড়ে মেয়েদের ঘরে যান। গিয়ে দেখেন তার তিন মেয়ে ঘরের এক কোনায় বসে কাদছে। আর ভয়ে কাপছে। তিনি মেয়েদের বললেন, কি হয়েছে? ছোট মেয়ে বলল, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। কে যেন আমাদের পা ধরে টানছিলো। মনে হচ্ছে ঘরের ভেতর কেউ আছে। সে আমাদের উপর খুব রেগে আছে।

প্রতিদিন বাড়িতে নানান রকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে লাগলো।
দেয়াল ঘড়ি প্রতিদিন রাত একটায় বন্ধ হয়ে যায়। রাত বারটার পর থেকেই ঠক ঠক শব্দ হতে থাকে। শব্দটা কোথায় হচ্ছে তা হদিস পাওয়া যায় না। আবছায়া দেখা যায়। তরকারী রান্না করতে গেলে তরকারীতে কে যেন মরিচের গুড়ো দিয়ে দিচ্ছে। ঝালের কারনে তরকারী খাওয়া যায় না। প্রতিদিন রাত্রে বাড়ির সবাই ভয়ানক স্বপ্ন দেখে। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো- প্রতিদিন সকালে তাদের ঘরের সামনে তিনটা মরা পাখি দেখা যায়। কেউ একজন পাখি তিনটাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। রফিক সাহেবের স্ত্রী বললেন, চলো এই বাড়িটা ছেড়ে আমরা চলে যাই। এই বাড়িটা ভালো না। কেন জানি মনে হচ্ছে এই বাড়িতে থাকলে আমরা সবাই মারা পরবো। রফিক সাহেব আধুনিক মানুষ। বিজ্ঞানের ছাত্র। তারপক্ষে অলৌকিক কিছু বিশ্বাস করা সম্ভব না। একদিন রফিক সাহেব স্বপ্নে দেখলেন, তার তিন কন্যাকে মেরে বাড়ির সামনে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্বপ্ন দেখে রফিক সাহেব বড় বিচলিত হয়ে পড়লেন।

রফিক সাহবের স্ত্রী বললেন, একজন পীর বাবাকে ডাকো।
রফিক সাহেব পীর, ফকির বাবা, ওঝা এইসব মোটেও বিশ্বাস করেন না। এই আধুনিক যুগে এসে এসব বিশ্বাস করা বিরাট বোকামী। তা তিনি ভালো করেই জানেন। তিনি তার অফিসের এক সহকর্মী শাহীনের সাথে নিজের বাড়ির ঘটনা গুলো নিয়ে আলাপ করলেন। শাহীন তাকে একজনের নাম ঠিকানা দিয়ে বললেন, তার সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। রফিক সাহেব সহকর্মী শাহীনের কথা অনুযায়ী ডক্টর ওসমান সাহবের সাথে যোগাযোগ করলেন। ডক্টর ওসমান পদার্থ বিজ্ঞানের উপর পিএইচডি করেছেন। দীর্ঘদিন তিনি কলামবিয়া ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন। দেশে ফিরেছেন এক বছর হলো। এখন একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছেন। ডক্টর ওসমানের চোখ মুখ দেখ্লেই বুঝা যায় উনি খুব জ্ঞানী মানুষ। এবং অন্য সবার চেয়ে আলাদা। রফিক সাহেব মনে মনে তার সহকর্মী শাহীনকে ধন্যবাদ দিলেন।

ডক্টর ওসমান রফিক সাহবের কাছ থেকে পুরো ঘটনা পরপর দুইবার শুনলেন।
এবং বললেন, আগামীকাল সকালে আমি আপনার বাসায় আসবো। আপনার বাসার আমি দুই দিন থাকবো। আশা করি দুই দিনের মধ্যে আপনার বাসার কালো ছায়াকে দূর করতে পারবো। পরের দিন সকাল বেলা সত্যি সত্যি ডক্টর ওসমান রফিক সাহেবের বাসায় এলেন। তার সাথে নানান রকম যন্ত্রপাতি। রফিক সাহেব শুধু ভিডিও ক্যামেরা তিনটা চিনলেন। অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিছুই চিনতে পারলেন না। ডক্টর ওসমান অনেক সময় নিয়ে পুরো বাড়ি ঘুরলেন। তারপর তিনি বললেন, এই বাড়িতে অপছায়া আছে। তিনটা অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা বড় খারাপ। পিশাচ শ্রেনীর প্রায়। চিন্তা করবেন না। এদের আমি বন্ধী করে নিয়ে যাবো। এরা আপনাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। হঠাত পুরো বাড়িটা কেপে উঠলো।

(২য় পর্ব আগামীকাল)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

গুরুভাঈ বলেছেন: আপনার সাজেশন মতো পড়ি নাই। শুধু রফিকুল সাহেবের তিন মেয়ে পর্যন্ত পড়ছি।

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: বেচে গেলেন।

২| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০০

গুরুভাঈ বলেছেন: সবই তিন তিন....

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সবই ভাগ্য।

৩| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মিসির আলি।

এই একুশ শতকে এসে এসব আজগুবি ঘটনা বলবেন না দয়া করে।

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে এরকম বহু আজগুবি ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। যা ব্যখ্যা করা যায় না।

৪| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৪

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: দুর্বল চিত্তের লোক, তারপরেও পড়লাম। কোনো সমস্যা তো হয়নি।

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ১ম পর্বে তেমন ভয়ের কিছু নাই।
২য় পর্বে ঘাম ছুটে যাবে।

৫| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়ে অভিভূত হলাম

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: অভিভূত হওয়ার কিছু নাই।

৬| ১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: দুনিয়াতে এরকম বহু আজগুবি ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। যা ব্যখ্যা করা যায় না।

সব কিছুরই ব্যাখ্যা আছে। বলতে পারেন সবাই বুঝতে পারে না। কেননা, সবার ব সব বিষয়ে পড়াশোনা নেই। খালি হুজরামি দিয়ে জগত চলে না।

১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: অপেক্ষা করুন ব্যাখাতীত ঘটনা আপনার জীবনে ঘটবে।

৭| ১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্লটটা খুবই সাধারণ

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

রাজীব নুর বলেছেন: সাধারনের মধ্যেই অসাধারন ব্যাপার স্যাপার লুকিয়ে থাকে।

৮| ১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দুর্বল চিত্ত সত্ত্বেও লেখাটা পড়লাম। ভয় পাই নি।

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

রাজীব নুর বলেছেন: এই পর্বে ভয় নাই। পরের পর্বে কলিজা কেপে যাবে।

৯| ১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

এনাম আহমেদ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১৯

এনাম আহমেদ বলেছেন: পরবর্তী পর্ব কবে? আচ্ছা আমি লেখার শুরুতে ছবি লাগাতে পারছিনা। কিভাবে লাগানো সম্ভব?

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সহজ। চেষ্টা করুন পারবেন।

১১| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৬

এনাম আহমেদ বলেছেন: ছবি আপলোড দিলে নিচে আসে। উপরে থাকে না। এর আগের পোস্টগুলোতে ঠিক ছিলো। কিন্তু এখন এসে নিচে যাচ্ছে।

১২| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: নিচে যেটা আসে ওটা কপি করে উপরে দিয়ে দিবেন। তাহলেই তো হয়।

১৩| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৩:০৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ইংরেজী লিংক অনেকে বাংলা শিরোনামে দেয়। কিভাবে সম্ভব?

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সহজ।
কিন্তু আপনাকে কিভাবে বুঝাবো তাই আমি ভেবে পাচ্ছি না।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ ভোর ৪:০০

অনল চৌধুরী বলেছেন: ইউটিউবের মতো।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.