নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমস্ত কুসংস্কারকে মাটি চাপা দিন, আধুনিক হোন

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮



তাবিজ ভাওতা বাজি ছাড়া আর কিছু না।
'একবার নবীজির খেদমতে একদল লোক উপস্থিত হল। নবীজি দলটির নয়জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! নয় জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না? পেয়ারা নবী বললেনঃ তার সাথে তাবিজ রয়েছে। অতঃপর তিনি স্বহস্তে তা ছিড়ে ফেললেন এবং তাকে বায়আত করলেন, আর বললেন, 'যে ব্যক্তি তাবিজ ব্যবহার করল সে শিরক করল।'
এমনকী কুরআনের আয়াত লিখা তাবিজ হলেও।

সমাজে ধর্মব্যবসায়ীদের প্রচারণায় প্রচুর জাল, বানোয়াট, কাল্পনিক কিচ্ছা- হাদিস হিসেবে প্রচার পেয়ে গেছে। এগুলো সমাজে নানাবিধ কুসংস্কারকে ধরে রাখে। তাবিজ-ব্যবসা, পীর-ব্যবসা, মাজার-ব্যবসা, পানি-পড়া ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে ব্যবসায়ীরা ধর্মকে ব্যবহার করে। অনেকসময় বক্তারা ওয়ায-মাহফিলে মুখরোচক কাহিনী বানিয়ে সেগুলোকে হাদিস হিসেবে চালিয়ে দেয়। এভাবেই সমাজে জাল হাদিসের প্রসার ঘটে। আমাদের প্রিয় নবীকে একবার যাদু করা হয়েছিল আর তখন নবীজি সুরা নাস, ফালাক এবং ইখলাস এই তিনটি সূরার মাধ্যমেই আল্লাহর রহমতে যাদুটোনা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। নবীজি যাদু করা চিরুনিটা সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।

ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমদের মাঝে 'যাদু টোনা' জিনিসটার ইসলামী রূপ দেওয়া হয়েছে। আর নাম দেওয়া হয়েছে 'কবিরাজি'। অর্থাৎ এই অঞ্চলের সাধারণ মুসলিমদের ধারণা, বিভিন্ন পীর-ফকির, বাবা, ওঝা, কবিরাজ ইত্যাদি লোকেরা অনেক বড় সাধক, অনেক বড় আল্লাহওয়ালা, তাদের কাছে জ্বীন আছে। সুতরাং তাদের কাছে কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে তার সমাধান তারা দিয়ে দিতে পারে।
ইসলাম ধর্মে তদবির বলতে কিছু নেই। বরং আল্লাহ ব্যতিত কারো নিকট কিছু প্রার্থনা করা হারাম বা নিষিদ্ধ। যেমন, আপনার সন্তান হয় না। আপনি মাজারে গেলেন, পীরের নিকট সন্তান চাইলেন, তদবির করলেন, তাবিজ ঝুলালেন গলায়, বা কোমরে। এগুলো কুশিক্ষার ফল।

ইসলাম ধর্ম হচ্ছে বিজ্ঞানবান্ধব ধর্ম।
এই ধর্মে আপনি শুধু আল্লাহর নিকটই সাহায্য চাইবেন। বিজ্ঞান ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুমোদিত এবং উৎসাহিত করা আছে এই ধর্মে। হোমিওপ্যাথির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকলেও এটা কেন চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে যাচ্ছে এই আধুনিক যুগেও? কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? কারন, অশিক্ষা। যে কারনে জ্যোতিষী, তাবিজ, পাথর, রাস্তার পাশের জোকের তেল টিকে আছে, এভাবে হোমিওপ্যাথি টিকে আছে।
গুলিস্তান, কাওরানবাজার, মহাখালি, সায়দাবাদ ইত্যাদি এলাকায় গেলে দেখা যায়- একজন হকার, কোনো একটি গাছের শিকড় হাতে নিয়ে, চিত্‍কার করে বলছেন, 'বশীকরণ, বশীকরণ, মাইয়া পাগল করনের তাবিজ, এই গাছের শিকড়। তামা বা লোহার তাবিজে ঢুকাইয়া, শনি, মঙ্গল বার গলায় কালা সুতা দিয়া পড়লে, যে মাইয়াডারে ভালা লাগে, সেই মাইয়া আইসা, আপনের বুকে ঝাঁপ দিয়া পড়বো। কার কার লাগে, হাত তুলেন। দাম? আইজগার লাইগ্যা মাত্র পঞ্চাশ টাকা। পঞ্চাশ টাকা। পঞ্চাশ টাকা।

তাবিজ,কবচ, হারবাল সবই বহাল তবিয়তে চলছে।
বিপদে পড়লে মানুষ বড়ো অসহায় হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়েই যে যা বলে বিশ্বাস করে নেয়। এই আধুনিক সমাজেও বহু মানুষের গলায়, কোমরে তাবিজ ঝুলতে দেখি। হাত দেখায়। ভাগ্য গননা করায়। ডাক্তার না দেখিয়ে ফুটপাত থেকে যৌন রোগের ওষুধ কিনে। ফুটপাত থেকে বাতের ব্যথার জন্য পাগলা মলম কিনে। রাস্তায় কোনো ফকির বাবা দেখলে দোয়া চায়। রোগ মুক্তির জন্য মূরগী, ছাগল মানত করে। মাজারে গিয়ে মাথা ঠুকে। ভয় পেলে বুকে থু থু দেয়। কাজ করবে না, পরিশ্রম করবে না শুধু জিকির করবে, জিকির শেষে মোনাজত করবে। উরশ পালন করবে। খিচুরী রান্না করবে। পেট ভরে খিচুরী খেয়ে মাটির ঘরে লাফিয়ে লাফিয়ে আল্লাহ আল্লাহ জিকির তুলে মাটি আধা হাত ডাবিয়ে দেয়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


চট্টগ্রামে একজন তাবিজ লিখে যাচ্ছেন, শত কোটী টাকার মালিক হয়েছেন ইতিমধ্যেই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন নির্বোধদের কাছ থেকে। সমাজে নির্বোধ লোকের সংখ্যাই বেশি।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আমার চিরকুট বলেছেন: আমাদের দেশে একটু ঠান্ডা লাগলেও আগে সিরিয়াল দিয়ে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে যেয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়, খরচও বেশি। এটাও একটা কারন হতে পারে। মহল্লা/গ্রামের ফার্মেসি গুলোতে শুধু কোর্স করা ব্যবসয়ী, যদি একজন করেও এমবিবিএস ধরনের ডাক্তার থাকতো তাহলে হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি ইত্যাদির প্রতি মানুষ এতোটা বিশ্বাসী হতো না।
অনেকে বিশ্বাস করেনা তবুও আত্তিয়-স্বজনের পাল্লায় পরে তাদের দারস্ত হয়। এদেশে বিজ্ঞান ভিত্তিক চিকিৎসা আরো সহজলভ্য করা দরকার।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে এসেও মানুষ অন্ধকারে আছে।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তাবিজ ও পানি পড়া হচ্ছে সবচেয়ে ভালো ঔষধ।
এটাই হচ্ছে সর্বশেষ চিকিৎসা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: পানিতে আল্লাহর কালাম পড়ে ফু দেওয়া হয়।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: সহমত।

তবে পীর জিনিসটা খাটি হলে সমস্যা নাই। আমার পীর ইবনে আরাবী (রহ:) । আর আল্লামা জালালউদ্দিন রুমী (রহ:)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
তর্কে যাব না।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক রোগে হোমিও ওষুধ কাজ করে। অনেক কবিরাজি ওষুধও ভালো। অনেক ভেষজ ওষুধ কার্যকর।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল ধারনা অথবা বলব এটা অন্ধ বিশ্বাস।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: “ইসলাম ধর্ম হচ্ছে বিজ্ঞানবান্ধব ধর্ম”
হাদিস নং——————।
হাদিসের মান সহি

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: এটা হাদীস নয়।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: তাবিজ একধরনের ভাঁওতাবাজি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: না বোন, তাবিজের মধ্যে খোদার কালাম থাকে।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুরা নাস এ জাদুটোনার কথা বলা আছে।
ইহা সত্য।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: জানি।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বায় আত জিনিস টা আসলে কী?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাইয়াত শব্দটি আরবি- শব্দ থেকে গথিত। 'বাইয়' অর্থ বেচা-কেনা,লেন-দেন, বিক্রি করা-খরিদ করা। পৃথিবীতে এমন কোন অলি আল্লাহ বা পীর নেই যিনি বায়াত গ্রহণ ছাড়া কামেল অলি হয়েছেন।

ইসলাম ধর্মে অনেক সময় বাইয়াত বলতে শপথ পাঠ বা চুক্তিকে বুঝানো হয়েছে ।

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের মেটাল বাটন ডায়িং করার জন্য ইলেক্ট্রপ্লেটিং ডায়িং ফ্যাক্টরিতে যেতে হয়, সেখানে দেখি প্রতিদিন হাজার তাবিজের খোল নিয়ে আসে নিকেল এবং ব্রঞ্জ কালার করতে। এত তাবিজের খোল কোথায় যায় কে জানে!

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ গলায়, হাতে আর কোমরে পড়ে।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাবিজ-কবচ যেগুলো লেখা হয়, যাতে কুফরি কালাম থাকে, সেগুলো তো
কোনো মুমিন ব্যক্তি পরতে পারবে না
। তবে কোরআনুল কারিমের আয়াত
লেখা কোনো তাবিজ কেউ পরতে পারবে কি না, এ ব্যাপারে আলেমদের
দুই মত। একটি হচ্ছে যে, এভাবে কোনো তাবিজ-কবচ ব্যবহার করা যাবে না।
আরেকটি বিষয় হলো, কোরআনের আয়াত লেখা তাবিজ নিয়ে তো টয়লেটে
যাওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোরআনের সম্মানহানি হবে। এ জন্য বলা
হয়েছে যে, কোরআন লিখেও তাবিজ করে হাতে বাঁধা জায়েজ নেই।

তবে কোরআন পড়ে কোনো পানির মধ্যে বা তেলের মধ্যে ফু দিয়ে দম করে
সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: জানা আর শেখার শেষ নাই।

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক মানুষ বিশেষ করে গ্রামের অশিক্ষিত মানুষের বেলায় তাবিজ অনেকটা সাইকো থেরাপির মত কাজ করে।তারা ভাবে এই তাবিজ থাকলে রোগ সেরে যাবে। সারার মত কিছু হলে তখন সেরেও যায়।মেডিক্যাল সায়েন্সে প্লাসিবো বলে একটা ব্যাপার আছে।এটা অনেকটা তেমন।

তবে ব্যাপারটা যদি শুধু তাবিজেই সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে ভালই হতো।এরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ফেলে।টাকা পয়সার কথা আর কি বলবো?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ধারনা মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। এসবে বিশ্বাস কমে গেছে।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: সবচেয়ে আশ্চর্যের বেপার তাবিজ আমি অনেক হিন্দু মানুষ দের ও ব্যবহার করতে দেখেছি

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। তর্কে বহু দূর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.