নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আপনারা কি সাতক্ষীরার ঘটনাটা জানেন?
১৯৯০ সালে যেটা ঘটেছিলো। ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটেছিলো। দেশে বিদেশে বেশ আলোড়ন করেছিলো ঘটনাটা সেই সময়ে। সেই সময় পত্র পত্রিকাতে সাতক্ষীরার ঘটনা প্রতিদিন লেখা হতো। বিদেশের পত্রিকাতে অনেকবার লেখা হয়েছে। ঘটনা হলো- সাতক্ষীরার গ্রাম গুলো থেকে কিশোরী মেয়ে গুলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছিলো। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও যুবতী, কিশোরী মেয়ে গুলো ভেনিশ হয়ে যাচ্ছিলো। যার কোনো ব্যখ্যা পাওয়া যায়নি। এমন কি বিদেশ থেকেও দুই দল বিজ্ঞানী এসেও কোনো হদিস পান নি। আমাদের সাতক্ষিরার এই ঘটনা নিয়ে বলিউডে একটা সিনেমাও হয়েছে। যাই হোক, সাতক্ষীরার এই ঘটনা আরেকদিন বিস্তারিত লিখব। আজ অন্য একটা ঘটনা বলি। ঘটনাটি আমার ছোট মামার কাছ থেকে শোনা।
মামা এবং মামার বন্ধু নাটোর গিয়েছিলো এক কাজে।
কাজ শেষ করে ছোট মামা ঢাকা ফিরছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিল মামার বন্ধু। ঢাকা ফেরার পথেই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটে। তখন রাত প্রায় তিনটা। রাত তিনটা সময়টা খুব খারাপ। এই সময় বিপদ আপদ বেশী ঘটে। মামার বন্ধু দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছেন রাস্তা ফাঁকা পেয়ে। হঠাত মামা এবং মামার বন্ধু একটা মেয়েকে দেখতে পেলেন রাস্তার ধারে দাড়ানো অবস্থায়। মামার বন্ধু বলে এত রাতে এখানে একটা মেয়ে, বোধহয় বিপদে পড়েছে, চল মেয়েটিকে সাহায্য করি। একটা অসহায় মেয়েকে সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।
ছোট মামা বললেন, মেয়েটা এত রাতে এখানে কি করছে? তাও আবার একা একা? দেখ চারিদিকে বিল, আশেপাশে কোন বাড়িঘর নাই। তাছাড়া রাত বাজে ৩টা এত রাতে এমন নির্জন জায়গায় একটা মেয়ে! আকাশের অবস্থাও ভালো না। মনে হচ্ছে খুব বৃষ্টি হবে। একটূ পর পর বিজলি চমকাচ্ছে। এটা কি আসলেই একটা মেয়ে না ভূত? মামার বন্ধুটি ভূত প্রেত কিছুতেই বিশ্বাস করে না। সে মামাকে বলল, তুই মেয়েটাকে সাহায্য না করিস, আমি সাহায্য করবো। মনুষ্যত্ব বলে তো একটা কথা আছে। মামার বন্ধুটি গাড়ি ঘুরিয়ে সেই মেয়েটি যে জায়গায় ছিল সেই জায়গায় যেয়ে দেখে মেয়েটি হাটু গেড়ে বসে আছে। কাঁদছে। ভীষন মায়া ভরা মুখ! মেয়েটার হাত ভরতি কাঁচের চুড়ি। চোখে কাজল দিয়েছে মোটা করে। কপালে একটা টিপও আছে।
মামা এবং মামার বন্ধু মেয়েটিকে দেখে খুব মুগ্ধ!
মেয়েটির বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ২২ এর মধ্যে। মামা মেয়েটিকে বললেন, এত রাতে আপনি এখানে কোন বিপদ হয়েছে নাকি? মেয়েটি কোন কথা না বলে ফুপিয়ে কাদতে থাকে। মেয়েটির কান্নার কারন জানতে চাইলেও মেয়েটি কিছুই বলে না। হঠাত মেয়েটি বিলের পাশ দিয়ে হেটে যেতে থাকে। মামা বন্ধুকে বললেন, মেয়েটির সাথে যাবার দরকার নাই, বিপদ হতে পারে। কিন্তু বন্ধুটি মামার কথা না শুনে মেয়েটির পেছন পেছন যেতে থাকে। নিরুপায় হয়ে মামাও যায় তার সাথে।
খুব বিজলি চমকাচ্ছে। বাতাস বইছে বেশ।
কিছু দূর যাবার পর মেয়েটি পোটলার মত কিছু একটা দেখিয়ে হু হু করে কেদে উঠল। মামা এবং বন্ধু দেখে পোটলার ভেতর একটা কাপড়ে ঢাকা ছোট বাচ্চার লাশ। মামা এই লাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়েটি চুপ করে কাদতে থাকে। মামারা ভাবে মহিলাটি হয়তো বোবা। হুট করে মামার বন্ধুটি বলে উঠে যে, চল মেয়েটিকে আমরা সাথে করে নিয়ে ঢাকা নিয়ে যাই। এই নির্জন এলাকায় এত রাতে ফেলে রেখে যাওয়া উচিত হবে না। মামা অনিচ্ছা সত্বেও রাজি হলেন।
মেয়েটি যেতে আপত্তি করলো না।
মেয়েটিকে গাড়ির পেছন সিটে বসিয়ে দেওয়া হলো।
সময় তখন রাত সাড়ে তিনটা। কিছু দূর যাবার পর গাড়ির ইন্জিন হঠাত বন্ধ হয়ে গেল। গাড়ি সারতে সারতে প্রায় চারটা বেজে গেল। গাড়ি আবার চলছে। এমন সময় মামা লুকিং গ্লাসের দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটার মাথাহীন দেহ। সাথে সাথে পেছন ফিরে দেখে মহিলাটি ঠিকই আছে। কিন্তু আবার যখন লুকিং গ্লাসের দিকে তাকাল তখন একই দূশ্য দেখল। মামা তখন তার বন্ধুকে লুকিং গ্লাস দেখতে ইশারা করলো। বন্ধুটিও একই দূশ্য দেখে ভয়ে কাপতে লাগল এবং তারা দুজনই প্রচন্ড ঘামতে শুরু করল। মামা ভয়ে কাপড় দিয়ে লুকিং গ্লাস ঢেকে দিল এবং মহিলার দিকে তাকিয়ে বলল, আপনি কি কিছু খাবেন? তখন মামা দেখলেন, মেয়েটির চোখ অনেকখানি লাল এবং মৃত শিশুটি তার কোলেই রয়েছে।
মামা এবং মামার বন্ধু আল্লাহ আল্লাহ করতে থাকলেন।
কিছু দূর যেতে না যেতে মামা এবং তার বন্ধু সেই মেয়েটিকে রাস্তার পাশে দাড়ানো অবস্থায় দেখে কিন্তু মেয়েটি তো তাদের গাড়িতে বসা ছিল। মামা গাড়িটা থামিয়ে দিলেন এবং দেখলেন যে গাড়ির পেছনের সিটে মেয়েটি নাই এবং সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপারটা হচ্ছে মৃত বাচ্চাটি সিটের উপর দাড়িয়ে তাদের দিকে মুচকি মুচকি হাসছে এবং বাচ্চাটির চোখের মনি নেই। এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে মামার বন্ধুটি সেন্সলেস হয়ে যায়। মামা মনে সাহস আনার চেষ্টা করলেন এই ভেবে- যদি আমার কিছু হয় তাহলে আমাদের আজ রাতে এখানে পরে থাকতে হবে, কিছুতেই জ্ঞান হারানো যাবে না।
মামা এবার নিজে ড্রাইভ করতে লাগলেন।
ছোট মামা খুব ভালো গাড়ি চালান। এবং ভয়ে পেছনে তাকাচ্ছেন না। মামা যত সূরা জানেন সবগুলো পড়তে লাগলেন। হঠাত মামা পেছনের সিট থেকে খঠমট আওয়াজ শুনতে পেলেন। মামা ভয়ে ভয়ে লুকিং গ্লাসের কাপড় সরিয়ে দিয়ে দেখেন বাচ্চাটি নিজের একটা রক্তাক্ত পা চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। এইটা দেখে মামা গাড়ির গতি আরো বাড়িয়ে দিলেন এবং মামা নাকি আরো দুই বার রাস্তায় মেয়েটিকে দাড়ানো অবস্থায় দেখেছেন।
আকাশ ফর্সা হয়ে গেছে।
কয়েকটা পাখি উড়ে যেতে দেখা গেলো। ইতিমধ্যে মামা দেখতে পেলেন রাস্তা ঘাটে মানুষ এবং যানবাহন চলছে। ঘড়িতে তখন সকাল সাত টা। মামা গাড়ি থামিয়ে পেছনে দেখেন কেউ নাই শুধুমাত্র সেই কাপড়টা ছাড়া যে কাপড়ে বাচ্চাটি ঢাকা ছিল। মামা দেখেন কাপড়ের মধ্যে কয়েকটা রক্তাক্ত হাড় পড়ে আছে। মামা রাস্তার কয়েকজন লোককে ডেকে আনলেন ব্যাপারটা দেখানোর জন্য। কিন্তু এসে দেখেন গাড়ির পেছনের সিটে কাপড়সহ রক্তাক্ত হাড় গুলো নেই!
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে রাত তিনটায় সাবধান থাকবেন।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০১
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: মেয়ে ভ্যানিশ হয়ে গেলে বিজ্ঞানী কেন আসবে? পুলিস বা এই জাতীয় লোকজন কি করতেছিল?
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ রহস্য সমাধান করতে পারেনি।
বিজ্ঞানীরা এসেছেন রহস্যের জট খুলতে।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই রকম কিছু ঘটার কোন সম্ভাবনা আছে?
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: জগতে অনেক রহস্যময় ঘটনা ঘটে।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভৌতিক গল্প এমনি হয়।ডাইরী হারিয়ে এখন চললেন ভুতেরগলি।
দিল্লি এবং বোম্বে আমি অনেক বাংলাদেশের মেয়ে দেখেছি,এরাই অদৃশ্য হয়ে সাতক্ষীরা আটক্ষীরা হতে ওখানে চলে গেছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বাস করলেন না তো!!!
এটাই বিজ্ঞানের দোষ।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই আমলে এই জাতীয় ঘটনা ঘটলে মজনু সাহেবরা জড়িত থাকতে পারে।
কেবল ভুতেরা এই জাতীয় কাজ করবে না।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: একদিন আপনাকে ভূতেরা ধরবে। তখন আপনি আমার কথা মনে করবেন। এবং অনুতাপ করবেন কেন আমার লেখা বিশ্বাস করেন নি।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ইদানিং নাকি অলস হয়ে গেছেন, তাই সাতক্ষীরার রহস্য পরে বলবেন বলে মনে হয় না। এর আগেও একবার গল্পের বাকি অংশ পরে দেবেন বলে আর দেননি।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা অলস হয়েছি কথা সত্য। কিন্তু চাইলেই যে কোনো সময় গাঁ ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবো।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১০
সপ্তম৮৪ বলেছেন: আফসোস জীবনে ভূতের দেখা পেলাম না। আমি যে বাসায় থাকি তার পাশের বিল্ডিং পুরা খালি। সেখানে বেশ কয়েক বছর কেউ থাকেন না। তিন বছর আগে ফিলিপিনো দম্পতি উঠেছিলেন কিন্তু তিন দিনের মাথায় বাসা ছেড়ে চলে যান। বলাবলি আছে এই বিল্ডিং এ নাকি জীন ভূত আছে তাই কেউ টিকতে পারে না। আমার বারান্দা থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে সেই বিল্ডিং আমি সারারাত বারান্দায় চা বিড়ি খেয়ে অপেক্ষা করেছি কোনো জীন ভূত দেখা যায় কিনা , কিন্তু আফসোস।
আমি ছোটবেলায় রহস্য পত্রিকা পড়তাম খুব এই রকম একটা লেখা পড়েছিলাম। মধ্য রাতে একা গাড়ি , পথে নারী এবং নারী তার গন্তব্য যা বলেছিলো সেখানে পৌঁছে দেখা গেল সেই নারী আর গাড়িতে নাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আফসোস করবেন না। কোনো একদিন হুট করে ভূত প্রেত জ্বীন দেখে ফেলবেন।
রহস্যপত্রিকা আমি খুব পড়লাম। দাম কম ছিলো। নানান রকম বিষয় থাকতো, পড়তে ভালো লাগতো।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভৌতিক গল্প পড়তে ডর লাগে
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ডর লাগলে পড়ার দরকার নাই।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা আমি কি এটা স্ক্রিপ্ট হিসেবে ব্যাবহার করতে পারি?
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দেয়াল ঘড়িতে রাত আনুমানিক তিনটা বাজে।
ব্লগার রজীব নুরের চোখে কোনো কারণে ঘুম নেই, সন্ধ্যারাতে দেড়-দুই ঘন্টা ঘুমিয়েছিলেন এটিও একটি কারণ হতে পারে। চারোদিকে শুনসান নিরবতা, রাজীব নুর নতুন একটি প্লট নিয়ে লেখায় মগ্ন লেপটপে, খসখসে শব্দে পিছে তাকিয়ে দেখেন - মাথা কাটা একজন মানুষ পেছনে দাড়িয়ে আছে! - কাটা গলা দিয়ে নলের পানির মতো লাল রক্ত ফ্লোরে গড়িয়ে পরছে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---
ভয় দেখাচ্ছেন কেন? আমি এমনিতেই ভীতু মানুষ।
১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: একদিন আপনাকে ভূতেরা ধরবে। তখন আপনি আমার কথা মনে করবেন। এবং অনুতাপ করবেন কেন আমার লেখা বিশ্বাস করেন নি।
তরুণ বয়সে যখন ভুতে ( নিদেনপক্ষে পেত্নীতে) ধরার সময় ছিল তখনই ধরেনি।
এখন আর কি ধরবে?
১২ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: অপেক্ষা করুন। দেরী হোক, যায় নি সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ভৌতিক কাহিনী।