নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে বান্দরবান গেলাম

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৭



বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাজারে গিয়েছি।
এখন মাসে বেশ কয়েকবার বাজারে যেতে হয়। আর্থিক সমস্যার কারনে সারা মাসের বাজার একেবারে করতে পারি না। খুব হিসাব করে বাজার করতে হচ্ছে। প্রতিটা জিনিস খুব দরদাম করে কিনতে হচ্ছে। কারন টাকা সীমিত। এত দরদাম করে জিনিসপত্র কিনতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু কোনো উপায় নেই। আগে প্রচুর বাজার করতাম দরদাম ছাড়াই।

যাই হোক, এমন সময় আমার মোবাইলে ফোন আসে। ফোন করেছে আমার বন্ধু তুহিন। সে বলল, বন্ধু কোনো কথার কাম নাই। তুমি একটা ব্যাগে শার্ট প্যান্ট ভরে আরামবাগ বাস কাউন্টারে চলে এসো। ঢাকার বাইরে যাবো। এতটুকু বলেই তুহিন ফোন রেখে দিলো। কই যাবে? কেন যাবে? কত দিনের জন্য যাবে কিচ্ছু বলল না। অবশ্য তুহিনের অভ্যাস এরকমই।

এদিকে আমার আর্থিক অবস্থা ভীষন খারাপ। কেউ বললেই তো আর চলে যাওয়া যায় না। আমার মনে আছে, বহু বছর আগে একবার টেকনাফ গিয়েছিলাম বন্ধু তুহিনের সাথে। সেই টেকনাফ থেকে পায়ে হেঁটে কক্সবাজার আসতে হয়েছিলো তুহিনের কারনে। তিন দিন সময় লেগেছিলো কক্সবাজার আসতে। এই তিন দিন আমরা থেকে ছিলাম স্কুল ঘরে, মসজিদে অথবা কোনো খালি জায়গায় তাঁবু টাঙ্গিয়ে। তুহিন এরকম কাজ বহুবার করেছে আমার সাথে। অবশ্য তখন অল্প বয়স ছিলো যা খুশি তাই করতে পারতাম। কিন্তু এখন তো তা পারি না। ঘর সংসার আছে। বৌ, বাচ্চা আছে। অনেক হিসাব করে চলতে হয়।



বেশ কিছু দিন ধরে মন ভালো নেই।
নানান রকম চিন্তায় অস্থির সময় যাচ্ছে। মনে মনে ভাবছি, পকেটে টাকা থাকলে দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসতাম। অবশ্য গতমাসে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা মনের মতোন হয়নি। তাছাড়া গত দেড় বছরে ভালো কোনো ছবি তুলতে পারি নি। আমার এসএলআর ক্যামেরাটা জং ধরে যাচ্ছে দিনকে দিন। ভালো কিছু ছবি তুলতে পারলে মনের অস্থিরতা কিছুটা কমতো, হয়তো। ছবি না তুলতে-তুলতে ছবি তোলার নিয়ম কানুন ভুলে যাচ্ছি।

বাজার থেকে বাসায় এসে সুরভিকে বললাম, ঢাকার বাইরে যাচ্ছি। সুরভি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো আমার কথা শুনে। বলল, মানে! কোথায়? আমি বললাম, জানি না। ক'দিনের জন্য? বললাম, সেটাও জানি না। সুরভি খুব বেশি রেগে গেল! কিন্তু আসলেই তো আমি কিছু জানি না। তুহিন আমাকে সেসব কিছুই বলে নি।

যাই হোক, ছোট একটা ব্যাগে জামা কাপড় নিয়ে রওনা দিলাম। সুরভি বলল, ভাত খেয়ে যাও। টেংরা মাছ, ফুলকপি-শিম-টমেটো আর আলু দিয়ে রান্না করেছি। আমি বললাম, খেতে ইচ্ছা করছে না। সুরভি বলল, কার সাথে যাচ্ছো? বললাম, তুহিনের সাথে। বন্ধু তুহিন থাকে রাজশাহী। সেখানেই সে ব্যবসা করে। বিয়ে করেনি। করবেও না। তুহিনের সখ হলো ঘুরে বেড়ানো। আমার ছোট ভাই এর কাছ থেকে চার হাজার টাকা ধার নিলাম। খালি হাতে তো আর যেতে পারি না। তিন হাজার টাকা আমার কাছে ছিলো। বাজার করে শেষ করে ফেলেছি সব। তাও অনেক কিছু কেনা হয়নি।



আরামবাগ গিয়ে জানলাম।
আমরা বান্দরবান যাচ্ছি। দু'দিনের জন্য। একটা গ্রুপ বান্দরবান যাচ্ছে। সেই গ্রুপের সাথে তুহিন যাচ্ছে। তুহিনর সাথে আমি যাচ্ছি। রাত দশ টায় বাস ছাড়বে। রাতে দুই বন্ধু হোটেলে খেলাম। ঝামেলা বিহীন খাবার। কাচি। সাথে কোক। বাস দশটায় ছাড়ার কথা থাকলেও বাস ছাড়লো রাত ১২ টায়। যাত্রীরা রেগে মেগে গেছে। চিৎকার চ্যাঁচামেচি করছে। আমি চুপ, তুহিনও চুপ। বাস কাউন্টার থেকে বলল, দশটার সময় বাস ছাড়লে ভোর ৬/৭ টায় বান্দরবান থাকতেন। বাস ১২ টায় ছাড়লেও ভোর ৬/৭ টায় বান্দরবান থাকবেন। কোনো চিন্তা নাই। রাত বারোটায় ড্রাইভার গাড়ির সিটে বসে ঘোষনা দিলো, এমনভাবে গাড়ি চালাবো- চাকা মাটিতে থাকবে না। আপনার ধইরা বসেন।

ড্রাইভারের বয়স বেশি না। সে সারারাত সেই রকম বাস চালালো। তুফানের মতো বাস চালালো। ড্রাইভার সত্যি সত্যি ভোর সাড়ে ছয় বান্দরবান পৌছালো। তবে সাধারণ বাস কুমিল্লা গিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে ২০/২৫ মিনিট ব্রেক দেয়। আমাদের ড্রাইভার তা দেয়নি। ভোরে আমরা 'হোটেল হিল ভিউ' থেকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সেখানেই সকালের নাস্তা করলাম। আমরা মোট ২৯ জন। ২৯জনের মধ্যে ৭ জন মেয়ে। ভোরে তিনটা চান্দের গাড়িতে করে আমরা রওনা দিলাম রোয়াংছড়ি। মাঝপথে রোয়াংছড়ি থানা থেকে অনুমতি নিতে হলো। এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হলো প্রত্যেককে। বোয়াংছড়িতে গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। এদিকে সুরভি একটু পরপর ফোন দিচ্ছে। আমি বাইরে কোথাও গেলে সুরভি ক্লান্তহীণ ভাবে ফোন দিতেই থাকে।



আমরা যাবো দেবতাখুম নামক জায়গায়।
যাওয়ার আগে বিডিআর এর সাথে আমাদের পুরো দলের দেখা করতে হলো। তাদেরও ভোটার আইডি কার্ডের ফোটোকপি দিতে হলো। এবং তারা বলল, ''সুন্দর ভাবে যাবেন, সুন্দর ভাবে আসবেন। স্থানীয় লোকদের সাথে সুন্দর আচরন করবেন। অতি দুর্গম এলাকা খুব বেশি সাবধান থাকবেন''। ইত্যাদি নানান রকম কথা বার্তা। দুপুরে খেয়েছি কচ্ছপতলী বাজারে। রান্না একটূও ভালো না।

আমরা দেবতাখুম এর উদেশ্যে হাঁটা শুরু করলাম। কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ঘন্টা হাঁটতে হলো আমাদের। আমাদের গাইড ছিলো দুইজন। এখানে গাইড ছাড়া যাওয়ার অনুমতি নেই। গাইড আমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে নিয়ে গেলেন। যাওয়ার পথ খুব বেশি ভয়াবহ। এই কাদামাটির রাস্তা, এই শুকনো রাস্তা, এই জঙ্গল, এই সমতল, এই এবড়ো খেবড়ো রাস্তা, আবার কখনও হাটু পর্যন্ত পানি মাড়িয়ে যাওয়া, আবার পাহাড় এর পাশ দিয়ে একটু খানি জায়গা তাও পিচ্চিল, শ্যাওলা হাঁটা যায় না- এমন অবস্থা। হাঁটতে হাঁটতে আমি, আমরা ক্লান্ত। মোট তিনবার নৌকায় উঠতে হয়েছে। যদিও বর্ষাকাল না এখন। তবু কিছু কিছু জাগায় পানির পরিমান অনেক বেশি। দেবতাখুম যাওয়া চারটেখানি কথা নয়। একটু ভুল হলে যে কোনো সময় মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে। অনেক পরিশ্রম করার পর দেবতাখুম এর দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ! আমরা মুগ্ধ! চারপাশ দেখে আমার হাঁটার ক্লান্তি নাই হয়ে গেল। মনটা অন্যরকম আনন্দে ভরে গেলো। এত সুন্দর! এত সুন্দর!! এই করোনার মধ্যেও বহু মানুষ দেবতাখুমে। কারো মুখে মাস্ক নেই। সাধারণ টুরিস্টরা বান্দরবান এলে নীলগিরি, মেঘালয়, বগালেক আর শৈল প্রপাত দেখে। দেবতাখুমে অনেক হাঁটতে হয় এবং খুব দুর্গম এলাকা বলে সেখানে সবাই যেতে পারে না।



এদিকে আমার বন্ধু শুরু করলো সাঁতার।
সে নৌকায় উঠবে না। নৌকার পথ সে সাঁতার কেটে যাচ্ছে। দীর্ঘক্ষন পানিতে থাকার কারনে বন্ধুর হাত পা সব সাদা হয়ে গেছে। আমি এসএলআর ক্যামেরা নিয়ে গেলেও, ছবি তুলেছি মোবাইল দিয়ে। এই ছবিও আমি তুলতাম না, আপনাদের কথা ভেবেই ছবি গুলো তলেছি। দেবতাখুম গিয়ে আমার দুইজন পরিচিত লোকদের সাথে দেখা হয়েছে।

যাই হোক, পুরো ভ্রমনে একেক জনের কমপক্ষে ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ আমার বন্ধু আমাকে কোন টাকা খরচ করতে দিচ্ছে না। বন্ধু তুহিন জানে না আমার চাকরি নেই। সে জানে আমি ভালো চাকরি করছি। বেশ ভালো আছি। আমার যেন টাকা দিয়ে সিগারেট পর্যন্ত কিনতে না হয় তার জন্য বন্ধু ঢাকা থেকেই তিন প্যাকেট সিগারেট কিনে নিয়ে গেছে।

আমি ৫ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার মাত্র এক হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অবশ্য এই টাকা আমি নিজ থেকেই খরচ করেছি। অপ্রয়োজনীয় এবং ফালতু খরচ। কৃপণতা করলে আত্মা কষ্ট পায়। আত্মকে কষ্ট দেওয়া ঠিক না। পরের দিন রাতে ঢাকার উদেশ্যে বাসে উঠলাম। শরীর বেশ ক্লান্ত। চোখ ভরা ঘুম। বাসে উঠার আগে ইচ্ছে মতো খেয়ে নিলাম।
এই ড্রাইভার গাড়ি ভালো চালাচ্ছে না। মনে হচ্ছে ড্রাইভার একটা একসিডেন্ট করবে। আমি ড্রাইভারের দিকে লক্ষ্য রাখছি। তুহিন গভীর ঘুমে। খুব ভোরে বাসায় এলাম। তুহিনকে জোর করে বাসায় নিয়ে এলাম। দুপুরে সুরভি বেশ ভালো খাবারের আয়োজন করলো। তুহিন বলল, ভাবী আপনার হাতের রান্না খেতেই আজ এসেছি। সুরভির হাতের রান্না যারা খেয়েছে, সবাই মুগ্ধ হয়েছে।



এক নজরে রোয়াংছড়ি, বান্দরবানঃ

১। ১৯৭৬ সালে রোয়াংছড়ি থানা গঠিত হয়।
২। রোয়াংছড়ি উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার।
৩। এখানে কোনো প্রকার মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই।
৪। দেবতাখুমের প্রধান বৈশিষ্টই হচ্ছে তার বুক চিড়ে ভেলার চলাচল।
৫। রোয়াংছড়ি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদী।
৬। রোয়াংছড়িতে দর্শনীয় স্থান তিনটি- তিনাপ সাইতার, দেবতাখুম এবং রোয়াংছড়ি বৌদ্ধ বিহার।
৭। পথে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়ি আদিবাসীদের ছোট ছোট কয়েকটি গ্রাম।
৮। বান্দরবানের অধিকাংশ সীমান্তে বিজিবির সীমান্তচৌকি ও ক্যাম্প নেই।
৯। সাঁতার জানা না থাকলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক।
১০। এখানে বেশ কয়েকটি প্রাইমারী স্কুল রয়েছে।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। বিগ হাগ।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবিগুলি যেমন সুন্দর লেখাও চমৎকার হয়েছে তেমনি।
যাওয়ার ইচ্ছে আছে, এর সাথে আরো ২/৩টা স্পট যোগ করে যাবো।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই যাবেন। ভালো কিছু ছবি পাবেন।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সিগারেট খান? এইযুগে কেহ কি সিগারেট খান!

পাহাড়ীরা গরীব?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: যারা শহরে থাকে, তারা মোটামোটি খেয়ে পরে বেঁচে আছে। কিন্তু শহরের বাইরে যারা থাকে তাদের বেশির ভাগই খুব বেশি গরিব।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার বর্ণনায় বুঝলাম আমার পক্ষে
দেবতা মূখ দেখা হবে না। দুই তিন ঘণ্টা
পিচিছল পথে হাটলে আমাকে অক্কা পেতে হবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: তবে আপনি ভালো সাঁতার জানলে বর্ষা কালে যেতে পারেন। তখন হেঁটে যেতে হবে না। নৌকায় করে যাবেন।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাহাড়ীরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন? গাইডগুলো পাহাড়ী, নাকি বাংগালী?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়ে গুলো দেখতে বেশ সুন্দর। পুরুষদের স্বাস্থ্য ভালো। একদম পিটানো শরীর।
পাহাড়িরা দরিদ্র। তাদেরকে দেখে অসহায় মনে হলো। টুরিস্ট যায়। পাড়াড়িরা নানান রকম ব্যবসা করছে। এটাই তাদে ইনকাম। তবে কিছু পাহাড়ি ভালো চাষবাস করছে। কলা, মিষ্টি কুমড়া, আরও কিছু সবজি চাষবাস করছে পাহাড়ে। কেউ কেউ গরু পালছে। ওদের সবচেয়ে ভালো দিক পাহাড়ি নারীরা ঘরে বসে থাকে না। প্রচুর কাজ করে স্বামীর সাথে পাল্লা দিয়ে।

গাইড গুলো পাহাড়ি। খাটী পাহাড়ি। ওদের ব্যবহার ভালো। ওরা নিজদের সাথে কথা বললে, ওদের ভাষায় কথা বলে। আবার টুরিষ্টদের সাথে বাংলা ভাষায় কথা বলে।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গুরাফের বেশ ভাল হল।
প্রতি বছর কয়েক দিনের জন্য দুরে কোথাও গুরতে যাওয়া উচিত পরিবার সহ।এতে কাজের প্রেরনা বাড়ে,মন ভাল থাকে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ঘুরতে যাওয়া ভালো।
তবে অনেক টাকা লাগে পুরো পরিবার নিয়ে গেলে।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: চারটা বানান ভুল

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি বানান ভুল করেন নি।
টাইপ করতে গেলে মাঝে মাঝে এরকম হয়। সবারই হয়।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ উপভোগ করেছেধ বুঝা যাচ্ছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিকই বলেছেন।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বান্দরবান ভ্রমন বিবরণ ও ছবি সমুহ খুবসুন্দর হয়েছে ।
প্রকল্প প্রনয়ন ও পরিদর্শন কাজে বহুবার বান্দরবানের
গহীনে গিয়েছি। শান্তি চুক্তি হওয়ার আগে একবার
সেখানকার শান্তি বাহিনীর হাতে জীবন যাওয়ার
উপক্রম হয়েছিল । যাহোক এখন সেখানে অবস্থার
অনেক উন্নতি হয়েছে । যদিও সেখানকার মানুষজন বেশ দরিদ্র
তারপরেও বিকাশমান পর্যটন শিল্প , কৃষি,কুটিরশিল্প বিশেষ করে
কোমর তাঁতে রুচিশীল পোশাক বুনে বান্দরবানের পাহাড়ি নারীরা
অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এই এলাকার লোকজন পরিশ্রমী। সবচেয়ে বড় কথা নারীরা কর্মমূখর।

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার একটা জাতীয় পরিচয় পত্র আছে ।
সেটা অনেক কষ্টে বানাতে সক্ষম হয়েছি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেটার 60 শতাংশই ভুল তথ্যে ভরা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল হতেই পারে।
ছোট একটা দেশ। মানুষ বেশি। অদক্ষ জনগন।
তবে ভুল সংশোধন করা যায়।

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৪

জিকোব্লগ বলেছেন:



অনেক কম খরচে ভ্রমণ করতে পেরেছেন। আমার পরিচিত
একজন পত্রিকায় ফ্যাশন -স্টাইল পাতায় লেখে, সে অনেক
কিছু ফ্রি পায় প্লাস বেশ ভালোই ইনকাম করে। তাই, আমি
ভেবেছিলাম ছবির প্রয়োজনে কোনো কোম্পানি আপনাকে
স্পনসর করলো কিনা। চাঁদগাজীর পরামর্শে চাষী না হয়ে
ভালো কিছু কাজ করেন, ভালো ইনকাম করেন। কারণ
চাঁদগাজী অন্যকে চাষী হওয়ার পরামর্শ দিলেও নিজে
চাষী হবেন না, তার ছেলে মেয়েকেও চাষী বানাবেন না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: খরচ অনেক টাকাই হয়েছে। তবে আমার খরচ হয়নি। আমার বন্ধুই দিয়ে দিয়েছে।

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বান্দরবানে গেলেও দেবতাখুমে যাই নাই। ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে নয়নাভিরাম জায়গা। সুন্দর ঘুরেছেন। তবে কাচ্চি শব্দটারে কাচি লিখেন না প্লিজ। কাচ্চানুভূতিতে আঘাত লাগে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এত সর্তক থাকি তবু বানান ভুল করে ফেলি। আমাকে আরো সাবধান হতে হবে।

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

ডাব্বা বলেছেন: বাংলাদেশে ঘুরে বেড়ানোর জায়গা গুলোর বেশ উন্নতি হয়েছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: তা বলা যায়।
রাস্তাও বেশ উন্নত হচ্ছে।
তবে মানুষের মানসিকতার উন্নতি হয় নি।

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অন্য লেখার চেয়ে এবারে লেখাটির বর্ণনা অনেক সুন্দর হয়েছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাদের ভালবাসা।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: করোনার মাঝে সুন্দর একটা ভুমন করলেন রাজীব দা

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভুমন (ভ্রমন) করে ভালো লেগেছে।

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা।
সুন্দর পোস্ট।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আমিন রবিন বলেছেন: দেবতাখুমে যখন গিয়েছিলাম, খুব অল্প লোকই এটার কথা জানত বা যেত। রেস্টুরেন্ট, চেয়ার টেবিল, ছাতা, লাইফ জ্যাকেট কিছুই ছিলোনা তখন। কিন্তু সৌন্দর্য্য উপভোগের সেটাই ছিল উৎকৃষ্ট সময়। এখনকার ছবিগুলো দেখলে মনে হয়, জায়গাটাকে বাজার বানিয়ে ফেলেছে। আসলে এই সমস্যা বাংলাদেশের সমস্ত ট্যুরিস্ট স্পটেরই। একটা জিনিসের বারোটা না বাজানো পর্যন্ত আমরা থামিনা। মনে আছে, যখন প্রথম সেন্ট মার্টিনে যাই তখন এক অবকাশ ছাড়া আর কোন হোটেল-মোটেল ছিলোনা। প্রাসাদ প্যারাডাইস কেবল নির্মাণাধীন। সন্ধ্যায় বীচে বসে মনে হত স্বর্গে আছি। অনেক বছর পরে আবার যখন গেলাম, প্রায় গরুর হাটেরই মতন ভীড়, ধাক্কাধাক্কি! চিপসের প্যাকেট আর পানির বোতলে বীচ সয়লাব। অথচ আমরা ট্রেকিং এ গেলে সিগেরেটের বাটগুলো পর্যন্ত পকেটে করে ফিরিয়ে আনি।তবে বান্দরবানের এমনও গহীন এলাকায় যাবার সৌভাগ্য হয়েছে, যেগুলো স্বমহিমায় রয়ে যাবে বহুদিন; সাধারণ ট্যুরিস্টরা কোনদিনই সেখানে যাবার সাহস করবেনা বলে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।

১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সামিয়া বলেছেন: কি রহস্যময় একটা জায়গা তাই না? আমি বান্দরবান কখনো যাইনি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়...
আবার গেলে আপনাকে নিয়ে যাব।

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: বান্দরবানে কখনো যাই নি, ছবি যা দেখেছি তা কেবল আকাশ আর পাহাড়ের! আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছিল গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, অবশ্য সেটাও দেখা হয়নি বলে জানিনা দেখতে ঠিক কী রকম!!

চমৎকার ছবি! চমকপ্রদ ভ্রমণ কাহিনী!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: দেরী হোক, যায় নি।
যাবেন।

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি স্রেফ পড়েই রোয়াংছড়ি ও দেবতাখুম ভ্রমণ করলাম। খরচের কথা বলা যাবেনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ইচ্ছে মতোন খরচ করবেন।

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

ইসিয়াক বলেছেন: আহ ! আমি যদি যেতে পারতাম |-)

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে নিয়ে যাবো।

২২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সময় করে আমিও যাবো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: যান। ঘুরে আসুন। ভালো লাগবে।

২৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২২

সোহানী বলেছেন: বউ যে আপনারে ঝাড়ুঁ পেটা করে নাই, উল্টা রান্না করে খাওয়াইছে তাতে ভাবীরে হাজারটা ধন্যবাদ। এরকম বউ আপনার কপালে জুটছে মানে আপনি রাজ কপালী :P

আর এ করোনাকালে যেভাবে আপনারা ঘুইরা বেড়ান!!!!!!!! আ্ল্লাহ রক্ষা করুক। গত সাপ্তাহে ছেলের জন্মদিন ছিল। ওর প্রিয় রেস্টুরেন্ট মেন্ডারিন। কিন্তু করোনার কারনে সেখানে বসে খাওয়ার কোন নিয়ম নাই। তাই বাধ্য হয়ে খাবার নিয়ে আসলাম বাসায়। এতো কড়াকড়ি এখানে। অথচ আপনারা কি দারুনভাবে ঘুরে বেড়ান!!!!!

ভালো কথা, আমার জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে চিটাগাং, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই.......। পাহাড়ে অনেক ঘুরলেও এরকম জায়গায় যাইনি। নেক্সট যাবো তবে আপনাকে জানায়ে যাবো।

আমার লেখায় আপনার মন্তব্যটা দেখবেন!

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সুরভি আমাকে ভালোবাসে।
ঝাড়ু পেটা করবে কেন? আমি সুরভিকে অনেক ছাড় দেই। আজ পর্যন্ত কোথাও যেতে চাইলে আমি মানা করি নি।

বাংলাদেশ অন্য রকম দেশ। পৃথিবীর কোনো দেশের সাথে মিলবে না। হে হে---

আমাকে জানিয়ে যেতে হবে না। আমাকে সাথে করে নিয়েই যাবেন।
ওকে।

২৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: পাহাড়ি আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার করে এদেশের আদিবাসী বাঙ্গালীদের চরমভাবে হেয় করা হয়, যারা উপজাতিরা এই অঞ্চলে আসারও হাজার বছর আগে থেকে এখানে বাস করছে।
উপজাতিরা নিজেদের উপজাতিই বলে এবং উপজাতি বলেই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

আমি আদিবাসী, উপজাতি গুলিয়ে ফেলি।

২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

আশেকীন আশিক বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই! চমৎকার লাগলো পড়ে

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.