নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়ার কোনো বিকল্প নেই

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪২



১। ব্যথার দান কাজী নজরুল ইসলাম।
এই বইটা এতোটাই আমাকে ছুঁয়ে গেছে যে, মনে হচ্ছিল আমার চিন্তাধারার সাথে বেশিরভাগ মানুষেরই মিল হয় না। অথচ নজরুল সেই কথা গুলোই তুলে ধরেছেন। প্রকৃত ভালবাসা কারে বলে তা যেন নতুন করে উপলব্ধি করেছিলাম। ‘ব্যথার দান’ দারা ও বেদৌরার প্রেম ও অতৃপ্তির গল্প। নজরুল দেখিয়েছেন প্রেমিকের সঙ্কট, যাতনা, অতৃপ্তির হাহাকার। ভালবাসার অনুভব দূর প্রবাসে সুতীব্র রূপ ধারণ করে। প্রেমের ভুলের জন্য হাহাকার করে ওঠে। সৈনিকের চোখ দিয়ে দেখা ভিন্নতর এক বিশ্ব। নিয়ত জীবন-মৃত্যুর সন্নিধানে প্রবাস জীবনের একদিকে থাকে প্রেম অন্যদিকে থাকে দেশমাতৃকার প্রতি- ভালবাসা।
লেখক বইটি উৎসর্গ করেছেন তার ‘মানসী’কে। নজরুলের উপন্যাসের অধিকাংশ বাক্য ছোট ছোট- অনেকটা হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের মতো। নজরুলের বাঁধন-হারা, মৃত্যুক্ষুধা ও কুহেলিকা এই উপন্যাসও অনেক সুন্দর। তার উপন্যাসে সমাজ সচেতনতা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দরদ, নরনারীর প্রেমের প্রতি দরদি মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করে।

২। শেষের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ভালবাসলেই যে পেতে হবে এমন কোন কথা নেই। এটা একদম চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে- এই বই আপনি বার বার পড়লে, একেকবার একেকভাবে উপলব্ধি করবেন। মনস্তাত্ত্বিক রোম্যান্টিক উপন্যাস। উপন্যাসটির মূল চরিত্র অমিত ও লাবণ্য এবং এদের প্রেম পরিণত হয় একটি চতুর্ভূজ প্রেমের গল্পে।
অমিতর একটা উক্তি উল্লেখ করার মতো, "কেতকীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালবাসারই, কিন্তু সে যেন ঘড়ায় তোলা জল। প্রতিদিন তুলব, প্রতিদিন ব‍্যবহার করব। আর লাবণ্যর সঙ্গে আমার যে ভালোবাসা সে রইল দিঘি, সে ঘরে আনবার নয়, আমার মন তাতে সাঁতার দেবে।" উক্তিটির মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত সন্দেহ জাগে যে সে ভালোবাসে নি- না কেতকীকে, না লাবণ্যকে, না অন্য কোনো মেয়েকে। এই উপন্যাসটা প্রতি বছর আমি একবার করে পড়ি। আর মুগ্ধ হই।

৩। দূরবীন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
অসাধারণ একটা উপন্যাস। উপন্যাসে তিনটি প্রজন্মের জীবনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসের শুরু ১৯২৯ সালের এক শীতকালীন ভোরে হেমকান্তের হাত থেকে কুয়োর বালতি পড়ে যাওয়ার ঘটনা দিয়ে।
অতীতের আতসকাঁচ দিয়ে দূরবীনের মধ্যে অতীতের লোকগুলোকে যেমন বড় কাছের করে পাই, দূরবীন ঘোরালে আজকের মানুষ গুলোকেও বড় দূরের মনে হয়।
দূর্দান্ত এক উপন্যাস। সকলের পড়া উচিত।


৪। আরণ্যক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়।
শব্দ চয়ন শিখতে চান? চান, প্রকৃতির বর্ণনা কী করে করতে হয়? কী করে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করতে হয়? তাহলেই এই বই। এই উপন্যাসে লেখক প্রকৃতির নিবিড় রহস্যময়তা, মায়ালোক আর আদিমতায় খুঁজে পেয়েছেন জীবনের গাঢ়তম রূপ; দেখেছেন মানুষের বিচিত্র প্রবণতা আর উপলব্ধির নব নব রূপায়ন।
আরণ্যক বইটিকে বিভূতিভূষণের শ্রেষ্ঠতম সাহিত্য-সৃষ্টি বলে মনে করা হয়। মানুষের মতোই প্রকৃতিও রহস্যময় এবং বৈচিত্র্যময়। এই রহস্যময়ী মানুষ ও প্রকৃতিকে পৃথক স্বাধীন মাত্রা দিয়েছেন বিভূতিভূষণ। উপন্যাসে লেখক যে প্রান্তিক মানুষগুলোর কথা বলেছেন-
(মটুকনাথ, মঞ্চি, ভানুমতী, রাজু পাড়ে, ধাতুরিয়া) এরা গয়া জেলা জানে, ভারতবর্ষ জানে না। তাদের চৈতন্য মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শহরের শ্রেণীর জাতীয়বাদ থেকে ভিন্ন। এখানে বৈপ্লবিক মধ্যশ্রেণীর সূচনা ও বিকাশ ঘটে নি।

৫। ন হন্যতে মৈত্রেয়ী দেবী।
এটি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। 'ন হন্যতে' যার অর্থ- 'It does not die' বা যার 'ক্ষয় নেই, মৃত্যু নেই'! ১৯৩০ সালে ঘটে যাওয়া একটি কাহিনীর স্মৃতিচারণ এই উপন্যাস। বইটির শব্দ চয়ন অসাধারণ। লেখিকার গভীর জীবনবোধের পরিচয় পাওয়া যায় উপন্যাসটি পড়ে। জীবনের শেষ লগ্নে এসে পুরাতন প্রিয়তম মানুষকে সামনে রেখে সেই চির সুন্দর প্রেমের উদ্ভাস ঘটেছে উপন্যাসে। উপলব্ধির কোন স্তরে পৌঁছিলে প্রেম শুধু শরীর সর্বস্ব থাকে না, তা হয় অসীম। চঞ্চল, জেদী, তরুণী মৈত্রেয়ী কী করে হতাশায় ডুবে ভালোবাসার মানুষটির অভাবে ধীরে ধীরে ধৈর্যশীল, শান্ত আর পরিণত হয়ে উঠেন, তারই সন্ধান মিলবে এই বইয়ে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: প্রত্যেকটি বইই চমৎকার। নজরুলের প্রেম মানেই বিরহ এবং প্রিয়কে কাছে পাবার অনন্ত তৃষ্ণা। শেষের কবিতা উপন্যাসের মূলভাবটি রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন মানসী কাব্যগ্রন্থের বেশিরভাগ কবিতায়। বিশেষ করে নিষ্ফল কামনা কবিতায়।
ভালোবাসো,প্রেমে হও বলী
চেয়ো না তাহারে।
আকাঙ্ক্ষার ধন নহে আত্মা মানবের।

তিনি সীমার মাঝে অসীমকে খুঁজতে চেয়েছেন। উপন্যাসে কেতকী হচ্ছে অমিতের বাসনা।আর লাবন্য হচ্ছে অমিতের অনন্ত অসীম প্রেম,যাকে যুগ যুগ ভালোবাসলেও তৃষ্ণা মিটবে না।
আরণ্যক হচ্ছে একটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উপন্যাস। উপন্যাসে প্রকৃতির ব্যাপ্তি বেশি থাকলেও মানুষ এখানে প্রধান।সত্যচরণের জঙ্গল সাফ করে তৈরি করা বসতি ভারতে ইংরেজদের কলোনি তৈরির কথা মনে করিয়ে দেয়।জঙ্গলের শান্ত জীবনকে অশান্ত করে দিয়ে আসার মাধ্যমে জাতীয় জীবনের অস্থির সময়ের রূপ তুলে ধরেছেন লেখক।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমকালীন ও ক্লাসিক্ল্যাল সাহিত্য পড়ার দরকার।
তার আগে দরকার বিজ্ঞান, টেকনোলোজী, সামজ বিজ্ঞান, পলিটিক্যাল সায়েন্স, অর্থনীতি, দর্শন, অংক ও ইতিহাস পড়ার দরকার।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: একটা অতি সাধারন বইয়ের মধ্যেও বিজ্ঞান, টেকনোলোজী, সামজ বিজ্ঞান, পলিটিক্যাল সায়েন্স, অর্থনীতি, দর্শন, অংক ও ইতিহাস থাকে।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মীয় বই পড়ার দরকার আছে?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: দরকার আছে।
একটা বিশাল গোষ্ঠী কেন ধর্মের সাথে আছে। সেটা জানতে হবে, বুঝতে হবে।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি কি কেবল গল্পের বই পড়েন?

বিজ্ঞান, টেকনোলোজী, সামজ বিজ্ঞান, পলিটিক্যাল সায়েন্স, অর্থনীতি, দর্শন, অংক ও ইতিহাস পড়ার দরকার।

কেবল গল্প জানলেই চলবে না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বইজান আমি দরিদ্র মানুষ। বইয়ের অনেক দাম। বই কিনে পড়ার মতোন অবস্থা আমার নাই। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে আসি।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:

ধর্মীয় বই পড়ার দরকার আছে?

ঠাকুরমার ঝুলি পড়লে কি যথেষ্ট নয়?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় বই পড়ারও দরকার আছে।

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শেষের কবিতা পড়েছি,বাকিগুলো পড়া হয় নাই।যখনই পড়ব ভাবছিলাম,তখনই পড়ে ফেললাম এইগুলো পড়ার দরকার নাই।সেই যে বাঁধা পড়লো আর সময় করে উঠতে পারলাম না।
এখন যখন সময় হল,তখন আর পড়েতেই পারি না, একপাতা পড়লেই কেমন হাপিয়ে যাই।বয়সের অভিজ্ঞতা ছাড়া এ জীবন বৃথাই চলে গেল।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার জন্য ধাঁধা-
একটি ছেলে একটা বাক্সের মধ্যে আটটি মাকড়সা আর গুবরে পোকা সংগ্রহ করে রেখেছে। সেগুলোর পা গুনে ছেলেটি দেখলো মোট ৫৪ টি পা। তাহলে বলুন তো সে কতগুলো মাকড়সা আর কতগুলো গুবরে পোকা সংগ্রহ করেছিল?

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: বইজান আমি দরিদ্র মানুষ। বইয়ের অনেক দাম। বই কিনে পড়ার মতোন অবস্থা আমার নাই। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে আসি।


ঢাকা শহরে অনেক বড় বড় কয়েকটি লাইব্রেরী আছে। সব বই কিনে পড়ার দরকার কি?
শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরীর সংগ্রহ তো মন্দ নয়।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘদিন সেখানে বই পড়েছি। এখন ছেলেমেয়েরা সেখানে প্রেম ট্রেম করে। পড়ার পরিবেশ নাই।

৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: দীর্ঘদিন সেখানে বই পড়েছি। এখন ছেলেমেয়েরা সেখানে প্রেম ট্রেম করে। পড়ার পরিবেশ নাই।


তাহলে বৃটিশ কাউন্সিলের মেম্বার হোন।
তাদের সংগ্রহ তো ভালো হবার কথা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী। চেষ্টা করবো।
দোয়া রাখবেন।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শেষের কবিতা আর দূরবীন পড়েছি।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: বাকি গুলোও পড়ে ফেলুন।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৫ টি গোবরে পোকা ৩ টি মাকড়সা

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ও মাই গড।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



নেয়ামুল কোরআন পড়েন। আমল তদবীর করেন।
ইনশাল্লাহ আপনার দারিদ্র্যতা দূর হয়ে যাবে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কোরআন আর আমল তদবীর করে আমার দারিদ্রতা দূর করতে চাই না।
আমি কাজ করে দারিদ্রতা দূর করবো।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৭

জিকোব্লগ বলেছেন:



আরে ভাই কোরআন পড়ে আমল করলেই
আপনার কর্ম হবে। সূরা ওয়াকিয়া নিয়মত
পড়ুন ও কর্ম খুঁজুন। ল্যলপাগিরি বাদ দেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লাইব্রেরী থেকে বই কি বাসায় নিয়ে আসা যায় না?

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ্জানি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.