নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শাহেদ জামাল (বাইশ)

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৫



শাহেদ জামাল বিরাট বিপদে পড়েছে।
এক দূর্নীতিবাজ শাহেদ জামালের পেছনে লেগেছে। অথচ এই দূর্নীতিবাজকে শাহেদ জামাল চিনে না, জানেও না। ঘটনা চক্রে শাহেদ জামাল ফেঁসে গেছে। ঘটনা শুরু এইভাবে- শাহেদ জামাল মাঝে মাঝে তার গ্রামে যায়। বছরে দুই তিনবার বলা যেতে পারে। এই দূর্নীতিবাজ শাহেদ জামালের গ্রামের। দূর্নীতিবাজের নাম- আকমল তালুদার। আকমল তালুকদার রাজনীতি করেন না। তবু ধারনা করা হয়, সে নয় হাজার কোটি টাকার মালিক। এক মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় থেকে সে এত টাকার মালিক হয়েছে। যদিও সে দল থেকে নমিনেশন চেয়েছিলো কিন্তু পায় নি। মুন্সিগঞ্জে আকমল তালুকদারের জমির অভাব নেই। বিঘার পর বিঘা জমি কিনেছেন। কেউ বিপদে পড়ে তার কাছে আসলেই আকমল তালুকদার সাদা কাগজে সাইন নিয়ে জমি দখল করে ফেলেছে। ঢাকা শহরে তার চারটা বাড়ি। প্রতিটা বাড়ি ছয় তলা। ফ্লাট আছে তেরো টা। নামে বেনামে প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। আকমল তালুকদার গ্রামে যায় হেলিকাপ্টার দিয়ে। সবাই তাকে সালাম দেয়। পারলে তাকে আব্বা বলে ডাকে। খুব শ্রীঘই আকমল তালুকদার তার পরিবারকে কানাডা পাঠিয়ে দিবে। সব ব্যবসা শেষ। তিনি নিজেও যাবেন। তবে তাকে দেশেও থাকতে হবে।

শাহেদ জামাল তার গ্রামের বাড়ি গিয়েছে।
এক সাংবাদিক শাহেদ জামালকে আকমল তালুকদার সম্পর্কে নানান রকম তথ্য দেয়। গ্রাম ঘুরে ঘুরে আকমল তালুকদারের জায়গা জমি দেখিয়েছে। গ্রামের মানুষ আকমল তালুকদারকে খুব ভয় পায়। কারন আকমল তালুকদার কমপক্ষে ৩৭ জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দৌড়ের উপর রেখেছেন। যে'ই আকমল সাহেবের বিরুদ্ধে বলেছে, তাকেই গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। এখন গ্রামের মানুষ বোবা হয়ে গেছে। এবং আকমল শাহেবকে খুশি করার জন্য সারাক্ষণ আকমল সাহেবের গুনগান করেন। তাতে তিনি খুশি হয়ে- এটা, ওটা দেন। সরকারী আমলারা আকমল তালুকদারের সাক্ষাৎ পেলে নিজেকে ধন্য মনে করে। শাহেদ জামাল ঢাকা ফিরে আকমল তালুকদারকে নিয়ে বিশাল এক স্ট্যাটাস দেয়। সেই স্ট্যাটাস এর কথা আকমল তালুকদার জানতে পারেন। আকমল তালুকদারের লোক শাহেদ জামালের সাথে যোগাযোগ করে। তারা বলেন, টাকা লাগলে বলেন, কিন্তু এভাবে একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা ঠিক না। শাহেদ বলল, আমি কি মিথ্যা কিছু লিখেছি? তারা বললেন, এমন শিক্ষা দেবো তোমাকে সারা জীবন মনে রাখবে। শাহেদ জামাল আবেগের বশে স্ট্যাটাস দিয়ে বড় ভুল করেছে।

এদিকে যে সাংবাদিক তথ্য দিয়েছিল-
সে এখন জেলে। তার সাত বছর জেল হয়েছে। তার অপরাধ সে ছয় বছর আগে ধর্ষন করেছিলো, প্রতারনা করেছিলো, আরো অনেক কিছু করেছিলো। প্রচুর টাকা থাকলে দিনকে রাত করা যায়, রাতকে দিন। শাহেদ জামালের কয় বছরের জেল হয় কে জনে! আকমল তালুকদারের আলাদা লোক আছে এরকম মামলা করার জন্য। সাক্ষী দেওয়ার জন্য আলাদা লোক আছে অনেক। পুলিশ, র‍্যাব সব তার হাতের মুঠোয়। টাকা থাকলে এদেশে সব করা আয় শাহেদ জামাল জানে। টাকা দিয়ে সবাইকে কেনা যায় এবং যাকে খুশি তাকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো যায়। শাহেদ জামাল এখন কি করবে সে জানে না। আকমল তালুকদারের কাছে মাফ চাইলে মাফ পাওয়ায় যাবে না। তার দুইটা রুপ। একটা ভালো, একটা খারাপ। সমাজের কাছে সে মহৎ, দানশীল, ভালো মানুষ আর তার বিরুদ্ধে যারা যায় তাদের জন্য তিনি আজরাইল। তাদের শিক্ষা না দিয়ে তিনি ছাড়েন না। আকমল তালুকদারের অতীতের রেকর্ড তাই বলে। জেলখানায় অনেক কষ্ট। সেখানে শাহেদ জামাল থাকবে কি করে? সব সত্য বলা ঠিক না। সত্য বললে শাস্তি পেতে হয়। এই সমাজের নিয়ম হলো যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। মন্দ লোককে বলতে হবে ভালো লোক। মন্দ লোকের চাটুকারিতা করা ছাড়া উপায় নাই। বাঁচতে হলে চাটুকারিতা করতেই হবে।

রাতে শাহদ জামাল আরাম করে ঘুমাতে পারছে না।
মনে হয় এই বুঝি পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যাবে। তার না আছে টাকা, না আছে ক্ষমতাবান আত্মীয় স্বজন। তাকে কে বাঁচাবে? গভীর গোপনে, তিলে তিলে শাহেদ জামালের জীবন শেষ হয়ে যাবে। শাহেদ জামাল তার বর্তমান পরিস্থিতির কাউকে বলতে পারছে না। অবশ্য নীলাকে কিছুটা বলেছে। শাহেদ স্পষ্ট বলে দিয়েছে, তুমি বিয়ে করে নাও নীলা। আমার অপেক্ষায় থেকো না। নীলা শাহেদ জামালের কথা শুনে খুব কান্নাকাটি করেছে। শাহেদ জামাল তো নিরবে প্রতিটা মুহুর্তই কেঁদে যাচ্ছে। কেন যে সে আকমল তালুকদারের বিরুদ্ধে লিখতে গেলো! এখন তাকে থাকতে হবে কারাগারে বন্ধী। জেলখানাতে খাওয়ার কষ্ট, নোংরা বাথরুম, একটা ছোট্র ঘরে অনেকের সাথে ঘুমাতে হবে, নানান রকম আসামীদের সাথে তাকে থাকতে হবে। দম বন্ধ হয়েই সে মারা যাবে। প্রিয় রমনা পার্কে যাওয়া হবে না। রাস্তায় দাড়িয়ে ফুটপাত থেকে চা খাওয়া হবে না। নীলাকে দেখতে পাবে না। বাবা মা, ভাই আত্মীয় স্বজন কারো সাথে দেখা হবে না। ভীষন কষ্ট। এই কষ্টের খবর রাষ্ট্র জানবে না। জানবে না রাষ্ট্রের শাসকেরা। এরকম বহু জীবন তিলে তিলে নষ্ট হচ্ছে। কে রাখে তাদের খবর? অবশ্য দরিদ্র দেশে এরকম হয়েই থাকে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শাহেদ জামালের তো মনে হচ্ছে হালুয়া টাইট!!! =p~

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: তা কিছুটা বলা যায়।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সহজ সরল শাহেদ জামালের সংখ্যা সমাজে বেশী কিন্তু খারাপের কাছে অসহায়

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: হুম। এরকমই হয়।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: কেনই যে আবেগের বশে স্ট্যাটাস দিতে গেল বেচারা!

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সে বুঝতে পারে নি, বিষয়টা এত জটিল হয়ে যাবে।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শাহেদ জামান বিপদে আছে।তাড়তাড়ি বাঁচান।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সেই বুদ্ধি পরিকল্পনাই চলছে।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: ঘোষনা দিয়েছিলেন শেষ পর্ব ...আবার নতুন পোস্ট

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব রাগ লাগছিলো।
তখন রাগের মাথায় ভুলে বলে দিয়েছিলাম।
শেষে দেখলাম আরো অনেক কথা বাকি আছে। তাই আবার শুরু করতে হলো।

তবে ''টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা'' এবং '' রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে'' এদুটা শেষ করে দিয়েছি।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মরহুম শাহেদ জামাল আবার বিপদেও পরে!

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সে মৃত না। তার ঘটনাটা আপনাকে বলেছি। তবু কেন বুঝতে চাইছেন না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.