নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ কৃষক অভাবী।
একজন কৃষক কৃষি কাজের মাধ্যমে তার অভাব-অনটন দূর করতে না পেরে ছালাত আদায় কালে আল্লাহ'র কাছে অত্যন্ত বিনীত ভাবে কিছু ধন-দৌলত তার মাটির চুলার কাছে পাবার আবেদন-নিবেদন করে। একদিন সে মাঠে চাষ করতে গেলে তার লাঙ্গল একটি গাছের শিকড়ের সাথে বেঁধে যায়। সে তখন লাঙল বের করার জন্য শিকড় খুঁড়তে গিয়ে একটি কলস দেখতে পায়। কলসের মুখে ঢাকনা লাগানো। ঢাকনা খুললে সে কলস ভরা ধন-দৌলত দেখতে পায়। এতে সে মহা আনন্দিত হয়। কলসটি বাড়ী আনার সিদ্ধান্ত নেবার সাথে সাথে তার মনে পড়ে যায়, সে ধন-দৌলত পেতে চেয়েছিল তার মাটির চুলার কাছে, এখানে নয়। তাই সে ভাবল আল্লাহপাক সম্ভবতঃ তাকে পরীক্ষা করছেন। একারণে কলসটি পূর্বের অবস্থায় রেখে সে বাড়ী চলে আসে।
কৃষকের স্ত্রী বড় অবুঝ।
বাড়ী এসে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে তার স্ত্রীকে ঘটনাটি বলে। স্ত্রী তখন তাকে ঐ ধন-দৌলত আনতে অনুরোধ করে নিরাশ হয়। সে কিছুতেই ঐ ধন-দৌলত আনতে রাজী হলো না। তার বিশ্বাস, আল্লাহ তাকে ধন-দৌলত দিলে তার মাটির চুলার কাছেই দিবেন। স্ত্রী তাকে অনেক ভৎর্সনা ও গালমন্দ করে। কৃষক স্বামীকে রাজী করাতে না পেরে তার এক প্রতিবেশীকে সম্পদের খবর বলে এবং কোথায় কিভাবে আছে তাও স্বামীর বর্ণনা মোতাবেক বলে দেয়।
প্রতিবেশী খুশিতে ডগমগ।
প্রতিবেশী লোকটি উৎসাহে বুক বেঁধে কোদাল হাতে নির্দিষ্ট স্থানে ছুটে যায়। অল্প মেহনতেই সে কলসটি দেখতে পায়। কিন্তু কি আশ্চর্য! কলসে তো কোন ধন নেই, আছে শুধু কলস ভরা বিষধর সাপ। লোকটির রাগ হ’ল। সে মনে করল, কৃষকের স্ত্রী তাকে বিপদে ফেলার জন্য মিথ্যা কথা বলেছে। তাই এর প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে কলসের মুখটি ভালভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কলসটি বাড়ী নিয়ে এল। উদ্দেশ্য, রাতের অন্ধকারে সে কলসটি কৃষকের মাটির চুলার কাছে রেখে মুখটি খুলে দিবে। যাতে কৃষকের স্ত্রী চুলার কাছে গেলে তাকে সাপে দংশন করে।
রাত শেষে ভোর হলো।
কৃষকের স্ত্রী রান্না-বান্না করার জন্য চুলার কাছে গেল। সে আশ্চর্য হয়ে দেখল, চুলার চার পাশে অনেক ধন-দৌলত রয়েছে। সে তার স্বামীকে ডেকে আনল। স্বামী বলল, আমার মনে এ বিশ্বাস ছিল। আল্লাহপাক আমাকে ধন-দৌলত দিলে আমার মাটির চুলার কাছেই দিবেন। আমি আল্লাহ'র কাছে সে প্রার্থনাই করেছিলাম। স্ত্রী স্বামীকে ভৎর্সনা ও গালমন্দের জন্য তার নিকট ক্ষমা চাইল। এখন থেকে পরম সুখে স্বামী-স্ত্রীর দিন কাটতে লাগল।
শিক্ষাঃ নিজের উন্নতি-অগ্রগতির জন্য আল্লাহ'র কাছে প্রার্থনা নিবেদন করতে হবে। দেওয়ার মালিক তিনি'ই।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: রুপকথা ভাবলেই রুপকথা।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সবটাই চালাকির গল্প।বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই।বাস্তবে কখনো এমন ঘটে নাই,ঘটার সম্ভাবনাও নাই।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: জগত অনেক রহস্যময়।
কত কিছু যে ঘটে! আমরা তার কতটুকু জানি!
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন:
জগতের থেকে বেশি রহস্যময় মানুষ।এই মানুষ যে কত কিছু জেনেছে তার আমরা কথটুকু জানি।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: তবে চাইলেই জানা যায়।
আপনিই তো বলেন টিপ দিলেই জানা যায়।
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনিও মোনাজাত করুন।
আপনি ও পাবেন।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: দোয়া করবেন বড় ভাই।
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সবটাই চালাকির গল্প।বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই।বাস্তবে কখনো এমন ঘটে নাই,ঘটার সম্ভাবনাও নাই।
সঠিক।
সহমত।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তবে অনেক কিছুই ঘটে, তা আপনি জানেন না। তাই আপনার কাছে অসম্ভব।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চেষ্টা করে দেখুন ।
আপনিও পেতে পারেন।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: চেষ্টা অব্যহত আছে।
৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২১
গফুর ভাই বলেছেন: সারাজীবন শুনে গেলাম কিন্তু বাস্তুবে দেখা মিলল নাহ কলসি ভরা গুপ্তধন।শিরোনাম দেখে মনে হল বাংলার কৃষকের দারুন কিছু একটা হতে চলছে কিন্তু রুপকথা শুনে ফিরতে হল।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সংবাদ পত্রের মতো শিরোনাম দিয়েছি। হে হে---
৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪০
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন রাজীব দা
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা।
৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩১
নিয়াজ সুমন বলেছেন: সুন্দর কথায় মন প্রশান্তি আসলো
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবনটা যদি রূপকথা হতো, হয়তো খারাপ হতো না।