নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। শফিক ছাত্রলীগ করে।
কলেজের ভিপি হয়েছে সে। শফিকের সাথে সব সময় ৩০/৪০ জন ছেলে থাকেই। শফিক ভাই যেখানে যায়, তারাও সেখানে যায়। ছাত্রলীগ করে কিভাবে যেন শফিক অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছে। প্রথম বউ ছেড়ে দিয়ে আরেকটা বিয়ে করেছে। দ্বিতীয় বউ নিয়ে ইউরোপ ট্যুরে গেছে। ফেসবুকে ছবি দিচ্ছে নিয়মিত। কলেজে তার একটা বিশেষ রুম আছে। পুরো রুম ঝকঝকে তকতকে। এসি আছে দুইটা। দামী চেয়ার টেবিল। কলেজের প্রিন্সিপালের রুমও এত সুন্দর না।
কলেজে শফিকের ভিপি হওয়ার সময় সীমা শেষ।
নতুন একজন ভিপি হয়ে এলেন। কিন্তু শফিক ভাই এখন কি করবে? তাকে তো ফেলে দেওয়া যায় না। তখন নতুন একটা সংগঠন করা হলো। নাম ছাত্রছাত্রী কল্যান ট্রাস্ট। এই ছাত্রছাত্রী কল্যানের ট্রাস্টের সভাপতি হলেন শফিক ভাই। এই ট্রাস্টে ছাত্রছাত্রীর কোনো কল্যান হয় না। কল্যান হয় শফিক ভাইয়ের। প্রতিটা ছাত্রছাত্রী শফিক ভাইকে এত সম্মান করে, যে কলেজের শিক্ষকেরাও এত সম্মান পায় না। এই শফিক এক সময় ছিলো পথের ফকির। এখন তার দুটা গাড়ি। কোমরে বেল্টের হুকে চাবি ঝুলিয়ে রাখে। জমিও কিনেছে অনেক। নামে বেনামে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আছে।
মূলত শফিক ভাই কোনো কাজ কর্ম করে না।
তবে সে নানান মন্ত্রী এমপি'র সাথে দেখা করেন। বিশেষ বিশেষ দিনে মন্ত্রী এমপিদের ফুলের তোড়া দেন। ছবি তোলেন। এবং সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন। তার কাজ বলতে এটাই। অবশ্য ছবিতে দুই তিন হাজার লাইক পড়ে। এরকম সফিকের সংখ্যা দেশে অনেক। প্রতিটা কলেজে এরকম সফিক আছে। কলেজে বিশেষ এসিওয়ালা রুম আছে। সেই রুমে তার মদতদ খায়। মাঝে মাঝে মেয়ে নিয়েও আসে। এরকম করে, এসব করেই কি তাদের দিন যাবে?
২। এক দূর্নীতিবাজ ফেসবুকে নীতি কথা লিখেন নিয়মিত।
লিখেন ছোট ছোট হাদীস। লিখেন জ্ঞানের কথা। তার স্ট্যাটাসে সাথে সাথে তিন শ' শেয়ার হয়। সাত হাজার লাইক পড়ে। এই সব সস্তা কথাতে এত লাইক পড়ার কি আছে? এত শেয়ার করার কি আছে? আমি বুঝি না। সবাই জানে সে চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ। তবু সবাই কেন তাকে তেল দিচ্ছে। কেন বাহবা দিচ্ছে- আমার বুঝে আসে না। কেন তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করছে না। লাখ লাখ মানুষের সর্বনাশ করেছে সে। টিভি চ্যানেল খুলে, পত্রিকা বের করে সে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেজেছে।
একলোক গর্ব করে বলছেন,
করোনায় কোনো দুর্নীতিবাজ মারা যায় নি। যাবেও না। লেখক, চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার মারা গেছে। কিন্তু কোনো দূর্নীতিবাজ মারা যায় নি। কারন দূর্নীতিবাজদের উপর আল্লাহর খাস রহমত আছে। দূর্নীতিবাজরা মাদ্রাসা, এতিমখানা করে, মসজিদ করে। মানুষের উপকার করে। সরকারের চেয়ে বেশি উপকার করে দেশের দূর্নীতিবাজরা। তারা দেশের সম্পদ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: জানি না।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা বাবার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে ধ্বংস করে বাবার মুখ বড় করেছে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: জোর করে বড় করতে গেলে সমস্যা।।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: !!!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: হুম!!
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনারা সবাই ভালো?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আব্বা হাসপাতালে। একই অবস্থা।
মা চোখে সমস্যা। কিডনীতে সমস্যা।
বাকি সব আগের মতো।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এতো বড় গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন যে অন্য কাজ করার সময় কোথায়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: কাঁধে বোঝা না চাপলে পুরুষরা ছেলে মানুষ থেকে যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কি লেখলেন রাজীব দা