নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। মুহাম্মদ (সা.) আক্ষেপ করে তাঁর সাহাবীদের বলেছেন, তাঁর মৃত্যুর পরে এমন একটি সময় আসবে যখন আল্লাহর আকাশে নীচে ও জমিনের উপরে সব থেকে খারাপ মানুষ হবে আলেমারা। কেন মুহাম্মদ (সা.) চোর, সুদখোর, ঘুষখোর, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের খারাপ বললেন না। বললেন আলেম সমাজ কে । আমার মনে হয় সেই কঠিন সময় উপনীত হয়েছি।
২। সুন্দর ভাষায় জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে আপনার পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দসয় পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালন কর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। [আল কুরআনঃ সূরা নাহল: ১২৫]
৩। নেক কাজ যখনি করতে মন চায় তখনি করে নিন। জীবন থেকে ফায়দা লুটে নিন। তাই জীবন নামক আল্লাহর অনুগ্রহে দেয়া বাগানে বিচরণ কালে আমল নামার বিশেষ ঝুড়িতে যখনই সুযোগ পাওয়া যায় তখনি নেকী নামক ফল দিয়ে প্রথম থেকেই ভরা শুরু করতে হবে। পরে সময় পাওয়া যাবে কিনা জানা নাই।
৪। স্বপ্ন-একটি মাত্র স্বপ্ন ইউরোপের ইতিহাসকে প্রভাবিত করেছিলো ব্যাপকভাবে। রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার তখনও জীবিত। তার একজন প্রভাবশালী সভাসদ সিসিরো এক রাতে স্বপ্ন দেখেন যে, সিজারের যোগ্য উত্তরাধিকারী মনোনয়নের জন্যে দেবতা জুপিটার সিনেটের তনয়দের প্যারেড পরিদর্শন করছেন। কিন্তু কাউকেই দেবতার মনঃপুত হলো না। এমন সময় প্যারেডের মাঠে দেখা গেলো এক অদ্ভুত তরুণকে। দেবতা জুপিটার তাকেই মনোনীত করলেন সিজারের উত্তরাধিকারী। ঘুম ভাঙার পরও সিসিরোর মনে স্বপ্নে দেখা তরুণের মুখচ্ছবি ভাসতে লাগল।
পরদিন সিসিরো দরবারে যাওয়ার পথে একদল তরুণের সাক্ষাৎ পেলেন। তারা শরীরচর্চা শেষে ফিরছিল। তাদের মধ্যেই তিনি দেখতে পেলেন স্বপ্নে দেখা তরুণকে। সিসিরো এর পূর্বে সে তরুণকে কখনো দেখেননি। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারলেন, তরুণের নাম অক্টাভিয়াস। তার বাবা-মার তেমন কোনো পরিচিতি রাজধানীতে নেই।
কয়েক বছর পরের কথা। সিজারের উত্তরাধিকারী মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলো। সিসিরো তার স্বপ্নের বলে বলিয়ান হয়ে সর্বশক্তিতে অক্টাভিয়াসের পক্ষ সমর্থন করলেন। অক্টাভিয়াস আরোহণ করলেন রোমের সিংহাসনে। অক্টাভিয়াসই পরে সর্বশ্রেষ্ঠ রোম সম্রাট হিসেবে অগাস্টাস নামে ইতিহাসখ্যাত হন।
৪। নবীর শিক্ষা, করো না ভিক্ষা। এই কথাটা আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু চল্লিশ বছরেরও এর বাস্তবায়ন দেখলাম না। নবীর শিক্ষার অনুসারীরা সবচেয়ে বেশী কোথায় যাতায়াত করে, নিশ্চয়ই মসজিদে। অথচ মসজিদগুলোই হলো ভিক্ষাবৃত্তির আদর্শ জায়গা।
৫। এক হাতে মোর তসবী খোদার, আর হাতে মোর লাল গেলাস,
অর্ধেক মোর পূণ্য তাতে, অর্ধেক পাপে করল গ্রাস
পুরোপুরি কাফের নহি, নহে খাঁটি মুসলিমও
করুণ চোখে হেরে আমায় তাই ফিরোজা নীল আকাশ।’
------ ওমর খৈয়াম
৬। একটি মুহুর্ত মাত্র নয় বরং পুরো তেইশটি বছর ধরে সেই ভয়ানক ভারবাহী ওহী নাযিল হয়েছিল রসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপরে। ওহীর দুঃসহ ভার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে স্বয়ং আল্লাহ পাক বলেন- ‘যদি এই আদেশ পাহাড়ের উপর নাযিল করা হতো তাহলে এর ভারে পাহাড় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যেত’। তাই আল্লাহ পাকের ওহীকে ধারণ করার প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের চাইতেও অনেক বেশী শারীরিক শক্তির অধিকারী করে গড়া হয়েছিল রসূলুল্লাহ (সা.)-কে। তাঁর শারীরিক শক্তিমত্তার কথা বলতে গিয়ে নবীজী (সা.) নিজেই বলেছেন যে- তাঁকে ত্রিশজন পূর্ণ স্বাস্থ্যবান যুবকের শক্তি পরিমাণ সামর্থ্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৭। খালিদ বিন ওয়ালিদ মুসলিম বিশ্বের এক অপরাজিত কমান্ডার। ১০০ এর উপরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও কোনো যুদ্ধে পরাজিত হননি। উপাধি লাভ করেন" আল্লাহর তরবারী" হিসাবে।
৮। হযরত আলী (রাঃ) কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে এক ব্যক্তি অনাহুতভাবে তাকে গালাগাল দিতে শুরু করল। হযরত আলী লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, ভাই! তুমি আমার সম্পর্কে যা কিছু বললে তা যদি সত্য হয় তবে আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন আর যদি তোমার এই সমস্ত কথা সত্য না হয় তবে আল্লাহ পাক যেন তোমাকে ক্ষমা করে দেন।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: সব রকম গল্পই আছে।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আদিকালে, মানুষ যখন গোত্রে কিংবা দলবদ্ধ হয়ে বাস করতো, তাদেরকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হতো নিশ্চয়; নিয়ম না মানলে, সভ্যতা এতটুকু উন্নত হতো না। সভ্যতার মানের উপর উপর নির্ভর করতো তাদের নিয়ম কানুন। বিশ্বের অন্য এলাকার তুলনায়, এখন থেকে দেড় হাজার বছর আগের আরবদের সভ্যতা খুব একটা উন্নত ছিলো না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি সঠিক কথাই বলেছেন।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নবী মুহাম্মদ (স) খুব বিচক্ষণ লোক ছিলেন। তিনি জানতেন তার মৃত্যুর পর তার সঙ্গী সাথীরা কি করবে।এবং ইতিহাসে আমরা তাই দেখতে পাই।নবীর মৃত্যুর পর পর তাকে দাফন না করে তারা ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়ে যায় এবং আড়াই দিন লাশ ফেলে রাখে।এক মাত্র আলী এবং ফাতিমা ছাড়া কেউ লাশ দেখতেও আসে নাই।এই হল আমাদের সাহাবাদের চরিত্র।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৪
ইসিয়াক বলেছেন: ছবিতে দেওয়া মিষ্টিটা আমার খুব প্রিয়। ছোটবেলাতে খুব খেতাম। মিষ্টিটার নাম মনে করতে পারছিনা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই মিষ্টি খেতে হলে কলকাতায় যেতে হবে।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮
এমেরিকা বলেছেন: ১। চমৎকার উদাহরণঃ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, ফরীদ উদ্দিন মাসউদ।
৪। আমি জানতাম অগাস্টাস জুলিয়াসের ভাইয়ের ছেলে।
৪। মসজিদ ছাড়া আর কোথাও মানুষের মন নরম থাকেনা। অভাবী মানুষের কাছে নবীর শিক্ষা নয়, পেটের দীক্ষাই বড়।
৫। পাপ পূণ্যের মিশ্রণ ওমর খৈয়াম মেনেছিলেন - কিন্তু প্রকৃত ঈমানদারগণের পক্ষে তা সম্ভব না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: এইসব মিষ্টি দেখিয়ে লাভ নেই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আজ দেখাচ্ছি, কিন্তু একদিন খাওয়াবো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১৫
ফটিকলাল বলেছেন: সবই তো খুন খারাবীর গল্প