নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু কথা

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০০



ইসলাম নারী ও পুরুষের সম্মিলিত ইতিহাস।
ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন একজন নারী তথা উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজা (সা.) এবং প্রায় একই সময়ে পুরুষদের মধ্যে প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন হযরত আলী (আ.)। মাত্র দশ বছর বয়সে। হযরত খাদিজা (সা.) ছিলেন আরবের শীর্ষস্থানীয় ধনী ও সম্পদশালী। কিন্তু রাসূল (সা.)'র স্ত্রী হওয়ার পর তিনি তাঁর প্রায় সব সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছিলেন ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাসূল (সা.) যখনই হযরত খাদিজা (সা.)'র নাম নিতেন- তাঁর পবিত্র চোখ দুটি অশ্রুতে ভরে যেত।

ইসলামের প্রথম শহীদও ছিলেন একজন নারী, হযরত সুমাইয়া (রা.)। কারবালার বীর শহীদানদের মধ্যে নারীও ছিলেন। হযরত খাদিজার কন্যা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমাকে (সা.) বলা হত উম্মে আবিহা বা পিতার মাতা। পিতা বিশ্বনবী (সা.)' জন্য অশেষ স্নেহ-ভালবাসা ও সেবার কারণেই এই উপাধি পেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও মুসলমানদের সচেতন করার জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ও হাদীস প্রচার করে গেছেন এই মহীয়সী নারী।

আমরা অনেকে মনে করি ধর্ম মানেই হচ্ছে সবসময় আল্লাহর ভয়ে ভীতু থাকা। দোযখের ভয়াবহ শাস্তির কথা সবসময় মনে রেখে মুখ গোমড়া করে ভালো কাজ করে চলা। কোনো কারণে আমাদের অনেকের ভিতরে 'ধর্ম মানেই ভয়'। এই ধারনাটি ঢুকে গেছে। আমাদের অনেকে তাদের ছেলে মেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকেই ‘আল্লাহ’ নামের এক ভয়ংকর কোনো কিছুর ভয় দেখিয়ে বড় করে। বাচ্চারা আমাদের কথা না শুনলে, দুষ্টামি করলে, আল্লাহর কথা বলে ভয় দেখাই। কোনো খারাপ কাজ করলে, আল্লাহর শাস্তির ভয় দেখাই। এ কারণে তারা ছোটবেলা থেকে বড় হয় আল্লাহর সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ধারণা নিয়ে। তারা মনে করে আল্লাহ মানেই হচ্ছে হেড মাস্টারদের মতো বদরাগী, কথায় কথায় শাস্তি দেয় এমন এক ভয়ংকর সত্ত্বা, যাকে আমাদের সারা জীবন ভয় করে চলতে হবে। এ কারনে তারা যখন বড় হয়ে ইসলাম মানার চেষ্টা করে, তখন সেই চেষ্টার মধ্যে না থাকে কোন আন্তরিকতা, না থাকে কোন ভালোবাসা, থাকে শুধুই কিছু আনুষ্ঠানিকতা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথ দেখান, আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে এক উম্মাহতে পরিণত করে দিন যারা হবে ভাই-ভাই। এক দেহের মতন। আল্লাহ আমাদের সহনশীলতা বাড়িয়ে দিন, আল্লাহ আমাদের সবাইকে কেবলমাত্র তারই সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার তাওফিক দিন। নিশ্চয়ই আল্লাহর দয়া ছাড়া আমাদের মুক্তির কোন সুযোগ নেই। তিঁনিই আমাদের একমাত্র পথ প্রদর্শক এবং সমস্ত ক্ষমতা কেবল তাঁরই হাতে। এটা সম্পূর্ন মেনে নিয়েই আমাদের জীবনয আপন করতে হবে। তবেই না জীবন সুন্দর হবে। আল্লাহ বলেন - অতএব , তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শুন , আনুগত্য কর এবং ব্যয় কর । এটি তোমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত তারাই সফলকাম। সূরা তাগাবুন আয়াত ১৬।

আমরা মানুষ মানুষের বিচার করি সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, জাত-পরিবার, ভৌগলিক অবস্থান, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি ভেদে। অনেক সময় আমরা অনেককে বিদ্রুপ করি, কাউকে করি অতিরিক্ত সম্মান। কিন্তু আল্লাহ বিচার করবেন একজন মানুষের (এবং জ্বীনের) ইমান এবং আমল দিয়ে। কু’রআনে কিছু আয়াত রয়েছে, যেখানে আল্লাহ আমাদের অনেক মানসিক সমস্যার সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। এই আয়াত গুলো আমরা যখন মনোযোগ দিয়ে পড়ি, তখন একটা ধাক্কা খাই। যখন আমরা এই আয়াত গুলো সময় নিয়ে ভেবে দেখি, তখন আমাদের হতাশা, অবসাদ, ডিপ্রেশন, কিছু না পাওয়ার দুঃখ, নিজের উপরে রাগ, অন্যের উপরে হিংসা, প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা- এই সবকিছু কাটিয়ে ওঠার শক্তি খুঁজে পাই। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি যে, আমরা এতদিন থেকে যেসব সমস্যায় ভুগছিলাম, তার সমাধান তো কু’রআনেই দেওয়া আছে! এরকম একটি আয়াত হলোঃ ''তুমি কি জানো না: সবগুলো আকাশ এবং পৃথিবীর অধিপতি একমাত্র আল্লাহ? আল্লাহ ছাড়া তোমাদেরকে রক্ষা করার কেউ নেই, সাহায্য করারও কেউ নেই? [আল-বাক্বারাহ ১০৭]

ঈশ্বর এই পৃথিবীতে আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন।
পরীক্ষা মানেই কষ্ট। আমরা এই পৃথিবীতে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি। নিশ্চয় সেই উদ্দেশ্যটা আনন্দ ফুর্তি করা নয়। যদি পৃথিবী আনন্দ ফূর্তি করারই জায়গা হতো তাহলে অবশ্যই পৃথিবীতে কোন দুঃখ থাকত না। আল্লাহ বলেন, ''তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?'' আমরা বর্তমানে একটা ফেক পৃথিবীতে ফেক লাইফ নিয়ে আছি। রিয়াল লাইফ হচ্ছে Next Life. যদি আমরা রিয়াল লাইফে স্বর্গে যাই তাহলে আমরা বলতে পারব আমরা পৃথিবীতে ভালো মানুষ ছিলাম তাই স্রষ্টা আমাদের স্বর্গে দিয়েছেন। অন্যথায় আমরা নিজেরাই নিজেদের অভিশাপ দেব।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




মরার পর যদি জীবন থাকতো, মানুষ বাঁচার জন্য এত চেষ্টা করতেন না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: মরার পরের জীবন অন্য রকম জীবন।
সেই জীবটা পৃথিবীর জীবনের মতো না। সেখানে কেউ কাউকে চিনবে না। সেখানে খাবারের অভাব নেই। সেখানে কোনো দুষ্ট লোক নেই। তবে সে জীবন হবে বিরক্তকর। কারন সে জীবনে মৃত্যু থাকবে না।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মৃত থেকে জীবন্ত কিছু হয় না; প্রকৃতিতে সেই উদাহরণ নেই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যুর পরে জীবন থাকার সম্ভবনা আছে। হয়তো আমরা জানি না। বিজ্ঞান হয়তো কোনো একদিন সেটাও আবিস্কার করে ফেলবে।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এগুলো আপনার ধারনা,এবং প্রমান ছাড়া।
কি উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন মনে আছে?আমার কিন্তু মনে নেই।
খাবারের অভাব নেই তো খাবার গুলো আসবে কোথা থেকে।নাকি আবার সেই চাষাবাদ করতে হবে।
যদি বলেন,আল্লাহ বললেই হয়ে যাবে,তারও কোন প্রমান নেই।আল্লাহ বলে ছিল আবু লাহাবের হস্ত ধংস হউক,কিন্তু হয় নাই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: খাবারের ব্যবস্থা আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোর আগেই করে রেখেছেন।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অপ্রয়োজনীয় পোস্ট।

পোস্টে মাইনাস।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: একেবারে ভুল বলেন নাই।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

মরুর ধুলি বলেছেন: হাজার মন দুধ নষ্ট করতে যেমন এক ফোঁটা গো-মূত্র যথেষ্ট তেমনি আপনার অনেক ভালভাল কথাও দু’একটা মারাত্বক ত্রুটিতে মানুষের ঈমান নষ্ট করতে যথেষ্ট। যেমন ধরুন, হযরত আলী (আ.), হযতর খাদিজা (সা.), ফাতিমা (সা.) । ওনাদের নামের সাথে এই ধরেণের লক্বব ব্যবহার মুর্খতার শামিল। ধর্ম সম্পর্কে বাস্তবিক জ্ঞান না থাকলে এ বিষয়ে না লিখাই ভাল।
বাচ্চাদের আল্লাহ ভীতিতে বড় করার মনগড়া যে কাহিনী রচনা করেছেন তা আল্লাহর প্রতি আপনার বিদ্রুপ বলেই আমার মনে হয়েছে।
আর বাকি ভাল ভাল কথাগুলো যেগুলো বললেন সেগুলো আপনার ভাওতা। ব্লগারদের ধোঁকা দেওয়া ছাড়া আর কিছু না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে আপনি সঠিক মন্তব্যই করেছেন।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমরা যে বাচ্চাদের শুধু মাত্র আল্লাহকে ভয় পেতে শেখাই কিন্ত ভালবাসতে শেখাই না - আপনার এই কথাটির সাথে আমি একমত।এমনটা না হলেই বরং ভাল হতো।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা কিসের তৈরি খাবার যে এত দিনেও বাসি পচা হবেনা।খাওয়া যাবে তো?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু প্রশ্ন আর প্রশ্ন।

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঠিকই আছে,ইসলামে প্রশ্ন করা নিষেধ।শুধু শোন আর মান।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: না না ঠিক তা না।
তবে শোনা এবং মানা টা জরুরী। তাতে মঙ্গল।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২২

এমেরিকা বলেছেন: @চাঁদগাজী, আত্মার অস্তিত্ব বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারেনি। কোনদিন পারবে বলেও মনে হয়না। বিজ্ঞান যা পারেনা, তাকে অস্তিত্বে আনার জন্য আরো কিছু জ্ঞানের শাখা চালু হয়েছে। যেমন দর্শন যুক্তিবিদ্যা ইত্যাদি। এখন বিজ্ঞান বাদ দিয়ে আপনি যতটুকু দর্শন বা যুক্তিবিদ্যা শিক্ষা করেছেন, তার বেসিসে বলুন তো দেখি, আত্মা বলতে মানুষের আসলেই কি কিছু আছে, যা মানুষকে মানবীয় অস্তিত্ব দান করে, তাকে অন্য সব প্রাণী থেক আলাদা করে? বিবেক বলে কি কিছু আছে, যা তার নৈতিক মানদণ্ড ঠিক করে দেয়? মন বলে কি কিছু আছে, যা তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে?

উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে বলুন মানব শরীর বিদ্যায় (ফিজিওলজি) অনুযায়ী এই ধারণাগুলো কতটা সঠিক?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.