নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ামত অতি সন্নিকটে

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১২



কেয়ামতের কিছু লক্ষন আছে।
সেই লক্ষন গুলো আমি দেখতে পাই। যেমন গান বাজনা বেশি হবে। যে কোনো অনুষ্ঠানে গান বাজনা থাকবেই।
দুষ্টলোকেরা ধার্মিক হয়ে যাবে এবং বেশি বেশি ধর্মের কথা বলবে। বহু দুষ্টলোক হঠাত ধার্মিক হয়ে গেছে। তারা কথায় কথায় কোরআন হাদীসের কথা বলে।
ঘুষ, দূর্নীতি বেড়ে যাবে। চারপাশে তো তাই দেখছি।
নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। আসলেই নারীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
নদীর পানি শুকিয়ে যাবে। আসলেই অনেক নদী শুকিয়ে গেছে। বিশাল চর পড়েছে।
মানুষের মন থেকে মায়া মমতা উঠে যাবে। বর্তমান সমাজে কারো জন্য কারো মাতা মমতা নেই। রাস্তায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কেউ ফিরেও তাকায় না।
নানান রকম মহামারি দেখা যাবে। অলরেডি পুরো বিশ্বে করোনা আঘাত করে দিয়েছে।

জ্ঞান হলো একমাত্র উত্তরণের মাধ্যম।
কোরআন হাদিসে কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে যা বলেছেঃ তাই তো হচ্ছে। হিংসা, লোভ ও অহংকারের সীমা ছাড়িয়ে যাবে। এই সমাজে হিংসা, লোভ আর অহংকার স্পষ্ট।
পুত্র বাবা মাকে খুন করবে। বাবা বাইক কিনে দেয়ি বলে, পুত্র বাবাকে কুপিয়ে মেরেছে। এরকম একটা ঘটনাই সেদিন পত্রিকায় পড়লাম। ঐশী নামের এক মেয়ে তার বাবা মাকে হত্যা করেছে।
বড় বড় অট্রালিকা তৈরি হবে। সারা বিশ্বে বড় বড় বিল্ডিং এর অভাব নেই।
সমাজে সৎ ও ভালো মানুষেরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। অসৎ ও দুষ্ট লোকদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। আগুন লাগবে। অলরেডি আমাজনে আগুন লেগে গেছে। তবে দাজ্জাল সাহেব এর দেখা এখনও পাওয়া যায় নি। দাজ্জালের এক চোখ কানা হতে হবে। কিয়ামতের আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করবেন। তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন। হজরত ঈসা (আ.) এর আগমনও বাকি আছে। কবে আসবেন তারা? ঝামেলা চুকে যাক।

সীমাহীন জ্ঞানে উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি মানুষ।
ভূমিকম্প হবে। ভূমিকম্প বিভিন্ন দেশে অবহ্যত আছে।
মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ঘটবে। কোর্ট গুলোতে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সাক্ষী পাওয়া যায়। এক শ্রেনীর লোকই আছে তারা সারাদিন কোর্টে থাকে। উকিলরা তাদের টাকা দিয়ে সাক্ষী দেওয়াতে নিয়ে যায়।
ধনী লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। বাংলাদেশে নব্য ধনীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
অশ্লীলতার সয়লাব শুরু হবে। চারিদিকে অশ্লীলতায় ভরে গেছে।
নির্বোধরা নেতা হবে। হ্যা সঠিক। আমাদের দেশের নেতারা নির্বোধ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মসজিদের পেছনে অনেক টাকা খরচ করা হবে। ঢাকা শহরের মসজিদ গুলো দেখলেই সেটা পরিস্কার বুঝা যায়।
মুসলিমরা বির্ধমীদের হাতে মরবে। তা তো দীর্ঘ দিন ধরেই মরছে।
সন্তানরা উগ্র হয়ে যাবে, স্যাটেলাইট টিভি, ইন্টারনেট ইত্যাদির আবিস্কার হবে। এগুলো সব হয়ে গেছে।

কেয়ামত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে মানুষ বেশি বেশি কেয়ামত নিয়ে আলোচনা, তর্কবির্তক ও কথাবার্তা বলবে। এই যেমন আমি এখন আলোচনা করছি।
মানুষ তখন সকালে মুমিন থাকবে, বিকালে কাফির হয়ে যাবে। বিকালে মুমিন থাকবে, সকালে কাফির হয়ে যাবে। এরকমও মুমিন-কাফের দেখা যাচ্ছে প্রচুর।
সরকারি মালকে নিজের মাল মনে করা হবে। সরকারী কর্মচারীরা এরকমই ভাবে।
সহজ সরল ব্যক্তিরা অবহেলার পাত্র হবে। যেমন আমি।
পাপ বেড়ে যাবে। চারিদিকে প্রচুর পাপ হচ্ছে।
কিয়ামতের বড় বড় আলামত এখনো পরিদৃষ্ট না হলেও ছোট ছোট আলামতগুলো এমনভাবে সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে, যা রোধ করার ক্ষমতা কারো নেই।


সূত্র:
১। সূরা বাকারা
২। সহিহ মুসলিম: ১
৩। সহিহ বুখারী: ৮৬
৪। বুখারী, মুসলিম
৫। তিরমিযী, আবু দাউদ
৬। মহাপ্রলয়: ডা.মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী
৭। আল লু’লু ওয়াল মারজান: ১৮২৯
৮। কেয়ামতের আলামত: মাওলানা মুহাম্মাদ আশেকে এলাহী বুলন্দশহরী রহ.

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২১

অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রতিদিন কোনো বন্দুক কামান ছাড়াই অগণিত মানুষ মরছে, এটা কেয়ামতের চেয়ে কম কিসে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ঠিক।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি কি আগের কোন সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু পড়েছেন।দুই ধরনের লেখা আছে।একটা লেখেছে শোষক শ্রেনীর পক্ষের লোকেরা অন্যটা শোষিত শ্রেনীর পক্ষের লোকেরা।দুট সেখা আকাশ পাতাল।স্কুল কলেজে শোষকদের লেখা ইতিহাসই পড়ানো হয়।শোষিতের লেখা জোগাড়যন্ত্র করে পড়তে হয়।তাহলে জানতে পারবেন হাজার হাজার বছর মানুষ কত শুখে শান্তিতে ছিল।কষ্টের কোন সীমা পরিসীমা ছিল না।
পৃথীবি শৃষ্টির পরথেকে আজকের মানুষ যত শুখে আছে অতিতে কখনো ছিল না।ভবিষ্যতে আরো শুখে থাকবে।হয়তো কোন জাতি, কোন রাষ্ট্র সাময়িক দুঃখে কষ্টে পড়বে কিছু একটা ভুলের জন্য কিন্তু বাকি বিশ্ব ভালই থাকবে।
এই সূরা হাদিস ওয়ালারা ভালই ছিল কিন্তু বাকিরা ভাল ছিল না।নবী যখন ইসলাম প্রচার করে সেই সময় অমুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠলে বুজতে পারতেন শুখে থাকা কাকে বলে।আজকে যেমন হিন্দুরা বুঝতে পারছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা আমি অনুভব করতে পারি।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামুতে "কুরানের" নামে নতুন যতকিছু বলা হয়েছে, এগুলোকে একত্রিত করলে "কুরান ২য় খন্ড" প্রকাশ করা সম্ভব।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



কুরানে নেই সেই রকম কিছু লক্ষন, কমনসেন্স থেকে যোগ করে দিলে, মনে হবে যে, ইহা কোরানে আছে; যেমন, "নরনারী বিয়ে না করেও একত্রে বসবাস করবে", "অনেক প্রজাতির পশুপাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে", ইত্যাদি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: বুদ্ধিমানদের জন্য ইশারা'ই যথেষ্ঠ।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুবি চিন্তার বিষয় লেখেছেন সত্যই কেয়ামত হবেই----------------

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: কেয়ামত হতে দেরী আছে। আপনি নিশ্চিন্ত মনে কবিতা লিখে যেতে পারেন।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এইসব লক্ষ্যন সময়ের সাথে সাথে আরো বেশী প্রোকট হয়ে উঠছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ঠিক। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কেয়ামত নির্দিষ্ট সময়ে হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং কেয়ামতে হওয়ার পূর্বে যে সব লক্ষনের কথা আল কোরআনে বলা হয়েছে তার অনেক গুলিই এখন দৃশ্যমান।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই দৃশ্যমান। আমার ভয় করে। এত সুন্দর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষের এত পরিশ্রম সব নিমিষেই শেষ!!

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেয়ামতের কিছু লক্ষণ;
১। আমানতদারিতা না-থাকা। আমানতদারিতা ক্ষুণ্ণহওয়ার একটা উদাহরণ হচ্ছে- যে ব্যক্তি যে দায়িত্ব পালনের যোগ্য নয় তাকে সে দায়িত্ব প্রদান করা।
২। ব্যভিচার বেড়ে যাওয়া
৩। সুদ ছড়িয়ে পরা।
৪। বকরীর রাখালেরা সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করবে।
৫। কাপড় পরিহিতা সত্ত্বেও উলঙ্গ এমন নারীদের বহিঃপ্রকাশ ঘটা।
৬। আরব ভূখণ্ড আগের মত তৃণভূমি ও নদনদীতে ভরে যাওয়া।
৭। মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবে।
৮। সময় দ্রুত চলে যাবে
৯। ঘন ঘন বাজার হবে
১০। মুমিনের স্বপ্ন সত্য হবে
১১। হঠাৎ মৃত্যুর বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে
১২। জড় পদার্থ এবং হিংস্র পশু মানুষের সাথে কথা বলবে

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ১২ টা থেকে বেশ কয়েকটা তো এখন বিদ্যমান।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: কেয়ামত অর্থ ধ্বংস !!! ধ্বংস নিশ্চিত !! মানব জাতির ধ্বংস সুনিশ্চিত !!!! ডাইনসারাও এক সময় এই পৃথিবীতে ছিলো আজ তাদের কথা রুপকথা বা গল্পে পড়ি ঠিক তেমনি মানব জাতও রুপকথায় ঠাই নেবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের মাথায় অনেক বুদ্ধি। একদিন হয়তো মানুষ কেয়ামত ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হবে।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কেয়ামত হবে কোন ভুল নাই । আস্তে আস্তে আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: কেয়ামত দেখা মনে হয় ভাগ্যে নাই। তার আগেই করে যাবো।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুসলিম দেশে এগুলো ঘটছে, মুসলীম দেশ আলাদাভাবে কেয়ামত হবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: কেয়ামত অর্থ্যাত পৃথিবী ধ্বংস হবে। সব দেশেই হবে। তবে মুসলিম দেশ গুলোর অবস্থা ভয়াবহ হবে।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



কেয়ামত সত্য।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই একদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আহা এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: হাশরের ময়দান থাকবে। জাহান্নাম জান্নাত থাকবে।

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: চিন্তিত হবেন না, কেয়ামত খুব শ্রীঘ্রই হচ্ছে না! কেয়ামত হবে সেটা বৈজ্ঞানিক নিয়ম মেনে হলেও হবে!! সূর্য্যের জ্বালানী শেষ হয়ে যাবে একসময়, সূর্য্য না থাকলে গ্রহও থাকবে না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এর মধ্যে বিজ্ঞানীরা কিছু একটা ব্যবস্থা করে ফেলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.