নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ইদানিং ছবি তুলতে ইচ্ছা করে না।
অনেকদিন 'ঢাকার পথে পথে' ছবি ব্লগ দেই নাই। আব্বা মারা যাওয়ার পর আমি এখনও মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত। সেদিন আব্বাকে স্বপ্নে দেখলাম। স্বপ্নে দেখলাম আমি ঘুমিয়ে আছি। আব্বা আমাকে ডাকছে। আমি বললাম, ডাকছো কেন? আমাকে ঘুমাতে দাও। আব্বা বলল, সকাল দশ টা বেজে গেছে আর কত ঘুমাবি? আমি বললাম, আমি বিছানায় এসেছি ফযরের নামাজের পর। আমার আরো ঘুমাতে হবে। যাও তুমি। যন্ত্রনা করো না। আব্বা বলল, আমি বাজারে যাচ্ছি। তোর জন্য কিছু আনতে হবে? আমি বললাম, চকলেট বিস্কুট এনো। আর বাটি আইসক্রীম, ভ্যানিলা। আব্বা বাজারে গেলো। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। আমার ঘুম ভাঙ্গল বারোটায়। সুরভি বলল, বাজারে যেতে হবে। ফ্রিজ খালি। আমি বললাম, সমস্যা নাই। আব্বা বাজারে গেছে। সুরভি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যাই হোক, এখন ছবি গুলো দেখুন। অনেক বক বক করেছি।
১।
শীতের জামা কাপড় খুব বিক্রি হচ্ছে। বায়তুল মোকাররম।
২।
আমার বাসার একাংশ।
৩।
রাজউক ভবনের পাশের গলিতে একলোক ফুল গাছ বিক্রি করে। ছবিতে কসমস ফুল। নয়নতারা ফুলও দেখতে অনেকটা এই রকম।
৪।
গরীব বলে তো আর না খেয়ে থাকতে পারি না। খাবারটা ভালো না হলে আমি খেতে পারি না।
৫।
সেদিন বিকেলে পাশের রুমে বসে ছিলাম। সুরভি বলল, নিন নাস্তা খান। আমি বললাম, এসব কিছুই খাবো না। কারন দোতলায় আমার নুডুলস এর দাওয়াত আছে। আমাকে শুধু চা দিন।
৬।
কোনো কারন নেই, এমনি ক্লিক করেছি।
৭।
আমার ব্যলকনি থেকে। চারিপাশে খালি জায়গা নেই।
৮।
হায় পেঁয়াজ!
৯।
এই ছবিটা আজ তুলেছি। ঢাকা শহরে কলা গাছ আছে। মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমার হলের পেছনের গলি। সেখানে এক লোক আখের গুড়ের চা বানায়। অতি অখাদ্য।
১০।
ঢাকা শহরের মানুষেরা আকাশের দিকে তাকায় না। আমি প্রতিদিন কমপক্ষে দশবার আকাশের দিকে তাকাই। দীর্ঘদিনের অভ্যাস।
১১।
খেয়াল করে দেখবেন, ঢাকা শহরের সমস্ত চায়ের দোকানে কলা পাওয়া যায়। কলায় লাভ বেশী। প্রতি পিস দশ টাকা করে।
১২।
এই ছবিটা গত সপ্তাহে তুলেছি। মতিঝিল ব্যস্ত এলাকা। সেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে আমার ভালো লাগে।
১৩।
শীতের সময় ঢাকায় বহু লোক রাস্তার মধ্যে এরকম আগুন জ্বালায়।
১৪।
এখানে শেয়ার কেনা বেচা হয়। এখানে সবাই বেকার। কিন্তু তারা সকালে বাসা থেকে বের হয়। দুপুরের খাবার ব্যাগে থাকে। সারাদিন এখানে বসে থাকে। শেয়ার কেনা বেচা চলে। বিকেলে বাসায় যায়। পরিবার জানে তাদের পরিবারের প্রধান চাকরি করছে।
১৫।
এই ছবিটা ১৬ ডিসেম্বর চলেছি। ছোটবেলা আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে এইভাবে পতাকা লাগাতাম। খিচুরী রান্না করতাম।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকাতে চা'এর নামে কি জিনিষ বিক্রয় হয়, বুঝা মুশকিল।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরে সব চলে। তেঁতুল চা থেকে শুরু করে মালটা চা। মরিচ চা। জলপাই চা-ও পাওয়া যায়।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ১৩ ,এই শীতে ছেলেটা হাতা ছাড়া গেঞ্জি গায়েদিয়ে আছে পরনে হাফ পেন্ট।দুঃখ পাওয়া ছাড়া কিছুই করার নেই।
১১, কলা কি খাওয়ার মতো পেঁকেছে।
৪, গরীবের খাওয়া দাওয়া ভালই,বড় লোকদের খানা পিনা না জানি কেমন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ১৩। ছেলেটা আগুন দিয়ে খেলতে পারছে, এতেই সে খুশি।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৮
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: স্যার আপনি খুব ভালো ছবি তুলতে পারেন এটা মানতেই হবে বিশেষ করে ১৩নং ছবিটা অসাধারণ।
বিদ্রঃ২নং ছবিটা দেখে আপনার বাসায় যাওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো আমি মন দিয়ে তুলি নাই। জাস্ট মোবাইলে ক্লিক করেছি।
২। আমার বাসা ঢাকা শহরের সবচেয়ে ছোট বাসা।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আগুন নিয়ে খেলা,এ এক সাংঘাতিক খেলা।মওলানা ভাসানীর সভা হলেই আমরা দেখখতাম, জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো।
এই আগুন হয়তো ওর মনে সংক্রমিত হয়ে একদিন বিরাট বিস্ফোরণ ঘটাবে,যেদিন ও বুঝতে পারবে আমার দারিদ্রের কারন ঐ বড়লোকরা।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
হ্যা এই আগুনের দরকার আছে।
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আজকে ঢাকার একটা বাসার সামনে একটা আখ গাছ দেখলাম। মাঝে মাঝে সৌখিন বাশ ঝাড় দেখা যায়। গুলশান এলাকাতে অনেক বাড়িতে অনেক বড় বড় গাছ আছে ( আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি)। মাঝে মাঝে নারকেল গাছ দেখা যায় গুলশানের অনেক বাড়িতে। আমি চিন্তা করি কে এই গাছ থেকে নারকেল পারে আর খায়। আমার অফিস গুলশানে তাই মাঝে মাঝে চোখে পড়ে। এখন শীতকাল তাই দুপুরের দিকে রোদ পোহাতে অফিস থেকে বার হই আর গুলশানের গাছপালা দেখে মুগ্ধ হই। এইখানে নাকি জমির কাঠা ১০ কোটি টাকা। একটা বাড়ি মানে কয়েকশ কোটি টাকা। আমার মনে হয় পৃথিবীর খুব কম দেশে এত দামী জায়গা আছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: একজন চাকরীজীবির গুলশান এলাকায় বাড়ি কেনা সম্ভব না। ফ্লাট কেনাও সম্ভব না।
তবে এই শহরে অনেক লোক গাছপালা পছন্দ করে।
৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯
এমেরিকা বলেছেন: সুরভী আপনাকে আপনি করে ডাকে? আপনি কি সব সময় একটা মুরুব্বী ভাব ধরে থাকেন? নাকি স্বামীকে আপনি করে বলাটা এখনকার স্টাইল?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: না সুরভি আমাকে তুমি করেই ডাকে।
মাঝে মাঝে আপনি বলে, এমন কি মাঝে মাঝে তুইও বলে।
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩১
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার খবার তালিকা দেখে আমি এটা নিশ্চিত হলাম যে বাংলাদেশে গরিব নামের কিছু ভোজনরসিক বাস করেন
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি অতি সামান্য খাই রে ভাই।
৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
ইসিয়াক বলেছেন:
সময়ের সাথে সাথে সব দুঃখ সয়ে যায় হয়তো। আপনার বাবা হারানো কষ্ট এক সময় কমে আসবে আশা করি।
#কসমস আমার প্রিয় ফুল।
আপনি কি শেয়ার ব্যবসায় নামার কথা ভাবছেন? আমার মতামত হবে এই ব্যবসায় ইনভেস্ট করেন না। লসের সম্ভবনা বেশি।
পোস্ট ভালো হয়েছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ইনভেস্ট করার মতো টাকা আমার নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ২, ১০ ও ১৩ সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে।