নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেইনকোট

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৯



মন আজ ভালো নেই।
ভোর রাতে আব্বাকে স্বপ্ন দেখেছি। মরা মানুষকে স্বপ্নে দেখা কি ভালো? বার বার? গত সাত দিনে তিন বার আব্বাকে স্বপ্নে দেখলাম। আব্বা যখন জীবিত ছিলো তখন তাকে স্বপ্নে দেখতাম না। পাঁচ বছর আগে আব্বা ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিলো। আমি এড করি নি। আব্বা ম্যাসেজ দিয়েছিলো- 'প্লীজ এড মি'। আমি বলেছিলাম- নো, নেভার। আমার মোবাইলে আব্বার দুটা নম্বর এখনও আছে। নম্বর দু'টা কি রাখবো না মুছে দিবো? বুঝতে পারছি না।

স্বপ্নে কি দেখলাম সেটা বলি-
বিরাট বড় একটা বাড়ির বিশাল বারান্দা কাচের মতো স্বচ্ছ রোদে ভেসে যাচ্ছে। এত বড় বারান্দায় আর কেউ নেই। চারিদিক কেমন ভয় করা নির্জন। সবচেয়ে বড় আশ্চর্য, বারান্দার শেষ নেই। আমি হাঁটছি তো হাঁটছি'ই। বারান্দা আর শেষ হয় না, ভীষন ভয় করছিলো আমার। মনে মনে ভাবছি- এত বড় বারান্দা কে বানালো! হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন বলল, যা না, আরও যা, একসময় শেষ হবে ঠিকই।
কে বলল কথাটা? কন্ঠ স্বর খুব পরিচিত। মুখ ঘুরিয়ে দেখি দেখি, আমার আব্বা। তেমনই ফরসা টকটকে রঙ, তেমনি সাদা পাঞ্জাবি, তেমনি সুন্দর হাসি ভরা মূখ।
আমি বললাম, লোকে যে বলে তুমি মরে গেছো?
আব্বা বললেন, দূর বোকা! মরবো কেন? এই একটু বেড়াতে বের হয়েছি।
আমি বললাম, এই বাড়িটা কে বানিয়েছে? এত বিশাল বারান্দা কেন?
আব্বা বললেন- তা ঠিক, বারান্দাটা একটু বড়। চল তোকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

স্বপ্ন নিয়ে আমার তেমন কুসংস্কার নেই।
আবার এও মনে হয়, কী জানি, স্বপ্নের মধ্যে কোনও ইশারা ইঙ্গিত থাকতে পারে। আব্বা সব সময় বলতো- গল্প হোক মানবতার, জেগে ওঠুক বিবেক মনুষ্য হৃদয়ে। আব্বাকে একসময় দেখতাম ডায়েরী লিখতে। সেই ডায়েরীটা কোথায় আছে জানি না। ডায়েরী টা পেলে ভালো হতো। অনেক কিছু জানা যেত। একদিন আব্বা আর আমি রিকসা করে দাদীর বাসায় যাচ্ছিলাম। তখন আব্বা আমাকে বলল- জীবনে ভারসাম্য না রাখলে, না থাকলে কোনো একটি ক্ষেত্রে দারুণ গুণী হয়েও কিছুমাত্র লাভ নেই। বড় ইঞ্জিয়ার, এ্যাকাউন্টান্ট বা বড় জার্নালিস্ট খুব সহজেই হওয়া যায়- কিন্তু সুস্থ, সীমা-জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ হওয়া যায় না। সেটা বড় কঠিন কাজ।

অনেকের উপর অনেক রাগ জমে আছে অনেকদিন ধরে।
শুধু ভালো ছেলে বলে, চুপ করে আছি। কতদিন আর চুপ থাকবো জানি না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তো মানুষ চিৎকার করে ওঠে। আব্বার কথা আর গল্প গুলো ছাড়া আমার কাছে আব্বার আর কোনো সৃতি নেই। তার ঘড়ি, আংটি, মোবাইল, জুতো, জামা কাপড়, চশমা আমার কাছে কিচ্ছু নেই। এজন্য আমার ভীষন মন খারাপ হয়। মন খারাপ হলে আমি বই পড়ি। গতকাল পড়লাম 'রেইনকোট' নামে একটা গল্প। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা গল্প। গল্পটা পড়ে আরো বেশী মন খারাপ হয়েছে। এক বর্ষায় আব্বা আমাকে একটা রেইনকোট কিনে দিয়েছিলো।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সৌভাগ্যবান, আপনার বাবা আপনাকে নিজের জীবনের অনেক অভিজ্ঞতার কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: তা কিছুটা পেয়েছি।
জমিজমা, টাকাপয়সা তো পাই নি। কথা গুলোই সম্পদ।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার আব্বা মারা গেছে ২০০৩ সালে।আমি তখন কলকাতায়।বাড়ীর কেউ আমাকে জানায়নি।তাদের বক্তব্য ছিল হার্টের রোগী,বাই পাস আছে ,সাথে কেউ নেই।আজ পর্যন্ত কোন দিন স্বপ্নে দেখি নাই।

আপনি মারা যাবার পর দেখেছেন,কবর দিয়েছেন তাই হয়তো ঘন ঘন স্বপ্নে দেখছেন।অথবা হতে পারে তার অনুপস্থিতি আপনাকে ভাবায়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খুব শক্ত ধরনের ছেলে। মচকে যাই, ভাঙ্গি না। হে হে---

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:২২

ইসিয়াক বলেছেন: আমাদের বাসার পাশের প্লটে তিনটা ছোট ঝুপড়ি ঘর আগুনে ভস্মীভূত। আমাদের বিল্ডিংও কিছুটা ক্ষতি গ্রস্হ। কেউ হতাহত হয়নি তবে তিনটা দরিদ্র পরিবার একেবারে নিঃস্ব। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, পুলিশ সহ স্হানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ছবি তুলতে পারিনি। আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---
ও আল্লাহ!!

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: এই নিন ছবি দিলাম। সকালে তুললাম। ঘুম না ভাৃলে আরো কিছুটা সময় গেলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আমাদের বিল্ডিং এর সবাই মারা যেতাম।আগুন দোতালায় রান্নাঘর পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিল। দ্রুত গ্যাস সিলিন্ডার সরিয়ে ফেলে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। হয়েছিল। ধন্যবাদ যশোর ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় জনগন ও পুলিশ সদস্যদের।তাদের কর্মতৎপরতায় আগুন দ্রুত আয়ত্তে আসে।৷


মোবাইল থেকে ছবি লোড করতে পারছি না। কম্পিউটারে বসলে ছবি লোড দিচ্ছি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।
আমার খুব খারাপ লাগছে।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

পিতা হচ্ছেন বটবৃক্ষ।
ইহা হারিয়ে গেলে জীবনের ঝড়ঝঞ্জা সামাল দেয়া কঠিন।

এক জন পিতার অভাব অনুভব করছি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৯

ইসিয়াক বলেছেন:



৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়----
প্রচন্ড মর্মান্তিক।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার বাবা আমাদের ছেরে গেছেন ১২ বছর হয়ে তের তে পরবে পরবে করছে। আমি এখনো তাকে স্বপ্নে দেখি, এটাই স্বভাবিক। আর স্বপ্ন গুলো বড্ড বেশি বাস্তব হয়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাপ আসলে অন্যরকম ব্জিনিশ। তার তুলনা হয় না।

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: রেইনকোট গল্পটা ইন্টারের বইতে আছে আমি পড়েছি নুরুল হুদার গল্প পড়ে আমারও মন খারাপ হয়েছিলো।

আপনার বিভিন্ন লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, আসলে ভালো মানুষ পৃথিবীতে বেশিদিন বাঁচে না কথাটা আমার দাদু সবসময় বলে। আপনি বোধহয় আঙ্কেলকে নিয়ে একটু বেশিই ভাবেন তাই বার বার স্বপ্নে আঙ্কেল আপনার সাথে দেখা করে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: রেইনকোট এর লেখক কি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস?

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাবার প্রতি অগাধ ভালোবাসা আছে বলে উনি আপনার কল্পনায় আসেন । অনেক দোয়া রহিলো। আমার মা-বাবা দুইজন জীবিত আমি ভাগ্যবান ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: তারা ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

নবী হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপ্নে দেখে তার পুত্রকে কুরবানী করতে নিয়ে গিয়েছিলেন ।
স্বপ্ন বড়ই রহস্যময়‌।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: স্বপ্ন মোটেও রহস্যময় না। অতি স্বাভাবিক ঘটনা।

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪

জুন বলেছেন: আমার চার খালার মাঝে একজন আমার খুবই প্রিয় ছিল আর উনিও আমাকে অসম্ভব ভালো বাসতেন। ১২ ই জুন আমার জন্মদিন, প্রতি বছর ভোরে সে আমাকে ফোনে উইশ করে কোনবার ভুল হয় নি। সেবার আমি অপেক্ষায় আছি আন্টির ফোনের সকাল ৮ টায় তার মৃত্যুর খবর আসলো। তাকে আমি ক্রমাগত তিন মাস স্বপ্নে দেখেছি। দেখেছি তার ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন অল্প বয়সী চেহারায়। অনেক হাসিখুশি আর আমাকে হেসে হেসে ডাকতো তার সাথে যাওয়ার জন্য। আমি রীতিমতো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। যেই খালা ডাকলে এক সময় উড়ে চলে গেছি সেই খালা ডাকলে এখন আমি ভয় পাই রাজীব নুর।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মনটা বিষন্ন হয়ে গেলো।

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। কিন্তু, ঘুম থেকে উঠার পরে বেশির ভাগই মনে করতে পারি না।

আমার সৃতিশক্তি খুব দূর্বল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: সৃতিশক্তি আপনার ঠিকই আছে।
দোষ হচ্ছে গিয়ে আপনার স্বপ্নের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.