নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৪২

০৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৯



গুলিস্তান এলাকায় কিছু পকেটমার আছে।
এরা যুগ যুগ ধরে আছে একই এলাকায়। প্রতিদিন এরা মানুষের সর্বনাশ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এইসব পকেটমারদের খুব ভালো করে চিনে। গুলিস্থান একটা আজন্ম নোংরা এলাকা। ঢাকার বাইরে অনেক এলাকায় যেতে হলে- গুলিস্তান থেকেই বাসে উঠতে হয়। সারাদিন এখানে লক্ষ লক্ষ লোকের আগমন হয়। এসব এলাকার প্রতিদিন পকেটমার হয়, ছিনতাই হয়। যারা প্রতিদিন এসব এলাকায় কুকর্ম করছে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না কেন?
আপনি দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেই এসব পকেটমারদের চিহ্নিত করতে পারবেন। তাহলে পুলিশ কেন তাদের ধরছে না। মাঝে মাঝে এরা দুই একজন পাবলিকের হাতে ধরা পড়ে। কিন্তু এলাকার বড় ভাই এসে ছিনতাইকারীদের বাঁচিয়ে নিয়ে যায়। এই বড় ভাইরা কারা? বিশ বছর আগেও এখানে পকেটমার হতো, এখনও হচ্ছে। থামবে কবে? থামার জন্য সিটি কর্পোরেশন বা পুলিশ কি কি দায়িত্ব হাতে নিয়েছে?

কাওরানবাজার থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত-
প্রতিদিন মোবাইল ছিনতাই হয়। ১৩/১৬ বছরের ছেলেরা ছো মেরে মুহুর্তের মধ্যে মোবাইল নিয়ে গায়েব হয়ে যায়। প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটছে। অথচ পুলিশ নিরব। কেন? ফার্মগেট থেকে কাওরানবাজার সারা জীবনের জ্যাম থাকে। এর মধ্যে চলছে মেট্রোরেলের কাজ। বাস আস্তে আস্তে এগোয়। এই ফাঁকে জানালা দিয়ে ছোট্র পোলাপান মুহুর্তের মধ্যে মোবাইল নিয়ে গায়েব হয়ে যায়। পুলিশ এক সপ্তাহ এখানে সময় দিলে মোবাইল ছিনতাইকারীরা ধরা পড়ে যায়। এইসব ছিনতাইকারীদের ধরা হচ্ছে না কেন? নাকি পুলিশ এসব ছিনতাইকারীদের কথা জানে না? সরকার বলছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে, কই ছিনতাই, চুরী এসব তো বন্ধ হচ্ছে না। বরং আগের তুলনায় আরো বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।
একদম উন্মুক্ত রাস্তায় ছোট ছোট বাচ্চারা সকলের সামনে পলিথিন ব্যাগে জুতার আঠা ভরে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেয়। খুব বাজে নেশা এটা। সম্ভবত এই নেশাকে ড্যান্ডি বলে। সরকার থেকে এদের এরকম নেশা বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? রাতের বেলা ঢাকা শহরের বিভিন্ন ট্রাক স্ট্যান্ডে বড় কার্গো, ট্রাকের নিচে বসে একদল লোক নেশা করে। ওভার ব্রীজ গুলোর উপরে সারারাত নেশা করে। মাজারে, ফুটপাতে, কমলাপুর রেলস্টেশনে, গাবতলী, সায়দাবাদ আর টাঙ্গাইল বাস স্ট্যান্ডে সারা রাত দুষ্টলোকজন নেশা করে। ছিনতাই করে। এসব দেখার কেউ নাই?

১৩ থেকে ১৬ বছরের পোলাপান বেশি ভয়ানক।
রাস্তা পার হওয়ার সময় একদল ছোট্র পোলাপান মোবাইল থাবা দিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়। মেয়েদের ভ্যানটিব্যাগ নিয়ে দৌড় দেয়। গাড়ির গ্লাস খোলা থাকলে মোবাইল বা হাতের কাছে যা পায় সেটা নিয়েই পালিয়ে যায়। এমনকি গাড়ি জ্যামে পড়লে, মুহুর্তের মধ্যে গাড়ীর পেছনের লাইট বক্স খুলে নিয়ে যায়। মিরপুর-১ নম্বর, ফার্মগেট, বাংলামটর, মৌচাক- মালিবাগ, গুলিস্তান, সদরঘাট, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ি, রায়সাহেব বাজার, জজ কোট ইত্যাদি এলাকায় প্রতিদিন এরকম ঘটনা ঘটছে। অথচ রাস্তার পাশে টহলরত পুলিশ ফুটপাতে চেয়ারে বসে মোবাইল টিপে। আমার কথা হচ্ছে, প্রতিদিন একই ঘটনা কেন ঘটবে? পুলিশ যদি টানা একমাস সর্তক থাকে, আসামীদের ধরে তাহলে কিন্তু এই মন্দ কাজ দীর্ঘদিন চলতে পারতো না।

দেশের সরকারী লোকদের তেল জমে গেছে।
অবশ্য দীর্ঘদিন সরকারি চাকরি করলে শরীরে তেল বেশী জমে যায়। যার যা দায়িত্ব তা যদি সঠিক ভাবে পালন করতো তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত। সরকারী লোকেরা প্রচন্ড অলস। একদিনের কাজ দশ দিনে করে। আমি ফেসবুকে দেখি এক সরকারী কর্মকর্তা নির্লজের মতো প্রতিদিন সকালে অফিসে গিয়েই ফেসবুকে ছবি দেয়। বই নিয়ে আলাপ করে। স্ট্যাটাস দেয়। একটু পরপর অফিস রুমে বসেই নিজের ভিডিও বানিয়ে ছাড়ে। অফিসে যারা তার সাথে দেখা করতে আসে তাদের ছবি তোলে। এবং সেই ছবি ফেসবুকে দেয়। অফিস রুমটাকে সে লাইব্রেরী বানিয়ে ফেলেছে। সে নিজেকে বড় সাহ্যিতিক বলে ঘোষনা দিয়েছে অনেক আগেই। তার যেন অফিসে কোনো কাজই নেই। তার যদি কাজই না থাকে- তাহলে সরকার এই পদটা রেখেছে কেন?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৪২

রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: ঢাকাতে প্রবেশের জন্য আলাদা ভিসা চালু করা প্রয়োজন।তাহলে অবাঞ্চিত লোকের সংখ্যা কমে যাবে,পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।

০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: নিজ দেশে ভিসা?? দুঃখজনক।
সরকার সজাগ হলেই চলবে।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৩৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সত্যি সেলুকাস,
কি বিচিত্র এই শহর।
অথচ এই শহরেই আমার জন্ম।

০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: নষ্ট শহর।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:০৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি দেখছি পুলিশের রুটি রুজি বন্ধ করার তালে আছেন।আমাদের পরিবারে দুইজন পুলিশ অফিসার আছে।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পাবার আর কোন পথ নেই।একজনের সমস্যা দেখলে দশ জনকে এগিয়ে আসতে হবে।অপরাধীর পক্ষে আসবে পাঁচ জন বিপদ গ্রস্তের পক্ষে আসতে হবে বিশ জনকে,যেটা অতিতে ছিল।এখন মানুষ দুরে চলে যায়।
পুলিশেও পরিবর্তন আনতে হবে।দুটোর কোনটাই রাতারাতি হবে না।এটা সিনেমাতে সম্ভব বাস্তবে না।

০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সব পুলিশ খারাপ না।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গুলিস্তান যেন পুরো বাংলাদেশের সাধারণ চিত্র।
এটাই বাস্তবতা।

০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সারা ঢাকা শহরের বেশির ভাগ এলাকাই বাজে।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: আজকাল যেসব অপরাধ সংঘটিত হয় তার প্রায় পুরোটাই সংঘবদ্ধ এবং বেশির ভাগ পূর্বপরিকল্পিত।
এলাকার রাজনৈতিক নেতা,দালাল,মাস্তান বা বড়ভাই ,পুলিশ সহ আরো অনেক সুবিধাভোগী আছে। তারা মাসিক বা সাপ্তাহিক একটা বড় অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকে বা নিয়ে থাকে।
খারাপ মানুষরা সংঘবদ্ধ কিন্তু ভালো মানুষেরা সংঘবদ্ধ নয়। এই সুযোগটাই অপরাধীরা নিয়ে থাকে।

০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বলেছে, খারাপ মানুষরা সংঘবদ্ধ কিন্তু ভালো মানুষেরা সংঘবদ্ধ নয়। এই সুযোগটাই অপরাধীরা নিয়ে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.