নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রিয় কন্যা আমার-
তুমি নয় মাসে পা রেখেছো। ন'য়ে পা রেখেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছো। সেদিন আমি অফিসে ছিলাম। সুরভি ফোন দিয়ে জানালো তোমার জ্বর এসেছে। শুনে আমার খুবই মন খারাপ হলো। এমনতেই তুমি ঠান্ডায় আক্রান্ত। এর মধ্যে আবার জ্বর! ঠান্ডার জন্য ডাক্তার দেখানো হয়েছে। সুরভি একাই তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছে। এখন জ্বরের জন্য আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে! যাই হোক, আমি সেদিন দ্রুত বাসায় আসি। কপালে হাত দিয়ে দেখলাম- বেশ ভালো জ্বর। হাত পা গরম। তোমাকে কোলে নিয়ে ফার্মেসীতে গেলাম। তোমার জন্য নাপা সিরাপ নিলাম। এই প্রথম তোমাকে নিয়ে কোনো ফার্মেসীতে গেলাম। করোনার কারনে তোমাকে বাইরে নিয়ে যাচ্ছি না। নইলে প্রতিদিন তোমাকে নিয়ে বাইরে কোথাও না কোথাও যেতাম। ভাবী বললেন, জ্বর নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। ফারাজার দাঁত উঠবে। বাচ্চাদেরর নাকি নতুন দাঁত উঠলে জ্বরটর হতে পারে।
প্রিয় ফারাজা,
তুমি ন'মাসে পা রাখার কারনে সেদিন বাসায় ছোটর একটা অনুষ্ঠান হলো। সুরভি ইলিশ পোলাউ রান্না করেছে। বিকেলে নাস্তায় রান্না করেছিলো- চিকেন বার্গার। আমার দুই চাচা বাসায় এসেছিলো। তাঁরা লুডু খেলেছে। এবং রাতে খেয়ে গেছে। এই দুই চাচা একসময় আমাদের বাসায় আসতো না। আব্বা মারা যাওয়ার পর প্রতিমাসে তিন চার বার করে আসছে। কেন আসছে কে জানে! যাই হোক, আমি ইলিশ পোলাউ খাইনি। কারন ইলিশ পোলাউ আমার পছন্দ না। আমি সাদা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ ভাজা অথবা ইলিশ মাছ ভেজে রান্না পছন্দ করি। আমি ইলিশ পোলাউ খাইনি বলে সুরভি খুবই রাগ করেছে। সুরভি এতটা রাগ করবে আমি বুঝতে পারি নি। আমার দুই চাচাকে দেখলাম- আচ্ছা মতোন ইলিশ পোলাউ খেলো। মানুষ এত খায় কি করে? আব্বা বেঁচে থাকতে চাচারা খুব একটা আসতো না। তবে চাচারা বাসায় আসাতে আমার ভালো লাগে।
প্রিয় কন্যা আমার-
তোমার মায়ের শখ রেস্টুরেন্ট দেয়ার। তার রেস্টুরেন্টে সে নিজেই খাবার রান্না করবে। তোমার মা ভালো রান্না করে। সে দেশী বিদেশী সব রকম রান্নাই পারে। সে রান্না কার কাছ থেকে শিখেছে আমি জানি না। আমার ধারনা সে একা একাই শিখেছে। কারন তোমার নানী বেচে নেই। যাই হোক, আমাদের বিয়ের আগেও সুরভি আমাকে অনেক কিছু রান্না করে খাইয়েছে। বিয়ের পরও নানান পদের খাবার রান্না করে খাইয়েছে। মিথ্যা বলব না- তোমার মায়ের হাতের রান্না খেয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান হলে তোমার মা একাই ত্রিশ পয়ত্রিশ জনের জন্য রান্না করে ফেলে। সুরভির রান্নার সবচেয়ে বড় ভক্ত তোমার বড় মামা আর ছোট মামা। এখনও তোমার বড় মামা সুরভিকে বলে- সুরভি তুমি রেস্টুরেন্ট দিলে খুব অল্প সময়ে নাম করতে পারবি। সুরভি তোমার বড় মামাকে খুবই পছন্দ করে। তোমার বড় মামা মানুষ ভালো। নীতিবান মানুষ। তার দুই বোনের জন্যই সীমাহীন ভালোবাসা রয়েছে।
প্রিয় কন্যা ফারাজা তাবাসসুম-
আমি ঠিক করেছি তোমার পাঁচ বছর হওয়ার পর আমি এই লেখা বন্ধ করে দিবো। কারন তোমার পাঁচ বছর হয়ে গেলে সব কথা, সব ঘটনা তোমার মনে থাকবে। জন্মের পর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ঘটনা গুলো শিশুদের মনে থাকে না। তাই তোমার জন্মের পর থেকে কিছু কিছু কথা লিখে রাখছি। তুমি বড় হয়ে পড়বে। আনন্দ পাবে। বিষন্ন হবে। আবার মজাও পাবে। যাই হোক, এখন তোমাকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা কিছু বলি- চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে স্কুল কলেজ খুলে যাবে। করোনার জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছিলো। আজ ভাদ্র মাসের ২০ তারিখ। আরবী মহরম মাসের ২৬ তারিখ। সরকারী হিসাবে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৭০ জন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৩১৬৭ জন। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯৪৩৮ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত ২৬৪৩২। আমি আর সুরভি করোনার প্রথম ডোজ টিকা দিয়ে দিয়েছি।
প্রিয় কন্যা আমার-
এখন রাত একটা। তুমি এবং তোমার মা ঘুমিয়ে পরেছো। এই লেখাটা শেষ করেই আমি ঘুমাতে যাবো। সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। রাতে যদি আমি টানা সাত/আট ঘন্টা ঘুমাতে না পারি তাহলে আমার ভালো লাগে না। গত দুই দিন সুন্দর করে ঘুমাতে পারি নি। তোমার জ্বর। হঠাত হঠাত তোমার ঘুম ভেঙ্গে গেছে এবং তুমি কান্না করে উঠেছো। তাই তোমার মা এবং আমি ঘুম বাদ দিয়ে তোমাকে কোলে নিয়ে হেটেছি। আজ তোমার জ্বর নেই। আশা করি, আজ তুমিও আরাম করে ঘুমাবে, সাথে আমরাও আরাম করে ঘুমাবো। তুমি সাধারনত সকাল সাড়ে নয়টায় ঘুম থেকে উঠো। ঘুম থেকে উঠেই একটা হাসি দাও। তোমার হাসি ভালোবাসি। সবচেয়ে বড় কথা তোমার হাসিমুখ দেখেই আমরা দিন শুরু করি। তোমার বোন পরী বড় হয়ে গেছে। তাকে লেখাপড়ার কথা বলতে হয় না। সে সময় মতো সব একা একাই করে নেয়। আমার ইচ্ছা তুমি পরীর কাছ থেকে লেখাপড়া শিখবে।
ছবিতে রোহা, পরী এবং ফারাজা। আমাদের বাসায় মোট চারজন ছোট মানুষ আছে। ছবিতে আরিশ নেই। ছবি তোলার সময় আরিশকে খুঁজে পাই নি।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ চেষ্টা করে।
দা দাদ্দা বলে। বা বাবাব্বা বলে।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১১
কামাল১৮ বলেছেন: কোন কাজে অফিসে গিয়ে ছিলেন নাকি নিজেই অফিস করছেন।মনোযোগ দিয়ে কি যেন দেখছে।পরীর স্কুল কি খোলা?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: পরী অনলাইনে ক্লাশ করে।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৪
নজসু বলেছেন:
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর। ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: মেয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল রাজীব দা
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১১
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: কন্যার জন্য ভালোবাসা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
গফুর ভাই বলেছেন: ভালো থাকুক আপনার কন্যা
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ছবি বিশ্লেষন: -
ছবিতে রোহা খুব সম্ভব টিভি দেখছে। যিনি ছবি তুলছেন তার দিকে তাকিয়ে আছে পরি। আর ফটোগ্রাফারের পাশে আরোও একজন আছেন যার দিকে তাকিয়ে আছে - ফারাজা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্লেষন সঠিক হয়েছে।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আহা, চোখ জুড়িয়ে যায়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইল!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭
হাবিব বলেছেন: আপনার কন্যা সুস্থ থাক সবসময়, এই কামনা করি
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।
১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর দিনলিপি। এ সিরিজটা দু'বোনের জন্যই ভবিষ্যতে আনন্দের উপকরণ হয়ে থাকবে।
পোস্টে প্লাস। + +
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমার পোষ্টে এসেছেন, আমি অনেক খুশি হয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কন্যা কথা বলার চেষ্টা করে?