নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ৮৬

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৩


ছবিঃ আমার তোলা।

ফলের দাম বেড়ে গেছে।
পরিবারের জন্য আমাকে প্রতি সপ্তাহে ফল কিনতে হয়। মালটা এখন কেজি ৩০০ শ' টাকা। সাধারনত মালটা ১৫০ টাকা কেজি হয়। হঠাত করে তিন শ' কেন হয়ে গেলো বুঝলাম না। লোকজন তিন শ' টাকা করেই কিনছে। কেউ কিচ্ছু বলছে না। ডাব এর দাম গত এক বছরে অনেক বেড়েছে। এখন একটা ডাব ১২০ টাকা। মালটা না হয় বিদেশী ফল- তাই দাম বেড়েছে। ডাবের দাম বৃদ্ধির কারন কি? ভাবা যায় একটা ডাব ১২০ টাকা! তবু লোকজন ১২০ টাকা দিয়েই ডাব কিনছে। দাম বাড়লে আমাদের দেশে কেউ আন্দোলন করে না। সবাই চুপ করে মেনে নেয়। সরকারের এদিকে কোনো নজর নেই। একটা ডাব ১২০ টাকা বা মালটা কেজি তিন শ' টাকা হবে- এটা কে নির্ধারন করেছে? আজ আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি- বাংলাদেশে কোনো ভালো মানুষ নেই।

আজ দুপুরে আমি হোটেলে খেয়েছি।
হোটেলে প্রচন্ড ভিড়। বসার জায়গা পাওয়া বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার যেন। অতি সামান্য খাবার খেলাম। পুঁই শাক, ডাল আর ভাত। বিল হওয়ার কথা ৫০/৬০ টাকা। অথচ বিল হয়েছে- ১২০ টাকা। আহামরি কোনো রেস্টুরেন্ট নয়। খাবারের মানও ভালো নয়। ভাতের চাল গুলো মোটামোটা। এই হোটেলে আমি আরেকদিন খেয়েছি- রুই মাছ, ডাল আর ভাত। বিল হয়েছে ২৪০ টাকা। অতি সাধারণ খাবার। কোনো স্বাদ নেই। এক টুকরো রুই মাছ। সাথে কোনো তরকারী ছিলো না। সামান্য এক টুকরো আলুও ছিলো না। রেস্টুরেন্টওলারা সামান্য খাবারের এত দাম রাখছে কেন? রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কি কোনো নিয়ম নীতি নেই? যা ইচ্ছা তাই-ই দাম রাখতে পারে? সবচেয়ে বড় কথা বেশী দাম দিয়েই লোকজন খাচ্ছে। দাম নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই।

গতকাল সন্ধ্যায় বাটা জুতোর দোকানে গিয়েছিলাম।
বাটার দোকানে বড় করে লেখা বিরাট মূল্য হ্রাস। ৭০% ডিসকাউন্ট। কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখেছি- ডিসকাউন্ট না দিলেও যে দাম জুতোর গায়ে লেখা থাকে, ডিসকাউন্ট দেওয়ার পরও একই দাম লেখা। বাটা কোম্পানীর এরকম প্রতারনা করার কারন কি? এপেক্সও একই কাহিনী! ডিসকাউন্ট দেওয়া একটা জুতো হাতে নিলাম। তাতে দাম লেখা ৩৯০০ টাকা। জুতোর কোয়ালিটি দেখে মনে হলো- এই জুতোর সর্ব্বোচ দাম হতে পারে ৩০০ শ' টাকা। তাহলে এত দাম কেন জুতোর? অথবা ডিসকাউন্ট বলার কি আছে? ব্যবসা মানেই কি প্রতারনা? যা কিছু কিনতে যাই- দোকানদাররা ঠকাতে চায়। যেন আমাকে ঠকাতে পারলেই তাদের ব্যবসা সার্থক। প্রতিটা ব্যবসায়ীর মধ্যে এক এরকম চিন্তা ভাবনা। সৎ ব্যবসায়ী বাংলাদেশে নেই।

আমি রেডিমেট জামা কাপড় পড়ি না।
শার্ট প্যান্ট বানিয়ে পড়ি। বছরে তিনবার আমি অনেক গুলো করে শার্ট প্যান্ট বানাই। কাপড়ের দাম রাখে বেশি। তিন শ' টাকা শার্ট পিছের দাম চায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। আবার টেইলার্সে শার্ট প্যান্ট বানাতে গেলেও মুজুরি রাখে অনেক বেশি। একটা শার্ট বানাতে ওদের সর্ব্বোচ আশি টাকা খরচ হয়। অথচ নিচ্ছে ৪৫০ টাকা। একটা প্যান্ট বানাতে ওদের খরচ হয় সব্বোর্চ নব্বই টাকা খরচ অথচ নিচ্ছে ৫৫০ টাকা। কেউ সঠিক দাম নিচ্ছে না। বাংলাদেশটা এরকম হয়ে গেছে- যার যা মন চাইছে, করছে। কোনো জবাবদিহিতা নেই। সরকারের কোনো তদারকি নেই। সরকার ব্যস্ত পরিমনিকে। অথচ বড় বড় রাঘববোয়াল দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে তাদের ধরছে না। সরকারী অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। সম্ভব না।

বাংলাদেশ হলো দুষ্টলোকদের দেশ।
আমি দুষ্টলোক নই। আমি অতি সাধারণ এবং সহজ সরল মানুষ। এই দেশে আমি আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না। এটা আমি বুঝে গেছি। এই দেশের প্রতিটা নাগরিক মনে করে কাউকে ঠকাতে পারলেই বুঝি জিতে গেলো। যারা নামাজ পড়ে, মুখ ভরতি দাঁড়ি রাখে- তারাও মানুষ ঠকায়। আমাদের এক আত্মীয় আছে। ব্যবসা করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী দাগ বসে গেছে। অথচ এই লোক ভয়াবহ ভন্ড এবং মিথ্যাবাদী। তার দোকানে সব সময় নকল মাল বিক্রি করা হয়। তিনি তার কাস্টমারদের বলেন- এই নিন ভালো জিনিস। আমি মিথ্যা বলি না। মাত্রই আমি নামাজ পড়ে এলাম। তাকে মানুষ বিশ্বাস করে নকল পণ্য কিনে বাসায় যায়। প্রতিদিন একই ঘটনা। তিনি গর্ব করেন মানুষকে বোকা বানাতে পারেন বলে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: দ্রব্য মুল্য নির্ধারন করার একটা সরকারী প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু ঠিক ঠাক মতো কাজ করে না।সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান ঠিক কাজটি করে না।কেবল ঘুষ নেয়ার হিসাব টা ঠিক রাখে।কম দিলে নেয় না।
জনগন মোটেই সচেতন না।যে যা দাম চায় তাই দিয়ে চলে আসে,কোন প্রতিবাদ করে না।কেউ স্ব প্রনোদিত হয়ে সংগঠিতো করে না এই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাদা আমেরিকান, জারমান ও সুইডিশরা মানুষকে ভালো জিনিষ দেয় ও দাম কমাতে চেষ্টা করে; বাকীরা জালিয়াত।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষদের আগে ''মানুষ'' হয়ে উঠতে হবে।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


গত সপ্তাহে আইসক্রিম কিনলাম ডিসকাউন্টে: ১ টার আসল দাম ৬ ডলার, ডিসকাউন্টে ৪ ডলার করে; আমি ৩ টা নিয়েছি; ক্যাশিয়ার সাদা মহিলা, আমি কথা বললাম; কর্মচারী হিসেবে তার ডিকাউন্ট কার্ড আছে; সে সেটা ব্যবহার করে দাম কমিয়ে ৩টা দিলো ৬ ডলারে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে ভালো মানুষ নেই। সমস্যা এইখানেই।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৫

নাহল তরকারি বলেছেন: এসব বলে কি লাভ? কে আন্দোলন করবে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আন্দোলন করা দরকার।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকা বা অন্য কোনো দূর দেশের উদাহরণের প্রয়োজন নেই। পাশের দুটি দেশেই (ভারত ও মিয়ানমার) আপনি খাওয়ার ও অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি অনেক সস্তায় পাবেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ গুলো এরকম হয়ে গেলো কেন?

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫০

জগতারন বলেছেন:
আজকের এই পোষ্টটিতে দেশের বর্তমান অবস্থা উঠে এসেছে।
আমি যুক্ত রাষ্ট্রে থাকি বহু বছর, আমি এখনও বিস্মিত হইঃ
একটি মহাদেশের মতো একটি দেশ যুক্ত রাষ্ট্র, অথছ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে
কী যে সুষ্টভাবে পরিচালিত হয় তা দেখলে অবাক লাগে।

এই দেশের প্রতিবেশী দেশ; মেক্সিকো, সেখানে যে কত দুর্নিতি তা
আর বলে শেষ করা যায় না। ভৌগলিকভাবে একই দেশ শুধু
একটি বর্ডার লাইন কিন্তু সবকিছুতে ব্যবধান যে কী তা বলে শেষ করা যায় না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার সজাগ থাকলে ব্যবসায়ীরা এতটা ভন্ডামি করতে পারতো না।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

কালো যাদুকর বলেছেন: ছবিটি সুন্দর হয়েছে। অনেকদিন হোটেলে খওয়া হয় না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে প্রায়ই হোটেলে খেতে হয়।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যকথা বলেছেন সেজন্য রেডিমেট কাপড় পড়েন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ডাবের দামটা আসলেই মেলা বেড়ে গেছে কোনো কারণ ছাড়াই।
ভাবছি কিছু ডাবগাছ লাগাবো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট সরকারকেই ভাঙতে হবে।

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২০

শায়মা বলেছেন: সবাই ছাদে ফলের চাষ করতে হবে।

তাহলেই আর ফল খেতে নো চিন্তা ভাইয়া। :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আর যেসব ফল ছাদে সম্ভব না?

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: তাদের জন্য আর কি? :(

বাজার :(

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: চাষবাস জানি না। বাজারই ভরসা।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: চাহিদা বুঝে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটে।

লেখা ভালো লেগেছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ ভালো সৎ ব্যবসায়ী নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.