নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
সব কিছু বদলে যায়।
মানুষ, সমাজ এবং দেশ। সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়। যান কেউ থামাতে পারবে না। ৯০ এর দশকে দেশ যেমন ছিলো আজ তেমন নেই। দুনিয়াতে শুধু মাত্র ধর্ম, কোরআন আর হাদীস বদলায় না। এমনকি ধার্মিকরা বদলায়। এযুগে তেরো বছরের ছেলেরও একজন গার্ল ফ্রেন্ড আছে। এমনকি সেই ছেলে তার গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে পার্কে বেড়াতে যায়। রাত জেগে চ্যাটিং করে। আমি যখন ছোট ছিলাম- তখন প্রেম, ভালোবাসা, গার্লফ্রেন্ড ইত্যাদি শব্দ গুলো কখনও ব্যবহার করতাম না। মনে করতাম এসব শব্দ বড়দের জন্য।
এযুগের ছেলেমেয়েদের লজ্জা কম।
ইন্টারনেট তাদের লজ্জা কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় খারাপ পরিবর্তন করেছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট আশার পর চ্যাংড়া পোলাপান থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত বদলে গেছে। এখন যদি বাংলাদেশে ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে এই প্রজন্ম পাগল হয়ে যাবে। ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যায় সমস্ত চ্যাংড়া পোলাপানদের হাতে স্মার্ট ফোন। এমন কি দরিদ্র বাবা মায়ের সন্তানের হাতেও দামী ফোন। এরা সব সময় ফোন টিপতেই থাকে।
দেশ, সমাজ আর মানুষের কথা কি বলব!
বলতে গেলে রাগ লাগে। নিজের অজান্তেই মুখে গালি চলে আসে। কুৎসিত গালি। তার চেয়ে বরং নিজের কথাই বলি- সেদিন বাজারে গেলাম। ইলিশ মাসের দাম জিজ্ঞেস করলাম। বিক্রেতা চারটা ইলিশ মাছ পলিথিনে দিয়ে বলল, নিয়ে যান। পদ্মার ইলিশ। ছয় হাজার টাকা দেন। আমি অবাক! আমি তো বিক্রেতাকে বলি নাই- আমাকে এক হালি ইলিশ দেন। শুধু দাম জানতে চেয়েছিলাম। মানুষ গুলো এরকম কেন? আরেক দোকানে রুই মাছের দাম জানতে চাইলাম সে-ও ব্যাগে সাড়ে চার কেজি মাছ দিয়ে বলল- নিয়ে যান। একদম জেতা। বাইশ শ' টাকা দেন। আপনার কাছে দাম কম রাখছি।
মূরগী কিনতে গেলাম-
সেখানেও একই কাহিনী! ফল বা সবজি কিনতে গেলেও এরকম করে। গরুর মাংসের দোকানে গেলেও দুই কেজি কিনতে গেলে দোকানদার জোর করে পাঁচ কেজি দিয়ে দিতে চায়। আমি তো পাঁচ কেজি দিতে বলি নি। মানুষ গুলো এমন করে কেন? কেনাকাটাও কি নিজের ইচ্ছায় করতে পারবো না? তাদের ইচ্ছায় কিনতে হবে? ডিম কিনতে গেলাম। আমি সব সময় একসাথে চার ডজন ডিম কিনি। বিক্রেতা তা ভালো করেই জানে। কিন্তু সে পাঁচ ডজন দিয়ে দিলো। বলল, নিয়ে নিন। সামনে ডিমের দাম বাড়বে। ছোট মেয়ের জন্য দেশী মূরগীর ডিম কিনি। ১৮০ টাকা ডজন। সে শুধু ডিমের কুসুম খায়। যাই হোক, ক'দিন আগে জানতে পারলাম- এতদিন বিক্রেতা আমাকে দেশী মূরগীর ডিম দেয় নি। দিয়েছে কক বা সোনালী মূরগীর ডিম।
আমি সব সময় পকেটে নতুন টাকা রাখি।
ছেঁড়া, নোংরা বা ময়লা টাকা আমার ভালো লাগে না। হাত দিয়ে ধরতেও ইচ্ছা করে না। জিনিস কেনার পর দোকানি আমাকে সব সময় বেছে বেছে ছেঁড়া, নোংরা আর ময়লা টাকা দেয়। সেই টাকা অন্য দোকানদার নেয় না। আমি বললাম- আমি তো নিয়েছি- আপনি কেন নিবেন না? দোকানদার বিরক্ত হয়ে বলে- আপনি নিয়েছেন বলে কি আমারও নিতে হবে? বেশির ভাগ দোকানদারই এই কাজ করে। ছেঁড়া ময়লা টাকা দেয়। ক্যাশে ভালো টাকা থাকলেও বেছে বেছে ময়লা টাকা দেয়। আজিব! দুইটা পাঁচ শ' টাকা নোট কে যেনো আমাকে ছিড়া দিয়েছে। এখন চালাতে পারছি না।
আজ এক কাজে মুন্সিগঞ্জ গিয়েছিলাম।
যেখানে কাজে গিয়েছিলাম সেখান থেকে বাসে বা অটোতে বিশ-পঁচিশ মিনিট দুরত্বে আমার গ্রামের বাড়ি। অথচ গ্রামে যাই নি। যাওয়া উচিত ছিলো। তাহলে আব্বার কবরটা দেখে আসতে পারতাম। যাই হোক, বিকেলে ঢাকা ফিরলাম। বাস থেকে নামলাম গুলিস্তান। এক দোকানে চা খাচ্ছি। এমন সময় দেখি এক মহিলা ভিক্ষা করছে। সাথে তার দুই কন্যা। দুই কন্যার বয়স যথাক্রমে আড়াই এবং চার বছর হবে। দুইটা মেয়ে দেখতে ভীষন সুন্দর। দেখে খুব মায়া লাগলো। আমার কাছে বাচ্চা মেয়েটা বলল- টাকা দেন মজা খাবো। আমি বললাম- কি খাবে বলো। আমি কিনে দিচ্ছি। তাদের মা বলল- টাকা দিলেই হবে। আমি এক শ' টাকা দিলাম।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি একটা ভদ্র সমাজ চাই। ভদ্র মানুষ চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: সবথেকে বেশি বদলায় আল্লাহর বানী।কতো বার যে বদলেছে তার কোন হিসাব নাই।কোরানেই বহু বার বদলেছে তাকে বলে নাসেক মানসূখ।কোন একটা বিষয়ে একাধিক আয়াত নাজিল হলে,শেষ আয়াতটাই গ্রহনযোগ্য বাকিগুলি বাদ।
দোকানদাররা লোক চিনে।যদি বলেন টাকা নাই ,তবে বলবে পরে দিয়েন।