নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
গতকাল রাতের কথা আগে বলে নিই।
শরীরটা ভালো লাগছিলো না। তাই রাত ১২ টায় বিছানায় যাই। অন্য সময় সাধারনত রাত দুইটার আগে বিছানায় যাই না। ছোট কন্যা ফারাজার একপাশে আমি ঘুমাই অন্য পাশে সুরভি ঘুমায়। ঘরে অল্প আলো। ফারাজা ডান পাশ ফিরে ঘুমাচ্ছে। দেখে মনে হয় যেন আকাশ থেকে একটা ফেরেশতা নেমে এসেছে আমার ঘরে। আমি ঘুমন্ত ফারাজার কপালে চুমু দেই। এটা আমার প্রতিদিনের রুটিন।
চুপ করে ফারাজার পাশে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না। কথা নেই, বার্তা নেই- হঠাত শরীর কাঁপিয়ে জ্বর এলো। নিজের কপালে নিজে হাত দিয়ে দেখি অনেক গরম। ঠান্ডাও লেগেছে। নাক দিয়ে সমানে পানি পড়ছে। সুরভিকে ডাক দিলাম না। বিছানা থেকে নেমে বিস্কুট খেলাম। তারপর একটা নাপা। নাপা খাওয়ার এক ঘন্টা পর জ্বর নাই হয়ে গেছে। হে হে---
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ৮ টায়।
কন্যা আমার আগে ঘুম থেকে উঠে বসে আছে। সুরভি ঘুমে। ফারাজাকে কোলে নিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দুই গ্লাস পানি খাই। এটা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। কন্যাকেও পানি খেতে দিলাম। গোছল করলাম। তারপর আবার শুরু হলো জ্বর। আমি অনুভব করছি শরীরের তাপমাত্রা হুহু করে বাড়ছে। সাধারনত আমার কোনো অসুখ বিসুখ হয় না। দাঁতের সমস্যা ছাড়া আমার আর কোনো সমস্যা নেই। সকালে নাস্তা খেলাম সামান্য। আবার নাপা খেলাম একটা। গরম এক মগ চা খেলাম। মুহুর্তের মধ্যে জ্বর চলে গেলো। আজ আমার বাইরে কিছু কাজ ছিলো। তাই বাসা থেকে বের হলাম। বের হওয়ার আগে সুরভির সাথে সামান্য ঝগড়া করলাম। সুরভি এতটাই রাগ করেছে যে সারাদিনে আমাকে একবারও ফোন দেয় নি। এমন কি দুপুরে খেয়েছি কিনা সেটাও জানতে চায় নাই। দুপুরে আমি খেয়েছি। গরুর কালা ভূনা আর তন্দুল রুটি।
বিকেলের শুরুতে আবার জ্বর এলো।
পুরো শরীর কাঁপিয়ে জ্বর। তখন আমি মৎস ভবনের কাছে। আমি জানতাম জ্বর আবার আসবে। তাই পকেটে নাপা ট্যাবলেট রেখেছি। অবশেষে কি মনে করে যেন রমনা পার্কে চলে গেলাম। বহুদিন পর পার্কে এলাম! পার্কে হাঁটার পথ গুলো ভাঙ্গা ছিলো। সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। এক বোতল পানি কিনে নাপা খেয়ে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা টিকটক করছে নানান ভঙ্গিমায়। আমি ভাবছি আর কিছুক্ষন পর সন্ধ্যা হবে অথচ সুরভি ফোন দিলো না! আগে কখনও এরকম হয়নি। পরী কি করছে? ফারাজা কি করছে? আমি কিছুই জানি না। বাধ্য হয়ে আমিই ফোন দিলাম। পরপর তিনবার। সুরভি ফোন ধরলো না। স্বামী জ্বরে যায় যায় অবস্থা আর স্ত্রী ফোন ধরবে না। এমন সময় এক ভিক্ষুক এলো। মেজাজ খারাপ। ভিক্ষুককে ধমক দিলাম। ভিক্ষুক আমার আচরনে বেশ হতবাক হলো। আমি বললাম, আমি ভিক্ষা দেই না। চা খেতে চাইলে খাওয়াতে পারি।
পার্কে বসেই এক বুড়োর কথা মনে পড়লো।
বুড়োর সারাতাই ঘুম আসে না। শুধু এপাশ আর ওপাশ করে। সারারাত ঘরে বাতি জ্বালিয়ে রাখে। বুড়ো ঘরেই ফযরের নামাজ পড়ে। তারপর হাঁটতে বের হয়। ডান দিকের বাড়িতে নতুন স্বামী স্ত্রী এসেছে। তাদের মধ্যে ভীষন মিল। স্বামী অফিসে গেলে স্ত্রী রান্না শেষ করেই পড়তে বসে। স্বামী বাসায় ফিরে সন্ধ্যায়। তারপর স্ত্রী নুডুলস রান্না করে দেয়। দুজন মিলে ব্যলকনিতে বসে খায়। তারপর স্বামী স্ত্রী দুজনেই ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকে। আরেকজন স্ত্রীলোক আছেন। মহিলা সারাদিন কাজ করতেই থাকেন। ছাদে মূরগী পালেন। এই মহিলার একটা বিষয় আমার খুব ভালো লাগে। সে প্রতিদিন কাকদের দুপুরবেলায় খেতে দেয়। এসব চমৎকার দৃশ্য আমার আর দেখা হবে না ব্যলকনি থেকে। কারন আমার ব্যলকনির দেয়াল ঘেষেই বিশাল বিল্ডিং উঠে যাচ্ছে।
আমার গায়ে এখনও জ্বর।
জ্বর নিয়েই লিখছি। রাতের খাবার খেয়েছি অনেক আগেই। সুরভি স্যুপ বানিয়ে দিলো। গরম গরম এক বাটি খেলাম। গলার কাছে এখন আরাম লাগছে। নাক দিয়ে পানি পড়া বন্ধ হয়েছে। লেখাটা শেষ করেই একটা নাপা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো। আজ আমার লেখার বিষয় ছিলো বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে। বাংলাদেশে কোনো ভালো মানুষ নেই। প্রতিটা মানুষ বদ। বিরাট বদ। মসজিদের ইমাম সাহেবও বদ। কিছু ব্লগারও বদ। শিল্পপতিও বদ। সাহিত্যিক, সরকারী বেসরকারী চাকরীজীবি, মন্ত্রী, এমপি এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনও বদ। বিনা দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় বাংলাদেশে কোনো ভালো মানুষ নেই। একজন মমতাবান পিতাও বাইরে বের হলে অমানুষ হয়ে যায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষদের কথা জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভালো না।
আমি আসলেই একজন ভালো মানুষ।
অন্তত চারিপাশ দেখে শুনে আমার তাই মনে হয়। আমি কোনো দিন কারো ক্ষতি করি নি। চুরী করি নি। দূর্নীতি করি নি। অফিসে আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। পরিবারের দায়িত্ব পালন করছি। আমি কোনো দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রসাব করি নাই। আমি কোনোদিন রাস্তায় ময়লা ফেলি নাই। যদি ময়লার গাড়ি না আসে। তাহলে ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া খরচ করে ময়লার ডিপোতে গিয়ে ময়লা ফেলে আসি। আমি কোনো দিন রাস্তা ঘাটে মেয়েদের দিকে কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকি নাই। কোনো দিন কারো কাছ থেকে টাকা লোন নিই নাই। কোনোদিন কাউকে গালি দেই নাই। আমি সবাইকে সম্মান করে কথা বলি। দেশের সব মানুষকে আমি ভালোবাসতে চেষ্টা করি। বেশীর ভাগ মানুষ শুধু নিজের পরিবারের কথা ভাবে। কিন্তু আমি দেশের সব মানুষের কথা আমি ভাবি।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সৌম্য, সুন্দর, সুশ্রী নারী মানুষের মনে প্রশান্তির সন্চার করে, এজন্য মানুষ তাকিয়ে থাকে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: তাকিয়ে দেখা আর কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকা এক ?
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: ঝগড়াঝাটি করা ভালো মানুষের লক্ষন না।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। অবশ্যই।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভিতরে কি আছে জানি না।
শিরনামের কথা শতভাগ সত্যি।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: শিরোনাম সর্বস্ব!
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
বংগল কক বলেছেন: বাহ বাহ, কি চমৎকার পুষ্ট
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার পোষ্টের শিরোনামটা আপনিই সত্যি করলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
একদম হাচা কথা - আমি ছাড়া, বাংলাদেশে কোনো ভালো মানুষ নেই
ব্লগ জীবনে এই প্রথম লেখা না পড়ে কেবল শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করলুম।