নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৪৪

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩১



কয়েক বছর আগে টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম-
সেখানে সবাই বলেছিলো- বেঁচে দাও। বেঁচে দাও। আজ বঙ্গবন্ধুকে বেচা হচ্ছে হরদম। যে যেভাবে পারছে বিক্রি করছে! এখন সবাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। সহজ সরল সত্য কথা হলো- বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আর পাকি সৈনিকের মধ্যে পার্থক্য তেমন একটা নাই। বঙ্গবন্ধু নামের পাশাপাশি শেখ হাসিনার নামও বিক্রি হচ্ছে বেশ। এমন কি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকলের নামও বিক্রি হচ্ছে। কেউ সংগঠন করছে। নাম দিচ্ছে শেখ রাছেল বা শেখ কামাল। আওয়ামীলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী। ঠিক তেমনি হাজার হাজার সংগঠন। এসব সংগঠনের সভাপতি আছে। সভাপতি ক্ষমতার জোড়ে ফুটপাত ভাড়া দিচ্ছে। এমন কি চিপাচাপা, দুই তিন হাত জায়গাও ভাড়া হচ্ছে। এডভান্স নিয়ে ভাড়া দিচ্ছে। প্রতিদিন অথবা মাস শেষে ভাড়া নিচ্ছে। আওয়ামীলীগের পাটি অফিস থেকে শুরু পুরো গুলিস্তান এলাকা এই আওয়ামীলীগওয়ালা ও তাদের সংগঠনের সভাপতিদের দখলে। দল এবং সংগঠনের নামে চলছে ফুটপাত দখল এবং চাঁদাবাজি। পশু গুলো দেবতা হয়ে উঠতে চাইছে, শুধু নাম ব্যবহার করে।



গুলিস্তান এলাকায় চলে ক্ষমতার লড়াই।
ফুটপাত দখল নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ ক'দিন পরপর মারামারি কাটাকাটি করে। অবশ্য ফুটপাতের টাকার ভাগ পুলিশও পায়। গুলিস্তান এলাকায় ফুটপাতের টাকা তুলে সুলতান। এই সুলতান পিস্তল নিয়ে বেশ কয়েকবার ধরা খেয়েছে। আগে সে বিএনপি করতো। ফুটপাতসহ বিভিন্ন দোকানে চড়া মূল্যে বিদ্যুতের লাইন দেয় খাজা। খাজা সাহেব আবার গোপাল শাহ মাজারে সপ্তাহে একদিন খিচুড়ি রান্না করে দরিদ্রদের খাওয়ান। খাজা সাহেব গুলিস্তান এলাকার কমপক্ষে দুই শ' দোকানে অবৈধ্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। আওয়ামীলীগের কয়েকজন পাতি নেতাও বেশ কিছু দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। বিদ্যু এবং ফুটপাত থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় হয় প্রতিমাসে। এই টাকা কই কই যায় এবং কারা কারা খায় তা কি শেখ হাসিনা জানেন? অথবা বিদ্যুৎ অফিস? বিএনপির আমলে এই টাকা পুলিশসহ পেতো বিএনপির লোকজন। এই ভাবেই তো সারা দেশ চলছে। যুগ যুগ ধরে। পত্রিকায় এসব কথা আসে না কেন? সাংবাদিকরা এসব নিয়ে লিখছেন না কেন! কারন তারাও ধান্ধাবাজ।



খিলগাও রেলগেট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত টেম্পু ভাড়া ১৫ টাকা।
অথচ ন্যায্য ভাড়া হওয়া উচিত ৫ টাকা। তাহলে দশ টাকা বেশি কেন নিচ্ছে? যদিও বলে গুলিস্তান। টেম্পু যায় 'রাজউক' পর্যন্ত। আসল কথায় আসি। প্রতিদিন একটা টেম্পু থেকে ৭০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। পুরো ঢাকা শহরের মধ্যে খিলগাও টু গুলিস্তান এর চাঁদা সবচেয়ে বেশি। এত টাকা গাবতলী বাস টার্মিনাল, সায়দাবাদ অথবা কমলাপুর থেকেও নেওয়া হয় না। টেম্পু গুলো খুবই বাজে ভাবে চালায়। টেম্পু ড্রাইভার টেম্পু চালানোর আগে গাঁজা খেয়ে নেয়। পারলে তাড়া রাস্তাঘাট ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যাবে। টেম্পুওলাদের চিন্তা একটাই যেভাবেই হোক সারাদিনে অনেক গুলো ক্ষেপ দিতেই হবে। মালিককে দিতে হবে ছয় শ', চাঁদা দিতে হবে সাত শ'। নিজের জন্য রাখতে হবে কমপক্ষে পাঁচ শ' টাকা। টেম্পু গুলো প্রতিদিন অনেক গুলো দূর্ঘটনা ঘটায়। খিলগাও থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত পারমিট আছে মোট ৪০ টা টেম্পুর। অথচ প্রতিদিন চলছে ৯০ টা টেম্পু। এবং কোনো টেম্পুর বৈধ কাগজপত্র নেই। টেম্পু থেকে চাদার টাকা সিটি কর্পোরেশন পায়, পুলিশ পায় এবং স্থানীয় নেতাও পায়।



বহু লোক নদী পথে গ্রামে যায়।
সদরঘাট এলাকায় লঞ্চে উঠার আগেই চাঁদা দিতে হয়। নিজের জন্যও চাঁদা দিতে হয় এবং মালামালের জন্যও চাঁদা দিতে হয়। আপনি যত বড় কুতুব'ই হোন না কেন আপনাকে চাঁদা দিতেই হবে। ধরুন আপনি লঞ্চে উঠবেন। আপনার হাতে একটা টিভি। এই টিভির জন্যও আপনাকে চাঁদা দিতে হবে। চাদার পরিমানও অনেক। পাঁচ শ' টাকা। ধরুন আপনার কাঁধে ব্যাগ। এই ব্যাগের জন্যও চাঁদা দিতে হবে। গ্রামে গেলে সাধারনত মানুষ খালি হাতে যায় না। পরিবারের জন্য কিছু না কিছু নিয়েই যায়। আর লঞ্চে উঠার আগেই ঘাটে আপনাকে চাঁদা দিতেই হয়। এই চাঁদা নিয়ে কোনো রসিদ দেয় না। তাঁরা বলে এই লঞ্চঘাট তাঁরা সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছে। তাই এই ঘাট থেকে লঞ্চে উঠতে হলে টাকা দিতেই হবে। এমন কি আপনি স্টেডিয়াম থেকে টিভি, ফ্রিজ, এসি যা-ই কিনুন না কেন গেট থেকে বের হওয়ার সময় আপনাকে টাকা দিতে হবে। পুরো স্টেডিয়াম এলালায় সব গুলো গেটে লোক দাঁড়িয়ে থাকে টাকা নেওয়ার জন্য।



ছবিঃ গুগল।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ঢাকার সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট কি সদরঘাট ও গুলিস্তান? চাঁদার টাকা কতভাগ হয়?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: জানি না।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: এটা আগেও ছিল, স্বাধীনতার পর ব্যাপকতা লাভ করে।সেই ৬২ সাল থেকে যখন বুঝতে শিখেছি ,তখন থেকে দেখছেি সবলেরা দুর্বলের উপর অত্যাচার করছে।তখন এক ভাবে করতো এখন অন্য ভাবে করে।পৃথীবির ইতিহাস হলো দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচারের ইতিহাস।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা ও বড় বড় শহরের মাফিয়ারা আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: যারা দল করে তাঁরা আসলে ধান্ধাবাজি করার জন্য দল করে।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৪:৪৯

ব্লগার মুহাম্মদ রাসেল বলেছেন: আমাদের এই সমস্যা টা গোড়ায়। আপনি পাতি নেতা দের দোষ দিয়ে দায়সারা হয়ে যাচ্ছে যাচ্ছেন। পুলিশের কনস্টেবল টাকা নেয়, কারন তাদের অফিসার দের টাকা তুলে দিতে হচ্ছে, অফিসার রা টাকা নিচ্ছে কারণ তাদের ঢাকার মত জায়গায় বদলি হয়ে আসতে টাকা দিতে হচ্ছে ডিআইজি সাহেব কে। আর উপরে যাইতে চাচ্ছি না। বাকিটা সবার ই জানা।
পাতি নেতাদের ক্ষেত্রে ও এক‌ই সূত্র কাজে লাগে।
আর সিটি কর্পোরেশন এর ক্ষেত্রেও একই সূত্র প্রযোজ্য।

আসলে আমাদের গোড়ায় ই সমস্যা।

আপনিই বললেন, নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে। নাম ভাঙিয়ে খাবার সুযোগ টা তৈরী হলো কিভাবে? আমাদের সিস্টেমের মেরামত প্রয়োজন, চরম মেরামত।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য যথাযথ হয়েছে।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন
আপনি ভাল আছেন?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আমি ভালো আছি।
জ্বর হয়েছিলো। এখন নাই।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০২

বংগল কক বলেছেন: গাজি সাবরে কন একটা পলিটিক্যাল পার্টি দিতে, যেহেতু আপ্নে নিজেরে ভাল মনুষ্য হিসাবে দাবি করেন এবং ভন্ড পীরের ব্যবসাও করবেন না কাজেই গাজি সাবের দলে যোগ দিয়া দেশ সেবা করার সুযোগ পাবেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের সেবা করতে হলে দল করতে হয় না।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বাস্তবমুখি ঘটানা তুলে ধরেছেন রাজীব দা-----স্যালুট জানাই

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: সত্য কথা লিখেছেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: এসব সবাই জানে। জানে না শুধু সরকার।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চাঁদাবাজী সব যায়গায় ছড়িয়ে আছে, শুধু তার রূপ ভিন্ন ভিন্ন হয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাঁদাবাজি ঘৃণা করি।

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য শহর।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
তবে সীমাহীন টাকা থাকলে এই দেশে রাজকীয়ভাবে থাকা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.